ফটোগ্রাফি পোস্ট // কাশফুল বাগানের রেনডম ফটোগ্রাফি (ষষ্ঠ পর্ব)

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ফটোগ্রাফি পোস্ট // কাশফুল বাগানের রেনডম ফটোগ্রাফি (ষষ্ঠ পর্ব)। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। আসলে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেট এবং কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হয়। প্রাইভেট কলেজ শেষ করে বাড়িতে আসতে প্রায় বেলা বারোটা বেজে যায়। তারপরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গেলাম। পোস্ট শেয়ার শেষ করে নামাজ আদায় করে এসে আবারো বাড়ির কাজের জন্য একটু বাইরে যেতে হবে। আসলে বেশ কয়েকদিন সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। তাও চেষ্টা করি এত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে নির্দিষ্ট সময় যুক্ত হওয়ার জন্য। তবে চলুন শেয়ার করা যাক আপনাদের মাঝে আজকের পোস্ট......

আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে কাশফুলের বাগানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আসলে কাশফুল দেখতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছেই বেশ ভালো লাগে। আসলে শরৎকালে আমাদের এলাকার চারিপাশে কাশফুলের সমাহার বেধে যায়। আসলে এত সুন্দর দৃশ্য চক্ষু মিলে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আমরা গিয়েছিলাম আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে কাশফুল বাগান দেখতে। আমি এবং আমার চাচা দুজন মিলে গিয়েছিলাম কাশফুল বাগান দেখার জন্য। বিকেল বেলায় দুজন মিলে নদীর পাড়ে কাশফুলের বাগান দেখেছিলাম এবং বড়া খেয়েছিলাম। সেদিন দুজন সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম নদীর পাড়ে এবং কাশফুলের বাগানের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে। আসলে ছবিগুলো চোখের সামনে আসলে এখনো সেই দিনের কথা মনে আসে।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি কাশফুলের বাগানের মধ্যে প্রবেশ করার পর কিছু কাশফুল ছেড়ে আমার হাতে ধরে রেখেছি। তখন আমার চাচা অনেক সুন্দর ভাবে আমার একটি ছবি তুলে দিয়েছিল কাশফুলের বাগানের মধ্যে। কাশফুল আমার মাথার উপরে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাত বড় হয়ে গিয়েছে। বাগানের মধ্যে ঢুকলে মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাশফুলের বাগানের পাশে নদীর ধারে ছিল সুন্দর একটি ফুটবল মাঠ। আপনারা ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ফুটবল মাঠ। সেই ফুটবল মাঠে বসে আমরা দুজন বড়া খেয়ে ছিলাম এবং আড্ডা দিয়েছিলাম।

কাশফুলের বাগান দেখা যখন প্রায় শেষের দিকে তখন আমরা ভাবলাম বাড়ি যেতে হবে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। তারপর আমরা প্লান করলাম কিছু কাশফুল বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। এরপর আমরা দুজন মিলে মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে কাশফুল ছিঁড়ে ছিলাম। তারপর সেখানকার একজন ছেলে এসে আমাদের কিছু কাশফুল ছিঁড়ে দিয়েছিল। আমার চাচা সেই কাশফুল হাতে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে দিয়েছিলাম। অবশেষে আমিও একটি সেলফি তুলে ছিলাম দুজন একই ক্যামেরায় বন্দী হয়ে। আশা করি কাশফুল বাগানের ফটোগ্রাফি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।