ভ্রমণ // ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -০৭ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-০৯-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -০৭ পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে লেখাপড়ার জন্য বসে ছিলাম। তারপরে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট করা দরকার। আজকে যেহেতু কলেজ ছুটি তাই একটু বেশি সময় পেয়েছি কাজ করার জন্য। কি বিষয়ে পোস্ট লিখব প্রথমে একটু ভেবেছিলাম তারপরে হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে লেখার কথা। উপরের ছবি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর একটা ছবি তুলে শেয়ার করেছি। ১৯৭১ সালের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশের মা-বোনেদের উপর এইভাবে নির্যাতন করেছিল। যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে কিছু দৃশ্য তৈরি করা রয়েছে মুজিবনগর সেখানে ঘুরতে গিয়ে এগুলো দেখেছিলাম তাই ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। তবে চলুন পোস্টে আপনাদের মাঝে নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.........
প্রথমে আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। পিঠা তৈরি ছাঁচের ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরেই প্রথমে আমরা মেলাতে প্রবেশ করেছিলাম সেখান থেকে আমার আপু একটা পিঠা তৈরির ছাঁচ কিনেছিল। সেখানে বিক্রয় করা হয়েছিল বিস্কুট তৈরি পিঠার ছাঁচ। সেখান থেকে আমরা ২০ টাকা দিয়ে একটা কিনেছিলাম। তারপরে মেলার ভিতরে আরো কিছু জায়গা ঘুরে দেখা শুরু করলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মেলাতে কিছু কাঠের সুন্দর সুন্দর জিনিস বিক্রয় করতে ছিল। একটি ঝুড়ির মধ্যে রাখা হয়েছে কাঠ দিয়ে জিপ গাড়ি তৈরি করে। আসলে কাঠের তৈরি জিপ গাড়ি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে কাঠ দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য তৈরি করা যায় আগে আমি দেখেছিলাম না। অবশেষে দেখতে পেলাম কাঠের তৈরি বাংলাদেশের মানচিত্র। আসলে বাংলাদেশের মানচিত্র দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। মানচিত্রের নিচে লেখা ছিল ঘুরে এলাম ঐতিহাসিক মুজিবনগর। সব মিলিয়ে সেই দিন বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মেলার ভেতর থেকে আমরা অনেক সুন্দর একটি ইংরেজি বর্ণমালার সিলেট কিনেছি। সাথে আমাদের ভাগ্নে ছিল অনেক ছোট এখন তার লেখাপড়ার জন্য এসব কেনা প্রয়োজন। তাই আমার আপু একটি ইংরেজি বর্ণমালা সিলেট কিনে দিয়েছিল। আসলে এটি কেনার পরে আমার ভাগ্নি বেশ খুশি হয়েছিল। এই ইংরেজি বর্ণমালা সিলেটের দাম নিয়েছিল ২৪০ টাকা। সে সময় এই সিলেট দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আসলে পরিবারের সাথে সেদিন বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম।
তারপর আমরা সবাই দুপুরের খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকি। কিন্তু এই মুজিবনগরের ভিতরে তেমন কোনো ভালো হোটেল ছিল না তাই আমরা সেখানেই চটপটি ও ফুচকা খেয়ে ছিলাম। আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার ভাগ্নি অনেক সুন্দর ভাবে খাওয়া দাওয়া করছে সেই মুহূর্তের ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমি আমার ভাগ্নিকে অত্যন্ত বেশি ভালোবাসি। বাড়িতে গেলে সব সময় তার সাথেই থাকার চেষ্টা করি।
এবার আপনার উপর ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । ১৯৭১ সালে যেভাবে যুদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মধ্যে তার কিছু দৃশ্য তৈরি করা রয়েছে এই মুজিবনগরে সেখান থেকে আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই সব ঘটনা দাদা দাদির মুখ থেকে প্রায় শুনে থাকি। আসলে এগুলো শুনতে বেশ ভালোই লাগে কিন্তু হয়তো দেখতে পারলে আরো বেশি ভালো হতো। এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য কত যুবক প্রাণ দিয়েছে কত মা বোন তাদের ইজ্জত হারিয়েছে। এগুলো দেখার সময় বেশ কল্পনায় ভাসছিল মনের মাঝে এসব ঘটনা। আসলে সেখানে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমরা সবাই মিলে।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। অনেক সুন্দর ভাবে আমি আমার পরিবারের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা মোট ছয় জন গিয়েছিলাম মুজিবনগর ভ্রমণ করতে। আসলে সেখানে দুপুরবেলার দিকে প্রচন্ড রোদ ছিল তাই উপরের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। মেঘের প্রকৃতি দৃশ্য মনে হচ্ছে মাথার উপর এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেই দিন। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | মুজিবনগর ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi not 8 / oppo f21s pro |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | মুজিবনগর,মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণে খুব চমৎকার ও কোয়ালিটি ফুল সময় কাটিয়েছেন দেখা যাচ্ছে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই সেখানে বেশ দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম পরিবারের সাথে।
মুজিবনগর ঐতিহাসিক একটি জায়গা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যত সব স্মৃতিগুলো এই মুজিবনগর রয়েছে। আর এগুলো দেখার জন্য প্রত্যেকদিন কত মানুষ এখানে ভিড় জমাই। আজকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের পর্ব সাত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মুজিবনগর এর কথা মনে হলে মনে পড়ে যায় আমাদের সেই মুক্তিযোদ্ধার কথা। যেখানে নয় মাস রক্তক্ষয় যুদ্ধের পরে স্বাধীন করেছিল এই বাংলাদেশকে।
ঠিক মামা মুজিবনগর মুক্তিযোদ্ধার সেই সময়কার স্মৃতির কিছু দৃশ্য তৈরি করা আছে সেগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে
মুজিবনগর ঐতিহাসিক একটি স্থান এবং জায়গা এখানে আমি অনেক আগে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে কিন্তু দুই এক বছরের মধ্যে যাওয়া হয়নি। আপনার কিছু ফটো এর মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম জায়গাটির বর্তমানে এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। মুজিবনগর এর ৭ নম্বর আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লাগলো শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি এই জায়গাটিতে গিয়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই মুজিবনগর এলাকার ভূমিকা অনেক। এখানেই প্রথম বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গড়ে উঠে। ২০১৭ তে এখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ভাস্কর্য গুলো মানচিএ এগুলো এখনো মনে আছে। আপনার ভ্রমণ কাহিনী টাও ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ভাই অনেকদিন আগে ঘুরে গিয়েছেন আবারো ঘুরতে আসেন আমাদের সাথে দেখা হবে বেশ সুন্দর একটা সময় কাটানো যাবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণ করতে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ থাকাকালীন মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতাটা একদম হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। অনেক বছর আগে একবার মুজিবনগর ঘুরতে গিয়েছিলাম খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেখানে আপনিও তো দেখছি অনেক রোমাঞ্চকর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। একটাই দুঃখ লাগলো যে সেখানে ভালো কোন রেস্টুরেন্ট নেই যার কারনে দুপুরে ফুচকা অথবা চটপটি খেয়ে থাকতে হয়েছে। আপনাদের কাটানো মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে যুদ্ধের সময় এই মুজিবনগর অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করেছিল এখানে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়েছিল।
মুজিবনগর একটি ঐতিহাসিক জায়গা। মুজিবনগর বেড়াতে গিয়ে বেশি সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন আপনি। এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছি ভীষণ ভালো লেগেছে। আজকের পর্বটি ও বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ এরকম একটু ঐতিহাসিক জায়গা আমাদের দেখার একটু সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।