ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৮ তম পর্ব
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-০২-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ৮ তম পর্ব। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই অল্প একটু নাস্তা খেয়ে হাত মুখ ধুয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে বেশ কিছু সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাসের জন্য। অবশেষ লোকাল বাস পেয়ে ছিলাম না আজকে সকাল বেলায়। বাধ্য হয়ে পরিবহন বাসে আমাকে গাংনীতে আসতে হয়েছিল প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে। সাধারণত পরিবহনে লোকাল যাত্রী নেয় না কিন্তু প্রাইভেটে দেরি হয়ে যাবে বলে আমি পরিবহন বাসে উঠেই প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে এসেছিলাম। তারপর এসে প্রাইভেট পড়া শেষ করে বেশ কিছু সময় বাজারে ছিলাম। আমার বাড়ি থেকে আজকে আমার কাকা গিয়েছে কিছু বাজার করবে বলে। প্রথমেই একটি প্যান্ট এবং একটি জুতা কিনেছিলাম আসলে কয়েকদিন পরেই তার এসএসসি পরীক্ষা সেজন্য একটু কেনাকাটা করছিল। তারপর আমরা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....
আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার বেশ কয়েকটি বন্ধু মিলে আমার একটি গ্রুপ ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণের প্রথমে আমরা সিলেটে গিয়ে জাফলং দেখেছিলাম। আসলে আমরা জাফলং বেশ মজা করেছিলাম সেইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সকাল বেলায় আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর পরে গোসল করার জন্য পানিতে নেমেছিলাম। আমরা বন্ধুরা মিলে সকলে যখন গোসল করেছিলাম সেখানে বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম তাই সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আসলে সিলেট ভ্রমণের কথা আমার বেশ মনে পড়ে। তাই চেষ্টা করি ছবিগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারো দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমনে আমরা যেদিন রওনা দিয়েছিলাম বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম বেলা বারোটার দিকে। যেহেতু বেলা বারোটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তাই সন্ধ্যার দিকে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার বেশ প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা পদ্মা পাড়ে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। আমরা প্রায় সন্ধ্যা আটটার দিকে পদ্মায়া পৌঁছেছিলাম। সেখানে ইলিশ মাছ দিয়ে সকলেই ভাত খেয়েছিলাম। আমরা মূলত রূপালী ইলিশ রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আসলে সেখানে অনেক ধরনের ইলিশ রেস্টুরেন্ট রয়েছে অনেকেই অনেক জায়গায় খাওয়া-দাওয়া করেছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে তিন বন্ধু অনেক সুন্দরভাবে সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে আমার সবথেকে কাছের দুজন বন্ধু। আসলে আমার কলেজের সকলের সাথে আমার বেশ ভালো পরিচিত। চেষ্টা করি সকল বন্ধুর সাথে আন্তরিকতার মিল রাখার জন্য। তখন আমরা বন্ধুরা একে একে স্টাইল দিয়ে ছবি তুলছিলাম এবং সব ছবিগুলো আমার মোবাইল ফোনেই নেয়া হয়েছিল তারপরে আমি সবাইকে ছবি দিয়েছিলাম। আসলে আমার একজন বন্ধুর নাম হচ্ছে রাকিব আরেকজন বন্ধুর নাম হচ্ছে সজীব। দুজনই হচ্ছে মানবিক শাখার। সকলে বেশ আনন্দের সাথে আমরা সিলেট ভ্রমণ শেষ করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আমার দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণের আমার বন্ধুদের থেকে সব থেকে বেশি ছবি রয়েছে আমার। ছবিগুলো দেখলে আবারো সেই দিনের কথা বেশ মনে পড়ে। তবে এই সিলেটে আমার অত্যন্ত একটি দুঃখের ঘটনা রয়েছে। আমার বড় ভাইয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতো। সিলেট ক্যান্টনমেন্ট থাকা অবস্থায় রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিল সাইডে একটি বিল্ডিং এর কাজ চলছিল বিল্ডিং থেকে রড মাথায় পড়ে আমার ভাইয়া মারা যায় সত্যি এই ঘটনাটি বেশ দুঃখজনক। তাই সিলেটের কথা আমার সব থেকে বেশি মনে পড়ে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সিলেটের জাফলং এর ভ্রমণে গিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর ছবি উঠেছেন বন্ধুদের সাথে দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আপনার বড় ভাই সিলেট থেকে দুর্ঘটনা জনিত কারণে মারা গেছে জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আপনার বড় ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ভ্রমন পোস্টটি সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ভাই সিলেটের কথা শুনলেই সত্যি আমার ভাইয়ের কথা এখনো আমার বেশ মনে পড়ে।
দেখতে দেখতে আপনি আজকে সিলেট ভ্রমণের অষ্টম পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আজকের পর্বটি ও আমার কাছে ভালো লেগেছে। সিলেটের জায়গা গুলো অনেক সুন্দর দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সব বন্ধুরা মিলে দারুন একটি গ্রুপ ফটো তুলেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন আপনি সিলেট জায়গা গুলো সত্যি দেখতে বেশ সুন্দর।
প্রতিটি মানুষের জীবনে বন্ধুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মনের কথাগুলো খুলে বলার জন্য হলেও বন্ধুর প্রয়োজন। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছেন এবং দারুন দারুন ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি মজা লাগে আর যদি প্রিয় বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করা যায় মুহূর্তটা অনেক স্মৃতিময় হয়ে ওঠে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো যে আপনি বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। জাফলং জিরো পয়েন্টে সৌন্দর্য অপরূপ আপনার পোস্ট দেখে আমারও পুরনো স্মৃতি কথা মনে পড়ে গেল।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি যদি প্রিয় বন্ধুরা সাথে থাকে তাহলে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি বেশ ভালো লাগে।
ইতোমধ্যে সিলেট ভ্রমণের অনেকগুলো পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকের পোষ্টের মধ্য দিয়েও কিন্তু অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম আর ধারণা অর্জন করতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে। আশা করব এভাবে আরও সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আর বর্ণনা তুলে ধরবেন আমাদের মাঝে সিলেট সম্পর্কে।
চেষ্টা করি মামা প্রায় সপ্তাহে আপনাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য।
প্রতিনিয়ত সিলেট ভ্রমণের পর্বগুলো দেখে আসছি৷ আজকে এর ৮ম পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। সবগুলো পর্বের মধ্যে আপনি খুব সুন্দরভাবে এই স্থানের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে আসছেন। একইসাথে এই স্থানে আপনারা সকলে মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত অতিবাহিত করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।