লাইফ স্টাইল // ছোট ভাইদের সাথে ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৭-০১-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ছোট ভাইদের সাথে ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি। আজকে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে শনিবার কলেজ ছুটি ছিল যেহেতু কলেজে পরীক্ষা তাই কোচিং বন্ধ আছে। সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে জানতে পারলাম বুড়ো মা মারা গেছে। আমার মা আব্বু এবং বাড়ির অনেকেই গিয়েছিল। আজকে মাঠে আমাদের ধান লাগাতে ছিল সেই কারণে আমি বাড়িতে ছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি মাঠে খাওয়া নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বাইরে গিয়েছিলাম একটা কাজের উদ্দেশ্যে। কাজ থেকে বাড়িতে আসতে প্রায় একটা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তাই শীতের সময় বিছানায় শুয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ঝাল মুড়িওয়ালা যখন ঝাল পেঁয়াজ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে কাটতে ছিল তখন আমি ছবিটি তুলেছিলাম। আসলে যখন ম্যাচে ছিলাম ম্যাচের ছোট ভাইদের সাথে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে ম্যাচে ফেরার সময় আমরা ঝালমুড়ি খেয়েছিলাম। আসলে এই ঝাল মুড়ি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগেছিল সেই সময়। এখন এই ছবিগুলো মোবাইলের মাঝে যখন ভেসে ওঠে তখন সত্যি বেশ সেই দিনের স্মৃতির কথা মাথায় চলে আসে। আমাদের গাংনী বাজারের বেশ ভালো মুড়ি তৈরি করে রফিক ভাই। একবার খেলেই মনে হয় বারবার খেতে মন চায়।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ঝাল মুড়ি মাখানো যখন শুরু করেছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। আসলে ঝাল মুড়ির মধ্যে বিট লবণ থেকে শুরু করে গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে থাকে তাই খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমরা প্রথমে গিয়ে সেখানে ১০০ টাকার ঝালমুড়ি অর্ডার দিয়ে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য। ধনিয়ার পাতা সহ অনেকগুলো উপকরণ দেওয়ার কারণে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের যখন ঝালমুড়ি দিয়েছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ছবিতে আপনারা দেখতে পারছেন ঝাল মুড়ি ২০০ টাকা কেজি আমরা ১০০ টাকার মাত্র আধা কেজি ঝালমুড়ি নিয়ে ছিলাম। আসলে আমরা প্রত্যেকদিন ঝাল মুড়ি খেতাম এখানে তাই ১০০ টাকা ঝালমুড়ি নিলে ১০ টাকার ঝালমুড়ি বেশি দিত। আসলে এই রফিক ভাইয়ের ঝালমুড়ি খেতেও আমার কাছে বেশ ভালো লাগতো সেই সময়।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ঝালমুড়ির প্লেট হাতে নেওয়ার পরে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি সহ আমার ছোট ভাই সবাই মিলে আমরা পাঁচজন ছিলাম তাই ঝালমুড়ি প্লেটের মধ্যে আপনারা পাঁচটি কার্ড দেখতে পারছেন। আসলে এই কার্ডগুলো দিয়েই ঝালমুড়ি তুলে খাওয়া হয়েছিল। এখানে ঝালমুড়ি ঝালমুড়ির সাথে লবণ ছোলা কিনতে পাওয়া যেত লবণ ছোলা সত্যি বেশ সুস্বাদু ছিল। কিন্তু আমরা অনেক মানুষ থাকার কারণে বেশিরভাগ সময় ঝাল মুড়ি খেতাম।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার ছোট ভাইদের সাথে নিয়ে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমি সব সময় আমার বয়সের চেয়েও ছোট মানুষের সাথে মিশতে বেশি পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সব সময় নতুন নতুন কনটেন্ট নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। ভাগ্নে তোমার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ছোটদের সাথে এরকম ঝাল মুড়ি খাওয়ার সময় বেশ আনন্দ হয় এবং বিভিন্ন প্রকারে হাসির গল্প করা যায়। বেশ ভালো লাগলো আমার পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
এমনিতে ঝালমুড়ি আমার খুবই প্রিয় মামা। তারপরে তুমি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে এই বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করেছে। দেখে যেন মনে হচ্ছে এখনই দোকানে চলে যায়, আর ঝালমুড়ি কিনে আনি। চানাচুর দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া শুরু করি। কারণে কারণে আমরা বন্ধুরা মিলে এভাবে অনেক দিন খেয়েছি, বিশেষ করে শীতের সন্ধ্যাবেলায়।
ঝালমুড়ি আপনার প্রিয় জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ মামা।
বাহ খাবার গুলো দেখেই খুবই লোভ লাগলো। যেহেতু শীতের দিন ঝাল করে যদি মুড়ি মাখা খাওয়া যায় খুব ভালো লাগে। আর একটা বিষয়ে আরো মজার সেটা হচ্ছে সবাই মিলে খেলে খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু হয়। তাছাড়া মুহূর্তটিও অনেক ভালো ভাবে কাটে। ছোট ভাইদের সাথে খুব সুন্দর একটি সময় কাটালেন ঝাল মুড়ি খেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লোভ লাগার কোন কারণ নেই চলে আসুন আপু আপনাকে ঝাল মুড়ি কিনে খাওয়াবো।
আমরা বড়ো মা বলতে জেঠু মাকে বলে থাকি। আপনার জেঠু মার মৃত্যুর কারণে বাড়ি থেকে আপনার মা বাবা আরা অনেকে গেল। তবে আপনাদের গাংনী বাজারে ভালো ই খাওয়া-দাওয়া পাওয়া যায় সেটা মোটামুটি জানি। তবে বয়সের ছোট ভাইদের সাথে খুব মজা করে ঝাল মুড়ি খেয়েছেন। তবে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। সত্যি বলতে আপনার ঝাল মুড়ির পোস্ট দেখে আমার নিজেরও খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি বয়সে ছোট ভাইদের সাথে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই সত্যি বেশ আলাদা।
বাহ ছোট ভাইদের সাথে ঝাল মুড়ি খেয়ে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আসলে অনেক সময় সবাই একসাথে বসে ঝালমুড়ি খেতে অনেক মজাই লাগে। আমরাও মাঝেমধ্যে ছোট-বড় একসাথে বসে ঝাল মুড়ি খেয়ে থাকি। যদিও কলেজ বন্ধ থাকার কারণে আপনার একটু সুবিধা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি দারুণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি।আর ঝালমুড়ি এভাবে ওজনে বিক্রি হতে প্রথম দেখে অবাক হলাম।তাছাড়া ঝালমুড়ি সিম্পলভাবে খেতেই আমি বেশি পছন্দ করি।আপনার
বুড়ো মা আত্মার শান্তি কামনা করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি ঝাল মুড়ি খাওয়ার সময় সত্যি বেশ দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।
Twitter link
বাইরের ঝাল মুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে।আমার কলেজে গেলে প্রায় খাওয়া হয় বান্ধবীদের সাথে।আপনাদের ঝালমুড়ি দেখে বুঝা যাচ্ছে খেতে মজার ছিল।বেশ মজা করেই খেয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি মূলক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি বেশিরভাগ সময় ঝাল মুড়ি বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে খাওয়া হয়ে থাকে।