ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের পঞ্চম পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের পঞ্চম পর্ব। আজকে সকাল থেকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকাল থেকে আমাদের কলেজে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে তাই সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে লেপের মধ্যে বসেই পড়তেছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে অল্প একটু খাওয়া দাওয়া শেষ করে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে কলেজে বাংলা দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ গত কালকের তুলনায় আজকের পরীক্ষা বেশ ভালো হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হয়েছে একটার দিকে। তারপরে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। চেষ্টা করি অতি ব্যস্ততার মাঝেও অল্প কিছু সময় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

প্রথমে আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে মাধবকুণ্ডের কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমরা যখন মাধবকুণ্ড পার্কের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম তারপরে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়ের উপরে উঠতেছিলাম। পাহাড়ে ওঠার সময় আমার একটি নির্দিষ্ট জায়গা পেয়েছিলাম সেখানে দাঁড়িয়ে উপর থেকে নিচের সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম এবং সেখানে কিছু ছবি তুলেছিলাম। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সেখান থেকে আমার এক বন্ধুর ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে উপর থেকে নিচের সৌন্দর্য দেখতে বেশ ভালো লাগে।

এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে মাধবকুণ্ডের ঝরনার ছবি শেয়ার করেছি। ঝরনায় গোসল করার আগে আমরা চারিপাশে বেশ সুন্দরভাবেই দেখে নিয়েছিলাম। সেখানে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেকেই বেশ কিছু ছবি উঠেছিলাম। সেই ছবিগুলোর মধ্য থেকে আমি দুইটি ছবি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি। আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে। সেখানে আমার দুই বন্ধু বেশ স্টাইলিশ ভাবে পোছ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তাই আমি তাদের ছবি দুইটাই আপনাদের মাঝে প্রথমে শেয়ার করলাম। আসলে আমাদের প্রত্যেক বন্ধুদের মধ্যেই বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাই কলেজ থেকে এত দূর ভ্রমণ করতে এসেছিলাম আমরা সকলে মিলে।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাধবকুণ্ডের সেই ঝর্ণায় গোসল করার জন্য আমরা সকলেই বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা সিলেটে প্রায় চার দিন ছিলাম। প্রত্যেকদিন বাইরে গোসল করেছিলাম সত্যি বাইরে গোসল করার মজাই আলাদা। প্রথম দিন জাফলং এই গোসল করেছিলাম দ্বিতীয় দিন গোসল করেছিলাম এই মাধবকুণ্ডে। আসলে ঝর্নার আশেপাশে গোসল করার নিষেধ ছিল এখানে গোসল করার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ছিল সেখানেই প্রত্যেকে গোসল করতে ছিল। আসলে ঝর্ণার নিচে চোরাবালি ছিল তাই সেখানে খুব সুন্দর ভাবে প্রটেকশন দিয়ে রাখা হয়েছিল। তাই আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় সবাই মিলে গোসল করেছিলাম এবং আমাদের কিছু ছবি তুলে দিয়েছিল একটি বন্ধু সেখানে গোসল করতে ভয় পেয়েছিল তাই সে আমাদের ছবি তুলে দিয়েছিল। আসলে বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে গোসল করলে সত্যি বেশ মজা হয়।

এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে দুটি ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের ছবি শেয়ার করেছি। আসলে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম। আসলে এখান থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত দেখা গিয়েছিল সত্যিই বেশ ভালো লেগেছিল। আমরা এখানে নদীর মাঝে এসে গোসল করেছিলাম এবং গোসল শেষে সবাই ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে ফটোশুটের জন্য গিয়েছিলাম। এখানে সব থেকে বেশি মুগ্ধ করেছিল পাহাড়ের সৌন্দর্য। এর আগে কখনো আমি এত কাছ থেকে পাহাড় দেখেছিলাম না। যদি আবার কখনো সময় হয় তাহলে সিলেট ভ্রমণে যাব। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।