ফটোগ্রাফি পোস্ট // কাশফুল বাগানের রেনডম ফটোগ্রাফি (চতুর্থ পর্ব)

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ফটোগ্রাফি পোস্ট // কাশফুল বাগানের রেনডম ফটোগ্রাফি (চতুর্থ পর্ব)। আসলে গত কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গত কয়েকদিন আগে বন্ধুদের সাথে সিলেট ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তাই আপনাদের সাথে খুব একটা সময় দিয়ে উঠতে পেরেছিলাম না। তাও চেষ্টা করেছিলাম মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আজকে সকাল ভোর বেলায় সিলেট থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছেছি। ঘুম থেকে উঠেছিলাম বেলা দশটার দিকে তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গোসল শেষ করে নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে এসে আবারো আজকে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....

আপনার প্রথম উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি কাশফুল বাগানের ছবি তুলে অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমরা সেখান থেকে কিছু কাশফুল বাড়িতে নিয়ে আসবো বলে কাশফুল ছিড়তে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাশফুল ছিড়তে পেরেছিলাম না। পরবর্তীতে সেখান থেকে একজন স্থানীয় ছেলে এসে আমাদের কিছু কাশফুল ছেড়ে দিয়েছিল আমরাও মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে কিছু কাশফুল তুলেছিলাম। কাশফুলগুলো তোলার পরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে হাতে ধরে রেখে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে নদীর পারে মনোরম পরিবেশে কাশফুলের সাথে সময় কাটাতে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল। বিকেলের সেই সৌন্দর্য এখনো বেশ মনে পড়ে।

বাড়িতে গিয়ে আমি এবং আমার চাচা দুজন মিলে কাশফুল বাগান দেখতে গিয়েছিলাম। আসলে নদীর ধারে সেখানে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সেখানে যাওয়ার সময় আমরা বাইরে থেকে বড়া কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে বসে বেশ মজা করে বড়া খেয়েছিলাম। বিকেল বেলায় মিষ্টি রোদের সাথে বেশ সুন্দর সময় পার করেছিলাম। আরো দূরদূরান্ত থেকে সেখানে অনেক মানুষ এসেছিল সেই কাশফুল বাগান দেখতে। আমাদের বাড়ি থেকেও প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে এই কাশফুল বাগান। কিছুক্ষণ পরে আকাশে মেঘ চেপে আসে আকাশ এবং কাশফুলের ফটোগ্রাফি দুটোই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।

এবার আপনারা সবার শেষে উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু কাশফুল হাতে ধরে রেখেছিলাম তখন আমার চাচা একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। আসলে অনেকদিন পর বাড়িতে গেলে অনেক ছেলেদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয়। গ্রামে অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে তাদের সাথে আড্ডা দিতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। সেই শৈশবের দিনগুলো আজও অনেক মনে পড়ে। আশা করি কাশফুল বাগানের ফটোগ্রাফি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।