ভ্রমণ পোস্ট // ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১১-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব। আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে একটু কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলাম বাংলা লেখা প্র্যাকটিস করার জন্য। আসলে অনেক দিন আগে কম্পিউটার শেখা হয়েছে কিন্তু বাংলা লেখা প্র্যাকটিস নেই তাই একটু গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমাদের গ্রামের একজন বাইক কিনলো সেখানে গিয়েছিলাম বাইক ক্রয় করার জন্য। তারপরে বাড়িতে এসে আব্বুর সাথে গরু দেখতে গিয়েছিলাম আমাদের দুইটা গরু কিনেছে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। তারপরে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তখনই দেখি মামা ফোন দিয়েছে বিকেল বেলায় যেতে বলল তাই আরো তাড়াতাড়ি পোস্ট লেখা শেষ করলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে যেই ছবি দুইটা শেয়ার করেছি এটা হচ্ছে মুজিবনগর এর সেই ঐতিহাসিক আমবাগান। আসলে মুজিবনগর গিয়ে পৌঁছানোর পরে আমি প্রথমে আম বাগানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম বাইক রাখার জন্য। বাইক রাখার পর সেখান থেকে বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করেছিলাম আমার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে। আসলে এই আম বাগানের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের শপথ নেওয়া হয়। আসলে এই মুজিবনগরকে ঘিরে মুক্তিযোদ্ধার অনেক স্মৃতি রয়েছে। সর্ব প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি মুক্তিযোদ্ধার কিছু দৃশ্যপটের ছবি। কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিল সেই সকল দৃশ্য সেখানে তুলে ধরা হয়েছিল। আশা করি প্রথম ছবির দিকে আপনারা লক্ষ্য করলে ভালোভাবে দেখতে পারবেন।
মুজিবনগর আমবাগানের মধ্যে বাইক রাখার পরে ।আমরা প্রথমে আম বাগানের মধ্যে মেলা বসেছিল সেই মেলাতে প্রবেশ করেছিলাম। মেলাতে প্রবেশ করার পরে সেখানে দেখে অনেক মানুষ অনেক ধরনের জিনিস বিক্রয় করছিল। আমাদের সাথে আমার ছোট্ট খালামণি ছিল সেখান থেকে আমরাও বেশ কিছু জিনিস ক্রয় করেছিলাম। আমি সেখান থেকে আমার বাইকের চাবির একটা রিং কিনেছিলাম। আসলে সেই চাবির রিংটা গত কিছুদিন আগে হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে গিয়েছে। আসলে রিংটা ছিল হালকা কাছের মত। সব মিলিয়ে মেলাতে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম আমরা।
তারপর ঠিক দুপুরবেলায় আমরা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়ার জন্য একটি দোকানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। আসলে এখানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য তেমন একটা ভালো হোটেল ছিল না ভিতরে। তারপরে সেখান থেকে আমরা ফুচকা এবং চটপটি খেয়েছিলাম। আমার ছোট্ট খালামণি ফুচকা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে । তাই আমার খালামণি ফুচকা খেয়েছিল এবং আমরা সবাই চটপটি খেয়েছিলাম। খাওয়ার সময় দোকানে যা বিল হয়েছিল সব আমার দুলাভাই দিয়েছিল। খাবার সময় আমার দুলাভাই বলেছিল কিবরিয়ার জন্য একটা মেয়ে দেখতে হবে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে হবে। তারপরেই সেখানে আমি অনেক হেসেছিলাম আমার দুলাভাইয়ের কথা শুনে । আসলে সেই দিন আমরা বেশ আড্ডা দিয়েছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে বাঙ্গালীদের মধ্যে এবং পাকিস্তানীদের মধ্যে কিভাবে যুদ্ধ হয়েছিল সেই দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। সেলফিতে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বাঙালী এবং পাকিস্তানিরা যুদ্ধ করেছিল সেখানে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস মহান মুক্তিযোদ্ধার পর আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব এই বাংলাদেশ। অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা এই বাংলা ভাষা। আসলে কোন কিছু অর্জনের চেয়েও ধরে রাখাটা সবথেকে বেশি কঠিন। আমরা তেমনি বাঙালি শুদ্ধভাবে এখনো বাংলা ভাষায় কথা বলতে শিখলাম না। মাটির বুকে খোদাই করা মানচিত্রের নিচে একটি পুকুর ছিল পুকুরে অনেক পানি ছিল সেখানে অনেক মানুষ গোসল করতেছিল। এই সকল দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশের শেষ সীমান্তর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আসলে মুজিবনগর থেকে হাঁটতে হাঁটতে গেলে প্রায় দুই মিনিট লাগবে বাংলাদেশের শেষ সীমান্তে পৌঁছাতে। মুজিবনগর দেখা শেষ করে আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতের শেষ সীমান্ত দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুইজন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা ছিল। সবমিলিয়ে সেই দিন আমরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | মুজিবনগর ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi not 8 / oppo f21s pro |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | মুজিবনগর,মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব আজকে আপনি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পর্ব দেখে। যেখানে আমরাও একদিন বসেছিলাম সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম, সেই জায়গাটা দেখতে পারলাম খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে। পাশাপাশি বর্ডারের শেষ সীমান্তটা পাশে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর ছিল।
আপনিও মুজিবনগর জায়গা ঘুরতে এসেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো মামা। ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
অবশেষে আপনি আমাদের মাঝে ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। মুজিবনগর ভ্রমণ করতে একবার গিয়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল বিশেষ করে বাংলাদেশের শেষ সীমানা পর্যন্ত গিয়েছিলাম কিন্তু লোহার গেট দিয়ে আটকানোর কারণে ও পাশে যেতে পারেনি। আসলেই সেখানে কোনো ভালো হোটেল তখনো ছিল না যখন গিয়েছিলাম আমরাও ফুচকা এবং চটপটি খেয়েছিলাম। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আমরাও শেষ প্রান্তের যেতে পেরে ছিলাম না লোহার গেট দিয়ে আটকানো থাকার কারণে।
মুজিবনগর ভ্রমণের পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আমি অনেক দিন আগে মুজিবনগর গিয়েছিলাম। সত্যি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনারা ফুসকা খেয়েছেন সত্যি ঘুরতে গেলে ফুসকা খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাদের কাটানো সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
মুজিবনগর ভ্রমণের পর্ব গুলো আমি দেখেছি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মুজিবনগর ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন ফটোগ্রাফি তুলেছেন সব মিলিয়ে বেশ চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার কাছে বাংলাদেশ এবং ভারতের শেষ সীমানা দেখে ভালো লেগেছে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
মুজিবনগর একটি ঐতিহাসিক জায়গা। ১৯৭১ সালে এখান থেকেই বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। মুজিবনগর আমি অনেকবার গিয়েছি। আপনি খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ট্রাভেলিং পোস্ট আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই মহান মুক্তিযোদ্ধা এই মুজিবনগর থেকেই পরিচালনা করা হয়।
দেখতে দেখতে আজকে আপনি মুজিবনগর ভ্রমণের শেষ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেললেন। আপনার মুজিবনগর ভ্রমণের অনেকগুলো পর্বই আমি দেখেছি। প্রতিটি পর্ব বেশ ভালো লেগেছে। আজকের পর্বটাও দারুন।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠন মুলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1734185863452778885?s=20
মুজিবনগর আমিও ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম বেশ ভালো লাগছিল। পুরা এরিয়া টা বাইক নিয়ে ঘুরে দেখেছি অনেক মজা করেছিলাম তখন অবশ্য পর্যটক কম ছিল। যেতে যেতে দুপুরের টাইমে গিয়েছিলাম সেজন্য হয়তো লোকের দেখা কম পেয়েছে। আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো দারুন ভাবে সাজিয়েছেন পোস্টটি।
আপনি বাইক নিয়ে মুজিবনগর এর পুরা এরিয়া ঘুরে দেখেছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ভাই।