ভ্রমণ পোস্ট // ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -১২ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৩-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -১২ পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল তাই হাত মুখ ধুয়ে প্রথমে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেটে গিয়ে দেখি এখনো আমাদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেনি স্যার। তারপরে কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে স্যার এসে আমাদের প্রাইভেট পড়ানো শেষ করল। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে হোটেলে গিয়ে অল্প কিছু নাস্তা করে আবারো কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যেহেতু সামনে পরীক্ষা তাই লেখাপড়ার বেশ চাপ। কিছুক্ষণ পরে আমাদের কলেজের ভূগোল স্যার এসে প্র্যাকটিক্যাল লেখার জন্য কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরেই কলেজ থেকে আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে ব্যাগ রেখে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আমরা সেই দিন মুজিবনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম দুটি বাইক নিয়ে । আমরা মোট ৬ জন গিয়েছিলাম মুজিবনগর। আমি আমার দুলাভাই সহ আরো অনেকেই। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই বেশ মজা করতে করতে আমরা মুজিবনগর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মুজিবনগরে যাওয়ার আগে একটি কফি হাউজ ছিল সেখানে আমরা সবাই মিলে কফি খেয়েছিলাম সকালবেলায় কফি খেতে বেশ ভালো লেগেছিল সেই দিন। বাড়ি থেকে প্রায় দুই ঘন্টা বাইকে জার্নি করার পরে আমরা মুজিবনগরের গিয়ে পৌছালাম। সেখানে গিয়েই আমরা সেই ঐতিহাসিক আমবাগানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম প্রথমে। যেখানে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল। এই আম বাগানের মধ্যে সর্বপ্রথম শপথ গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে অনেক ধরনের মেলা বসেছিল। সেই মেলাতে গিয়ে আমরা প্রথমেই অনেক কিছু দেখতে পেয়েছিলাম। আমার দুলাভাই অনেক সুন্দর বাঁশি বাজাতে পারে সেই দিন জানতে পেরেছিলাম কারণ আমার দুলাভাই সেখান থেকে একটি বাঁশি কিনেছিল বাড়িতে এসে বাজারে বলে।
তারপর আপনারা দেখতে পারছেন ছোট্ট ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার জন্য ম্যাজিক বই। আমার আপু আমার ছোট খালামণির জন্য এই বইটি সেখান থেকে কিনেছিল। আসলে বইটি কিন্তু সিলেট আকৃতির একদিকে বাংলা অক্ষর ছিল অপরদিকে আবারও ইংরেজি অক্ষর ছিল। বইটি দেখতে আমার কাছে ম্যাজিক মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে সেই দিন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দরভাবে স্মৃতিসৌধের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই স্মৃতিসৌধের মোট পিলার সংখ্যা ছিল ২৩ টি। আপনারা ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ছোট্ট পিলার এর উপরে আমার দুলাভাই সহ সবাই যখন উঠে বসে ছিল তখন আমি সেলফি তুলে ছিলাম। তখন ঠিক দুপুর বেলা ছিল রোদে সেখানে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। আসলে এই স্মৃতিসৌধের উপরে স্যান্ডেল বা জুতা পায়ে দিয়ে ওঠা সম্পূর্ণ নিষেধ। এখানে কিছু পুলিশ বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে এগুলো ভালোভাবে দেখাশোনা করার জন্য।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মুজিবনগরে মুক্তিযোদ্ধার সময়ের কিছু স্মৃতি হিসেবে তৈরি করে রাখা হয়েছে সেগুলোর ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাকে কেন্দ্র করে এই মুজিবনগরে স্মৃতিচারণ হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এবার আপনারা দেখতে পারবেন আমার আপু একটি সিঁড়ি উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তখন আমি ছবি তুলেছিলাম। আসলে এখান বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার মানচিত্রের ম্যাপ মাটির বুকে খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। সে মানচিত্রের ম্যাপটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিগত পোস্টে আপনাদের মাঝে মানচিত্র আমি শেয়ার করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত। মুজিবনগরের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত। আমরা সেখান থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মাঝখানের শেষ সীমান্ত দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা যখন গিয়েছিলাম সেখানে দুইজন সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ছিল। ভারত সীমান্তের মধ্যে প্রবেশ করা নিষেধ। তারপর আমি সেখান থেকে কয়েকটি ছবি তুলে এবং কয়েকটি সেলফি তুলে আবারো ফিরে এসেছিলাম। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | মুজিবনগর ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi not 8 / oppo f21s pro |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | মুজিবনগর,মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://x.com/GKibreay/status/1731199993313431573?s=20
ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমন করে দারুণ একটা পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ কিছুদিন আগে মুজিবনগর ভ্রমণ করেছিলাম তখন এত কিছু ছিল না। অনেকদিন পরে মুজিবনগরের এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে ইচ্ছা করছে এখনই একবার ঘুরে আসি।
আসলে মামা আগের তুলনায় মুজিবনগর অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে দেখতে কিন্তু এখন বেশ দারুন লাগে মুজিবনগর। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।
মুজিবনগর ভ্রমণের এ পর্বে এসে সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সব থেকে বেশি ভালো লাগলো বাংলাদেশের শেষ প্রান্তের ফটোগ্রাফি গুলো।
দেড় বছর আগে একবার গিয়েছিলাম তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এখন আমার ইচ্ছে যাচ্ছে একবার গিয়ে ঘুরে আসি।
চলে আসেন ভাই আমাদের এলাকায় ঘুরে যান। আসলে বাংলাদেশের শেষ প্রান্তের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দেখতে বেশ দারুন লেগেছিল ভাই।