আমার বাংলা ব্লগে আজকে মুভি রিভিও "গজনী" হিন্দি মুভি আমির খান এর । 10% shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীঈয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ - ১৬ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |শুক্রবার | শরৎকাল |

আজ আমি আপনাদের সাথে হিন্দি মুভি "গজনী"শেয়ার করব।এই মুভিটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তাই শেয়ার করলাম।আশা করি ভালো লাগবে সবার ।


আমার মুভি রিভিও :


download.jpeg

সোর্স


মুভি সম্পর্কে তথ্য:


গজনী হিন্দি প্রযোজিত এ আর মরুগাডোস পরিচালিত, ২০০৮ সালের একটি বলিউড মুভি।
ছবিটি প্রেমিকা মডেল কল্পোনার বিভৎস ভাবে খুন হওয়ার ফলে সাময়িক স্মৃতিলোপের অসুখে আক্রান্ত এক ধনী ব্যবসায়ীর জীবনের মারদাঙ্গা রহস্য-রোমাঞ্চ ও গভীর প্রেমের উপাদানের সংমিশ্রন একটি মুভি।


পরিচালনাএ আর মরুগাডোস
প্রযোজকঠাকুর মধু মধু মন্তীনা
রচয়িতাএ.আর.মরুগাডোস
অভিনয়েআমির খান অসিন জিয়া খান প্রদীপ রাওয়াত রিয়াজ খান।
সুরকারএ.আর.রহমান
চিত্রগ্রাহকরবি কে.চন্দ্রন
সম্পাদকএন্থনি গঞ্জালভেজ
পরিবেশকগীতা আর্টস(ভারত) রিয়ালিয়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট শো মেন পিকচারস
মুক্তি২৫ ডিসেম্বর ২০০৮
দৈঘ্য১৯৩ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মানব্যয়৪৫ কোটি রুপি
আয়১৯০ কোটি রুপি

কাহীনি সংক্ষেপ :


সুনিতা নামে একটি মেডিকেল স্টুডেন্ট ও তার সহোপাঠি, মানুষ্য মস্তিষ্কের ওপর একটি প্রকল্পে কর্মরত ।এই দৃশ্য দিয়েছবিটি শুরু ।
সে শহরের পূর্বতন একজন প্রথিতযশা ব্যবসায়ী ,বর্তমানে সাময়িক স্মৃতিলোপের অসুখে আক্রান্ত ,সঞ্জয় সিংহানিয়ার (আমির খান) রহস্য-জনক ঘটনাটি নিয়ে কাজ করতে চায় ।বর্তমানে ঘটনাটি ফৌজদারী তদন্তাধীন বলে তার শিক্ষক, সঞ্জয় সম্পর্কিত নথিপত্র তাকে দিতে অস্বীকার করে ,তা স্বত্তেও সুনিতা নিজেই বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষন করবে স্থির করে । সঞ্জয়ের ,ছবিতে নৃশংসভাবে দ্বিতীয় খুন টি করার সময় এসে যায় । সে লোকটির পোলারয়েড ছবি তোলে এবং' হয়েছে' এই বলে ছাপ দেয়।ছবি থেকে জানা যায় যে সঞ্জয় এক অদ্ভুদ ধরনের 'সাময়িক স্মৃতিলোপের ' অসুখে আক্রান্ত যাতে প্রত্যেক ১৫ মিনিট অন্তর তার সম্পূর্ন স্মৃতি বিলুপ্ত হয়ে যায় ।সঞ্জয় তার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে ছবি ,চিরকুট এবং তার সারা শরীরে আকাঁ উল্কী গুলি ব্যবহার করে ।প্রতিদিন ভোরে সঞ্জয় যখন কল ঘরে যায় তখনি জলের নলের পাশে লাগানো একটি চিরকুটে জামা খোলো এই কথাটি লেখা থাকে দেখতে পায় ।সে যখন জামাটা খোলে তখনি তার বুকে আকা অনেক উল্কি দেখতে পায় ।যার মধ্যে কল্পোনাকে খুন করা হয়েছিল।এই কথাটিও দেখতে পায় ।এবং জানতে পায় নিয়মিত ভাবে যারা কল্পোনার মৃত্যুরজন্য দায়ী তাদের মেরে বদলা নিতে হবে তাদের মধ্যে প্রধান হলো গজনী আর সে সমাজৈর গন্য মান্য ব্যক্তি। মুম্বাই পুলিশের ইন্সপেক্টর,অজয় যাদব এই একটির পর একটি খুনের তদন্ত করতে গিয়ে খুজে পায় সঞ্জয়ের ঘরে ডায়েরি ।দুটি ডায়েরি পায়ষ সে প্রথমটি পরতে থাকে ।আর তার সামনে ২০০৫ ও ২০০৬ সালের ঘটনা গুলি ক্রমে ভেসে ওঠে ।সে পরে দেখে সঞ্জয় একজন এয়ার ভয়েস টেলিফোন কোম্পানির মালিক ।একজন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের বংশধর।সঞ্জয় বিদেশে পড়াশোনা শেষে পারিবারিক ব্যবসা দেখার জন্য দেশে আসে ।ব্যবসায়িক ঘটনা প্রবাহে ,সঞ্জয় একজন উঠতি মডেল কল্পোনার বাড়ির উপর এয়ার ভয়েস কোম্পানির বিজ্ঞাপন লাগাবার জন্য কল্পোনার কাছে লোক পাঠায় ।এই বিষয়টি মডেলিং কোম্পানীর মালিক দেখে সে লাভবান মনে করে যে বড় ব্যবসায়ীর সাথে ভাব হলে অনক ফায়দা হতে পারে আর এই বিষয়টা কল্পোনা খেয়াল করে সেও সঞ্জয়ের বান্ধোবী হওয়ার নাটক করে এতে তার লাভ হয় তাকে মডেল কোম্পানীর মালিক পদউন্নতি দিতেই থাকে ।
এইদিকে সঞ্জয় এই বিষয়টি প্রথমে গুরুত্বদেননি ।পরে যখন পেপার ম্যাগাজিনে তার আর মডেলের বিষয় দেখেন সে তখন তার সাথে দেখা করতে যান ।দেখা করতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে ফেলেন এবং তার পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেন বন্ধুত্ব করেন ।এভাবেই একদিন বিয়ের প্রস্তাব দেয় ।সে প্রথমে অমত হলেও পরে রাজী হয়।
এরপর ইন্সপেক্টর যাদব ২০০৬ সালের ডায়েরি টা পড়া শুরু করবে ।এরমধ্যেই বর্তমান সময়ে ফিরেআসে সঞ্জয় বাড়িতে ফিরে এসে যাদবকে বেধে রাখে ।এই দিকে গজনীকে কোন এক কলেজের অনুষ্ঠানে দেখে ছবি তোলে তাকে হত্যা করার জন্য ।ঐ অনুষ্টানে সুনিতার সাথে দেখা হয় সঞ্জয়ের ।সুনিতা তাকে দেখে চিনে ফেলে আর বন্ধুত্ব করার চিন্তা করে ।
সঞ্জয় গজনীর এক সহচরকে পেয়ে হত্যা করে গাড়ী রাখার স্থানে ।আরও অপেক্ষা করে গজনীকে মারার জন্য ।পরে অন্য সময় মারবে চিন্তাকরে ।এদিকে মৃত্যুর মুখে গজনীর সহচর সব কিছু বলে তাকে ।সে শুনে মনে করতে পারেনা প্রথমে ।

ইতিমধ্যে সুনিতা সঞ্জয়ের বাসায় যায় আর সেখানে যাদব কেবাধা দেখে ।যাদব সুনিতাকে সঞ্জয়ের বিষয়ে বলে যে সে সিরিয়াল কিলার আর গজনীকেও হত্যা করবে।এর মধ্যে সঞ্জয় তার বাসায় এসে তাদের দেখে চিন্তে পারে না এবং তারা করে তাদের তারা পালায় আর ডায়েরি সুনিতা পায় ।এদিকে সুনিতা গজনীর বিপদ আশঙ্কা দেখে তাকে সব খুলে বলে ।তখন গজনী সঞ্জয়ের বাড়িতে যায় তার বাড়ির সব চিরকুট ছবি নষ্ট করে ।সঞ্জয়ের শরীরর উল্কা গুলি নষ্ট করে অন্য কিছু একে দেয় ।গজনী তাকে মারার আরকোন সুত্র থাকলোনা মনে করে চলে যায় ।

ইতিমধ্যে সুনিতা সঞ্জয়ের দ্বিতীয় ডায়েরিটা পরা শুরু করে ।আবার পিছনের স্মৃতিচারণায় ফিরে যায়।ডায়েরি পরে সুনিতা বুজতে পারে সব ঘটনা কে দোষী আর কে নির্দোষ ।সুনিতা পড়ে দেখে কল্পোনা নামে মডেল মেয়েটি সঞ্জয়ের দেয়া বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয় ।এরমধ্যেই কল্পোনা নিজের অনিচ্ছাকৃত ভাবে এক নারী-পাচারকারী চক্রের ব্যপারে জড়িয়ে পরে ।এই চক্র ট্রেনে নিয়ে যাওয়া নারীদের উদ্ধার করে ।আর ঐ মেয়েরা এই চক্রের বসের নাম বল গজনীর কথা ।গজনী ঐ মেয়েদের ভয় দেখিয়ে চুপ করে দেয় ।আর কল্পোনাকে মারার জন্য তার বাড়িতে ঢুকে অপেক্ষা করে ।এই দিকে সঞ্জয় কল্পোনার সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে আসে ।সঞ্জয়কে বলা কল্পোনার শেষ কথা ছিলো গজনীর গুন্ডারা তাকে আক্রমন করে। সঞ্জয় তাকে বাচাতে যাবে তখনি গজনী লোহার দন্ড দিয়ে আঘাত করে আর কল্পোনাকে হত্যা করে ।সঞ্জয় এর শেষ দেখা ছিলো ।

সুনিতা বেদনা দায়ক সত্যটি জানতে পারে এবং সঞ্জয়কে খুজে তাকে সত্যি কথাটা জানায় ।সঞ্জয় ক্রধে গজনীর খোজে বেরহয় ।এবং গজনীর আস্তানায় ঢুকে তার সহচরদের হত্যা করে ।এরপর গজনীর সাথে এক মারামারিতে লিপ্ত হয় ।হঠাৎ সঞ্জয় স্মৃতি লোপ পায় আর গজনী তাকে ছুরি দিয়ে মারে আরও আহত করে আর কল্পোনাকে কিভাবে মারে তা বলতে থাকে ।সঞ্জয় তখন শেষ মুহূর্তে সব স্মৃতি ফিরে আসে আর গজনীকে কল্পোনারমতো হত্যা করে ।

সঞ্জয় এখনো সেই রোগেই ভুগছে আর একটি অনাথ আশ্রমে সাহায্য করে আর এভাবেই ছবি শেষ হয়।পরে আর সঞ্জয়ের স্মৃতি ফেরে কি না তা দেখানো হয়নি ।তবে অতীতের মধ্যে হাতড়ে বেরানোর দৃশ্য দেখানোর উপরি সমাপ্ত করে ছবি ।


মুভি থেকে শিক্ষা :


এই মুভিটি একটি রোমান্টিক ও দাঙ্গা মারপিটের এর মুভি ।এজন্য না জেনে শুনে অন্যের কাজে বেগরা না দেওয়া এতে জীবন বিপন্ন হয় এমন ভাবে।তাই জীবনে প্রতিটি কাজ ভেবে চিন্তে করা উচিত ।


ব্যক্তিগত মতামত:


মুভিটি দেখতে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। মুভিটি রোমান্টিক প্রেমের জন্যই মুভিটি ভালো লেগেছে।যেই প্রেমের জন্য নিজেকে বিলিন করে দিয়েছে


ব্যক্তিগত রেটিং:

আমি মুভিটিকে ১০/৭ দিচ্ছি।


মুভি লিংক:


Sort:  
 3 years ago 

সত্যি ভাই অনেক মজা পেয়েছি আপনার পোস্টটা পড়ে আপনি অনেক সুন্দর করে মুভিটি সম্পর্কে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই

 3 years ago 

আপনার পোষ্টটি পরে অনেক ভালো লাগলো। এই মুভিটি আমার খুবই প্রিয় ছিল, মুভিটি আমি অনেকবার দেখেছি।

ছোটবেলার প্রিয় একটি মুভি।আর আমির খানও আমার প্রিয় একজন নায়ক।আপনি খুব সুন্দরভাবে রিভিউটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ও শুভ কামনা তোমাকে ও ভাই

ছবির রিভিউটা খুব সুন্দর করেছেন সাথে উপস্থাপনাটাও খুব মনোযোগ সহকারে করেছেন। শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই

 3 years ago 

মুভিটা বহুদিন আগেই দেখেছিলাম। ভালোই রিভিউ দিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.035
BTC 93813.30
ETH 3144.59
USDT 1.00
SBD 3.15