আমার বাংলা ব্লগে আমার নতুন বিষয় তুলসি গাছের ঔষধি গুনাগুন
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজকে আমি এমন একটি গাছ নিয়ে আলোচনা করবো যে গাছটির সাথে দুই বাংলার সবাই পরিচিত ।পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে এই গাছটির মুল্য সম্মান অনেকে বেশি ।গাছটি হলো তুলসি গাছ।সুধু ওপার বাংলা না এপার বাংলার মানুষের কাছেও এর অনেক দিক থেকে মুল্য আছে ।
চলুন গাছটি সম্পর্কে ধারোনা নেই :
তুলসী গাছটির ইংরেজি নাম holy basil.একটি ঔষধি গাছ ।তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই।তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভীদ।হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে সমাদৃত ।
ব্রম্মকৈবর্তপুরানে তুলসীকে সীতাস্বরূপা,স্কন্দপুরানে লক্ষীস্বরূপা ,চর্কসংহিতায় বিষ্ণুপ্রিয়া,ঋকবেদে কল্যাণী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ।
তুলসী গাছের কিছু তথ্য:-
জগৎ | plantae |
---|---|
শ্রেনীবিহীন | Asterid |
বর্গ | Lamiales |
বৈজ্ঞানিক নাম | Ocimum Sanctum |
তুলসী গাছের বর্ননা :-
তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিশিষ্ঠ 2/3 ফুট উচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এর মুল কান্ড কাষ্ঠল ,পাতা 2-4 সেন্টিমিটার লম্বা হয় ।পাতার কিনারা খাজকাটা ,শাখাপ্রশাখার অগ্রভাগ হতে পাচটি পুষ্পদন্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদন্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত দশ-বিশ টি স্তরে ফুল থাকে ।প্রতিটি স্তোরে ছয়টি করে ফুল ফোটে ।এই গাছটি প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন সরবরাহ করে একারনে একে অক্সিজেন এর ভান্ডার বলা হয় ।
তুলসী গাছের পাতার উপকারিতা :-
*তুলসী দেহের বিষাক্ত উপাদান দূর করে ।
*তুলসী মাথা ব্যাথা ও শরী ব্যাথা কমাতে খুবই উপকারী ।
*তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ।
*প্রাচীন কাল থেকে রাতকানা রোগ সারাতে ব্যবহত হচ্ছে ।
*চর্বি জাতীয় রিদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টর ভূমিকা পালন করছে ।
*রুচি বাড়াতে সাহায্য করে ।
*মুখের দুর্গন্ধ, দাতের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে ।
*ঠান্ডা কাশি থেকে রক্ষা পেতে তুলসী পাতার রস আদার রসের সাথে মিশিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
*তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে ।
*ব্রংকাইটিস ,অ্যাজমা,ইনফ্লয়েঞ্জা এবং হঠাৎ সর্দিতে তুলসী পাতার সঙ্গে মধু খেলে ভালো হয় ।
*তুলসী বীজ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে পুরুষদের বীর্য বৃদ্ধি পায় ।
*ত্বকের ক্ষেত্রে তুলসী এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।যেমন :ব্রন এক্সিমা শ্বেতী ভাব কমায় ।
তুলসীর অপকারিতা :
তুলসীর উপকারি দিক যেমন আছে তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক ও আছে ।যেমন :
*যকৃতের ক্ষতী করে ,চিবিয়ে খেলে দাতে দাগ পরতে পারে ।ডায়বেটিস এর ক্ষেত্রে তুলসী পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ক্ষতিতে ফেলতে পারে ।
যাই হোক না কেনো,তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কোনোরকম সন্দেহের অবকাশ থাকেনা।যখন তুলসী পাতার এতখানি উপকারিতা রয়েছে,তাহোলে দেরি কিসের?
আজ থেকেই প্রতিদিনের জীবনে এই তুলসী পাতা ব্যবহার শুরু করি ।
পোষ্টটি কেমন লাগলো আশা করি ভালো ।
যদিও তুলসীপাতার গুনাগুন সম্পর্কে আমার আগেই ধারণা আছে । তবে নতুন করে বিষয় গুলো জানতে পেরে ভালোই লাগছে । শুভেচ্ছা রইল এবং এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করার চেষ্টা করুন।
ইংশাআল্লহ ভাই আরও চেষ্টা করবো ।
তুলসী গাছ প্রচন্ড ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি গাছ। এ গাছের সমাদর আমাদের এই উপমহাদেশের সব জায়গায়। যদিও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এটাকে পবিত্র গাছ হিসাবে মনে করে থাকেন। কিন্তু সকলের কাছেই এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা গাছ। একটা সময় গ্রামবাংলার অনেক বাড়িতেই এই গাছ থাকতো। এখন খুব একটা দেখা যায় না। দিন দিন এই গাছের সংখ্যা দেশ থেকে কমছে। আপনার পোষ্টটি সুন্দর হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই ।আরও নতুন বিষয় শেয়ার করতে পারি দোয়া চাই ভাই।
তুলসি গাছ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।