" বিজয় বাংলা"(Poem of my writing"Victory Bangla")||by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৩রা পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও আজকে আপনাদের মাঝে আবার একটি কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। গত সপ্তাহে ভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে কবিতা লিখেছিলাম তবে এই সপ্তাহে আবার নিজের দেশকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। ডিসেম্বর বাঙালি জাতির বিজয়ের মাস।১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। এই টপিক নিয়ে অবশ্য আগে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করেছি তবে আজকে আবার একটি কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে কবিতাটি ১৬ই ডিসেম্বর দিনেই লেখা। মাঝে মাঝে কবিতা লিখে ফোনের নোটবুকে রেখে দেই কারণ মাঝে মাঝে দিনের ব্যস্ততার কারণে পোস্ট করতে একটু কষ্ট হয় তাই যেন কবিতা পোস্টগুলো শেয়ার করতে খুব বেশি প্রেসার নিতে না হয় তাই সময় পেলেই টুকটাক কবিতা লিখি। তাছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর যেহেতু আমাদের বাঙালি জাতির বিজয় দিবস তাই এই দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা লেখা আর বিজয়ের উল্লাস উপভোগ করা আমার কাছে একই মনে হয়। যাইহোক সেদিনে কবিতাটি লিখে নোটবুকে রেখে দিয়েছিলাম তাই আজকে শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
আসলে অনুভূতি ছাড়া তো আর কবিতা লেখা যায় না তাই সব কবিতার পেছনেই নিজের মনে লুকিয়ে থাকা একটা অনুভূতি সব সময় কাজ করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু নিজের মনে যে একটা ক্ষোভ জেগে থাকে সেটাও কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। যাই হোক ডিসেম্বরের বিজয়ের মাস উপলক্ষে আজকের এই কবিতা লেখা আসলে বিজয়ের মাসে মনের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে যদিও আমরা এই প্রজন্ম হয়তো এতটা ক্লোজভাবে বিজয়ের মাসটাকে উপভোগ করতে পারি না যারা সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পর বিজয়ের সময়টা উপভোগ করেছে। দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পরে যখন দেশটা স্বাধীন হয় তখন দেশের মানুষের মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করছিল কেননা তারা আজ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে নিজেদেরকে নতুন করে নতুন পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে তুলে ধরতে পারবে। তাছাড়া সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে ১৬ই ডিসেম্বর দিন সকাল থেকেই চারিদিকে বিজয়ের গানগুলো বাজানো হয় যেগুলো শোনার পরে মনের অনুভূতিটা যেন পুরোপুরি জাগ্রত হয় দেশকে আরো বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। সেই সাথে শ্রদ্ধা জানাই যে সকল বীর সন্তানেরা দেশের জন্য যুদ্ধ করে নিজেদের জীবন দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশের আবির্ভাব করতে সাহায্য করেছে।
আমি যে কবিতাটি লিখেছি সেটা নিচে তুলে ধরেছি এখন আপনারা মন্তব্য করে জানাবেন কবিতাটি কেমন হয়েছে?? আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে সবাই।
চলুন শুরু করা যাক
চারিদিকে শুধু স্বাধীনতার আভাস
চলছে বিজয়ের গান
এইতো বিজয়ের মাস।
এই বাংলা আমার,
এই বাংলা আমাদের,
১৯৭১ সালের এই দিনে পেয়েছি
মুক্ত বাতাসের এক টুকরো বাংলা।
যুদ্ধ করেছি নয় মাস,
দিয়েছি লাখো তাজা প্রাণ,
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ।
বাবা হারিয়েছে তার আদরের সন্তান,
ছেলে হারিয়েছে তার পিতৃপরিচয়
মা হারিয়েছে তার কোলের সন্তান
তারই বিনিময়ে অর্জিত আমাদের বিজয়ী সম্মান।
চুড়ান্ত বিজয়ে স্বাধীন দেশ
লাল সবুজের পতাকায় সৃষ্টি হলো
আমাদের প্রাণ প্রিয় বাংলাদেশ।
দেশের মানুষ পড়েছে গলে
স্বাধীন দেশের বিজয় মালা
সবার মুখে বিজয় ধ্বনি
জয় বাংলা, জয় বাংলা।
ধন্যবাদ সবাইকে
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেক ত্যাগ করার পর আমরা আমাদের বাংলাদেশ পেয়েছি। বিজয় দিবস নিয়ে আপনার এই কবিতাটি খুবই সুন্দর হয়েছে। এতো সুন্দর একটিই কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনকে ধন্নবাদ।
১৬ই ডিসেম্বর সকাল থেকে না, ১৫ই ডিসেম্বর রাত থেকে আমাদের এই দিকে বিজয় দিবসের স্লোগান চালানো শুরু হয়ে গিয়েছিল। ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালিদের বিজয়ের দিন। এই দিনে আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। আপনি এই উপলক্ষে এত সুন্দর করে একটা কবিতা লিখেছেন, সম্পূর্ণটা পড়ে আবারও বারবার পড়তে ইচ্ছে করতেছে। সত্যি যুদ্ধ নয় মাস করেছে বাঙালি জাতি, আর অনেক তাজা প্রাণ দিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে সম্পূর্ণটা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এই দিনটির জন্য নয়টি মাস এ দেশের মানুষ নিজের জীবন দিয়ে দেশকে রক্ষা করেছেন। এই দিনটি সত্যিই আমাদের জন্য যেমন অনেক আনন্দের তেমনি অতীতে ঘটে যাওয়া সেই ঐতিহাসিক দিনগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয় । সেই বিষয়টি আপনি কবিতার মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
এখনকার জেনারেশনের মানুষের ভিতরে আসলে ওই আমেজটা কাজ করে না এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। যে আমেজ টা কাজ করত সেই সময় কালের মানুষের মধ্যে, যখন স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল। এখনকার নতুন জেনারেশনের মানুষ দিন দিন এই ব্যাপারটা ভুলেই যাচ্ছি। তবে আপনার কবিতাটা পড়ে রীতিমতো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে সাবলীল ভাষার উপস্থাপন করেছেন ভাই।