"একদা আমি"(Poem of my writing"once i")||by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৪ঠা শ্রাবণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
চেষ্টা করব এই সপ্তাহ থেকে আবার একটু ধারাবাহিকভাবে নিজেকে কমিউনিটিতে তুলে ধরার জন্য তবে কতটুকু সার্থক হতে পারব সেটা জানিনা। ব্যস্ততার কারণে ঠিকঠাক কমেন্ট দিতে সময় দেওয়া হয় না তবে এবার শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। দীর্ঘদিন পরে আজকে আপনাদের মাঝে একটি কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি তবে প্রতি সপ্তাহেই কবিতা শেয়ার করতাম কিন্তু অনিয়মিত হওয়ার কারণে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এ সপ্তাহে যেহেতু কাজ শুরু করব তাই একটা কবিতা দিয়েই শুরু করলাম। তাহলে আজকে এই কবিতা লেখার পিছনের গল্পটি শেয়ার করি। সপ্তাহ হল আমি সকালবেলায় হাটাহাটি করা শুরু করেছি। ভোর পাঁচটা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত হাটাহাটি করে বাসায় ফিরে গোসল খাওয়া-দাওয়া কমপ্লিট করে আবার একটু রেস্ট নিয়েছিলাম তখন মনে পড়ল কবিতা লেখার কথা। অনেকদিন কবিতা লেখা হয় না বলে ডায়রি আর কলপটা ও একেবারে ওয়ার্ড্রফে তুলে রাখা হয়েছে তাই কবিতা লেখার জন্য সেগুলো বের করে নিয়ে আসলাম। তবে প্রথমেই বাধা পড়ে গেলাম যখনই কবিতা লিখতে বসবো তখনই বিদ্যুৎ চলে গেল। আগের চেয়ে ইদানিং একটু লোডশেডিং শুরু হয়েছে যাই হোক একটু গরম লাগছিল বলে সোজা ফ্লোরে বসে পড়লাম। কি লিখবো সেটাই ভাবছিলাম তবে টপিক পেতে একটু তো মাথা ঘামাতেই হয়। প্রথম যখন কবিতার লাইন গুলো লিখছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আমি যেন কবিতা লেখার সেই আগের গতিটা হারিয়ে ফেলেছি তবে ধীরে ধীরে আবার কবিতা লেখার সেই আগের গতিটা ফিরে পাচ্ছিলাম আর কবিতার লাইনগুলো পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করছিলাম।
এখন আপনাদের সাথে আমার লেখা এই কবিতাটির মূল বিষয় নিয়ে কথা বলব। আসলে মানুষ যেমন একা পৃথিবীতে আসে ঠিক তেমনি একাই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। তবে মানুষের পৃথিবীতে আসার ডেট আছে কিন্তু যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। একজন মানুষ ছোট থেকে বড় হওয়া অব্দি অনেক রকমের মানুষের সাথে মিলিত হয় তাদের কারো সাথে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় আবার কারো সাথে সম্পর্ক ক্ষণস্থায়ী হয়। আপনি একটু চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন যখন আপনি একদম ছোট ছিলেন তখন আপনাদের পরিবারের সবাই আপনাকে অন্য চোখে দেখতো কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সে আপন মানুষগুলো যেন ধীরে ধীরে দূরে চলে যায়। আপনার নিজের কথাই ধরুন যখন আপনি পরিবারের সাথে থাকেন অর্থাৎ আপনার দুই ভাই বা তিন বোন একসাথে থাকেন তখন তাদেরকে বেশি আপন মনে হয় কিন্তু ২০ বছর পরে যখন তাদের আলাদা আলাদা পরিবার হয়ে যাবে তখন কিন্তু তাদের প্রতি টান আগের থেকে একটু কমে যাবে। তখন আপনার সন্তানের প্রতি আপনার বেশি আকর্ষণ হবে। তবে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে এভাবে পর্যায়ক্রমে মানুষের জীবনে একের পর এক ভালবাসা আসতে থাকে। তবে আমার মনে হয় মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বার্থের কারণে সেই আপন মানুষের কাছে অর্থাৎ ভালোবাসার কাছে হেরে যায়। যাইহোক টপিকগুলো সম্পর্কে নিয়ে আসলে আলোচনা করতে গেলে কথা বলে শেষ হবে না কারণ এটা দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব কিছু চিত্র যেটা প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে ঘটে চলেছে তবুও আমরা এই ইমোশন ধরে রাখার চেষ্টা করি কারণ এটা কঠিন বাস্তবতা। আর যত কষ্টই হোক না কেন বাস্তবতা তো আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে।
আমি যে কবিতাটি লিখেছি সেটা নিচে তুলে ধরেছি এখন আপনারা মন্তব্য করে জানাবেন কবিতাটি কেমন হয়েছে?? আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে সবাই।
চলুন শুরু করা যাক
ভোরের শত অচেনা পাখি,
সূর্য রশ্মি আমাকে জানাত
আমি নাকি অনেক সুখি।
চঞ্চল প্রফুল্ল দুষ্টামিতে
দৌড়ে দৌড়ে ঘুরতাম এ বাড়ি সে বাড়ি
যেন আকাশের শত কোটি নক্ষত্রে
একটি মাত্র উজ্জীবিত তাঁরা।
বেঁধে রেখেছিলাম আপন করে
ভালোবাসার সুতায় গেঁথে,
হঠাৎ করেই বাধন ছিড়ে
বিচ্ছিন্ন একে একে।
নীলিমার নীলকে করেছিলাম
বুকে আলিঙ্গন,
সেই ভুলের মাশুল দিতে
পেলাম হাজারো ব্যথা
আর সমস্ত সুখ হলো লঙ্ঘন।
তবে সৃষ্টিকর্তার রহমতে
আমার আমি আছি বেশ
নিজের কাছে তো প্রিয়,
সবার মন জয় করতে না পেরে
রয়েই গেলাম কারো কাছে অপ্রিয়
এই শব্দগুলো ছিল এ মনে
অবহেলায় গড়েছি নীরবতা,
দূর থেকে শিখিয়ে দিয়েছে মোরে
মানুষের প্রতি এক ভিশন স্বার্থপরতা।
আমি তো তোমাকে জিততে গিয়েও
হেরে গিয়েছি বহুবার,
সেই অতীত মনে আসলে
আড়ালে কেঁদেছি হাজারবার।
নীড় হারা পাখি বোঝে
সেই হারাবার ক্লান্তি,
জীবন নামের কারাগারে
অবশেষে হলাম আমি বন্দি।
ধন্যবাদ সবাইকে
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1681690367228510209?s=20
সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।