সাতক্ষীরা ভ্রমণ (পর্ব-০২) ||২৪-০২-২০২৪|| by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব।
গত সপ্তাহে সাতক্ষীরা যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি মূলত বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাইক ট্যুরে ভ্রমণের প্রতিটা অংশ আপনাদের মাঝে আলাদা আলাদা পর্বে তুলে ধরবো। যেহেতু অনেক দিন আগে গিয়েছিলাম তাই কিছু কিছু টপিক হয়তো বাদ পড়তে পারে তবে তারপরও নিজে সর্বোচ্চ দিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। প্রথম পর্বে কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদীর উপরে নির্মিত শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু পার হয়ে গাড়াগঞ্জ উপজেলায় প্রবেশ করেছিলাম আর সেই পর্যন্ত প্রথম পর্বে শেয়ার করেছি এখন তার পরবর্তী সময়টুকু নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব।
আমাদের বাসা থেকে যদি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা দূরত্ব বিবেচনা করা হয় তাহলে কুমারখালী উপজেলার গোলাম কিবরিয়া সেতু পার হয়ে গাড়াগঞ্জের ভেতরের রাস্তা হয়ে গেলে দূরত্ব অনেকটাই কমে যায় তাই আমরা সকালবেলায় গুগল ম্যাপে সেই রুট ফলো করে যেতে থাকলাম এবং ভোর থাকতেই আমরা গাড়াগঞ্জ পৌঁছে গেলাম। গাড়াগঞ্জ থেকে সোজা কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ হাইওয়ে রাস্তা ধরে আমরা যেতে থাকলাম তবে যাওয়ার পথে সবচেয়ে মজার সৌন্দর্যটা উপভোগ করেছিলাম কুষ্টিয়া ঝিনাইদা হাইওয়ে রাস্তায়। যদি নিচের ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন রাস্তার দুইপাশ দিয়ে বড় বড় গাছ আর দুই গাছের ছায়ায় রাস্তার আলাদা সৌন্দর্য সেই সাথে হাইওয়ে রাস্তার মাঝে এরকম সবুজের ন্যাচারাল সৌন্দর্য খুব কমই দেখা যায়। বিশেষ করে এখানে গরমের দিনে সবচেয়ে বেশি মজা লাগে কারণ বড় বড় গাছগুলো হাইওয়ে রাস্তার উপর দিয়ে ছেয়ে গিয়েছে যার কারণে রোদের আলোটা সরাসরি রাস্তার উপর পড়ছে না ঠান্ডা একটা ফিল পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে যে কারো কাছে ভালো লাগবে। যারা অবশ্য কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ হাইওয়ে রাস্তা ভ্রমণ করেছেন তারা এর সৌন্দর্যটা সম্পর্কে অবগত আছেন।
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক।
what3words address.
https://w3w.co/devolves.telegraphs.history
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ।
what3words address.
https://w3w.co/lyricist.unsecured.game
মূলত রাস্তার দুই পাশে গাছের এরিয়া পার হয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরেই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের এরিয়া শুরু হয়। সারা বাংলাদেশে যতগুলো ক্যাডেট কলেজ রয়েছে তার ভিতরে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ খুবই সুনামধন্য। মূলত ভিতরে প্রবেশ করা হয়নি তাই হাইওয়ে রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় বাইকের পেছনে বসে যতটুকু সম্ভব হয়েছিল ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের কয়েকটি ছবি নিয়েছিলাম আর সেগুলো উপরে আপনাদের সাথে তুলে ধরেছি। কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক ধরে যশোরের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে হাতের বাম পাশে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অবস্থান। তবে উপরের ছবিগুলোতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের তেমন কোন সৌন্দর্য তুলে ধরতে পারিনি শুধু সেখানকার তিনটি গেটের সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা।
what3words address.
https://w3w.co/sadly.token.defenders
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের এরিয়া পার হয়ে কিছুটা সময় যাওয়ার পরেই ঝিনেদাহ সদর উপজেলার এরিয়া শুরু হবে। মূলত ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে মাগুরা যশোর এবং কুষ্টিয়া তিনটি আলাদা আলাদা লাইনে রাস্তা চলে গিয়েছে। আমরা যে পথ ধরে এগোচ্ছিলাম তার সোজা গেলে মাগুরা জেলা আর হাতের ডান পাশে গেলে যশোরের এরিয়া শুরু হবে যেহেতু আমরা খুলনা হয়ে সাতক্ষীরা ঢুকবো তাই যশোর হয়েই যাওয়ার প্ল্যানিং ছিল। আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার পরে যখন যশোরের রাস্তায় প্রবেশ করলাম তখনও সূর্যের দেখা পাইনি তাছাড়া আকাশে কিছুটা মেঘলা ভাবছিল যার কারণে সূর্যের দেখাটা একটু দেরিতেই পাবো ভাবছিলাম। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল রাস্তায় তেমন কোন গাড়িই ছিল না যেটা আমাদের জার্নিটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে সাহায্য করেছে। চিন্তা করুন আপনি কোথাও বাইক ট্যুর দিচ্ছেন আর আপনি যে রুট হয়ে এগোচ্ছেন সেখানে গাড়ি কম চলছে সে ক্ষেত্রে তো বাইক ট্যুরের মজাটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
যশোর ঝিনেদাহ হাইওয়ে।
what3words address.
https://w3w.co/ideal.parkland.cocoons
যখন ঝিনাইদহ শহর থেকে হাতের ডানে রাস্তা হয়ে ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়কে প্রবেশ করলাম তখন সেই রাস্তার সৌন্দর্যটাও বেশ ভালো লেগেছে। মূলত রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বড় বড় গাছ ছিল। লক্ষ করলাম অনেক বড় বড় গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে আর সেখানে নতুন করে আবার গাছ রোপন করা হচ্ছে এই বিষয়টা আরো বেশি ভালো লাগলো। তাছাড়া কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার কাজ চলছে যার কারণে গাছগুলো কেটে রাস্তার পরিধি বৃদ্ধি করা হচ্ছে আর রাস্তার পাশ দিয়ে আবার নতুন করে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি উপরের ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন সিরিয়ালে পর্যায়ক্রমে অনেক গাছ রয়েছে আর সেই বড় বড় কিছু গাছের ছবিও তুলেছি। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আমরা যশোর জেলায় প্রবেশ করতেই সামান্য কয়েক মিনিটের জন্য পানি বিরতি নিয়েছিলাম। যদিও ইচ্ছা ছিল যশোরে গিয়ে আমরা প্রথম বিরতি নিব তবে পানি পিপাসা মেটানোর জন্যই মাঝে ছোট্ট বিরতি নিয়েছিলাম। আর যেখানে বিরতি নিয়েছিলাম তার বিপরীত পাশে দেখলাম বেশ বড় একটি কারখানা তবে যতটুকু বুঝতে পারলাম সেটা মুরগির ফিড তৈরির কারখানা ছিল উপরের ছবি দেখলে অবশ্য বুঝতে পারবেন।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন। আর আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান।আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার কাছ থেকে এই সাতক্ষীরা ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্বটি দেখেও খুব ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এর পর্বগুলো শেয়ার করে যাচ্ছেন। এখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করা যাচ্ছেন। আপনার কাছ থেকে সাতক্ষীরার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে যেন আমার এই স্থান পরিচিত হয়ে যাচ্ছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আসলে ভাই এগুলো সাতক্ষীরার ফটোগ্রাফি না, এগুলো সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে ঝিনাইদাহ জেলা অতিক্রম করার সময় সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি।
ভাইয়া সাতক্ষীরা ভ্রমণ টু পর্বটি বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যদিও প্রথম পর্বটি আমি পড়িনি। আপনি সাতক্ষীরা ভ্রমণের খুব সুন্দর কিছু বর্ণনা আর তার পাশাপাশি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমার কাছে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই গাছগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।তবে শুনেছি কুষ্টিয়া নাকি খুব সুন্দর একটি শহর। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। সাতক্ষীরার এত সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর মতামত প্রকাশ করেছেন আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ছোট্ট একটু বানান ভুল আছে যদি একটু ঠিক করে নিতেন।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে সাতক্ষীরা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব হাজির করেছেন দ্বিতীয় পর্বটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঝিনাইদাহ ক্যাডেট আসলেই অনেক বেশি নামকরা এবং আপনি সেখানকার কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আর রাস্তার দুপাশ দিয়ে যে গাছের দৃশ্যটা সত্যি মনোমুগ্ধকর। অনেকটা পথ অতিক্রম করলে পানি পিপাসা লাগবে এটাই স্বাভাবিক যশোরে গিয়ে কিছুটা সময় পানি বেরতে নিয়েছিলেন এবং সেখানকারও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার কারণে পানি পিপাসা লেগেছিল তাইতো অল্প কিছুক্ষণের জন্য যাত্রা বিরতিতে পানি পান করেছিলাম।
https://x.com/KaziRai39057271/status/1761539605176934635?s=20