হঠাৎ ঢাকা ||২৭-১২-২০২৩|| by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব।
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী তাই সবাই তাদের বিভিন্ন কাজে ঢাকা শহরে ছুটে চলে। এর আগে গত মাসে আমি আমার কিছু কাজের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিছু ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে সেটা ঢাকায় গিয়ে নিজেকে সাবমিট করতে হয়েছিল তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। আসলে ঢাকা শহরের যানজট আমার খুব একটা ভালো লাগে না এজন্যই বিশেষ কোনো কাজের জন্য ছাড়া ঢাকায় যাওয়া হয় না। তবে এখন যেহেতু ঢাকা গেলে সব সময় বাইক নিয়েই যাই তাই খুব একটা সমস্যা হয় না। তাছাড়া গত মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে অবরোধ চলছিল তাই দূরপাল্লার বাস গুলো চলাচল বন্ধ ছিল বলে বাইক নিয়ে ঢাকা যেতে আরো সুবিধা হয়েছিল। তবে ঢাকা যাওয়ার আগে মামাতো ভাইয়ের সাথে কথা হলো আর তার বাইক নিয়েই যাব বলে ঠিক করলাম।
ঢাকায় যে কাজে যাব সেই কাজের জন্য যে ডকুমেন্টগুলো ছিল আগের দিন সবকিছু ম্যানেজ করে নিলাম আর রাতের বেলায় সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সকাল ৯ টা বা ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হব। তখনো খুব একটা শীতের প্রভাব শুরু হয়নি আর ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে হালকা কুয়াশা লক্ষ্য করা যায় যেটা স্বাভাবিক অবস্থাতেও থাকে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম আর সকালের খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিজে রেডি হয়ে নিলাম। সকাল দশটার দিকে, আমরা দুজন বাসা থেকে রওনা হলাম। আমাদের বাসা থেকে ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ পেরহলেই রাজবাড়ী জেলার হাইওয়ে রাস্তা পাওয়া যায়। যাওয়ার সময় পাংশা উপজেলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। তবে হাইওয়ে রাস্তায় যখন উঠলাম তখন লক্ষ্য করলাম রাস্তা একদম ফাঁকা। কেননা সেদিন অবরোধ ছিল দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল ছিল না তাই আমরা বেশ দ্রুতগতিতেই রাজবাড়ী জেলা শহর পার হতে পারলাম আর রাজবাড়ী জেলা শহর পার হয় আমরা প্রথম বিরতি নিলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার পরে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে প্রথম বিরতি নিয়েছিলাম।
প্রথম যাত্রা বিরতি।
what3words address.
https://w3w.co/partied.refrained.kidney
ফেরি পারাপার।
what3words address.
https://w3w.co/arenas.sandblast.shampoo
প্রথম যাত্রা বিরতিতে শুধু বাইক থামিয়ে ব্যাগের মধ্য থেকে পানির বোতল বের করে দুজন হালকা পানি পান করলাম আর একটানা অনেক সময় বাইক চালানোর কারণে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলাম তাই একটু হাটাহাটি করে নিজেকে কমফোর্ট ফিল করানোর চেষ্টা করলাম। যেহেতু বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে একটা পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাই আমরা দুজন ছবি উঠলাম যদিও এরকম দীর্ঘ যাত্রাপথে ছবিওটা একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যাই হোক সর্বোচ্চ আমরা মনে হয় সেখানে পাঁচ মিনিট সময় বিরতি নিয়েছিলাম তারপরে আবার আমাদের যাত্রা আমরা কন্টিনিউ করলাম। সোজা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখলাম আপাতত প্রথম ঘাটে ফেরি নেই সেখানে জিজ্ঞাসা করার পরে জানতে পারলাম তারা পরবর্তী ঘাটে আমাদেরকে যেতে বলছে কেননা অবরোধের কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে বলে ঘাটে ফেরি নেই শুধু যারা বাইক নিয়ে বা প্রাইভেট কার নিয়ে নদী পার হবে তাদের জন্য ঘাটে ফিরে আসছে। যাই হোক আমরা ফেরিঘাটে গিয়ে অনেক সময় অপেক্ষা করলাম। আধা ঘন্টা ফেরিঘাটে অপেক্ষা করার পরে হঠাৎ আমাদের কিছু বন্ধুও বাইক নিয়ে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে আর তারাও আমাদের সাথে একই ফেরিতে উঠেছে। প্রায় দুই বছর পর ওদের সাথে দেখা হল যাইহোক হঠাৎ করে ওদের সাথে দেখা হয়ে গিয়ে বেশ ভালো লাগলো।
ঢাকা প্রবেশ।
what3words address.
https://w3w.co/outsize.enhancement.amaze
ফেরিঘাট পার হয়ে সোজা গাবতলী পর্যন্ত একটানা বাইক রাইড করলাম। প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম তাই মামাতো ভাইকে বললাম বাইক চালাতে। কথা ছিল দুজন রাইড শেয়ার করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাব কিন্তু ফেরি থেকে নেমে সোজা গাবতলী পর্যন্ত আমি বাইক রাইড করেছি তাই শহরের ভিতরে মামাতো ভাইকে রাইট করতে বললাম আর আমি সেই সুযোগে পেছনে বসে কিছু ছবি তুলব। যেহেতু আমরা পূর্বাচল হয়ে বসুন্ধরায় ঢুকবো তাই মিরপুর হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর পার হয়ে পল্লবী দিয়ে সোজা উত্তরা উঠবো। আর উত্তরা থেকে সোজা রাস্তায় আমরা পূর্বাচল ঢুকবো। যাই হোক তুলনামূলক রাস্তায় অনেকটা জ্যাম কম ছিল তাই খুব দ্রুতই আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম আর আমি পেছনে বসে কিছু ছবি তুলেছিলাম যেগুলো শেয়ার করেছি।
বসুন্ধরা এলাকা।
what3words address.
https://w3w.co/outsize.enhancement.amaze
ওভারব্রিজ থেকে নেমেই আমরা সোজা পূর্বাচলের রাস্তায় প্রবেশ করলাম আর পূর্বাচল থেকে অল্প একটু গেলেই বসুন্ধরায় মামাতো ভাইয়ের বাসা। যদিও এর আগে ৩০০ ফিট নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম তার পরেও বলছি উপরের যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন তার মাঝের ছবিটা পূর্বাচল ৩০০ ফিট থেকে তোলা। আমরা যখন বসুন্ধরা প্রবেশ করলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আসলে ফেরিঘাটে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল, প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে আমরা ফেরি পারাপার হতে পেরেছিলাম যেটা অনেক লম্বা সময়। যাইহোক বসুন্ধরা প্রবেশ করে আমি আমার মামাতো ভাইয়ের বাসায় উঠলাম। যাই হোক সর্বশেষ যে ছবিটা শেয়ার করেছি সেটা বসুন্ধরা রুপায়ন শপিং সেন্টারের পাশ থেকে তোলা আর রূপায়ণ শপিং সেন্টার পার হয়েই আমার মামাতো ভাইয়ের বাসা তাই খুব বেশি দূরে আর যেতে হয়নি।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন।আর আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঢাকা শহরে যাওয়ার দারুন অনুভূতি আপনি ব্যক্ত করেছেন এই পোস্টের মাঝে। দীর্ঘ 200 কিলো পথ অতিক্রম করার ক্লান্তিকর মুহূর্ত প্রকাশ করেছেন। আসলে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন স্থানে ছুটে চলতে হয় আমাদের। আর সেই মুহূর্তে যদি আমরা ক্যামেরা বন্দী করে রাখি এবং এখানে শেয়ার করি অবশ্যই সারা জীবনের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।