সাতক্ষীরা ভ্রমণ (পর্ব-০৪) ||১২-০৩-২০২৪|| by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব।
গত সপ্তাহে সাতক্ষীরা যাওয়াকে কেন্দ্র করে ৩য় পর্ব শেয়ার করেছি মূলত বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাইক ট্যুরে ভ্রমণের প্রতিটা অংশ আপনাদের মাঝে আলাদা আলাদা পর্বে তুলে ধরবো। যেহেতু অনেক দিন আগে গিয়েছিলাম তাই কিছু কিছু টপিক হয়তো বাদ পড়তে পারে তবে তারপরও নিজে সর্বোচ্চ দিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। তৃতীয় পর্বে যশোর সহ যশোর সেনানিবাস এলাকার কিছু দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম। যশোর সেনানিবাসের বিভিন্ন গেইটের ফটক সহ সেনানিবাসের দৃশ্য তুলে ধরেছি। মূলত সেনানিবাস এরিয়ার মধ্য দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের যে দৃশ্যগুলো সম্ভব হয়েছিল সেগুলোই ক্যাপচার করেছিলাম। যশোরে সেনানিবাসের এরিয়াটা বেশ বড় তাই তৃতীয় পর্বের পাশাপাশি এই চতুর্থ পর্বেও কিছু অংশ যুক্ত করা হয়েছে। মূলত সেনানিবাস এরিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যশোর বিমানবন্দরের এরিয়া শুরু হয়ে যায়। সেনানিবাস এরিয়া আর বিমানবন্দর এরিয়া পাশাপাশি। যাইহোক আজকের পর্বে যশোর বিমানবন্দর এরিয়ার অংশ গুলো কভার করব। যশোর বিমানবন্দরের যে দৃশ্যগুলো ক্যাপচার করেছিলাম সেই আঙ্গিকে আজকের পোস্ট সাজানো।
যশোর আরবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে হলে প্রথমে আবারো সেনানিবাস এলাকার শুরু হয় আমরা সেই রাস্তা ধরেই এগোতে থাকলাম মূলত বাইক ট্যুরের সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাওয়ার পথে দর্শনীয় যে স্থানগুলো সামনে আসবে সেগুলো আমরা ঘুরে দেখব আর সামনের দিকে এগোতে থাকবো। যেহেতু যশোরে এসে আমরা সকালের নাস্তা করেছিলাম তাই নাস্তা শেষ করে আবার যশোর সেনানিবাস এলাকার পাশ দিয়ে যশোর বিমানবন্দরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যে ছবিগুলো শেয়ার করেছি সেখানে সবগুলোই সেনানিবাস এলাকার ছবি। আর ছবিতে যে রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হচ্ছে যশোর বিমানবন্দর বাইপাস হাইওয়ে রাস্তা। তবে সে রাস্তাটা সৌন্দর্য বেশ দারুন ছিল, রাস্তার এক পাশ দিয়ে যশোর সেনানিবাস এরিয়া আর অন্য পাশ দিয়ে সবজির চাষ হওয়া মাঠ। তবে সবজির মাঠের তেমন কোন ছবি তোলা হয়নি কিন্তু সেনানিবাস এরিয়ার কিছু ছবি তোলা হয়েছিল সেগুলো শেয়ার করেছি।
যশোর বিমানবন্দর বাইপাস রোড।
what3words address.
https://w3w.co/crowds.marzipan.linguists
যশোর বিমানবন্দর এলাকা।
what3words address.
https://w3w.co/crowds.marzipan.linguists
কিছু সময় ধরে বিমানবন্দর বাইপাস রাস্তায় বাইক নিয়ে যাওয়ার পরে যশোর বিমানবন্দর এরিয়া শুরু হল। যদি ছবিতে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যেখান থেকে যশোর বিমানবন্দর এরিয়া শুরু হয়েছে সেখানে ছোট আকারে একটি গেইট তৈরি করে রাখা হয়েছে আর সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নাম। মূলত যশোর বিমানবন্দরটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া সেখানে একটি সাইনবোর্ডে উল্লেখ করে রাখা হয়েছে এটা বিমানবাহিনীর এলাকা সেই সাথে কয়েকজন বিমান সেনা সেই গেইটের পাশে টহল দিচ্ছে। তাদের ছবি তোলা হয়নি কারণ তাদের ছবি তুলতে গিয়ে যদি কোন ঝামেলার সৃষ্টি হয় তখন আমাদের ভ্রমণে আবার দেরি হয়ে যাবে তাই কিছু কিছু বিষয় স্কিপ করেছি।
যশোর বিমানবন্দর,যশোর।
what3words address.
https://w3w.co/crowds.marzipan.linguists
কিছু সময় পেরোতেই আমরা যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলাম। ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন সেখানে বড় করে লেখা রয়েছে যশোর বিমানবন্দর। যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছে বাইক পার্কিংয়ের যে নির্দিষ্ট স্থান আছে আমরা সেখানে আমাদের বাইক পার্কিং করলাম আর ব্যাগগুলো বাইকের সাথে রেখেই যশোর বিমানবন্দরের সামনের একটি কফি শপে গিয়ে আবার চারটি কফি অর্ডার করলাম। যদিও সকালে নাস্তা করার পরে আর চা খাওয়া হয়নি তবে সেখানে চায়ের ব্যবস্থা নেই বলে কফি অর্ডার করেছিলাম। কফি খেতে খেতে যশোর বিমানবন্দর নিয়ে আমরা সবাই আলোচনা করছিলাম। মূলত যশোর বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক কোন ফ্লাইট হয় না এখানে শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো হয়ে থাকে। ছবিতে যে প্রাইভেট কার সহ গাড়িগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্টাফদের এবং যারা সেখানকার ফ্লাইট ধরবে তাদের পার্কিংয়ের স্থানে রাখা হয়েছে। আমাদের কফি খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে একটি বিমান ল্যান্ড করল সম্ভবত ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে এই বিমানগুলো এখানে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের পুরোপুরি এলাকা ঘুরে দেখা শেষ হওয়ার পরে আবার আমরা আমাদের যাত্রা পুনরায় শুরু করলাম। যেখানে বাইক পার্কিংয়ে রেখেছিলাম সেখান থেকে বাইক নিয়ে আবার রওনা হলাম।
যশোর বিমানবন্দর পার্ক।
what3words address.
https://w3w.co/crowds.marzipan.linguists
যশোর বিমানবন্দর পার হয়েই ডান সাইডে লক্ষ করলাম সেখানে বিমানবন্দর পার্ক তৈরি করা হয়েছে মূলত এই পার্কটি বিকেল বেলায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। যেহেতু আমরা সকালের দিকে সেখানে গিয়েছিলাম তাই আর ভেতরে প্রবেশ করা হয়নি। তাছাড়া তার পাশেই একটি দারুন রেস্টুরেন্ট ছিল তবে পার্ক যেহেতু বন্ধ ছিল তাই রেস্টুরেন্টের কোন স্টাফ তখন ছিল না মূলত রেস্টুরেন্টও বন্ধ ছিল। সেখানকার কিছু কিছু সাইনবোর্ড দেখে বুঝতে পারলাম বিমানবন্দরের পরিত্যক্ত বিমান সহ বিমানবাহিনীর কিছু নৌযান সেখানে রাখা হয়েছে। প্রথমে পরিত্যক্ত বিমানগুলোকে দেখে মনে করেছিলাম সেটা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা কিন্তু পরবর্তীতে কাছে গিয়ে দৃশ্যগুলো দেখার পরে বুঝতে পারলাম এগুলো বিমানবাহিনীর ব্যবহার করা বিমান আর এগুলো এখন অকেজো হয়ে গিয়েছে বলে বিমান বাহিনীর এই পার্কে সেগুলোকে রাখা হয়েছে। সেখানে ঘোরাঘুরি শেষে আবার আমরা সামনের দিকে রওনা শুরু করলাম যদি নিজের ছবিটা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন সেই এরিয়াটা বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ফটোকে সাজানো হয়েছে মূলত দেওয়ালের সাথে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করা ছিল।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন। আর আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান।আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সাতক্ষীরা ভ্রমণ চার নাম্বার পর্বে আজকে যশোরের সেনানিবাস, বিমানবন্দর , সেই সাথে প্রকৃতির রুপ সৌন্দর্য আবার কিছু শহর কেন্দ্রিক. ফটোগ্রাফি ৷ সবমিলে বাইক টুর মজাই আলাদা ৷অনেক ভালো লাগলো সাতক্ষিরা ভ্রমন পর্বে আজকের তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ৷অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আবারো মন চায় যশোর ঘুরে আসি,সাতক্ষীরা ঘুরে আসি। তবে সাতক্ষীরার মত যশোরের কিন্তু বেশি জায়গা রয়েছে দর্শনীয়। জেজ গার্ডেন থেকে শুরু করে বিমানবন্দর বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক সহ আরো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা। যাইহোক আপনার সুন্দর এই ভ্রমণ বিষয়গুলো আমার ভালো লেগেছে। ১০ সালে যা দেখেছিলাম তার চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে বিমানবন্দরের আশেপাশের এরিয়া। আর সাতক্ষীরাতে বেশ দুইবার গিয়েছি অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করেছি আমি তাই আপনার এই ভ্রমণ কাহিনী পড়া ও দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আমাদের টার্গেট ছিল সাতক্ষীরা আর যাওয়ার পথে কিছু কিছু জায়গা ভ্রমণ করেছিলাম সেগুলোই তুলে ধরেছি।
সাতক্ষীরা ভ্রমণটা আমি মিস করেছি তোমরা দেখছি অনেক বেশি মজা করেছিলে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছ সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর ছিল।সবাই মিলে আবার টুর দিতে হবে।
হ্যাঁ হ্যাঁ ঈদের পরেই আবার নতুন প্ল্যানিং করতে হবে।
সাতক্ষীরা ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব আজ আপনি শেয়ার করেছেন। সাতক্ষীরা যাইয়ে কত মজা করেছেন তা আপনারা পোস্ট করলেই বুঝা যায়। অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://x.com/KaziRai39057271/status/1767746938672173283?s=20
আপনার এই সাতক্ষীরা ভ্রমণের সবগুলো পর্ব আমি দেখে আসছি৷ আজকে এর চতুর্থ পর্বের মধ্যে আপনি অনেক কিছু শেয়ার করেছেন এবং খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন আপনি৷ সবগুলো পর্ব আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ আজকের এই পর্বটি আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ এর মধ্যে আপনি সাতক্ষীরার অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ভাইয়া এটা যশোর বিমানবন্দর এলাকার এড়িয়া। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি অনেকের কাছে যশোর বিমান বন্দর এড়িয়াটা অনেক সুন্দর। আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তার বাস্তব প্রমান দেখলাম। সত্যিই জায়গাটা অনেক সুন্দর। আর বিশাল বড় এড়িয়া নিয়ে বিমান বন্দরটা করা হয়েছে। দেখলে মনু জুড়িয়ে যায়। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।