হঠাৎ বাজার। || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২ রা পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



20231217_213313_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



আমি ঘুরতে পছন্দ করি বলতে গেলে প্রায় প্রতি মাসেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। এখন শীত শুরু হয়েছে শীতের সময় অবশ্য বাইক নিয়ে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তবে তারপরেও কিছুদিন আগে ঢাকা গিয়েছিলাম। ঢাকার বিষয়টা আলাদা ঢাকা শহরে তুলনামূলক শীত অনেকটা নাই বললেই চলে হালকা শীত যেটা শীতের সময় ঘুরতে কোন বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করে না। তাই ঢাকা শহরটা শীতের দিনে ও বেশ ভালোই ঘোরাফেরা হয়েছে বাইক নিয়ে যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি। আমার চাচাতো ভাই চুয়াডাঙ্গা থাকে আর সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানায় ভাইয়ার বাসা। অনেকদিন ধরে ই ভাইয়া ভাবি দুজনে আমাকে বলছিল আমি যেন তাদের বাসায় যাই তবে সময় হচ্ছিল না তাই যেতে পারছিলাম না। হুট করেই প্ল্যান করে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি যখন গিয়েছিলাম তখন কয়েকদিন একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল তাই খুব একটা ঘোরাফেরা হয়নি। সকাল বেলায় হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল তখনই ভাইয়া বলল বাজার করতে হবে, যেহেতু আমি এলাকাটা ঘুরে দেখার জন্য গিয়েছি তাই এই সামান্য বৃষ্টির মধ্যে তেমন কোন সমস্যা হবে না এই ভেবে তার সাথে বেরিয়ে পড়লাম তবে বাসা থেকে বের হওয়ার পরে বৃষ্টি অনেকটাই কমে গিয়েছিল তাই খুব সহজেই জীবননগর উপজেলার যে মেইন বাজার আছে সেখানে পৌঁছে গেলাম।



20220204_100052.jpg

20220204_095928.jpg

20220204_101205.jpg

20220204_095932.jpg

20220204_095928.jpg



বাসা থেকে ইজিবাইকে বাজারে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট সময় লাগে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে ইজিবাইকে আমি আর আমার চাচাতো ভাই ছিলাম যাইহোক অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সেই বাজারের সামনে গিয়ে নেমে পড়লাম খুব কাছেই এজন্য সামান্য ১০ টাকা ভাড়া নিল। ইজিবাইক থেকে নামার পরে লক্ষ্য করলাম আবারও হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তাই আমরা ছাতা নিয়ে দুজন কোনমতে বাজারের মধ্যে প্রবেশ করলাম আর প্রথমেই গিয়ে ডাল আর তেলের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় বাজারগুলো সংগ্রহ করতে শুরু করলাম। তারা যেহেতু দুজনই চাকরি করে তাই ছুটির দিনে ভরপুর বাজার করা হয় আর তাই সেই দোকান থেকে চাল ডাল মসলা সহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের উপকরণ পর্যায়ক্রমে স্লিপ দেখে অর্ডার করতে থাকলাম। ভাইয়ার কাছে জিজ্ঞেস করলাম প্রতিনিয়ত সে এখান থেকে বাজার করে কিনা তখন সে বলল হ্যাঁ আমি এখান থেকেই প্রতিনিয়ত বাজার করি। যাই হোক তাদের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম হ্যাঁ তাদের দুজনের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছে। যাই হোক প্রয়োজনীয় বাজারগুলো সব একসাথে রেখে আমরা আবার পরবর্তী বাজার করার জন্য সবজি বাজারে প্রবেশ করলাম আর দোকানদারকে সেগুলো তার কাছে রাখতে বললাম।



20220204_095221.jpg

20220204_095106.jpg

20220204_095100.jpg

20220204_095053.jpg

20220204_095028.jpg

20220204_095025.jpg

20220204_095006.jpg

20220204_094928.jpg

20220204_094912.jpg

20220204_094826.jpg

20220204_094816.jpg

20220204_094823.jpg

20220204_094758.jpg

20220204_094753.jpg

20220204_094750.jpg

20220204_094747.jpg

20220204_094705.jpg

20220204_094703.jpg

20220204_094652.jpg

20220204_094648.jpg

20220204_094641.jpg



পরবর্তীতে সবজি বাজারে গিয়ে আমাদের লিস্ট অনুযায়ী বাজার গুলো পর্যায়ক্রমে কেনা শুরু করলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কি কি বাজার লাগবে তার একটা বড় লিস্ট ভাবি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিল আর সেই লিস্ট অনুযায়ী আমরা বাজারে এসে পর্যায়ক্রমে সেগুলো কিনতে থাকলাম। চুয়াডাঙ্গা এলাকায় প্রচুর সবজি চাষ হয় আর তাই বাজারে গিয়ে শীতের প্রায় সব ধরনের সবজি উপস্থিত দেখলাম আর আমাদের অঞ্চলের চেয়ে সেই অঞ্চলে তুলনামূলক সবজির দাম অনেকটা কম। যেহেতু চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে প্রচুর সবজি চাষ হয় তাই এখানে টাটকা সবজি পাওয়া যায়। গাজর শিম টমেটো সহ পর্যায়ক্রমে কাঁচা বাজারগুলো আমরা সংগ্রহ করতে থাকলাম। ভাইয়া হিসাব করে দোকানদারকে সবজিগুলোর টাকা পেমেন্ট করছিল আর আমি সেই সুযোগে সবজির দোকানে থাকা কিছু সবজির ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যেগুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ছবিগুলো আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন সেদিনই বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির কারণেই সবাই ছাতা নিয়ে বাজার করতে এসেছিল আর বৃষ্টি হওয়ার জন্য শীত বেশি পড়ছিল।



20220204_095440.jpg

20220204_095422.jpg

20220204_093519.jpg

20220204_093508.jpg

20220204_093450.jpg

20220204_093413.jpg

20220204_093409.jpg

20220204_093329.jpg

20220204_094118.jpg

20220204_093726.jpg

20220204_093636.jpg

20220204_093617.jpg



পরবর্তীতে কাঁচাবাজারের কেনাকাটার পর্ব শেষ করলাম। শেষের দিকে আমরা মাছ আর মাংস কেনার জন্য প্রথমে মাছের বাজারে গেলাম। যেহেতু লাউ কিনেছিলাম তার জন্য ছোট চিংড়ি মাছের খোঁজে মাছের বাজারে গেলাম। ছোট চিংড়ি মাছের সমন্বয়ে লাউ এর রেসিপি কিন্তু দারুণ লাগে যাইহোক মাছের বাজারে গিয়ে সেখানে আর ছোট চিংড়ি মাছ পেলাম না। চুয়াডাঙ্গা জেলার আশপাশে তেমন কোন নদী নেই যার কারণে সেখানে নদীর মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না শুধু খুলনা থেকে আসা চাষের বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। যাই হোক আমরা পরবর্তীতে মাংসের বাজারে গিয়ে খাসির মাংসের দাম জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় ভাইয়া বলল আজকে তাহলে খাসির মাংস থাক আজকে মুরগির মাংস নিয়ে যাই কালকে এসে প্রয়োজনে আবার খাসির মাংস নিব। সেখান থেকে বড় একটি মুরগি নিলাম দোকানদার নিজেই মুরগিটা পরিষ্কার করে দিল। মুরগির মাংসের প্যাকেটটা আমাদের হাতে ধরিয়ে দিল আর ভাইয়া টাকাটা পেমেন্ট করার পরে আমরা সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বাজার গুলো সংগ্রহ করে বাসায় আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।

আমাদের বাজার শেষ হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টির পরিমাণও বেড়ে গেল বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছিল তাই পরবর্তীতে আর কোনো ছবি তোলা হয়নি। সামনে থেকে একটি ইজিবাইক ডেকে নিয়ে বাজারের ব্যাগগুলো নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসি। যাই হোক ভাইয়ের বাসায় এসে এত বাজার করেছি আর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো না সেটা তো আর হয় না। যাইহোক সামনের সপ্তাহে কিন্তু অনেক লোভনীয় সব রেসিপি পোস্ট আসতে যাচ্ছে কারণ অনেক বাজার করেছি তো হা হা হা।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়ডিসেম্বর,২০২৩



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231114141250_IMG_8355-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  
 7 months ago 

কেনাকাটা সুন্দর একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইজান। যেখানে লক্ষ্য করে দেখলাম বাজারের বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি আপনার এই ব্লগর মাঝে উপস্থিত। সবজি থেকে শুরু করে মাছের বাজার মাংসের বাজার সম্পূর্ণটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই ব্লগটা।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 7 months ago 

এটা কিন্তু ঠিক, গ্রামের দিকে যেরকম শীত পড়তেছে, ঢাকা শহরে খুবই কম শীত পড়তেছে। আর যেহেতু ওরকম শীত পড়ছে না, তাই ঢাকা শহরে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনার ভাইয়ার সাথে বাজারে গিয়ে দেখছি, আপনার ভাবির দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন। বাজার করার সময় অনেকগুলো ফটোগ্রাফিও করেছেন। ভালোই লাগলো আপনাদের বাজার করার মুহূর্তটা দেখে।

 7 months ago 

চাচাতো ভাই আর আপনি দুইজন তাহলে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। তবে বাজার টিতে মনে হয় সবজির দাম তুলনামূলক কম কারণ ওখানে অনেক ধরনের সবজি আছে। তবে ভাইয়া সবজায়গাতে মাংসের দাম অনেক বেশি এই কারণে অনেকে কিনতে চায় না। তবে লাউ রান্না করতে চিংড়ি মাছ হলে খেতে খুব মজা লাগে। দুর্ভাগ্যবশত আপনারা বাজারে চিংড়ি মাছ পেলেন না। তাজা শাকসবজি কিনলেন এবং মুরগির মাংস কিনলেন। আসলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটি বড় কথা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 months ago 

ভাইয়া হঠাৎ বাজারে গিয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আর বিশাল বড় করে বাজারের বর্ণনা দিলেন। বাজারে সব ধরনের সবজিই দেখলাম। তাছাড়া আরো রয়েছে,মুরগি, মাছ,মাংস। তবে সকাল সকাল বৃষ্টিটা কাম্য ছিল না। ধন্যবাদ।

 7 months ago 

শহরের তুলনায় গ্রামের দিকে ঠান্ডা বেশি। গুটি গুটি বৃষ্টির মধ্যে চাচাতো ভাইকে নিয়ে বাজার করতে গেলেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখতেছি ওখানে অনেক ধরনের সবজি দেখা যাচ্ছে। যেখানে সবজি বেশি ওখানে দাম একটু কম হয়। অতিরিক্ত দামের কারণে মাংস না কিনে মুরগি কিনেছে এটি একদম ভালই করেছেন। আসলে পছন্দর জিনিসগুলো দেখে শুনে কিনতে পারলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57440.82
ETH 3108.89
USDT 1.00
SBD 2.42