হঠাৎ সকালে || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১০ই পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শীতকাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
অনেকদিন ধরেই ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটিতে কাজ করার একটা অভ্যাস তৈরি করেছি তবে অভ্যাসটা তৈরি করে বেশ ভালোই হয়েছে সকাল সকাল কোন ঝামেলা ছাড়াই সারাদিনের কাজ কমপ্লিট হয়ে যায়। সারাদিনে যতই ব্যস্ত থাকি কমিউনিটির কাজ নিয়েও আর মনে কোন বাড়তি প্রেসার থাকে না। যারা ব্যস্ত থাকেন বাট কমিউনিটিতে সময় দিতে হিমশিম খান তাদের বলবো একটু ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটিতে কাজ করবেন দেখবেন খুব দ্রুত কাজ হবে আর সারাদিন একদম রিলাক্সে থাকতে পারবেন। যাই হোক এখন শীতের মৌসুম তাই সকাল বেলা উঠতে একটু কষ্ট হয় মাঝে মাঝে একটু আলসেমিতে ধরলে সিডিউল এলোমেলো হয়ে যায় তবে খুব বেশি সমস্যা হয় না। যেদিন খুব বেশি ঘুম আসে সেদিন আর ভোর রাত্রে উঠি না একটু সকাল হওয়ার পরেই কাজ শুরু করি। যাইহোক মূল প্রসঙ্গে আসি, ভোররাত্রে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটি পোস্ট পড়ছিলাম। প্রায় পোস্ট পড়ার পর্ব শেষ সেই মুহূর্তে গ্রুপে এক বড় ভাই কুয়াশা ঘেরা অন্ধকার ছবি দিল। যদিও ভোর বেলায় উঠেছিলাম তবে রুমের জানালা পর্দা দিয়ে ঘেরা ছিল তাই বাইরের আবহাওয়াটা বুঝতে পারিনি বা কখন রোদ বের হয় কিছুই বুঝতে পারি না। সকালের দিকে তার এই কুয়াশা ঘেরা ছবি দেখে বুঝতে পারলাম আজকে বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনি এত সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন কারণ কি?? ভাইয়া তখন বলছিল হঠাৎ করেই আজকে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। তখন ভাইয়া বলছিল ভোরবেলায় অনেকদিন পর ঘুম থেকে উঠলাম চলো আজকে বাজারে গিয়ে হোটেল থেকে সকালবেলায় গরম খিচুড়ি খাই। আমি তখন বলছিলাম আমার তো এখন ঘুম আসতেছে আমি যাব না।
কিন্তু ভাইয়া বারবার বলছিল চলো যাই অনেকদিন পরে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠেছি আজকে একটু খিচুড়ি টেস্ট নিয়ে আসি। আমি শুয়ে থেকেই তাকে বলছিলাম আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আসতেছি। কিছু সময় পরে ভাইয়া গ্রুপে একটা ছবি দিল তখন বাধ্য হয়ে রেডি হতে হলো। যাই হোক তাড়াহুড়ো করে শীতের জামা কাপড় পড়ে বাইরে বের হয়ে পড়লাম তবে যখনই দরজা খুললাম তখনই দেখতে পেলাম একদম কুয়াশায় পুরাপুরি পরিবেশটা অন্ধকার হয়ে আছে। বাইরে বের হওয়ার পরে বুঝতে পারলাম এবছরের আজকে সর্বোচ্চ কুয়াশা পড়ছে মনে হয়।
হাঁটতে হাঁটতে কিছু সময় যাওয়ার পরেই দেখলাম একটি ফাঁকা জায়গায় ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে আর সেখানে কুয়াশা ভেজা ঘাসের ছবি তুলছে। তার ছবি তোলা দেখে আমিও কুয়াশা ভেজা ঘাসের কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম আর আশপাশের যে কুয়াশা ঘেরা সৌন্দর্য ছিল তার কয়েকটি ছবি তুলেছি যেগুলো উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন এতটা ঘন কুয়াশা পড়ছিল যেন মনে হচ্ছিল গাছের পাতা থেকে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ধীরে ধীরে মাটিতে পড়ছে।
যাইহোক সেখান থেকে ছবি তুলে আমরা ধীরে ধীরে বাজারের দিকে যেতে থাকলাম। যদিও বড় ভাইদের বাড়ির সামনে গিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম তবে তার কাছে একটা জিনিস দেওয়ার ছিল সেটা দিয়ে আবার আমরা সামনের দিকে যেতে থাকলাম। খুব ঘন কুয়াশার কারণে সুতার নেটের সাথে কুয়াশা ফোটা গুলো জড়িয়ে ছিল আর সেই সৌন্দর্যটা দেখেই আমি দৌড়ে গিয়ে ছবি তুললাম। দুজন গল্প করতে করতে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম আর কুয়াশা ঘেরা এলোমেলো ছবি তুলছিলাম। একটা ছেলে সকালবেলায় সাইকেল নিয়ে আসছিল আর আমরা তাকে বলছিলাম এই কোয়াশার মধ্যে সাইকেল চালিয়ে বেড়াচ্ছো তোমার কি শীত লাগে না?? এই প্রশ্ন করে সে আমাদের দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল। আমরা ধীরে ধীরে বাজারের দিকে এগোতে থাকলাম।
হাঁটতে হাঁটতে বাজারের প্রথম এরিয়াতে পৌঁছে গেলাম। বাজারে পৌঁছানোর পরেই দেখলাম টুকটাক বাজারের দোকান গুলো খোলা শুরু হয়েছে আর ধীরে ধীরে বাজারে মানুষের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। যদি ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন দোকানের সামনে ভ্যান গাড়ি রাখা হয়েছে আবার কেউ কেউ তাদের গন্তব্যস্থলে রওনা হয়েছে। আর ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে কুয়াশা অন্ধকার থাকার কারণে ছবির শেষ প্রান্তে কি আছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না অর্থাৎ বাজারের কোন প্রান্তে কি আছে সেটা বোঝার উপায় নেই। আমরা দুজন হাঁটতে হাঁটতে আমাদের সেই পরিচিত হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
সেখানে গিয়ে লক্ষ্য করলাম চারিদিকে কুয়াশা অন্ধকার থাকলেও সবাই তাদের কাজের তাগিদে বেরিয়ে পড়েছে তাই হোটেলেও মোটামুটি লোকজনের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে শুধু তাই নয় দেখলাম আমার ছোট চাচা আমার সেই ছোট্ট চাচাতো ভাইকে নিয়ে হোটেলে খেতে এসেছে। প্রথমে আমি হোটেলে প্রবেশ করে আমার ছোট চাচাতো ভাইয়ের সাথে কিছু সময় দুষ্টামি করলাম। তারপরে কিছু সময়ের মধ্যেই আমাদের টেবিলের খিচুড়ি ভাত দিয়ে দেওয়া হল সেই সাথে একটা করে ডিম ভাজি। যদিও ডিমটা আমি হালকা তেলে ভাজতে বলেছিলাম। যাই হোক ডিম ভেজে প্লেটে দেওয়ার পরে মোটামুটি খিচুড়িটা বেশ ভালোভাবেই খেতে পারলাম। টেস্ট মোটামুটি অ্যাভারেজ ছিল। খিচুড়ি খাওয়ার পরে ভাই আবার বলল চা খাওয়ার কথা, যেহেতু বড় ভাই বলেছে আমি না করব কিভাবে তাই আবার দুজন হোটেলের সামনে অবস্থিত চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেলাম। চা খাওয়া শেষে আমরা দুজন আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। হঠাৎ করে সকাল বেলা এরকম একটা প্ল্যানিং হয়ে খাওয়া দাওয়া হবে সেটা বুঝতেই পারিনি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | ডিসেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1739314765363823096?s=20
বেশ ভালো অভ্যাস তৈরি করেছেন ৷ আমিও অনেক দিন ধরে চাচ্ছি ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটির কাজ গুলো সম্পূর্ণ করার ৷ কিন্তু হচ্ছেই না ৷ আমার অভ্যাস টা হয়েছে রাত জাগার ৷ যাই হোক , ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে বড় ভাইয়ের সাথে খিচুরির আড্ডাটা বেশ ভালোই দিয়েছেন ৷ আসলে এমন কুয়াশাছন্ন সকালে ডিম ভাজির সাথে গরম গরম খিচুরি বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগার ৷ যাই হোক, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ৷
চেষ্টা করে দেখবেন ভাই, সকাল বেলা কমিউনিটির কাজগুলো শেষ করলে সারাদিন একদম রিলাক্সে থাকা যায়।
বন্ধু তুমি এত খেতে পারো সকাল বেলা কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ ভেদ করে তুমি খেতে চলে গিয়েছো। শীত লাগেনা নাকি খাওয়ার জন্য সব শীত উধাও হয়ে গিয়েছে?,😃😋 যাহোক চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশটা বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
যতই খাই বন্ধু তোমার চেয়ে আমি একটু কম খাই।
আচ্ছা ঠিক আছে কম খাও।
আমিও দুইদিন আগে সকালে পড়তে যাওয়ার সময় বাইরে এত কুয়াশা দেখেছি যে খুব অবাক হয়েছি। পাঁচ হাত দূরের মানুষকেও ঠিক করে দেখা যাচ্ছিল না । তবে আপনি এটা ঠিক বলেছেন, সকালে উঠে পোস্ট করে রাখলে সারাদিনে কোনো চিন্তা থাকে না। তবে শেষ পর্যন্ত দেখছি ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে খিচুড়ি, ডিম ভাজা আর পরে চা ও খেলেন ।
একই রকমের কুয়াশা ছিল দিদি ছবিগুলো দেখলেই কিন্তু বোঝা যায় আসলে কুয়াশা কতটা ঘন ছিল।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমিও প্রতিদিন চেষ্টা করি সকাল বেলা উঠে সকল কাজ শুরু করব। তবে কখনো ঘুম থেকে উঠা হয় না। আমি বেশিরভাগ সময় সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। তবে আপনি সকালে তাড়াতাড়ি উঠে বড় ভাইয়ের সাথে খিচুড়ি খাওয়ার আড্ডা খুবই ভালোভাবে দিয়েছেন। সকাল বেলার ঠান্ডা পরিবেশে গরম খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সকাল বেলায় কিন্তু কোন কাজ করলে ভালোভাবে কাজটা সম্পূর্ণ করা যায়। যদিও আমি পুরো দিন এই কাজটা করি, তবুও আমি পোস্টগুলো সকালবেলায় করে ফেলার চেষ্টা করি। আর ভোর বেলায় পোস্ট করে ফেললে বেশ ভালোই লাগে নিজের কাছে। হঠাৎ সকাল বেলায় দেখছি বাজারে গিয়ে খিচুড়ি খেয়েছিলেন অনেক মজা করে। আপনার ভাইয়ার সাথে তাহলে সময়টা খুব ভালোই কাটিয়েছিলেন আপনি। খিচুড়ি দেখেই তো আমার খুব খেতে ইচ্ছে করতেছে।
ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটির কাজ সম্পূর্ণ করলে সারাদিন রিলাক্সে থাকা যায়। আমিও এখন আপনার মতো এই কাজটা সকাল সকাল সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করি। ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখছি আর চিন্তা করছি এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় আপনারা এত সকাল সকাল বের হলেন কিভাবে? আমি হলে তো জীবনেও যেতাম না। তবে বের হয়েছেন বলেই শীতের সকালের কুয়াশামাখা ভোরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন। এমন শীতের মধ্যে সকাল বেলা গরম গরম ডিম ভাজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সকাল সকাল ঠান্ডার সময় এরকম খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনারা তো দেখছি সকালবেলায় হাঁটতে হাঁটতে বাজারে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে এই খিচুড়ি খেয়েছিলেন। হোটেলে গিয়ে প্রথমে ছোট চাচাতো ভাইয়ের সাথে দুষ্টামি করেছিলেন। তারপরে খিচুড়ি নিয়ে আসার পর আপনারা খুব মজা করেই খিচুড়ি খেয়েছিলেন। খিচুড়ি এমনিতে আমার খুব পছন্দের। তবে অনেকদিন হয়েছে খিচুড়ি খাওয়া হয়নি। বেশ জমিয়ে নিয়ে খেয়েছিলেন তাহলে বুঝতেই পারতেছি।
সকাল সকাল উঠে কাজ করেন এটা খুব ভাল করেছেন।সকাল সকাল কাজ করলে সারাদিন রিলাক্স থাকা যায়। এতো কুয়াশা এই বছরে এখনো দেখিনি।বড় ভাই বলাতে খিচুড়ি খেতে বাজারে গেলেন।সত্যি কথা বলতে ঠান্ডায় খিচুড়ি খাওয়ার মজাই অন্য রকম। বাজারে গিয়ে আপনি আপনার ছোট চাচা ও তার ছেলেকেও খিচুড়ি খেতে গিয়েছেন তারা তা দেখলেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।