এড়িয়ে চলুন || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২১শে পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



Green and Red Floral Hello December Flyer Landscape_20240104_095852_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



এখন সবাই অনলাইনে সময় ব্যয় করে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সবকিছুই আধুনিক হয়ে গিয়েছে, একটা সময় ছিল যখন দূরের কোন বস্তু দেখা যেত না তবে এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে দূরের সবকিছুই দেখা যায় বা ভিডিও করে পাঠালেই দূরের সবকিছুই ঘরে বসে দেখা যায় সেই সাথে অনলাইনে কেনাকাটা সহ সবকিছুই সম্ভব। বলতে গেলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবকিছু যেন বদলে গিয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ২০ কোটি মোবাইল ফোন আছে। ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কাছেই বর্তমানে স্মার্টফোন থাকে আর স্মার্টফোনের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে সেটা কাজের জন্য হোক আর অকারণে হোক। তবে আমার মনে হয় কোন কিছুই মাত্তারার অতিরিক্ত ভালো নয়। আমাদের সবার উচিত প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বেশিরভাগ সময় খেলার মাঠে কাটিয়েছি আর এখনো মোবাইলের চেয়ে ক্রিকেট খেলার প্রতি বেশি আসক্ত। যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে দেওয়া হয় আমার মনে হয় একটুও বিরক্ত লাগবে না হা হা হা। তবে এখনকার ছেলে মেয়েরা ছোট থেকেই মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।

আসলে আমি আজকে আমার নিজের একটি বদ অভ্যাস নিয়েও কথা বলব। যেহেতু এখন সবাই ফোন ইউজ করে তাই ফেসবুক মেসেঞ্জার ইউটিউব এগুলো কমন হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে ফেসবুকে বেশি সময় ব্যয় করে। তবে আমার একটা প্রশ্ন ফেসবুকে সময় ব্যয় করে কি লাভ পাওয়া যায়?? হ্যাঁ আমি নিজেও ফেসবুকে সময় ব্যয় করি। সত্যি বলতে কমিউনিটিতে কাজ করতে করতে হুট করেই ফেসবুকে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট করি তখন বুঝতে পারি না। ঘড়ির কাটায় যখন সময় লক্ষ্য করি তখন বুঝতে পারি এত সময় যদি ফেসবুকে ব্যয় না করে আমি কমিউনিটিতে কাজ করতাম তাহলে হয়তো আমার পুরো কাজ কমপ্লিট হয়ে যেত তখন আফসোস হয়। কমিউনিটিতে পোস্ট লিখতেছি এমন সময় মেসেঞ্জারে কেউ কোন রিলস পাঠালো। মেসেঞ্জারে ঢুকে যখন ওই রিলস ভিডিওটা দেখতে শুরু করি তখন পর্যায়ক্রমে অনেকগুলো রিলস ভিডিও দেখা হয়ে যায়। আমার জানামতে শুধু আমি নয় এরকম অনেকেই হয়তোবা কাজের মাঝে ফেসবুকে সময় ব্যয় করে।



যদিও আজ কয়েকদিন ধরে নিজেকে ফেসবুক থেকে ইউটিউব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছি। কেননা যতটুকু সময় facebook youtube এ দিব ততটুকু সময় যদি কমিউনিটিতে কাজ করি তাহলে আমার কাজ খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। মেসেঞ্জারে বিনা কারণে চ্যাটিং করার চেয়ে ডিসকোডে গিয়ে যদি আমি কমিউনিটিতে কাজের কথাগুলো বলি তাহলে সেখানে আমার কিছুটা বেনিফিট আসবে। দেখুন আপনি মোবাইলের যে ইন্টারনেট ইউজ করছেন সেটা কিন্তু টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাহলে আমি কেন নিজের টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কিনে ফেসবুকে সেটা নষ্ট করব বা ইউটিউব দেখে সেটা নষ্ট করব?? প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করেছে ঠিক তেমনি কিছু শ্রেণীর মানুষের মোবাইলের প্রতি আসক্ত করেছে। ফেসবুকে বা ইউটিউবে দেখবেন অনেক বৃদ্ধ বয়সের লোকজন টিকটক ভিডিও বা রিলস ভিডিও আপলোড দেয় তাহলে চিন্তা করুন একটা মানুষ কতটা আসক্ত হলে শেষ বয়সে এরকম কাজ করে। তবে সেটা স্বাভাবিক ভিডিও হলে হয় ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করে হা হা হা



আসলে মূলত আজকে এই যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি এটা আমার নিজের সাথে এপ্লাই করব কেননা আমিও নিজেকে অনেকটাই মোবাইল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করব। শুধুমাত্র যখন কমিউনিটিতে কাজ করা প্রয়োজন তখনই অনলাইনে আসব। প্রয়োজন হলে ফোন থেকে ফেসবুক ইউটিউব ডিলিট করে দিব তারপরেও নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করব। আর জীবনকে যদি স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে হয় তাহলে একটা রুটিন অনুযায়ী কাজ করতে হবে যেমন ধরুন আপনি সকালবেলা উঠে কমিউনিটিতে কাজ করলেন তারপর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নিজের পারিবারিক কাজ করলেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা বা খেলাধুলা করলেন রাতের বেলায় আবার আপনি কমিউনিটির কাজ করলেন এরকম যদি একটা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কাজ করা যায় তাহলে কোন কাজ নিজের প্রতি প্রেসার তৈরি করবে না।



যদি আমি বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে কথা বলতে যাই তাহলে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই অনলাইন গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। দেখবেন যারা মাধ্যমিক লেভেলে লেখাপড়া করে তারা মোবাইলে বিভিন্ন গেম নিয়ে বেশি আসক্ত। এর আগে আমাদের বাড়ির পাশেই একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল বিষয়টা পুরোপুরি বিস্তারিত জানতে গিয়ে আমি তো রীতিমতো অবাক হলাম। ছেলেটি সবেমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আর তার আবদার ছিল স্মার্ট ফোন কিনে দিতে হবে। আমি চিন্তা করতেছিলাম এই বয়সে আমি তো ফোনের কথা কখনো চিন্তাই করি নাই কিন্তু তারা এই বয়সেই স্মার্টফোন কেনার জন্য বাড়িতে এমন ঝামেলার সৃষ্টি করছে। তাই আমার মনে হয় ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে মাত্রার অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকা উচিৎ।





🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231121_224724-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  
 6 months ago 

এই বদঅভ‍্যাস টা আমারও রয়েছে ভাই। তবে আমি আগের থেকে এখন ফেসবুক কম ব‍্যবহার করি। একেবারে পুরোপুরি সময়ের অপচয় আর কী। সেই সময় টা কমিউনিটিতে দিলে আসলেই ভালো কিছু করা যায়। আর বর্তমানের ছেলে মেয়েরা তো আমাদের থেকেও ফাস্ট সময় নষ্ট করার দিক থেকে। সারাদিন ওরা এগুলো নিয়েই যেন পড়ে থাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আসলেই অনেক সময় অপচয় হয় যতটুকু সময় অপচয় হয় সেটা যদি কমিউনিটিতে দেওয়া যায় তাহলে তো বেশ ভালো হয়।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44