বৃষ্টি ভেজা দিন || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২৩শে অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



20231207_173513_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



প্রতিবছরেই শীতের মৌসুমে বৃষ্টি হয়, মূলত যখন হালকা শীত শুরু হয় তখন থেকেই কয়েকদিন বৃষ্টি হয় আর বৃষ্টির আবহাওয়াটা কেটে যাওয়ার পরেই পুরোপুরি শীতের আবহাওয়াটা যেন শুরু হয়ে যায় কনকনে শীতে চারিদিক কাপতে থাকে এরকম একটা অবস্থা। প্রতিবছরের মত এই বছরেও আজ তিন দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে তবে মুষলধারে তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সারাদিন ধরেই বলতে গেলে। তবে বৃষ্টি হলেও মানুষকে তো তার কাজের উদ্দেশ্যে অবশ্যই বের হতে হবে তাই বৃষ্টিকে পরোয়া না করেই কাজের তাগিদে ছুটে যেতে হয়। আজকের সারাদিনের বৃষ্টিতে নিজের ব্যস্ত সময় পার করেছি আর সেটাকে কেন্দ্র করেই আজকের এই পোস্ট শেয়ার করব। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলাম বৃষ্টি হচ্ছে যদিও ভেবেছিলাম হয়তো আজ রাতভর বৃষ্টি হয়ে সকালে আবহাওয়াটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যাই হোক বৃষ্টির দিনে কিন্তু খিচুড়ি ভাত ভালো লাগে সকালবেলা খিচুড়ি ভাত খেয়ে কমিউনিটিতে টুকটাক কাজ করলাম যেহেতু বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা আবহাওয়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম।



20231207_135714.jpg

20231207_135718.jpg



খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কমিউনিটির কাজগুলো কমপ্লিট করার পরে আব্বু আমাকে বলল ব্যাংকে যেতে হবে কিছু টাকা তোলার জন্য। সকালের দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল মনে হচ্ছিল হয়তো বৃষ্টি কমে যাবে কিন্তু দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি আরো বেড়ে গেল। প্রথমে ভেবেছিলাম সকালবেলা যেহেতু হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে আবার মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির বিরতি হচ্ছে তাই ভেবেছিলাম শেষ বেলায় হয়তো বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে সেই আশায় সকালের দিকে আর খোকসা যাওয়া হয়নি কিন্তু বিকেল বেলায় বাধ্য হয়ে বেশ বৃষ্টিতে ভিজেই খোকসায় যেতে হল। বাড়ি থেকে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেইনকোট পড়ে ধীরে ধীরে বাইক নিয়ে খোকসা গেলাম, গিয়েই আমার চাচাতো ভাইয়ের ব্যাংকে গেলাম। কারণ ব্যাংক থেকে যেহেতু টাকা তুলব তাই অন্য একজন ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে থাকলে সেটা আরো সহজ হবে। যাই হোক চাচাতো ভাইকে সাথে করে খোকসা জনতা ব্যাংকে পৌঁছে গেলাম।



20231207_140518.jpg

20231207_140527.jpg

20231207_140536.jpg

20231207_140545.jpg

20231207_140641.jpg

20231207_140903.jpg

20231207_140928.jpg

20231207_140945.jpg

20231207_141154.jpg

20231207_141336.jpg

20231207_141342.jpg



সেখানে গিয়ে নিচে বাইক পার্কিংয়ে রেখে দোতলায় গিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়াতেই আমার চাচাতো ভাই ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে বিস্তারিত কথা বলে নিলেন। পরবর্তীতে সেখানে ভোটার আইডি কার্ডের একটা ফটোকপি জমা দেওয়ার জন্য আবার আমি নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে ফটোকপির দোকান থেকে ভোটার আইডি কার্ডের একটা ফটোকপি নিয়ে ব্যাংক চেক এর সাথে যুক্ত করে ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিলাম আর তিনি সেটা যাচাই করে একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা আমাকে দিয়ে দিলেন। তবে মাঝের যে বিরতির সময়টুকু ছিল সেই সুযোগে ব্যাংকের ভেতরের পরিবেশটার কিছু ছবি তুলেছিলাম বিশেষ করে ভেতরে কিছু গাছ লাগানো হয়েছে টবের উপর সে দৃশ্যগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ব্যাংকের ম্যানেজারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই কারণ ভেতরে একটি সবুজ পরিবেশের সৌন্দর্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। যাই হোক সেখান থেকে টাকা তুলে আবার আমার চাচাতো ভাইকে তার ব্যাংকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বাইক নিয়ে আবার রওনা হলাম। তাকে এসে তার ব্যাংকের সামনে নামিয়ে দিলাম যেহেতু বৃষ্টি পড়ছিল তাই আর বেশি টাইম লস করিনি।



20231207_151648.jpg

20231207_151759.jpg

20231207_151807.jpg

20231207_151753.jpg

20231207_151756.jpg

20231207_151751.jpg



হাসপাতাল গেটে নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজ ছিল সেটা মিটিয়ে নিলাম। যেহেতু ছোট বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তাই সে বাইকে তেল ভরার জন্য আবার পাম্পে গিয়ে ৫০০ টাকার তেল নিলাম। এ বাইক নিয়ে শুধু এলাকাতেই ঘোরাফেরা করা হয় আর অন্য বাইক টা নিয়ে সব জায়গায় বিভিন্ন কাজে যাওয়া হয়। যাই হোক পাম্পে গিয়ে ৫০০ টাকা তেল নিয়ে সেখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে একজন পরিচিত লোকের সাথে কথা বললাম। কথা শেষ করে সেখানকার এলোমেলো কিছু ছবি তুলে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বিকেলের দিকে বৃষ্টি আরো বেশি হচ্ছিল। গরমের সময় বৃষ্টিতে ভিজে বাইক চালাতে ভালো লাগে কিন্তু এখন যেহেতু শীতের মৌসুম তাই এখন আর বৃষ্টিতে ভিজতেও ভালো লাগে না বৃষ্টিতে ভিজে বাইক চালাতে ভালো লাগেনা। যাই হোক যদিও হালকা হালকা শীত লাগতেছিল তারপরেও ওইভাবেই বাইক নিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

শোমসপুর রেল স্টেশন পার হয়ে লক্ষ করলাম সেখানে পেটিস রাখা হয়েছে তাই শীতের মৌসুমে এরকম বৃষ্টি ভেজা দিনে গরম পেটিস খাওয়ার তো মজাই আলাদা। একটা প্যাকেটে কিছু পেটিস নিলাম যেটা বাড়িতে এসে সবাই ভাগাভাগি করে খাব বলে। সেখান থেকে একবারে সোজা বাড়িতে চলে আসলাম আর হালকা বৃষ্টিতে যদিও একটু ভিড়ে ছিলাম তাই বাড়িতে এসে গা মুছে গরম কাপড় পড়ে নিজেকে গরম করার চেষ্টা করলাম।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়ডিসেম্বর,২০২৩



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120530-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 11 months ago 

এরকম বৃষ্টি ভেজা দিনে বেশ পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়েছে। তবে এটা সত্য যে শীতের মৌসুমে বৃষ্টির দিনে গাড়ি চালাতে একেবারেই ভালো লাগে না। আর শীতকালীন বৃষ্টিতে ভিজলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

 11 months ago (edited)

কাজ কি আর বৃ্ষ্টি মানে? গতকাল এত এত বৃষ্টির মধ্যেও সেই ভোর বেলা উঠে অফিসে দৌড় দিতে হয়েছে। একদিকে বৃষ্টির শব্দে যেমন ভালো লাগছিল, আবার অন্যদিকে রাস্তায় বের হতে অসহ্যও লাগছিল।তবে আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচ্ছে ঢাকার চেয়ে বেশীই বৃষ্টি ছিল আপনাদের ওখানটায়। তবে বেশী ভালো লেগেছে ব্যাংকের ভিতর সবুজের অরণ্য দেখে।

 11 months ago 

আসলে বৃষ্টির দিনগুলোতে আমাদের অনেক কিছু সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরুন যেখানে উদ্দেশ্য করে যাব বা কাজ করবো সেখানে তাড়াহুড়া লেগে যায়। আপনারা ব্যাংকে যাওয়ার মুহূর্তে বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছেন আবার এদিকে সেই মুহূর্তে ব্যাংকের মধ্যে যে সমস্ত কাজগুলো করেছেন তার বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তেলপাম থেকে তেল নিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো বৃষ্টির দিনের আপনার কার্যক্রমের বিস্তারিত পোষ্টের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।

 11 months ago 

আসলে যত কিছুই হোক না কেন, আমাদের কাজ তার মধ্যে দিয়ে হলেও শেষ করা লাগে। বৃষ্টির সময় আপনি দেখছি নিজের কাজটা ভালোভাবেই সম্পূর্ণ করেছেন। আসলে দুই তিন দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মুষলধারে বৃষ্টি এমনিতে হচ্ছে না। আপনি ব্যাংকের ভেতরের দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেছেন, যেটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ব্যাংকের ভেতরে টবের মধ্যে গাছ লাগানো হয়েছে, এ বিষয়টা আমার কাছেও ভালো লেগেছে।

 11 months ago 

আপনি দেখছি বৃষ্টির দিনে ও কাজ ফেলে রাখেননি। এই ব্যস্ততময় এই জীবনযাত্রা কখনো থেমে থাকে না সেটাই আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। টানা দুই দিন বৃষ্টিপাত সত্যিই মানুষকে কিছুটা ধীর স্থির করে ফেলেছিল। তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে সকল বাধা অতিক্রম করে যেতে হয়। তারই কিছু দৃশ্যপট খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরলেন।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

বৃষ্টি ভেজা দিনে দেখছি কাজের জন্য বের হয়ে বৃষ্টিটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন। ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন সাথে আপনার বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে ভালোই করেছিলেন। বৃষ্টির সময় রাতে পেটিস খাওয়ার জন্য পেটিস নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে আসার সময়। এটা শুনেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। বৃষ্টির সময় এরকম খাবার খাওয়ার মজাটাই আলাদা। পুরো পোস্টটা সুন্দর করে লিখে আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।

 11 months ago 

এই অসময়ে বৃষ্টিটা আসলে বোরিং লাগার মত। যদিও আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। তাছাড়া ও ব্যাংকে গেলেন বাইরে খুব সুন্দর একটি পরিবেশ আপনি দেখতে পেলেন। যেহেতু এখন শীতকালীন সিজন সবার ঘরে ঘরে নতুন ধানের কাজ চলতেছে। এখন কিন্তু সবার অনেক লস হয়ে গেল এই বৃষ্টির কারণে। যাক আপনার অনুভূতিটা পড়ে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 98713.95
ETH 3352.77
USDT 1.00
SBD 3.07