মানবিকতার গল্প || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২৫শে কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট্ট একটি মানবিকতার গল্প শেয়ার করব। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাই কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে কমবেশি এক্টিভ থাকি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নিউজ ইউটিউব বা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি। হ্যাঁ এই নিউজটা আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম যদিও এটা বাংলাদেশের ঢাকা শহরের বসুন্ধরা সিটির একটি ঘটনা। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফোন নিয়ে যখন বসলাম তখন হুট করেই দেখলাম আমার টাইমলাইনে একটি ভিডিও এসেছে যেখানে একজন রিক্সাওয়ালা কোন টাকা ছাড়াই ঢাকা শহরের মতো জায়গায় এক গ্লাস পানি এবং একটা টোস্ট বিস্কুট খাচ্ছে। ভিডিওটা দেখার পরে কৌতুহল জাগলো আসলে পুরো বিষয়টা কি সেটা দেখা দরকার। এমন মানবিকতার গল্প জানার আগ্রহ সবার মনে কিন্তু কম বেশি থাকে, যাই হোক আমি ভিডিওটি পুরোপুরি দেখার চেষ্টা করলাম।
বসুন্ধরা সিটির একটি বাড়ির সামনে একটি পানির ফিল্টার রাখা হয়েছে আর ফিল্টারের উপরে সাদা কাগজে লেখা রয়েছে পথচারীদের জন্য রাখা হয়েছে আপনি এক গ্লাস পানি খান সেইসাথে একটি বিস্কিট খান। পানির ফিল্টারের পাশেই একটি সাদা কৌটার মধ্যে বেশকিছু বিস্কিট রেখে দেয়া হয়েছে যেটা বসুন্ধরা সিটির মধ্যে যেসব রিক্সাওয়ালা আছে তারা পানি খাওয়ার পাশাপাশি এক পিস বিস্কিট খেয়ে তাদের সামান্য ক্ষুধা নিবারণ করে। আপনি একটা কথা চিন্তা করুন ঢাকা শহরের মত জায়গায় যেখানে এক গ্লাস পানি খেতে হলেও টাকা গুনতে হয় আর সেখানে ফিল্টার করা বিশুদ্ধ পানি এবং সাথে বিস্কুট খাওয়ার কথা বলা হয়েছে আর সেটা কোন টাকা ছাড়া। এমন ঘটনা আমার মনে হয় মানবিকতার অন্যতম উদাহরণ হতে পারে।
একজন রিক্সাওয়ালা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে রিকশা চালায় আর অনেক সময় তারা ঠিকমতো খাওয়ার সময় পায়না। বসুন্ধরা সিটির মধ্যে যে বাড়িওয়ালা এমন উদ্যোগ নিয়েছে আসলেই তাঁর প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ। এই গল্পটা এই জন্যই শেয়ার করছি কারণ এমন গল্প পড়ে যদি একজন অনুপ্রাণিত হয়ে সে এমন কোন ভাল কাজে অগ্রসর হয় তাহলে সেটা আমার এই পোস্টের সার্থকতা। যদি এমন হয় এই পোষ্টের গল্পটা পড়ে কেউ একজন অনুপ্রাণিত হয়ে এমন মানবিকতার অন্য একটি কাজে অগ্রসর হলো আর সেই কাজটির পরিপ্রেক্ষিতে আরো একজন মানুষ মানবিকতার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ল যদি এরকমটা চলতে থাকে তাহলে সমাজের কষ্ট অনেকটাই দূর হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
আমরা উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন মানবাধিকার গল্প পড়েছি কিন্তু বাংলাদেশের যে মানবিকতার এমন প্রকাশ ঘটবে সেটা হয়তো অনেকেই চিন্তা করিনি। সেই ভিডিওটিতে আরো বলা হয়েছে বর্তমানে নাকি বসুন্ধরা সিটির অনেক বাড়ির সামনেই এমন উদ্যোগ রাখা হয়েছে আসলে দেখুন উদ্যোগ টা কিন্তু হুট করেই আসেনি একজন এই মহৎ উদ্যোগটি নিয়েছে আর সেই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে বাকি বাড়িওয়ালারাও এই মানবিকতার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। রিক্সাওয়ালা ভাইয়েরা এই কাজে অনেক খুশি হয়েছে কেননা তারা একটি বিস্কিট বা রুটির পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি পান করে তারা তাদের ক্ষুধা নিবারণ করছে আর যে বাড়িওয়ালা এই উদ্যোগটি নিয়েছে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। সবার কাছে একটা প্রশ্ন রইল এমন মানবিকতা আপনি কেমন চোখে দেখবেন??
আসলে এই ছোট গল্পটা কতটা কোয়ালিটি সম্পূর্ণ পোস্ট হবে সেটা জানি না তবে আমি একটি মানবিকতার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি মাত্র। কেননা এমন একটা মানবিকতার গল্প কেউ পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি আরেকটি মানবিক কাজে এগিয়ে যায় তাহলে সেটাই বড় বিষয়। আমাদের সমাজে আমাদের আশেপাশে এরকম হাজারো মানবিক কাজ বাকি আছে আমরা যদি চাই আমরা যদি উদ্যোগ নেই তাহলে এরকম ছোট ছোট কাজগুলোর মাধ্যমে আমাদের সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারি। যেমন ধরুন বসুন্ধরা সিটিতে প্রথমে একজন বাড়িওয়ালা এই মহৎ উদ্যোগটি নিয়েছিল পরবর্তীতে উদ্যোগটি বসুন্ধরা সিটির বিভিন্ন ব্লকে ছড়িয়ে পড়ছে আর বিভিন্ন বাড়িওয়ালা এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে। ভাই পানির অপর নাম জীবন আর এই বিশুদ্ধ পানি যদি আপনি অপরকে পান করার ব্যবস্থা করে দেন তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ হবে। শুধু সবশেষে একটি অনুরোধ রইল সমাজকে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে এরকম ছোটখাটো মানবিক কাজগুলোর সাথে নিজেকে জড়িত রাখুন তাহলে সমাজ এবং নিজের মন মানসিকতা দুটোই পরিবর্তন হবে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দারুন লিখেছো বন্ধু। আসলেও অসহায় মানুষদের দেখার মত কেউ নেই এই পৃথিবীতে। যদি ওই বাড়ির মালিকটা বেশ ভালো ফিল্টারপানি ও সাথে বিস্কুট রেখেছে। যাতে পথচারী ক্ষুধার্ত মানুষ সেটা খেতে পারে। এই ব্যাপারটা আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের গল্প আপনার কাছ থেকে আশা করি।
আমাদের সবার আগে প্রয়োজন মানবিক হওয়া।সত্যি বলেছেন ভাই ঢাকা শহরে এক গ্লাস জল খেতেও টাকা লাগে। আমাদের সবার উচিত মানবিক কাজগুলোতে যুক্ত হওয়া তাহলে সমাজটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মানবিকতার সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা অবশ্যই একটা প্রশংসনীয় ব্যাপার, এবং এটার জন্য একটা মানুষকে অবশ্যই আমি ভালো চোখে দেখবো। আসলে এই ধরনের মানবিকতার বিষয়গুলো খুবই কম মানুষের মধ্যে দেখা যায় এখন। যে মানুষটা এরকম একটা কাজ করেছে সে অবশ্যই একজন বড় মনের মানুষ। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের উচিত এরকম মানবিক মানুষ হওয়ার, এবং সবার সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার।
আপনার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই সকল মানুষদেরকে স্যালুট জানানো উচিত। এরকম মানুষগুলোকে যদি আমি নিজের চোখের সামনে দেখতাম তাহলে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগতো। পথচারীদের জন্য রাখা হয়েছিল ওই পানি এবং বিস্কিট। আসলে এখন এক গ্লাস পানি খেতে টাকার প্রয়োজন হয়। আর ওই জায়গায় এরকম একটা ব্যবস্থা রয়েছে এটা দেখে সত্যি ভালো লেগেছে। আমাদের সবারই উচিত এরকম মানবিক হওয়া।
আসলেই যদি কখনো তাকে সামনে পেতাম তাহলে আমি স্যালুট জানাতাম।