জীবন। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২৩শে জ্যৈষ্ঠ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
মানুষের জীবন অতি সংক্ষিপ্ত বছর ঘুরতেই মানুষের জীবন থেকে যেন একটি বছর ঝরে গেল। তবে মানুষের জীবন থেকে সময়টা ঝরে গেলেও স্মৃতির পাতাটা যেন প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে। জীবন থেকে যখন একটি বছর ঝরে যাবে তখন সেই ঝরে যাওয়া বছরের সবগুলো মুহূর্ত আপনার জীবনের অতীত হিসেবে বিবেচিত হবে। ঠিক একইভাবে আবার পরবর্তী বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো একসময় অতীত হয়ে যাবে যেটা আপনার পুরনো দিনগুলোকে আবার মনে করিয়ে দিবে। মানুষের জীবনটাই এরকম চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে আর সময় পার হতে থাকবে। সময় যেমন আপন গতিতে পার হয়ে যাবে তেমন চক্রাকারে জীবন ঘুরতে ঘুরতে একসময় আপনার জীবনের অন্তিম পর্যায়ে চলে আসবে যখন সব অতীত ভুলে গিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে হবে। আর এটাই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা যা সবাইকে মেনে নিতে হবে।
একসময় আপনি ছোট্ট শিশু ছিলেন, সময়ের সাথে সাথে নিজে বড় হয়েছেন। আপনার কাঁধে সময়ের সাথে সাথে দায়িত্ব এসে পড়েছে সেই দায়িত্ব গুলো পালন করতে করতে আপনি এক পর্যায়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। মানুষ যেমন ছাত্র থেকে এক পর্যায়ে চাকরিজীবী হয় আর সেভাবেই তার কাঁধে দায়িত্ব বাড়তে থাকে বিয়ের পর থেকে আর কাঁধে দায়িত্ব যেন প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকে। যখন সন্তান জন্ম দেয় তখন মানুষের চিন্তাধারা বদলে যায়। মানুষ যখন ছাত্র থাকে তখন চিন্তাধারা থাকে বড় হয়ে ভালো একটা চাকরি করবে ভালো গাড়ি বাড়ি তৈরি করে সুন্দর একটি মেয়েকে বিয়ে করে জীবন পরিচালনা করবে। যখন সেই টার্গেট পূরণ করে বিয়ের পরে সন্তান জন্ম দেয় তখন চিন্তাধারা অন্যরকম থাকে। সেক্ষেত্রে মানুষ ভাবতে থাকে সন্তানের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করবে আর তার সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবে। দিনের পর দিন এরকম ইচ্ছাশক্তির পরিবর্তন হতে থাকে যেটা একটা নির্দিষ্ট চক্রাকারে চলতে থাকে। বলা চলে মানুষের জীবন একটা চক্রাকারে পরিচালিত হয়।
আবার শেষ বয়সে গিয়ে মানুষের চিন্তাধারা কিন্তু আবার বদলে যায়। মানুষ যখন বুঝতে পারে তার বয়স এখন শেষের দিকে যে কোন সময় তার ডাক চলে আসতে পারে অর্থাৎ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যেতে হবে সেই মুহূর্তে মানুষ পৃথিবীর মায়া ভুলে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত্য করতে ব্যস্ত থাকে। যার যার ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার অনুগত্য লাভের চেষ্টা করে। বাস্তবতা মেনে নিতেই তো হবে, আমরা যদি আমাদের আশপাশে চিন্তা করি বা নিজেদেরকে উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরি তাহলে দেখবেন যৌবন বয়সে মানুষ সব ধরনের ভালো-মন্দ কাজের সাথে জড়িত থাকে। কিন্তু একজন মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন কিন্তু সে খুব সহজে মন্দ কাজের সাথে জড়ায় না তখন মৃত্যুর ভয় তার মনের মধ্যে কাজ করে। এক কথায় বলতে গেলে যৌবন বয়সে জীবন এক রকম থাকে আর বৃদ্ধ বয়সে জীবন অন্যরকম থাকে।
আসলে মানুষের জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পুরো সময়টাই একটা নির্দিষ্ট চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। বয়সের সাথে সাথে প্রতিটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় হয় সেটা একটু আগে অথবা পরে। প্রকৃতির নিয়ম যেমন নির্দিষ্ট চক্রাকারে ঘুরতে থাকে অর্থাৎ দিনশেষে রাত আসে আবার রাত শেষে পুনরায় দিনের আবির্ভাব হয় তেমনি মানুষের জীবনটাও ঠিক কিছুটা এরকম ভাবেই চলতে থাকে। যেমন ধরুন আপনি কখনো কখনো অনেক হাসিমুখে থাকেন আবার কখনো নিজেকে একলা বোধ করেন। মানুষের জীবনে কখনো সুখের সময় আসে আবার কখনো দুঃখ ঘিরে নেয়। রাত আসলে যেমন অন্ধকার চারিপাশ ঘিরে নেয় তেমন মানুষের জীবন কেউ দুঃখ গ্রাস করে নিতে পারে। সকালের সূর্য যেমন সমস্ত অন্ধকার দূর করে তেমনি মানুষের জীবনের সফলতা বা আপন মানুষের ফিরে আসার ক্ষেত্রে জীবনের দুঃখ দূর হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রেও আপনি বলতে পারেন জীবনটা চক্রাকারে ঘুরছে। জীবন চক্রাকারে ঘুরছে বলেই কখনো দুঃখ আবার কখনো সুখের আভাস পাওয়া যায়।
তবে সবশেষে একটি কথা বলতে চাই জীবন চক্রাকারে ঘুরতে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার কর্মফল টা জীবনের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার জীবনটা চক্রাকারে ঘুরলেও দুঃখের সময়টা খুব একটা আসবে না। মানুষের জীবন নির্ভর করে তার কর্মফলের উপর আসলে সে কতটা সুখে থাকবে আর কতটা দুঃখে থাকবে হ্যাঁ তারপরেও সুখ আর দুঃখ মিলেই মানুষের জীবন। যদি আপনি সুখের চিন্তা করেন তাহলে দুঃখের ব্যথাটা অনুভব করবেন কিভাবে?? আর যদি শুধু দুঃখের কথা চিন্তা করেন তাহলে সুখের প্রশান্তি উপভোগ করবেন কিভাবে?? তাই আমার মনে হয় সুখ-দুঃখ উভয় মেনে নিয়ে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের কর্মফল টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে নিজের জীবন পরিচালনা করলে অল্পেই সুখের আভাস পাওয়া যায়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1798709387936043084
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া ভালো মন্দ মিলেই আমাদের জীবন। যেখানে সুখ সেখানেই দুখ। আলো না থাকলে অন্ধকারের কোন মূল্য থাক না তাই আলো অন্ধকার পরস্পরের ভাই ভাই। জীবনে সুখ-দুখ দুটি থাকবে তাই মেনে আমাদের চলতে হবে,আর এটাই জীবন। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর লিখেছেন।
হ্যাঁ সবকিছুর ক্ষেত্রেই নেগেটিভ আর পজিটিভ দুইটা অপশন থাকে যেটা সবাইকে মেনে নিতে হয়।
মানুষের জীবন বড্ড বিচিত্র ময়। মানুষ প্রথমে জন্মগ্রহণ করে একজন ছোট্ট শিশু হয়ে। আস্তে আস্তে হাঁটতে শিখে কথা বলতে শিখে। এক সময় শিশু থেকে কৈশোর এবং যৌবন এভাবেই চলতে থাকে মানুষের জীবন। মানুষ যত বড় হতে থাকে মানুষের চিন্তা দ্বারার পরিবর্তন হতে থাকে। সেই চিন্তাধারার মত পরিবর্তন হতে থাকে। এভাবে মানুষের জীবন চলে যায়। এক সময় মানুষ বার্ধক্যে পরিণত হয়। অথবা অনেকের সেই সুযোগ থাকে না মৃত্যুর কোলে টলে পড়তে হয়। বেশ ভালো লিখলেন আপনি ধন্যবাদ।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।