রাজনীতি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২০শে আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বর্ষা-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
পোষ্টের টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আসলে আজকে কি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি মোটেই পছন্দ করি না সবসময় চাই একটু স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে। তাছাড়া সব সময় চেষ্টা করি যারা রাজনীতি থেকে পুরোটাই দূরে থাকে তাদের সাথে মেলামেশা করতে আর যারা রাজনীতির সাথে জড়িত রাজনৈতিক কার্যকলাপ এর সাথে জড়িত তাদের থেকে দূরে থাকতে। আমার যেসব বন্ধুরা রাজনৈতিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত আছে তাদের সাথে আমার তেমন কোন সম্পর্ক নেই বললেই চলে শুধু দেখা হলে কথা বলা এতোটুকুই। অনেক ক্ষেত্রে যারা রাজনীতির সাথে জড়িত আছে তাদের সাথে যদি আপনার সম্পর্ক থাকে সেক্ষেত্রে আপনিও ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন এই জন্য আমি চেষ্টা করি পুরোপুরি নিজেকে সেভ রাখতে। বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ছোটখাটো ঝামেলা লক্ষ্য করা যায় বরাবরই আমি সেগুলোর বিপক্ষে।
সাম্প্রতিক আমাদের সমাজে একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন অনেক কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে আমার মনে হয় এই কিশোর গ্যাং তৈরি হওয়ার পেছনে রাজনৈতিকতা সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে। তাছাড়া এই কিশোর গ্যাং এর পেছনে রাজনৈতিক নেতাদের শায় থাকে। সাধারণভাবে একটি বিষয় বিবেচনা করলে বোঝা যায় বাচ্চারা ছোট থেকেই বড়দের কে দেখে একটু হলেও ভয় পায়। যখন কিশোর বয়স হয় তখন হঠাৎ করেই তারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, একটা পুরোপুরি গ্যাং তৈরি হচ্ছে। আর একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা সেই গ্যাং এর মাধ্যমে নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। স্বাভাবিকভাবেই তারা সবসময় বড় রাজনৈতিক নেতাদের ছায়াতলে থাকে বলে সাধারণ মানুষ তাদেরকে কিছু বলতে পারে না যার কারণে তারা দিনের পর দিন আরও অধঃপতনে চলে যায়।
আবার আপনার এলাকায় যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেখবেন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দুইটা বা তিনটা পক্ষ তৈরি হবে যারা একে অপরকে শত্রু মনে করে। বিরোধীদলীয় নেতারা যেমন একে অপরকে কখনোই ভালো চায়না ঠিক একই ভাবে যারা এই রাজনীতির সাথে জড়িত থাকে নির্দিষ্ট একটি দলের নির্বাচনের কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করে তাদের মধ্যে একটা বিভেদ সৃষ্টি হয়। এমনকি নিজেদের মধ্যেও এই রাজনীতির কারণে বিভেদ সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকভাবেই আপনার কোন আত্মীয় যদি আপনার বিরোধিতা করে সেক্ষেত্রে আপনাদের দুজনের মধ্যেই কিন্তু সম্পর্কের ফাটল ধরবে আর এমন উদাহরণ আমাদের সমাজে অনেক আছে। দেখুন রাজনীতির কারণে যদি আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয় তাহলে আমি কেন নিজেকে রাজনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়াতে যাব বলেন। দুঃখের বিষয় এই রাজনীতির সিস্টেমটা শুধু আমাদের দেশেই বেশি দেখা যায়।
ভাই আমাদের সমাজে ছোট বড় যে সমস্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ হয় গ্রামে বা শহরে ছিনতাই ডাকাতি বা চাঁদাবাজি বলেন সবগুলোর সাথে কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সাথে একটা সম্পর্ক থাকে। যে সন্ত্রাস গোষ্ঠী চাঁদাবাজি করে একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে টাকা উত্তোলন করে তার কিছুটা পারসেন্টেন্স স্থানীয় নেতাদের পকেটে চলে যায় যার কারণে তারা চোখ বন্ধ করে সেগুলো সহ্য করে। আবার এমন ও হয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের যে সমস্ত কাছের লোক থাকে তারা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, যারা সাধারণ জনগণ বা তৎকালীন নির্বাচনের সময়ে বিরোধী দল ছিল তাদের প্রতি নানান হত্যাচার করা হয়। যারা শান্তিপ্রিয় মানুষ চোখের সামনে এই দৃশ্যগুলো দেখার পরে কখনোই রাজনীতি পছন্দ করবে না। হয়তো উন্নত দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গুলো ভিন্ন রকম হতে পারে তবে আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক এ সমস্ত কর্মকান্ডের কারণে বরাবরই রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি।
সাধারণত যে সমস্ত মানুষ মিথ্যার আশ্রয় নেয় তাদেরকে কেউই পছন্দ করে না। একজন রাজনৈতিক নেতা যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তার নির্বাচনী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যস্ত থাকে তখন জনগণকে বিভিন্ন রকমের উন্নয়নমূলক কাজের আশ্বাস দেয় কিন্তু যখন ক্ষমতায় চলে আসে তখন সেইসব পুরনো দিনের কথাগুলো ভুলে যায়। উন্নয়নমূলক যে সমস্ত কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে জনগণের কাছ থেকে ভোট নিয়েছে ক্ষমতার আসার পরে সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি শুধু সাজানো গল্প হিসেবে রয়ে যায়। তাছাড়া উপরমহল থেকে জনগণের জন্য যে বরাদ্দ আসে সেটা নিজস্ব নেতাকর্মীদের মাঝে বন্টন করে নেয় সাধারণ জনগণ বা গরিব মানুষের কাছে সেই অনুদানের ছিটেফোঁটাও আসে না বলা চলে। একটা দেশে যদি রাজনৈতিক নেতারা সাধারণ জনগণ এবং গরীব দুঃস্থ মানুষের কাছে অনুদান পৌঁছে দিত তাহলে হয়তো আজকের দিনে কেউ না খেয়ে থাকতো না বা অসহায় জীবনযাপন করত না সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারত।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |