মাত্রার অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। আপনি যদি মাত্রার অতিরিক্ত কাউকে ভালোবাসেন দেখবেন সে আপনাকে ঠকাবে সব ক্ষেত্রে সবকিছুর একটা লিমিট থাকা দরকার আর যখন লিমিট ক্রস করবেন তখন একটা নেগেটিভ দিক দেখতে পাবেন। সহজ কথায় বলতে গেলে কাউকে অধিক মূল্যায়ন করতে গেলেই সেটার একটা নেগেটিভ দিক খেয়াল করবেন। সমাজে কোন কিছুর অধিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হই আর সেরকম কিছু টপিক নিয়ে আজকে কথা বলার জন্য হাজির হলাম। মানুষ যখন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তখন তার নিজের ছোট ছোট ভুলগুলো বুঝতে পারে। হয়তোবা কোন কারণবশত আমি আমার কোন ভুল বুঝতে পেরেছি সেজন্যই আজকে এই টপিকটা নিয়ে কথা বলছি। তবে নিজের ব্যক্তিগত কথাগুলো খুব বেশি শেয়ার করব না। গোপন কথাগুলো কিছুটা গোপনে থাক তবে কিছু বাস্তব কেন্দ্রিক কথা শেয়ার করব। তবে আমি একটা বিষয়ে এখনো স্বীকার করি কমিউনিটিতে অনেক বিষয় আছে যেগুলো শেয়ার করলে মন অনেকটাই হালকা হয়। কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো কোথাও প্রকাশ না করলে নিজের মনের মধ্যে একটা অস্বস্তি বোধ কাজ করে তবে আমার নিজের ব্যক্তিগত চাপা পড়ে থাকা কথাগুলো বেশিরভাগ সময় কমিউনিটিতে শেয়ার করি যাতে মন হালকা হয়।

মূল্যায়ন এই শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আপনি যদি একজন মানুষকে মূল্যায়ন করেন তাহলে সে সবসময় আপনার পাশে থাকবে আর যদি আপনি কাউকে মূল্যায়ন না করেন তাহলে দেখবেন সে আপনার থেকে দূরে সরে গেছে তবে হ্যাঁ যদি অধিক মূল্যায়ন করেন তাহলে আপনি তার কাছে ঠকে যাবেন। আপনি আপনার বন্ধুদের কথায় চিন্তা করুন, ধরুন আপনি আপনার বন্ধুকে অনেক বেশি ভালোবাসেন তার প্রতিটা বিপদের মুহূর্তে আপনি পাশে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে কোন নেগেটিভ প্রভাব পড়বে না। বন্ধুদের মাঝে কিন্তু সব সময় কম বেশি ভুল বোঝাবুঝি হয়। হয়তো আপনার ছোট্ট একটা ভুলের কারণে সে আপনার উপর রাগ করেছে অথবা তার নিজের ছোট্ট একটা ভুলের কারণে আপনি তার উপরে রাগ করেছেন এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আপনি যখন আপনার বন্ধুর প্রতি অধিক দরদ দেখাতে যাবেন তখন সে আপনার প্রতি অনেকটাই চেপে বসবে। আপনি যদি নিজেই তার কাছে গিয়ে বারবার ছোট হন তাহলে দিন দিন তার কাছে আপনার নিজের গুরুত্ব কমতে থাকবে তাই আমার মনে হয় বন্ধুত্বের সম্পর্কেও অধিক মূল্যায়ন ভালো নয়।

একটা ছেলের প্রতি একটা মেয়ের ভালোবাসা জন্মাবে এটা কিন্তু স্বাভাবিক বিষয় হ্যাঁ আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ছেলেমেয়েরা একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করছে অনেকটা এখন কমন হয়ে গিয়েছে। চিন্তা করুন আপনি একটি মেয়েকে পছন্দ করেন। কিন্তু মেয়েটা আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু আপনি যখন মেয়েটার কাছে যাবেন বারবার কথা বলার চেষ্টা করবেন অধিক মূল্যায়ন দেয়ার চেষ্টা করবেন তখন দেখবেন মেয়েটা আপনাকে আরো নিচু চোখে দেখবে। সহজ কথায় বলতে গেলে যখন লিমিট পার করে যাবেন তখন মেয়েটি আপনাকে আর কোন দাম দিবে না। হ্যাঁ যদি মেয়েটির সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পরেও আপনি তাকে মাত্রার অতিরিক্ত মূল্যায়ন করেন তাহলে সে আপনাকে ছোট ভাবে দেখবে। সব ক্ষেত্রেই নিজের মূল্য দিয়ে সবার মাঝে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করলে সব সম্পর্কই স্বাভাবিক থাকে। আপনি তাকে পছন্দ করেন ঠিক আছে কিন্তু আপনি তার কাছে ছোট হবেন কেন??

তবে আমি যদি আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করি তাহলে পৃথিবীতে দুইজন মানুষকে অধিক মূল্যায়ন করা যায় আর এই দুজন মানুষকে অধিক মূল্যায়ন করলে নিজের মান আরো বৃদ্ধি পায় সেইসাথে সৃষ্টিকর্তাও তার প্রতি খুশি হবেন। হয়তো এই কয়েকটা লাইন পড়েই বুঝে গিয়েছেন এই দুজন কে হতে পারে?? হ্যাঁ যারা মা বাবার কথা চিন্তা করছেন তাদেরটাই আমার মতে ঠিক। কেননা আপনি মা এবং বাবাকে যতই মূল্যায়ন করেন না কেন তারা আপনাকে প্রতিনিয়ত ভালোবাসবে অধিক মূল্যায়ন করলে আপনাকে তারা আরো কাছে জড়িয়ে নিবে। আপনি যে অফিসে চাকরি করেন সেই অফিসের কলিগের কাছে ছোট হলে আপনার দাম কমে যেতে পারে কিন্তু আপনি বাবা-মায়ের কাছে প্রতিনিয়ত যদি মাথা নত করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা আপনার মূল্যায়ন বাড়িয়ে দিবে। কেননা মা বাবার বিকল্প পৃথিবীতে তো আর কিছুই নেই। সত্যি বলতে মা বাবার ভালোবাসার কথা বলে শেষ করা যাবে না তাদের ভালোবাসা নিয়ে যতই বলবেন সেটা যেন অতি ক্ষুদ্র হয়ে যাবে। তাই আমার মতে পৃথিবীতে একমাত্র মা-বাবা ছাড়া কাউকেই অধিক মূল্যায়ন করা ঠিক নয় কারণ একমাত্র মা-বাবাই অধিক মূল্যায়ন সন্তানের থেকে আশা করে।

মাত্রার অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না এই কথাটা কেন বললাম ধরুন আপনি নিজেকে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেখবেন আপনার আশপাশের কিছু লোক আপনাকে এত পরিমাণে মূল্যায়ন করে যেটা আপনি তাদের থেকে যতটা আশা করেন তার থেকেও বেশি। আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন এটা ভুল সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনার আশপাশের সেই মানুষগুলো সেই ভুল সিদ্ধান্ত টাকে সঠিক বলে আপনার প্রশংসা করবে আর তখনই বুঝতে পারবেন এরা হয়তো আপনাকে অধিক মূল্যায়ন দিয়ে আপনার থেকে কিছু একটা চাইবে। অর্থাৎ আপনাকে যে তারা অধিক মূল্যায়ন করছে সেটা কিন্তু তাদের স্বার্থের জন্যই। দেখবেন যখন তাদের স্বার্থ হাসিল হয়ে যাবে তখন তারা আর আপনার পাশে থাকবে না। তাই সবশেষে বলা যায় যেখানে দেখবেন অধিক মূল্যায়ন সেখানেই কোন নেগেটিভ দিক খুঁজে পাবেন। সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই একমাত্র মা-বাবা ছাড়া যারাই অধিক মূল্যায়ন করে তারাই নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan

আমার পরিচয়

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

Follow @amarbanglablog for last updates

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

_{Posted using SteemPro Mobile}