নদীর পাড়ে || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -১৯শে পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



20240103_121304_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



আমার মনে হয় প্রকৃতির সৌন্দর্য ভালো লাগে না এমন মানুষ পৃথিবীতে একজনও নেই। তবে এখন প্রচন্ড শীত তাই নদীর পাড়ে যেতে একটু ভয় লাগে কারণ নদীর পাড়ে প্রচণ্ড বাতাসে শীত দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাই নদী কেন্দ্রিক এলাকা গুলোতে খুব কম যাওয়া হয় আর যদি কুয়াশা ভেজা একদম নিম্ন চাপের আবহাওয়া থাকে তাহলে তো নদীকেন্দ্রিক এলাকায় না যাওয়াই ভালো তবে তারপরেও প্রকৃতির সন্ধানে অনেকেই কিন্তু নদীকেন্দ্রিক এলাকায় ছুটে যায়। যারা শহরে বাস করে তারা কিন্তু প্রকৃতি বেশি ভালোবাসে কারণ চার দেওয়ালের মাঝে জীবন পার করে অনেকটাই অতিষ্ঠ তাই প্রকৃতির মুক্ত পরিবেশে ছুটে চলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আমার মামার পরিবার ঢাকায় থাকে আর এই শীতের ছুটিতে তারা বাড়িতে এসেছে তাই সবসময় সরিষা-মাঠ আর নদী কেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে ঘুরতে যেতে চায়। আজ চারদিন ধরে প্রচন্ড শীত আর কুয়াশায় চারিদিকে অন্ধকার বোঝা যাচ্ছে এখন শীত শুরু হয়েছে। গোসল করতে গেলে বোঝা যায় শীত কাকে বলে হা হা হা।



20231231_110025.jpg

20231231_110153.jpg

20231231_110248.jpg

20231231_110259.jpg

20231231_110302.jpg



আবহাওয়াটা সকাল থেকেই অন্ধকার মামাতো ভাই বলছিল ভাইয়া অনেকদিন তো বাড়িতে থাকলাম আসলাম ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় চলে আসলো কিন্তু আপনি বলেছিলেন বাহাদুরপুর নদীর পাশে ওই পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাবেন কিন্তু আপনি তো নিয়ে গেলেন না। আমি তখন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম আজকে আবহাওয়া ভালো না প্রচন্ড শীত লাগছে আর নদীর তীরে গেলে আরো বেশি শীত লাগবে কিন্তু সে কিছুতেই মানতে রাজি হলো না তাকে বাধ্য হয়ে বাহাদুরপুর নদীর পাশের পার্কে নিয়ে গেলাম। এখন নদীতে পানি নেই তাই এখানকার সৌন্দর্যটা কতটা ভালো লাগবে না। তারপরেও মামাতো ভাইয়ের ইচ্ছা হয়েছে নৌকার উপরে বসে ছবি তুলবে তাই যেতেই হবে। প্রচন্ড শীত তাই ভালোমতো শীতের কাপড় পড়েই বাইক নিয়ে ধীরে ধীরে রওনা হলাম যদিও আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয় যেতে অল্প একটু সময় লাগে। যাইহোক সেখানে গেলাম গিয়ে দেখলাম নদীর তীরে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস আমার তো আরো শীত বেশি লাগছিল যেহেতু বাইক চালিয়ে গিয়েছি। প্রথমেই গিয়ে নৌকার উপরে বসলাম আর মামাত ভাইয়ের কিছু ছবি তুলে দিলাম। সেই সাথে কুয়াশায় মোড়ানো শাখা নদীর ছবি তুললাম যদিও নদীতে খুব একটা পানি নেই।



20231231_110312.jpg

20231231_110323.jpg

20231231_110326.jpg

20231231_110333.jpg

20231231_110338.jpg

20231231_110504.jpg

20231231_110605.jpg

20231231_110608.jpg

20231231_110619.jpg



চারিপাশটা একদম নিরিবিলি পরিবেশ আশপাশের কোন লোক জোর নেই কারণ নদীর এলাকায় প্রচন্ড বাতাস আর এই শীতের সময় ঠান্ডা বাতাসে ইচ্ছা করে কেউ নদীর পাড়ে আসে না। আমি নদীর আশপাশের অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যেন চারিদিকে একদম জনমানবীহীন। তাছাড়া চারিদিকে কুয়াশায় ঘেরা এ জন্য কোন লোকজন আসেনি রোদ উঠলে অবশ্য লোকজন নদীর পাড়ে যে জমিগুলো আছে সেই জমি দেখাশোনার জন্য নদী পারাপার হয়। আর আশপাশে যে কয়েকটি ছোট ছোট কফির দোকান আছে সেগুলো শুধু বিকেল বেলায় খোলা হয় যেহেতু আমরা সকালে গিয়েছিলাম তাই দোকানগুলো থেকে আর কিছু খাওয়া হয়নি কারণ দোকান বন্ধ ছিল। তবে এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় যদি একটা হট কফি হয় তাহলে কিন্তু ফিলিংসটা অন্যরকম হয় বা একটা লাল চা হলেও বেশ দারুন অনুভূতি হয়। সত্যি বলতে আমি কিন্তু সেখানে এক কাপ চা খুব মিস করেছি। যাই হোক আমি যেখানে বাইক রেখেছিলাম সেখানে যেতেই লক্ষ্য করলাম নদীর পাড়ে অনেকগুলো হাঁস।



20231231_110646.jpg

20231231_110649.jpg

20231231_110650.jpg

20231231_110658.jpg



হাঁস গুলো দেখেই দৌড়ে এগিয়ে গেলাম ভেবেছিলাম যদি হাঁস গুলোর কোন সুন্দর ছবি তোলা যায় তাহলে তো ফটোগ্রাফি পর্বে শেয়ার করতে পারব। আমি হাঁস গুলোর ছবি তোলার জন্য যত কাছে যাচ্ছিলাম হাঁসগুলো আমার দেখে ভয় পেয়ে তারা তত দূরে যাচ্ছিল। এভাবে একপর্যায়ে তারা পানিতে নেমে পড়ল কিন্তু আমার আর ছবি তোলা হলো না তখন উপর থেকে আমার মামাতো ভাই হাসতেছিল আর বলতেছিল ভাইয়া হাঁসগুলো আপনাকে দেখে ভয় পেয়েছে তাই পানিতে নেমে পড়েছে। তবে হাঁসগুলো দূরে ক চলে গেলেও সেই মুহূর্তে যে ছবিগুলো তুলেছিলাম সেগুলো শেয়ার করেছি পরবর্তীতে আবার ঘাটে কয়েকটি নৌকা বাধা ছিল সেই নৌকাগুলোর ছবি তুলেছিলাম যদিও আমরা যে নৌকায় উঠে ছবি তুলেছিলাম সেটাও অবশ্য ঘাটে বাঁধা ছিল।

মূলত পরশুদিন যদি মামাতো ভাই এরকম আবদার না করতো তাহলে হয়তো আজকের এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারতাম না। কমিউনিটিতে অনেকেই শহরে বাস করে যারা শহরে বাস করে তাদের অবশ্য এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালো লাগার কথা। সকালের কুয়াশা ভেজা ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে গিয়ে নদী পাড়ে কিছু সময় পার করেছিলাম আর যে ছবিগুলো শেয়ার করেছি তার সবগুলোই তো উপরে তুলে ধরেছি এই সৌন্দর্যগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে পোস্টের নিচে জানিয়ে দিবেন।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়জানুয়ারি,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120530-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকলেই পছন্দ করে থাকে। পাশাপাশি সেটা যদি হয়ে থাকে নদীর পাড়,পাশের ফসলের জমি। যেখানে রয়েছে সরিষা ক্ষেতের মত সুন্দর দৃশ্য এগুলো উপভোগ করতে কার না মন চায়। অনেক সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে নদীর বুকে ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য পাশাপাশি নদীর পাশে থাকা পার্কের দৃশ্য ফটোগ্রাফি করে উপস্থাপন করেছেন। আর সে বিষয়ে বর্ণনা শেয়ার করেছেন। আর আপনার এই সুন্দর পোস্ট দেখতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57899.47
ETH 3134.16
USDT 1.00
SBD 2.39