বাণিজ্য মেলা (পর্ব-০১) || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৭ই জ্যৈষ্ঠ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আমরা বন্ধুরা মিলে সব জায়গায় কমবেশি ঘোরাঘুরি করি। ইচ্ছে হলেই বেরিয়ে পড়ি দর্শনীয় সব জায়গাগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তবে আমাদের কুষ্টিয়াতে অনেক দেখার মত জায়গা আছে। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকেরা আমাদের কুষ্টিয়াতে দর্শনীয় স্থানগুলো উপভোগ করতে আসে। যাই হোক প্রতি বছরই আমাদের কুষ্টিয়াতে বাণিজ্য মেলা হয়। অনেকেই হয়তো পোষ্টের টাইটেল বা কভার ফটো দেখে ঢাকা বাণিজ্য মেলার কথা মনে করতে পারেন কারণ পোস্টে আমি কুষ্টিয়া বাণিজ্য মেলার কথা উল্লেখ করিনি শুধু বাণিজ্য মেলার কথা উল্লেখ করেছি। ঢাকায় বাণিজ্যমেলা হয় শীতের প্রথম দিক থেকে মাঝ শীতের আশেপাশে আর আমাদের কুষ্টিয়াতে বাণিজ্য মেলা হয় শীতের শেষে। অর্থাৎ যখন হালকা শীত থাকে। তবে আজকে যে বাণিজ্য মেলার গল্পটা শেয়ার করব সেটা ২০২৩ সালের ঘটনা। আসলে বিভিন্ন পোষ্টের মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি এই জন্য আজকে ভাবলাম পুরনো অ্যালবাম থেকে বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
সেই সময়ে রাহুল বাড়িতে ছিল সকালবেলা রাহুল বলছিল কুষ্টিয়াতে বাণিজ্য মেলা হচ্ছে একটু গিয়ে দেখে আসার দরকার। তবে বাণিজ্য মেলায় যেতে হলে অবশ্যই রাতের বেলায় যেতে হবে। রাতের বেলায় ছাড়া বাণিজ্য মেলায় মজা লাগেনা তাই প্ল্যানিং করছিলাম আমরা রাতের বেলায় বাণিজ্য মেলায় যাব। সকালের দিকে কথাবার্তা পাকা করে সময় ঠিক করলাম বিকেলের দিকে বাসা থেকে বের হব। বিকেল বেলায় আমরা সোজা আমাদের দোকানের সামনে থেকে সবাই একসাথে রওনা দিলাম। যাওয়ার পথে কুমারখালী নতুন ব্রিজের উপরে কিছু সময় দাঁড়ালাম কারণ বিপরীত দিকে সূর্যটা দারুন লাগছিল সবাই কম বেশি কয়েকটি ছবিও তুলেছিলাম। সেখান থেকে সোজা কুষ্টিয়া সরকারের কলেজে যাওয়ার কথা ছিল কারণ আমরা আগেই জানতাম সেখানে আজকে অনুষ্ঠান আছে। সেই সময় যারা ফাইনাল ইয়ার ছিল তাদের বিদায় অনুষ্ঠান এবং যারা অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে তাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। যেহেতু রাতের বেলায় বাণিজ্য মেলায় যাব তাই বিকেলটা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠান দেখে পার করার ইচ্ছা ছিল।
কলেজ মাঠে বাইক রেখে আমরা সোজা স্টেজের পাশে চলে গেলাম। কিছু সময় বসে বসে বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথাও বললাম। কয়েকজন বড় ভাই ছিল তাদের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক তাই তাদের সাথে অনেক সময় গল্প করলাম। তারি মাঝে মাগরিবের আজান হয়ে গেল তখন পুরোপুরি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হলো। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাহুল সরকারি কলেজের মসজিদে নামাজ পড়তে গেল আর আমরা সবাই কলেজ মাঠে গিয়ে বসলাম। কলেজ মাঠের পুকুর পাড়ে আমাদের বাইক রাখা ছিল আমরা বাইকের উপর গিয়েই বসে গল্প শুরু করলাম আবার। সময়টা যেন দ্রুতই পার হয়ে যাচ্ছিল সন্ধ্যা হয়ে আসলো। রাহুল নামাজ শেষ করে আসার পরে বলছিল গড়াই নদীর পাড়ে গিয়ে কিছু সময় বসব। কুষ্টিয়া শহরের পাশ দিয়ে গড়াই নদী বয়ে চলেছে আর গড়াই নদীর উপর দিয়ে হরিপুর ব্রিজ। যেটা কুষ্টিয়া শহরের একটা দর্শনীয় স্থান বলা যেতে পারে। সেই সময়ে নদীতে খুব বেশি পানি ছিল না তাই ব্রিজের নিচে বসার মত দারুণ জায়গা তৈরি হয়েছিল আমরা সেখানে গিয়েই অনেক সময় বসে ছিলাম। কেননা বাণিজ্য মেলায় যেতে হলে রাতের বেলায় যেতে হবে তাই এদিকে এসে কিছুটা সময় কাটিয়ে রাতের বেলায় বাণিজ্য মেলায় ঢুকবো বলে অপেক্ষা করছিলাম। চারিদিকে পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে গিয়েছে নদীর পাড়ে হালকা ঠান্ডা বাতাস তখনো মোটামুটি শীত আছে বেশ ভালোই লাগছিল আবহাওয়াটা তবে খুব বেশি সময় বসে থাকার মত সময় ছিল না তাই আবার বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
প্রথমে গিয়েই বাণিজ্যমেলার বাইক পার্কিংয়ের স্থানে গিয়ে বাইক রাখলাম। একটা ফাঁকা মাঠের চারপাশটা বাঁশ দিয়ে ঘিরে বাইক পার্কিংয়ের জায়গা তৈরি করা হয়েছে আর তার সামনের অংশে দুইজন লোক চেয়ার পেতে বসে আছে। তারা স্লিপ দিচ্ছে আর বাইক পার্কিংয়ের টাকা নিচ্ছে। সেখানে বাইক রেখে দুইটা বাইকের জন্য ৪০ টাকা দিয়ে একটি স্লিপ নিয়ে আমরা বানিজ্য মেলার দিকে হাটতে হাঁটতে রওনা হলাম। মূলত বানিজ্য মেলার মেনগেটের আশপাশে যেন বাইকসহ অন্যান্য যানবাহন যেতে না পারে তার জন্য বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সবাই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে বাণিজ্য মেলার মধ্যে প্রবেশ করছে। আমরা চারজন ছিলাম, চারজন একসাথে বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার জন্য টিকিট সংগ্রহ করে মেনগেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। তখন বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার জন্য প্রতিটা টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ টাকা। আমরা আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম বাণিজ্য মেলার প্রবেশ করার পরে বাম পাশ দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসবো তবে বেশ কয়েকটি গলি থাকায় সেটা আর সম্ভব হয়নি একদিক থেকে ঘুরতে ঘুরতে বিষয়গুলো দেখছিলাম তবে সেখানে শুধু মেয়েদের কেনাকাটার সব জিনিসের দোকান ছিল। আর ছেলেদের জন্য শুধু খাওয়া দাওয়া করার কিছু দোকান ছিল তবে ছেলেদের পোশাক-আশাকের মধ্য শুধু ব্লেজার ছিল। ছবিগুলো উপরের যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেটা বাণিজ্য মেলার মধ্য থেকে তোলা।
বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার পরে কয়েকটি ছবি তোলা হয়েছিল তার কিছু অংশ উপরে শেয়ার করা হয়েছে বাকিটা দ্বিতীয় পর্বে শেয়ার করব সেই সাথে ভেতরে ঘটে যাওয়া একটি মজার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | মে,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
https://x.com/KaziRai39057271/status/1792901261508911473
ভাই আপনি অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন মেলায়। আমি ও কিছু দিন আগে গেছিলাম মেলায়। মেলা মানেই আনন্দ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যখন কুষ্টিয়া শহরে থাকতাম তখন প্রতিবছরই কুষ্টিয়ার বাণিজ্য মেলায় যেতাম ভীষণ ভালো লাগতো। শীতের সময় বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলে শীত লাগবে এটাই তো স্বাভাবিক বন্ধু। বাইক রাখতেও ২০ টাকা করে নিয়েছিলো মেলায় ঢোকার টিকিট ও বিশ টাকা করে নিয়েছিল দারুন ব্যাপার তো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ বন্ধু।
আজ গরিব বলে বাণিজ্য মেলায় যেতে পারি না। এমন মেলায় সবাই মিলে গেলে অনেক বেশি মজা হয়। বাণিজ্য মেলায় গ্যারেজ আলাদের অনেক বেশি ইনকাম হয় বাইক প্রতি ২০ টাকা করে নিলে অনেক টাকা।
পুরনো অ্যালবাম থেকে বাণিজ্য মেলার কাটানো মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে এটা ঠিক, যে কোন মেলাতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের জিনিসপত্র গুলো খুব বেশি দেখা যায়। মেলায় প্রবেশের প্রথম গেটটা খুব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।