ড্রাগন ফল বাগান || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২রা ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বর্ষাকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



20230817_115041_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার জন্য অনেকেই ফল খেয়ে থাকে। আসলে শুধু মাছ-মাংসই যে আমিষ আছে এমনটা নয় উদ্ভিদেও আমিষ থাকে কেননা আমিষ দুই ধরনের হয়ে থাকে এক ধরনের আমি প্রাণিজ হয় আর অন্য ধরনের হচ্ছে উদ্ভিদ আমিষ। যেমন সিমের বিচিতে উদ্ভিদামিষ থাকে। যাইহোক অল্পতেই শেষ করি, ড্রাগন ফলের নাম হয়তো আমরা সবাই শুনেছি তবে ফলটা অনেকটাই আনকমন। আপেল কমলা মাল্টা এগুলোর কথা শুনলে আমরা সবাই বলতে পারব এর টেস্ট গ্রহণ করেছি কিন্তু অনেকেই হয়তো এখনো ড্রাগন ফল খাইনি। আমরা ড্রাগন ফলের বাগানে ঘুরতে গিয়েছিলাম আর আজকের পোস্ট সেই আঙ্গিকেই তুলে ধরবো। তবে আমার কাছে ড্রাগন ফলের টেস্ট অতটা ভালো লাগে না আমি সর্বপ্রথম ২০১৮ সালের ড্রাগন ফল খেয়েছিলাম। অন্যান্য ফল খাওয়ার পর যে একটা টেস্ট পাওয়া যায় আমার কাছে এই ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে তেমন কোন টেস্ট মনে হয় না। তবে ইউটিউবে অনেক পোস্টে এই ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে পড়েছি এবং ভিডিও দেখেছি। চলুন তাহলে বিস্তারিত নিয়ে কথা বলি।



20230814_105740.jpg

20230814_105733.jpg

20230814_105133.jpg

20230814_105123.jpg



আমি একদিন একটি নিউজে দেখলাম কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ হাইওয়ে রাস্তার পাশে ড্রাগন ফল বিক্রয় করা হয় আর যেখানে ড্রাগন ফল বিক্রয় করা হয় তার পেছনেই ড্রাগন বাগান অর্থাৎ একদম টাটকা ড্রাগন ফল সেখানে পাওয়া যায়। আসলে আমরা ফলের দোকানের যেসব ফলগুলো কিনতে পাই তার বেশিরভাগই থাকে মেডিসিন দেওয়া এবং অনেকদিন যাবত সেগুলো বহন করে নিয়ে তারপরে দোকানে বিক্রি করা হয় তবে এরকম গাছ থেকে সংগ্রহ করা টাটকা ফল সব সময় তো পাওয়া যায় না। আমরা এই ড্রাগন ফলের টেস্ট নেওয়ার জন্য চলে গেলাম সেই কুষ্টিয়া ঝিনাইদ হাইওয়ের পাশে অবস্থিত ড্রাগন ফল বাগানে। আমরা প্রথমে গিয়ে সেখানে বাইক থামিয়ে দোকানদারের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম এই ফল বাগানের মালিক তিনি কিনা?? তিনি আমাদের কাছে বললেন এই জমির মালিক সহ এই বাগানের ও তিনিই মালিক। এমনকি পাশে কিছু জমি লিস্ট নিয়ে এ বাগানের পরিধি তিনি বড় করছেন। এই বাগান থেকে যে ড্রাগন ফল হয় সেটা কুষ্টিয়া সহ ঝিনাইদহ শহরে সাপ্লাই দেওয়া হয়। তবে যেহেতু জায়গাটা ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে তাই বেশিরভাগ সময় ঝিনাইদহ তেই ড্রাগন পাঠানো হয়। বাগান মালিকের সাথে কিছু সময় কথা বলার পরে আমরা তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাগান দেখার উদ্দেশ্যে রাস্তা থেকে নিচের দিকে নেমে পড়লাম। রাস্তা থেকে নামার পরেই দূর থেকে উপরে যে ঘর তুলে রাখা হয়েছে সেই দৃশ্যটা চোখে পড়ে তারপর ড্রাগন ফল বাগানের দৃশ্যটা চোখে পড়ে। দূর থেকেই আমি ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তোলা শুরু করলাম যে ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।



20230814_105051.jpg

20230814_105038.jpg

20230814_105035.jpg

20230814_105018.jpg

20230814_105006.jpg

20230814_104946.jpg

20230814_104937.jpg

20230814_104918.jpg

20230814_104909.jpg

20230814_104838.jpg

20230814_104813.jpg



আমরা ধীরে ধীরে সবাই মিলে বাগানের দিকে এগিয়ে গেলাম। বৃষ্টি হয়েছিল বলে মাটিতে অনেকটাই কাদা জমে ছিল তাই যেতে একটু কষ্ট হয়েছিল যাই হোক অনেক দূর থেকে এই ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে এসেছি এতটুকু কষ্ট আমাদের কাছে কিছুই না। সত্যি বলতে ড্রাগন ফল তো অনেক দেখেছি কিন্তু ড্রাগন ফলের গাছটা কি রকম হয় সেটা সম্পর্কে আসলে কোন ধারণা ছিল না তাই ড্রাগন ফল গাছ দেখা মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেখানে যাওয়ার পরে ড্রাগন ফল গাছটি দেখতে পাই আর যদি এই ফল গাছের সৌন্দর্যের কথা বলি তাহলে অদ্ভুত রকমের ছিল কারণ এ ধরনের গাছ সাধারণ দেখা যায় না। গাছ গুলোকে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে রাখার জন্য সিমেন্টের তৈরি খুঁটি দিয়ে রাখা হয়েছে যার উপর ভর করে গাছগুলো দাঁড়িয়ে থাকে। গাছের কোথাও কোথাও ফুল এসেছে আবার কোথাও কোথাও ছোট্ট আকারে ড্রাগন ফল ধরেছে যেটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। যদি উপরের ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কতটা জমি ঘিরে এই ড্রাগন বাগান করা হয়েছে। আর উপরের যে ঘরটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা তৈরি করা হয়েছে কারণ যাতে রাতের বেলায় কেউ এসে এই ড্রাগন বাগান থেকে ড্রাগন ফল গুলো চুরি করতে না পারে তাই উপরে ঘর তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে পুরো বাগানটা দেখতে পারবে।



20230814_104743.jpg

20230814_104729.jpg

20230814_104724.jpg

20230814_104900-01.jpeg

20230814_104752.jpg

20230814_104520.jpg



ড্রাগন ফল বাগানে সিরিয়াল অনুযায়ী গাছ লাগানো হয়েছে আর মাঝ দিয়ে ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে যেন গাছসহ ফলগুলোতে সবসময় পর্যাপ্ত আলো বাতাস লাগে। গাছ এবং ফলগুলোতে সবসময় পর্যাপ্ত আলো বাতাস লাগলে ফলগুলো নষ্ট হয় না আর গাছগুলো সতেজ থাকে। যদি ছবিগুলা ভালোভাবে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন মাঝখান দিয়ে যে ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে সে জায়গাগুলোর দিকেই গাছের ডাল গুলো ধেয়ে আসছে আর ডালের মাথায় ড্রাগন ফল ধরেছে। আসলে সেখানে গিয়ে এই ছবিগুলো তোলার সময় ফিক্সড করে রেখেছিলাম যে এই ছবিগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করব তাই ভাবলাম ড্রাগন বাগানকে সঙ্গে করে নিজেও একটি ছবি উঠি। যাই হোক সেখানে আরো কিছু ছবি তোলার পরে আমরা আবার হাইওয়ে রাস্তার উপরে ফিরে আসি কারণ সেখানে বাগান মালিক বসে ফল বিক্রি করছে। ফিরে আসার পরে তিনি আমাদের কাছে ২৬০ টাকা কেজি করে ড্রাগন ফল বিক্রি করলেন যদিও এটা শহরে কিনতে গেলে ৩৫০ টাকার উপরে লাগবে। আর যদি আপনি ঢাকা শহরে কিনতে চান তাহলে আরও বেশি লাগবে। তবে এই ড্রাগন ফল দিয়ে ড্রাগনের জেলি তৈরি করা হয় যেটা তিনি আমাদেরকে খাওয়াতে চেয়েছিলেন তবে সেটা যেহেতু চিনিসহকারে কৌটা থেকে রাখা হয়েছে তাই আমরা আর সেটা খাইনি কারণ আমরা অনেক দূর থেকে গিয়েছিলাম ন্যাচারাল গাছের ফলটি টেস্ট করার জন্য।

পরবর্তীতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাগান মালিকের সাথে কথা বলে আমরা আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। আসলে বাইক থাকলে যে কোন জায়গায় যাওয়া সহজ যেমন আমরা খুব সহজেই ড্রাগন ফলের বাগান থেকে ঘুরে আসতে পেরেছিলাম।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়আগষ্ট,২০২৩



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG-20211015-WA0027.jpg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  
 last year 

ড্রাগন ফল বাগান দেখতে তো অনেক বড়। ড্রাগন গাছের ফুল দেখতে অসাধারন লাগতেছে। আমিও কিছুদিন আগে ড্রাগন ফল কিনেছিলাম ২৫০ টাকা করে। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

 last year 

তাহলে তো তুলনামূলক কম দামে কিনেছিলেন।

 last year 

বাগানটি আমিও দেখেছি আপনিও সাথে ছিলেন কিন্তু এই ড্রাগন ফল আপনার খাওয়া হয়নি। আসলে সবই বরাত যেটা অনেক মজাদায়ক আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ড্রাগন ফলের কালারটা খুবই সুন্দর ছিল।

 last year 

ধন্যবাদ বন্ধু।

 last year 

ড্রাগন ফল খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের বাসায় ছাদেও ড্রাগন ফলের গাছ আছে। আমাদের এখানেও ড্রাগন ফলের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মত। আপনি ২৬০ টাকা করে কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। ড্রাগন ফল বাগানে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

হয়তো শহরে নিয়ে যেতে অনেক খরচ হয় বলে একটু বেশি দামে কিনতে হয়।

 last year 

আপনারা তো তাহলে অনেক দূর থেকে ড্রাগন ফলের বাগানটি দেখতে গিয়েছিলেন দেখছি ভাই। ড্রাগন ফল আমিও একবার খেয়েছিলাম ,তবে আমার কাছেও আপনার মত খুব বেশি ভালো লাগেনি সেটি খেতে। তবে সত্যিই এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রথমবার ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে পেরে খুশি হলাম।

 last year 

তাহলে আমার এই পোস্ট অনেকটাই সার্থক কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি প্রথম ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে পেলেন।

 last year 

আপনারা ড্রাগন ফলের বাগান ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি তো দেখছি ২৬০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন ফল কিনতে পেরেছেন। কালকে আমি ড্রাগন ফলের দাম জিজ্ঞাসা করলাম তারা বলল ৩৪০ টাকা কেজি। আর বাজারে যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেখানে প্রচুর পরিমাণে মেডিসিন ব্যবহার করা হয়।

 last year 

হয়তো বাগানে সব ফলের দাম একটু কম থাকে।

 last year 

জী ভাইয়া আপনি সঠিক তথ্য শুনে ড্রাগন বাগান পরিদর্শন করেছেন। আমার এক বন্ধু এবং কলিগ তাদের দুই তিনটা জমিতে ড্রাগন চাষ করে থাকে। আমার জন্য মাঝ মাঝে ঝিনাইদহ থেকে নিয়ে আসে। খেতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ।

 last year 

আপনিও একদিন খেতে আসুন।

বাইক থাকলে আসলেই, যে কোন জায়গাতেই সহজে পৌঁছে যাওয়া যায়। সেজন্য আপনি বহুদূর থেকে ড্রাগন ফলের বাগানে ঘুরতে গিয়েছিলেন, আসল ফলের স্বাদ নেওয়ার জন্য। যেহেতু ওখানে ড্রাগন ফলের বাগান , তাই বেশ কম দামেই পেয়েছেন দেখছি ফলগুলি। আসলে এই ফলের প্রচুর দাম, আবার সব সময় সব জায়গাতে এই ফল পাওয়া যায় না।

 last year 

হ্যাঁ বাজারের তুলনায় সেখানে অনেকটাই দাম কম।

 last year 

আমি আগে কখনো ড্রাগন ফলের গাছ দেখেছিলাম না ওই দিনই প্রথম। সবাই মিলে বেশ মজা করেছিলাম এবং ড্রাগন ফল খেয়েছিলাম। সারা পথ জার্নি করার পরে হাজার ক্লান্তি এক নিমিষেই দূর হয়ে গেছিল বাগানের এবং চারিদিকের পরিবেশ দেখে। ইনশাল্লাহ সবাই মিলে আবার যাবো একদিন।

 last year 

হ্যাঁ ভাই অনেক মজা হয়েছিল কিন্তু আবার যেতে হবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42