শান্তি চাই || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২৮ শে পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



20240112_070240_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



রাজনীতি নিয়ে কমিউনিটিতে কোন পোস্ট করা বারণ তাছাড়া আমি নিজেও রাজনীতি পছন্দ করি না এ বিষয়ে অবশ্য কমিউনিটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আমি সব সময় নিজেকে একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে তুলে ধরতে পছন্দ করি। কোন দলের হয়ে বড় নেতা হওয়ার স্বপ্ন কখনোই দেখিনি। গত সাত তারিখের বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে তবে নির্বাচন শেষ হলেও এখনো বিভিন্ন এলাকায় শান্তি ফেরেনি। আর সাধারণ মানুষ চায় যে দলই ক্ষমতায় আসুক দেশের যেন শান্তি ফিরে আসে। শান্তি প্রিয় মানুষগুলো যেন দিশেহারা হয়ে গেছে কোন দিকে গেলে শান্তি খুঁজে পাবে সেটাই বুঝতে পারছে না। দুই পক্ষ একে অপরের সাথে মারামারি , ভাঙচুর সহ তাদের অধিপত্য দেখাচ্ছে কিন্তু মাঝ থেকে সাধারণ জনগণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তবে বিশেষ করে যারা দিনমজুর সহজ কথায় বলতে গেলে দিন এনে দিন খায় তারা এই অবস্থার জন্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক পরিবার তো না খেয়ে ও রাত পার করছে।

সাম্প্রতিক আমাদের এলাকার কথায় বলি, নির্বাচনের সময় দুইটা পক্ষ ছিল যারা আগে থেকেই একে অপরের প্রতি রেগে ছিল। নির্বাচন শেষে ট্রাক মার্কা জয় লাভ করেছে আর নৌকা মার্কার পরাজয় হয়েছে। এখন যারা নৌকা মার্কার ভোটার ছিলেন বা নৌকা মার্কার ভোট চেয়েছেন তাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত হামলা করা হচ্ছে লুট করা হচ্ছে। আবার নিউজে দেখেছি অনেক নৌকা মার্কার লোকেরা ট্রাক মার্কার লোকেদের বাড়িতে হামলা করছে লুটপাট করছে। এর মাঝে সাধারণ জনগণ দরিদ্র পরিবার গুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিউজ দেখতে গেলেই সামনে আসতে নির্বাচনের পরের সব সহিংসতার ঘটনা। দেশে আসলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় শান্তি আর ন্যায় পরায়ন অব্যাহত রাখার জন্য কিন্তু নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সহিংসতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন শেষ হয়েছে এখন উচিত সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ এটা সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। যারা শান্তিপ্রিয় মানুষ তারা কিন্তু চাইছে সমাজের পরিবেশটা আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাক। একজন দোকানদার সকালে গিয়ে তার দোকান খুলে বিক্রি করুক আর একজন ক্রেতা নির্ভয়ে, দোকানে গিয়ে তার প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো কিনবে। কিন্তু এখন উভয়ের মাঝেই একটা ভয় কাজ করছে।



আমি যদি একজন দিনমজুর ব্যক্তির কথা বলি তাহলে তার দুঃখের শেষ নেই। ধরুন আপনার এলাকায় একজন দিনমজুর আছে সে অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের পরিবারকে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করে। এখন সেই দিনমজুর যে বাড়িতে কাজ করে সেই বাড়িতে যদি এরকম ভাঙচুর লুটপাট হয় তাহলে দিনমজুর তো আর তার কাজ করতে পারবেনা আর সেই বাড়ি থেকে টাকাও নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারবে না। আবার যদি অন্যভাবে চিন্তা করেন দিনমজুর যে বাড়িতে কাজ করে সেই বাড়ির লোকজন যদি অন্য কোন বাড়িতে ভাঙচুর করে আর পুলিশের ভয়ে তারা যদি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তাহলে সেই দিনমজুর কোন বাড়িতে গিয়ে কাজ করবে?? তাই আমার মনে হয় এই পরিস্থিতির জন্য সাধারণ জনগণ আর যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। এক পর্যায়ে এই নিরীহ মানুষগুলোই কিন্তু না খেয়ে অনাহারে জীবন যাপন করছে। তবে আমরা সবাই চাই আমাদের আশপাশের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যায় সাধারণ মানুষগুলো তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাক নির্ভয়ে জীবন যাপন করুক। কেননা একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিটা মানুষের নির্ভয়ে স্বাধীন জীবন যাপন করার অধিকার রয়েছে।



গতকালকে একটি নিউজে যখন একজন মায়ের আহাজারি শুনলাম তখন আসলেই বেশি খারাপ লাগলো। কতটা নিচু মনের মানুষ হলে একজন মায়ের বয়সী মানুষের উপর নির্যাতন করা যায়। নিউজে দেখলাম নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বাড়িতে হামলা করা হয়েছে যদিও বাড়িতে কোন সদস্য ছিল না তারা সবাই আগে থেকেই পলাতক তবে সেই বাড়িতে যে মহিলা সদস্যরা ছিল তাদের উপরও নির্যাতন করা হয়েছে সেই সাথে বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে আসলে এটা কেমন মানবিকতার কাজ সেটা আমার মাথায় আসেনা। মানুষ যে ক্ষমতা পেলে সেটার অপব্যবহার করে নিউজটা থেকে তার আরও একটি প্রমাণ পেলাম। শুধু শুধু রাজনৈতিক ইস্যু নিজেদের মধ্যে টেনে নিয়ে এলাকার মানুষের সাথে বা প্রতিবেশীদের সাথে এরকম ঝামেলা সৃষ্টি করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন এদেরকে ভুল বোঝার তৌফিক দান করেন আমিন।



মানুষ নিজেদের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সেটা শান্তি বয়ে নিয়ে আসে। প্রতিটা মানুষই তার জীবনে শান্তি চায় তবে কিছু শ্রেণীর মানুষের জন্য অশান্তির সৃষ্টি হয়। পাড়া প্রতিবেশী সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে নিজের আত্মীয় যারা থাকবে তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকবে কারো প্রতি কোন হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না তাহলে সমাজের কালচার টাই বদলে যাবে যেন মনে হবে এক টুকরো সুখের রাজ্যে আমরা বাস করছি। আসলে প্রতিটা শান্তি প্রিয় মানুষই এমনটা আশা করে কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয় কিভাবে কারণ একশ্রেণীর মানুষ তো চায় সমাজে ঝামেলা সৃষ্টি করতে আর সেটার ফায়দা নিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করবে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তারা কিন্তু এরকম পরিস্থিতির কারণে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি আবার আমরা যদি কোথাও ঘুরতে যেতে চাই তাহলে সে ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি আমাদেরকে একটা হুমকির মুখে ফেলে তাই সার্বিক দিক দিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। আশা করছি এই ভোগান্তি খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে এবং আমরা আবার আগের মতো শান্তি ফিরে পাবো নিজেদের স্বাধীনতা ফিরে পাব।





🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231121_224724-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61098.19
ETH 2625.94
USDT 1.00
SBD 2.63