শীতের কেনাকাটা || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৮শে মাঘ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
শীত তো চলে গেল কিন্তু শীতের কেনাকাটা নিয়ে এখনো কোনো পোস্ট শেয়ার করা হয়নি। তাই হালকা হালকা শীত থাকতেই আবার হাজির হলাম শীতের কেনাকাটা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। মূলত শীতের আগে অর্থাৎ নভেম্বরে কেনাকাটা করেছিলাম কিন্তু পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পোষ্টের মাঝে শীতের কেনাকাটা নিয়ে এই পর্বটি শেয়ার করা হয়নি তাই আজকে ভাবলাম শীত চলে যাচ্ছে তাই শীতের কেনাকাটার পর্ব টা শেয়ার করি। মূলত হাতে টাকা থাকলেই কমবেশি কেনাকাটা করা হয় আর যখন একটু বেশি টাকা পয়সা থাকে তখন তো সোজা ঢাকায় গিয়ে কেনাকাটা করি। যদিও ঢাকায় যাওয়ার পর্বটা শেয়ার করেছিলাম আর সেখানে উল্লেখও করেছিলাম শীতের কেনাকাটা করার জন্য ঢাকা যাওয়ার কথা। এখনতো অনলাইনের যুগ কোথায় কোন ধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেগুলো কিন্তু আপনি চাইলেই ঘরে বসে দেখতে পারবেন এবং অর্ডার করতে পারবেন তবে শোরুমে গিয়ে যদি কিছু কিনেন তাহলে একটা বাড়িতে সুবিধা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে আপনি গায়ে দিয়ে কোন সাইজটা আপনার জন্য পারফেক্ট সেটা নিতে পারবেন। তাই আমিও অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট গুলো দেখার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকায় গিয়ে কেনাকাটা করব।
আসলে ঢাকায় গিয়ে কেনাকাটা করলাম কারণ হচ্ছে আমাদের কুষ্টিয়া শহরে বা আশপাশে সারা লাইফস্টাইল এর কোন আউটলেট নেই তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। যারা নিয়মিত সারা লাইফস্টাইল থেকে কেনাকাটা করেন তারা হয়তো জানেন শীতের কাপড় হোক আর যে কোন পোশাকের উপর হোক না কেন অন্যান্য আউটলেট গুলোর চেয়ে সেখানে দাম অনেকটাই কম আর কোয়ালিটি বেশ ভালোই। যদিও অনেকদিন ধরেই অনলাইনে তাদের রিভিউ দেখে আসছি তবে কখনো কোন প্রোডাক্ট নেওয়া হয়নি তাই শীতের শুরুতে সারা লাইফস্টাইল থেকে কেনাকাটা করার জন্য ঢাকা যাওয়া। বিকেল বেলায় আমি আর আমার মামাতো ভাই একসাথে বাইরে বের হলাম। এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করার পরে হালকা হালকা শীত লাগছিল মূলত আমি বাসা থেকে কোন শীতের কাপড় নিয়ে যায়নি যার কারণে আশপাশে কোথায় সারা লাইফস্টাইল এর আউটলেট আছে সেটা গুগল ম্যাপ থেকে জেনে নিলাম। মূলত মিরপুর ২ নম্বরে তাদের বড় আউটলেট আছে তবে আমি যেহেতু বসুন্ধরায় ছিলাম তাই উত্তরায় যে আউটলেট ছিল সেটা আমাদের হাতের নাগালে ছিল। হালকা হালকা শীত লাগছিল তাই মামাতো ভাইকে বললাম শীতের কেনাকাটা যেহেতু করতেই হবে তাহলে দেরি করে লাভ কি?? এখন শীত লাগছে সেখানে গিয়ে আপাতত সিঙ্গেল একটি সোয়েটার কিনে নিয়ে আসা যাক। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি সোয়েটার দেখলাম যেহেতু আমরা গ্রামে থাকি তাই গ্রামে মোটামুটি ভালো শীত পড়ে তার জন্য একটি ভারী সোয়েটারও দেখলাম উপরের ছবিতে সবচেয়ে নিচে যে সোয়েটার দেখতে পাচ্ছেন সেটা নিয়েছিলাম মাত্র ২০৫০ টাকা দিয়ে। যদিও সেখান থেকেও ১৫% ডিসকাউন্ট পেয়েছিলাম। আর উপরে যে সিঙ্গেল সোয়েটারগুলো দেখছেন তার মধ্যে থেকে একটা নিয়েছিলাম ১৩৯০ টাকা দিয়ে। সেখানে তখন ডিসকাউন্ট ছিল, কার্ড থেকে পেমেন্ট করলে ১৫% ডিসকাউন্ট তাই আমরা ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড থেকে পেমেন্ট করেছিলাম বলে ১৫% ডিসকাউন্ট পেয়েছিলাম।
সেখান থেকে কেনাকাটা কমপ্লিট করে মোটামুটি পকেট অনেকটাই হাল্কা হয়ে গেল। যেহেতু আমি কেনাকাটা করলাম তাই মামাতো ভাই বলছিল এতকিছু শপিং করলি তাহলে ট্রিট দে। আমি আবার তখন উল্টা ওকে বলছিলাম তোর বাসায় এসেছি তুই আমাকে খাওয়াবি আমি কেন তোকে খাওয়াবো হা হা হা। যাই হোক কেনাকাটা শেষ করে তখন সম্ভবত রাত নয়টা বাজে আমরা একটি পিঠার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম আর দেখলাম সেখানে ভাপা পিঠা তৈরি করছে। আমরা দুজন দুইটা পিঠা টেষ্ট করলাম বেশ ভালোই লাগলো। তবে পিঠার সাথে নারিকেলের টেস্ট সবচেয়ে বেশি ভালো ছিল আমার তো ছবি আপলোড দিতে গিয়ে দেখে আবার খেতে ইচ্ছে করছিল।
কেনাকাটা আর খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা উত্তরা থেকে সোজা বসুন্ধরা চলে আসলাম তবে বসুন্ধরায় আসার আগে ৩০০ ফিটে ঢুকতেই সেখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাতের বেলায় সেখানে লাইটিং এ মনে হয় যেন দিন আর সেই লাইটিংয়ের আলোয় অনেকেই রাস্তার সাইডে ক্রিকেট খেলে তবে আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম কারণ কয়েকটি ছেলে পেলে সেখানে ক্রিকেট খেলছিল আর আমার মামাতো ভাই ও বলছিল আচ্ছা বাসায় গিয়ে কি করব ওদের সাথে একটু ক্রিকেট খেলে যাই। যদিও ক্রিকেট খেলা হলো না তবে একটু মজা করা হয়েছিল। সেখান থেকে ৩০০ ফিট রাস্তার ছবিও তুলেছিলাম যদি নিচে দুইটা ছবি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | ফেব্রুয়ারি,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/KaziRai39057271/status/1756572819910258755?s=20
শীত হয়তো কিছুদিন পর বিদায় নেবে। যাইহোক এই সময়টাতে ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখলাম। আর সবশেষে পিঠা খেয়ে আবার বাসার দিকে রওনা দিলেন। রাতের বেলায় ক্রিকেট খেলার ব্যাপারটা দারুন লেগেছে। যাইহোক কেনাকাটা খাওয়া দাওয়া আর ঘুরাঘুরি, সবমিলিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে।
আসলেই সময়টা স্মরণীয় করে রাখার মতই ছিল। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মামাতো ভাইয়ের সাথে শীতের কেনাকাটা করেছো এবং মামাতো ভাইয়ের কথায় লাস্টে ট্রিট দিয়েছো জেনে বেশ ভালো লাগলো বন্ধু। যাইহোক আবার ঢাকায় আসলে অবশ্যই আমাদের কেউ ট্রিট দিয়ে যাইও। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
ঢাকায় গেলে ট্রিট কিসের তোমাদের বাসায় গেলে তোমরা আমাকে ট্রিট দিবা হা হা হা।
শীতের কেনাকাটা করার মুহূর্ত ফটোগ্রাফির সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
তবে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াতে আমি মার্কেট করে ভালো কমফোর্টেবল ফিল করি আপনার ঐদিকে খামার থাকে তাহলে তো ভেবে।
যাহোক 1-1 জনের পছন্দ এক এক রকম.।
তবে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অনেক লোভে ফেলে দিয়েছে আমাকে।
এটাও ঠিক সবার পছন্দ তো আর একরকম নয়।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শীতের কেনাকাটার বেশ একটা দারুন মুহূর্ত। যদিও শীত এখন তেমন আর নাই তারপরেও শীতের কেনাকাটার কোন শেষ নেই। আপনি খুব সুন্দর একটি ছুইটার ১৩৯০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলেন এবং কার্ডের মাধ্যমে 15% ছাড় পেয়ে এটি ক্রয় করলেন। এরপরে আসার পথে আবার সেখানে ভাপা পিঠা খেলেন আসলে শীতের সময় ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ কেনাকাটা শেষে আবার ভাপা পিটাও খেয়েছিলাম।
হাহাহাহা
আসলেই তো শীত তো চলেই গেলো ৷ আর এখন শীতের কেনাকাটা ৷ যা হোক মামা তো ভাই দেখি ট্রিট চায় ৷ আপনি গেছেন তাদের বাড়ি সে দেবে না তা হয় ৷ যা হোক ভালো লাগলো কিছুদিন আগের শীতের কেনাকাটা করার মূহুর্ত শেয়ার করছেন ৷
আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের শুরুতে শীতের জন্য শপিং করেছিলেন ।এখন তো শীত প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে আর সেই পোস্ট আপনি আজ শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। শপিং করতে আমাদের সবারই কমবেশি অনেক ভালো লাগে। এখন তো আপনার শীতের শপিং দেখলাম নেক্সট বার বিয়ের শপিং দেখতে চাই 🤭
হাহাহা, বিয়ের শপিং করার সময় প্রয়োজনে আপনাকে সাথে নিয়ে যাব।
আমি তো চিন্তা করতেছি শীত প্রায় শেষ হয়ে গেল কিন্তু আপনি এখন কেনাকাটা করতেছেন শীতের জন্য। আবার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি নভেম্বর মাসের দিকে কেনাকাটা করেছিলেন। সরাসরি শোরুম থেকে যদি কাপড় নেওয়া যায় তাহলে সুবিধা হয়। দেখে শুনে মাপ দিয়ে নেওয়া যায়। খুব সুন্দর একটি জ্যাকেট নিলেন। সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া করলেন আপনারা। আপনাদের মুহূর্তটি দারুন ছিল।
অনেকেই ভেবেছে হয়তো আমি এখন কেনাকাটা করছি যারা পড়েছে তারা বুঝতে পেরেছে এটা অনেক আগের কেনাকাটার ঘটনা।
শীতের শেষে শীতের পোশাক কেনাকাটা করছেন ভাইয়া। যাইহোক কেনাকাটা সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় গিয়ে কেনাকাটা করছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। কেনাকাটা করতে গিয়ে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে।
মূলত কেনাকাটা করতে গেলে কেনাকাটার পাশাপাশি বেশ ঘুরাঘুরি হয় এজন্যই ঢাকা যাওয়া।