রাতের বেলায় পূর্বাচল ৩০০ ফিট || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৯ই অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে ঢাকার শহরে অবরোধ লেগেই আছে, যদিও অবরোধ ছাড়া বাংলাদেশে হালকা যানবাহন চলছে তবে ঢাকা শহরে যাতায়াতের জন্য ডাইরেক্ট বাসগুলো বন্ধ আছে। কাজ থাকা সত্ত্বেও অবরোধের কারণে অনেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে পারছে না আবার গেলেও অনেক কষ্টে ঢাকায় পৌঁছতে হচ্ছে। আমার অবশ্য তেমন কাজ ছিল না তবে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম বাইক নিয়ে ঢাকায় যাব আর ছোট একটু কাজ আছে সেটা মিটিয়ে নিব সেই সাথে কিছু ডকুমেন্টস একটা অফিসে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল বটে। এর জন্যই তড়িঘড়ি করে বাইক নিয়ে ঢাকা যাওয়া। প্রথম দিনে ঢাকা পৌঁছানোর সাথে সাথেই ডকুমেন্টস গুলো জায়গা মত পৌঁছে দিলাম যেহেতু বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তাই ঢাকা শহরে জ্যাম থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। পরবর্তী দিন নিজের যে ব্যক্তিগত কাজ ছিল তার জন্য বের হতে হয়েছিল তবে মঙ্গলবারে অবরোধ ছিল না তাই ঢাকা শহরের নিয়মিত যে রুটিন অর্থাৎ প্রচন্ড জ্যামে আটকে থেকে সময় গুনতে হয়েছে যে কখন জ্যাম ছাড়বে আর আমি আমার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবো। যাই হোক জ্যামে থেকেই প্রায় দিন পার করে দিয়েছিলাম। কাজগুলো মিটিয়ে নেওয়ার পরে টুকটাক ঘোরাঘুরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বটে। আমি যেহেতু বসুন্ধরা সিটিতে ছিলাম তাই তার পাশেই পূর্বাচল ৩০০ ফিটে রাতের বেলায় যাওয়ার কথা হয়েছিল।
সন্ধার পরে আমার বন্ধু রোমান আমাকে ফোন দিয়ে বলল আজকে রাতে আমরা পূর্বাচল ৩০০ ফিট ঘুরতে যাব। ফ্রেন্ড লিস্টে যারা ঢাকায় থাকে তারা প্রতিনিয়তই দেখছি সেখানে গিয়ে ছবি দিচ্ছে তাই আমারও সেখানে যাওয়ার প্রতি আলাদা একটা আগ্রহ ছিল। তাছাড়াও সেটা বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় হাইওয়ে রাস্তা। যদিও আমাদের অন্য এলাকায় একটু কাজ ছিল তাই আমরা দুজন বাইক নিয়ে সর্বপ্রথম উত্তরা অঞ্চলে গিয়ে আমাদের কাজ কমপ্লিট করে নিলাম আর রাত আটটার দিকে আমরা ৩০০ ফিট যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে রওনা দিলাম। আমরা যখন উত্তরা থেকে রওয়ান হলাম তখন আমার বন্ধুকে ফোন করে বললাম সে যেন ৩০০ ফিট চলে আসে। যাইহোক সোজা বাইক নিয়ে ৩০০ ফিটে হাইওয়ে তে উঠে পড়লাম তবে আমি ড্রাইভিং করছিলাম বলে খুব বেশি ছবি তুলতে পারিনি তারপরও বিভিন্ন সময়ে যতটুকু সুযোগ পেয়েছিলাম সেই ফাঁকে কয়েকটি ছবি তুলেছি আর সেগুলোই উপরে শেয়ার করেছি। যদি ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে জায়গাটা কতটা সুন্দর আর দেখে মনে হবে না এটা বাংলাদেশের কোন স্থান দেখে মনে হবে হয়তো এটা ইউরোপের কোন স্থান। আমার বন্ধু তো প্রতিনিয়তই বলে বসুন্ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে নতুন একটি দেশ হা হা হা।
যাই হোক আমরা আমাদের লোকেশন মত গিয়ে দাঁড়ালাম আর আমার সেই বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বসুন্ধরা সিটিতে আমি যেখানে ছিলাম ঠিক তার সামনাসামনি যে ইউটার্ন নেওয়ার জন্য উপরে ওভার ব্রিজ মত করা আছে আমরা সেখানে গিয়েই দাঁড়ালাম আর আমার বন্ধুকে বললাম বাসার ঠিক অপজিট ওভারব্রিজের উপরে আমরা আছি সে যেন দ্রুত সেখানে চলে আসে। যেহেতু পাশেই বাসা তাই আসতে আর বেশি সময় লাগেনি, ৩-৪ মিনিটের মধ্যেই বন্ধু রোমানও বাইক নিয়ে সেখানে চলে আসলো। আমি মধু রোমান আর আমার মামাতো ভাই তিনজন একসাথে উপরে বসে অনেক সময় গল্প করলাম আর আড্ডা দিলাম। উপরের ছবিগুলো যদি কেউ দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে জায়গাটা কতটা সুন্দর রাতের বেলায় জায়গাটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। ঢাকা শহর মানেই তো যানজটের শহর কিন্তু পূর্বাচল ৩০০ ফিটে আসলে মনে হয় না আমি ঢাকা শহরে আছি কেননা সেখানে কোন যানজট নেই শুধু আপনি ড্রাইভিং করেই যাবেন। যদিও এখানে আমি ১১০+ স্পিডে বাইক চালিয়েছিলাম তবে যার যার জন্য আলাদা লেন থাকায় ওভার স্পিডে কোন সমস্যা হয় না। প্রতিটা গাড়ি যেন ১০০ প্লাস স্পিডে যাচ্ছিল। যাইহোক আমরা ওভার ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে অনেক সময় গল্প করলাম আর আশপাশের ছবি তুললাম সেই সাথে নিজেরাও অনেক ছবি তুলেছিলাম যেহেতু ফেসবুকে দেখেছিলাম সবাই এখানে এসে ছবি দিচ্ছে এমনকি বিভিন্ন পেইজের সেলিব্রেটিরাও এখানে এসে ছবি উঠেছে।
সেখানে প্রায় দীর্ঘ এক ঘন্টা সময় আমরা গল্প করে আর আড্ডা দিয়ে পার করে দিলাম। দেখবেন সুন্দর কোন জায়গায় গিয়ে আপনি আড্ডা দিচ্ছেন আর সময় পার করছেন সেটা মনের অজান্তেই দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাবে কিন্তু বুঝতে পারবেন না। এই বিষয় নিয়ে আমি কমিউনিটিতে আগেই পোস্ট শেয়ার করতে চেয়েছিলাম তাই পরবর্তীতে যখন আবার আমরা সামনের দিকে আরো যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ঠিক তখন আমি আমার মামাতো ভাইকে বললাম সে যেন বাইক ড্রাইভ করে আর আমি যেন কিছু ছবি তুলতে পারি। তবে আমরা আর বেশি দূর যায়নি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের যে বাড়ি তার বাড়ি পর্যন্তই গিয়েছিলাম গিয়ে দেখলাম তার বাড়িটাও বেশ জাকজমক বলতে গেলে একটা রাজপ্রাসাদ বটে। যাই হোক সেই সময়ে আমি বাইকের পেছনে বসে হাইওয়ে রাস্তার ছবি তুলছিলাম। যেমন চওড়া রাস্তা আর তেমন লাইটিং সবমিলিয়ে সেখানে ঘুরতে বেশ দারুন লাগছিল। যাই হোক তারপর আমরা আবার ইউটআর্ন নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া সিদ্ধান্ত নিলাম।
ইউটআর্ন নেয়ার সময় হঠাৎ করে আবার সিদ্ধান্ত হলো বসুন্ধরা সিটির মধ্য গিয়ে কোনএক রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবার খাব যেহেতু আমার বন্ধু আর মামাতো ভাই তারা দুজন বসুন্ধরা সিটিতে থাকে তাই তারা বলল DHALI FOOD COURT এ গিয়ে রাতের খাবার খাব। তাই সেখান থেকে আমরা সোজা সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। খাওয়া দাওয়া পর্ব নিয়ে আবার পরবর্তী একটি পোস্টে শেয়ার করব।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | নভেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
যেহেতু বাইক নিয়ে গিয়েছিলেন সেজন্যই জ্যাম থাকলেও আপনার তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ডকুমেন্টগুলো অফিসে নিজের দায়িত্বের সাথে পৌঁছে দিতে পেরেছেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। মুহূর্তটা বেশ ভালোই করেছিলেন যেহেতু ৩০০ ফিট গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য গিয়েছিলেন। আশা করছি পরবর্তী পোস্টে আপনার খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা পড়তে পারব। পুরো পোস্টটা অনেক সুন্দর করেই শেয়ার করা হয়েছে যেটা খুব দারুণ লেগেছে।
আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বন্ধুদের সাথে বাইক নিয়ে ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর বাইক আমার অনেক পছন্দের একটা গাড়ি। বাইক নিয়ে ঘুরতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। ৩০০ ফিট জায়গাটা আসলেই অনেক মনোমুগ্ধকর। যদিও বসুন্ধরা ৩০০ফিট যাওয়া হয়নি। আর আপনারা সব বন্ধ মিলে অনেক গল্প আড্ডা দিয়ে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন যেটা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাইক নিয়ে দেখছি আপনি ৩০০ ফিট চলে গিয়েছিলেন। রাতের বেলায় পূর্বাচল 300 ফিট যাওয়ার কথাটা শুনে খুব ভালো লাগলো। তাও আবার বাইক নিয়ে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তীতে আপনার মামাতো ভাই এবং বন্ধু এসেছিল ওই ব্রিজের সামনে, এটা দেখে ভালো লেগেছে। সবাই একসাথে অনেক আড্ডা দিয়েছিলেন এবং মজা করেছিলেন, মুহূর্তটা খুব ভালো কেটেছিল নিশ্চয়ই।