মিশন সাকসেসফুল || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৪ঠা অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | হেমন্তকাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
ক্যাপশন দেখে আজব লাগছে তাই না?? আসলে আজকে ঘটে যাওয়া একটা মজার কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করব আর সেই মজার কাহিনীটা পুরোপুরি সাকসেসফুল হয়েছে এজন্যই আজকের পোস্টের ক্যাপশন লিখেছি মিশন সাকসেসফুল। সকালের ব্যস্ততা শেষে আবার খোকসা বাস স্ট্যান্ডে একটু কাজে গিয়েছিলাম আর সেটা শেষ করে সোজা বাসায় ফিরে আসলাম। শনিবারে সারাদিন স্কুল-কলেজ সবকিছু বন্ধ থাকে তাই বাড়ির ছোট বাচ্চাগুলো বাড়িতে খেলাধুলায় ব্যস্ত। সেই সাথে আমার ছোট ভাই ও মাদ্রাসা থেকে এসেছে অবশ্য সে রাতে মাহফিলে গিয়েছিল বলে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে যাই হোক আবার দুপুরের পরে সে আবার মাদ্রাসায় চলে যাবে। আমি বাড়িতে আসার পরে দেখলাম তারা সবাই আমাদের বাড়ির পাশে যে বড় বাগান আছে সেখানে খেলাধুলা করছে। আমি সেখানে যাওয়ার পরে তারা আমাকে বলছিল আখের গুড় খেতে যাওয়ার কথা তো আমি তাদেরকে বললাম আমি এর আগে গিয়েছিলাম আমি আর যাব না তোমরা সবাই যাও কিন্তু সবাই ছোট এজন্যই যেতে ভয় পাচ্ছিল। এর মধ্যে থেকে আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ইশতিয়াক বলে উঠলো চাচু তাহলে আমাদেরকে আখ খাওয়াবে। আমি তখন বললাম আমি এখন কোথাও যেতে পারবো না, পারলে তোমরা যাও।
হঠাৎ করেই আমার ছোট ভাই বলে উঠলো, দূরে আর যাব কেন ওই যে বাড়ির পিছনে আখের জমি আছে সেখান থেকে গিয়েই আখ চুরি করে নিয়ে আসব। আমি তখন কিছু সময় হাসলাম আর বললাম আচ্ছা মাঠের মধ্যে থেকে ঘুরে আসি আর ইশতিয়াক তখন বলছিল চাচ্চু চলো তুমি সাথে গেলে আরো বেশি ভালো হবে আমাদের কেউ কিছু বলতে পারবে না। আমিও ওদের সাথে মাঠের দিকে যেতে থাকলাম। আজকের আবহাওয়াটা কেমন ছিল সবাই অবশ্য জানেন হালকা মেঘলা আর প্রচন্ড বাতাস হচ্ছিল যার কারণে শীতের প্রভাবটা কিছুটা বুঝতে পারা যাচ্ছিল তাই রোদের মধ্যেও হাটতে বেশ ভালই লাগছিল। তাছাড়া মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বাতাস বেশি গায়ে বাঁধছিল আর এই জন্যই সূর্যের তাপ অতটা বুঝতে পারিনি।
যখন মাঠের মধ্যে নেমে পড়লাম তখন বেশ ভালই লাগছিল কারণ চারদিকে একদম ফাঁকা জমি আর কিছু কিছু জায়গায় একদম পুরা সোনালী ধান। তবে প্রচন্ড বাতাস হওয়ার কারণে কিছু কিছু ধান ভেঙ্গে পড়েছে। যাইহোক ধানগুলো কেটে জমিতে রেখে দেয়া হয়েছে যেন রোদে ধানগুলো শুকিয়ে যায় আর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এই ধানগুলো আর ধানের খড় গুলো বেশি শুকাতে না হয়। যদিও মাঝে একদিন বৃষ্টির কারণে একটু ভিজে গিয়েছিল তবে আজকে যেহেতু আবার হালকা রোদ আর প্রচন্ড বাতাস আছে তাই এই রোদ আর বাতাসে ধানগুলো আবারো শুকিয়ে যাবে আর যখন পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে তখন কৃষকেরা এই ধানগুলো তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে।
যাইহোক ফাঁকা ধানের মাঠের মধ্য দিয়ে ইশতিয়াক আর আমার ছোট ভাই আখের জমির দিকে যাচ্ছিল আর তাদের লক্ষ্য ছিল তারা গিয়ে আখ চুরি করবে। সত্যি কথা বলি আসলে আমি যেহেতু তাদের সাথে সঙ্গ দিচ্ছিলাম তাহলে এই কাজের সাথে আমিও জড়িত ছিলাম তবে সেটা দূর থেকে। যাই হোক আমি পেছনে ছিলাম আর তারা দুজন সামনে ছিল আর পিছন থেকে আমি তাদের ছবি তুলতে ছিলাম। ধীরে ধীরে যেতে যেতে আমরা এক পর্যায়ে আখের জমির মধ্যে প্রবেশ করলাম তবে সামনে-পেছনে দেখলাম কোন লোকজন নেই তাই সোজাসুজি আঁখ চুরি করতে আরও সহজ হয়ে গেল। আমার ছোট ভাই ভিতরে গিয়ে জমি থেকে একটি আখ ভেঙ্গে টেনে বের করে নিয়ে আসলো। তারা দুজন মিলে সেটা অনেক কষ্টে বের করে বলতেছিল এবার এই আঁখ নিয়ে দৌড় দিব। আমি সাথে ছিলাম বলে তাদেরকে বললাম দৌড় দিতে হবে না আমি তো সাথে আছি তখন তারা বলল আচ্ছা তাহলে ধীরে ধীরে যাচ্ছি।
তারা দুজন আখ নিয়ে সামনে ছিল আর আমি তাদের পিছন পিছন হাটতেছিলাম। অবশ্য আমার হাতে আখ গাছের উপরের যে সবুজ অংশ থাকে সেই সবুজ অংশ ছিল। যেহেতু এই গল্পটা আমি আগে থেকেই শেয়ার করতে চেয়েছিলাম তাই সেই সবুজ অংশ নিয়ে তাদের ছবি তুললাম। এটাকে আমাদের অঞ্চলে আখের ঘাস বলে বেশি সম্বোধন করা হয়। আমি পেছন থেকে ওদের ঝগড়া শুনতে পাচ্ছিলাম। একজন বলতেছিল আমি সামনের দিক থেকে নেব আবার অন্যজন বলতেছিল না আমি সামনের দিক থেকে নিব। চুরি করা আখ নিয়ে তারা ঝগড়া করতে ছিল আর আমি পিছন থেকে তখন বললাম আবার যদি তোমরা ঝগড়া করো তাহলে আমি কিন্তু পুরোপুরি আখ নিয়ে নেব একজনকেও দিব না। আমার কথা শুনে তারা একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসতেছিল আর চুপিচুপি সামনের দিকে যাচ্ছিল।
ছবির সামনের যে সবুজ বাঁশ বাগান দেখতে পাচ্ছেন তার পরবর্তীতে আমাদের বাড়ি। যাই হোক মনের অজান্তে ছবি তুলতে গিয়ে ফাঁকা মাঠের সৌন্দর্যটা আমার ফোন ক্যামেরায় বন্দী হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ছবি তোলা শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে ফিরে আসি আর আবার বাগানের মধ্যে বসে সবাই একসাথে আখ খেলাম। অনেকদিন পরে এরকম মজার একটি ঘটনা ছোটদের সাথে ঘটেছে তাই আজকেই শেয়ার করলাম। এভাবে শেষ কবে আখ চুরি করে খেয়েছি সেটা অবশ্য মনে নেই তবে আজকের এই বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদি কারো আখ খেতে ইচ্ছে করে তাহলে আমাদের বাসায় চলে আসবেন এরকম মাঠের মধ্যে গিয়ে আখ চুরি করে সবাই একসাথে বসে খাব আর আড্ডা দিব হা হা হা। তবে হ্যাঁ আখের জমির মালিক যদি দেখতে পায় তাহলে কিন্তু আমার সাথে সাথে আপনাকেও দৌড় দিতে হবে হি হি হি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | নভেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1726033105075810775?s=20
তাই তো দেখছি মিশন সাকসেসফুল। ছোট ভাই এবং ভাতিজাকে নিয়ে আখের জমিতে গিয়েছেন আসলে ওদের যে মুহূর্ত অনুভূতিটাই অন্যরকম। যেটা আবার মনে পড়লো ছোট্টবেলার স্মৃতি বিজড়িত দিনের ঘটনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে আখের রস গরম গুড় এবং বিভিন্ন ধরনের পাঠারি খেতে খুবই পছন্দ করতাম যেটা এই সোনালী দিনের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
প্রথমে ভেবেছিলাম কি জানি কি মিশন নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন একটি পোস্ট। এখন দেখি আরে সুন্দর! অবশ্য এই কার্যক্রমে অনেকেই অংশগ্রহণ করে থাকে। আখ চুরি করে খাওয়ার মজা কিন্তু আলাদা। এর আগে আমাদের পুকুরপাড়ে আখ গাছ লাগাতাম, অনেক হত অনেক মানুষ এসে এভাবেই চুরি করে নিয়ে যেত। আর এই কারণে আখ লাগানো বাদ দিয়ে দিয়েছি। যাইহোক বেশ ভালই লাগলো পোস্টটা
পোলাপানের খারাপ বানানো ঠিক না। এখনই তাদের দিয়ে আখ চুরি করে খাওয়া হচ্ছে তাই না। আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিস একদম পাকাপোক্ত চোর করে ছেড়ে দেবো। যাই হোক এমন মজা করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমিও বাড়ি গেলে ছোট ভাই ব্রাদার ভাস্তিদের সাথে নিয়ে মাঠের মধ্যে গিয়ে অনেক মজা করি।
হা হা ভাই সত্যি সত্যি মিশন সাকসেস। ভাতিজা এবং ভাইকে নিয়ে আখ চুরির মিশন সফল হলো। ধানের মাঠে ধান কেটে রাখা হয়েছে। সেটা পার করেই আখের খেত। এক সময় আমাদের এলাকার মাঠ থেকে এইরকম আখ চুরি করে খেয়েছি। আপনার পোস্ট টা দেখে সেটা মনে পড়ে গেল। বেশ চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা ভাই।