মেসিময় ফুটবল বিশ্বকাপ ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৫ই পৌষ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
অবশেষে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর চ্যাম্পিয়ন খুঁজে পাওয়া গেল। আর এবার তৃতীয়বারের মতো আর্জেন্টিনা বিশ্বের ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান পেয়েছে। বলতে গেলে আর্জেন্টিনার রাজা যেন মুকুট পেয়েছে। আর সেই রাজা হচ্ছে সারা বিশ্বের ফুটবলের লিটিল ম্যান সবার প্রিয় লিওনেল মেসি। ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে ছোট থেকে বড় সব শ্রেণীর মানুষের মনেই একটা আবেগ তৈরি হয়। কারো কাছে ব্রাজিল দল ভালো লাগে আবার কারো কাছে আর্জেন্টিনা ভালো লাগে আবার কেউ জার্মান বা অন্য বিভিন্ন দল সাপোর্ট করে। আসলে কে কোন দল সাপোর্ট করবে সেটা নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু ভালবাসাটা শুধু ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে। ফ্রান্স আর আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছিল আর সেমিফাইনাল খেলা শেষ হওয়ার পর থেকেই আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের ফাইনাল খেলা দেখার প্রতি আলাদা একটা আগ্রহ ছিল। রাত ৯ টায় খেলা অনুষ্ঠিত হয় সবাই আরামে খেলা দেখতে পারবে কারণ অনেক বয়স্ক লোক রাত জেগে খেলা দেখতে পারে না। আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ব্যস্ত সময় পার করছিলাম কারণ হাতে যতটুকু কাজ ছিল সেটুকু কমপ্লিট করে বিকাল থেকেই ফ্রি হওয়ার চেষ্টা করছিলাম কেননা ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে অনেক মাতামাতি শুরু হয়েছিল। আমরা যেখানে ফুটবলের প্রতিটা ম্যাচ বড়পর্দায় দেখেছিলাম সেখানেও বেশ বড় আয়োজন ছিল। মুরগির মাংস আর খিচুড়ি দিয়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
বিকেল বেলার কাজ কমপ্লিট করে সন্ধ্যার আগে থেকেই ফ্রি হয়ে গেলাম আর বন্ধুদের সাথে সবাই কন্টাক করে জানতে পারলাম আমার এক বন্ধুর বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সাতজন একসাথে সেখানে খাওয়া-দাওয়া করব। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের গ্রুপে দুইজন ব্রাজিল সাপোর্টার ছিল তারা আগে থেকেই ঢাকায় কেটে উঠেছে। যাই হোক আমার সেই বন্ধুর বাড়ি আর আমরা যেখানে বড় পর্দায় খেলা দেখি সেখানকার দূরত্ব খুব বেশি নয়। এজন্য বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ উপলক্ষে তাদের বাড়িতে হালকা পাতলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যার কারণে সন্ধ্যার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম কারণ খাওয়ার তো কোন টেনশন ছিল না। সেখানে যাওয়ার আগে আমাদের দোকানে গেলাম এবং আমার ভাইয়া বলল সে নাকি আজকে খেলা দেখবে। আসলে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আর আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছে এজন্য দর্শক একটু বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে আমাদের দেশে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সাপোর্টার প্রচুর পরিমাণে আর আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিল যদি ফাইনালে যায় তাহলে প্রতিটা জায়গায় খেলা দেখার জন্য একটা মহড়া তৈরি হয়। রাত আটটার দিকে আমার বন্ধু আমাকে ফোন দিল আর বলল আমি যেন তাড়াতাড়ি ওদের বাড়িতে চলে যাই। আমার ভাই যেহেতু খেলা দেখতে যাবে এই জন্য আমি আর বাইক ভাইয়ার কাছ থেকে বাইক নিয়েছিলাম না তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম যে কোন গাড়ি আসলে সেই গাড়িতে উঠে আমার বন্ধুর বাড়িতে যাব। অনেক সময় অপেক্ষা করার পরেও কোন গাড়ি পেলাম না কারণ আগে থেকেই সব লোকজন খেলা দেখার প্রস্তুতি নিয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছে। আমার বন্ধুকে বললাম একটা বাইক পাঠিয়ে দিতে যেন আমাকে নিয়ে যায় আর কিছুক্ষণ পরেই একটা ছোট ভাই এসে বলল ভাইয়া আপনাকে নিতে এসেছি চলেন। বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে সবাই একসাথে কিছু সময় গল্প করে খেলা দেখার জন্য রওনা হলাম। বড় পর্দায় যেখানে খেলা দেখি আর আমার বন্ধুর বাড়ির দূরত্ব হেঁটে গেলে এক মিনিটেরও কম সময় লাগে। গিয়ে দেখলাম আমাদের জন্য সাতটা চেয়ার রেখে দেওয়া হয়েছে। খেলা শুরুর আগে থেকেই আমরা চেয়ার বসে পড়লাম আর ঠিক নয়টার সময় খেলা শুরু হবে সেই অপেক্ষায় রইলাম।
ঘড়ির কাটায় যখনই নয়টা বাজলো তখনই খেলা শুরু হয়ে গেল। খেলার আগে থেকে দুই দলের প্লেয়ার মাঠে নেমে তাদের জাতীয় সংগীত গাইলো এবং দু দলের মধ্যে কুশল বিনিময় করল। যখনই লিওনেল মেসির ওপরে ক্যামেরা আসে তখনই দর্শকরা চিৎকার করে ওঠে আর এটাই হচ্ছে দলবদ্ধ ভাবে বড় পর্দায় খেলা দেখার আসল মজা। খেলা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন প্লেয়ারের উপরে ক্যামেরা ধরা হচ্ছিল আর তাদের নাম ধরে সবাই বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করছিল। আর আর্জেন্টিনা কিভাবে তাদের প্লেয়ার গুলো সাজিয়েছিল সেটার একটা ছবি সেখানে দেখানো হয়েছিল। ডিফেন্স এবং মিডফিল্ডে চারজন করে সাজানো হয়েছিল এবং ফরওয়ার্ডে দুইজন সাজানো হয়েছিল। কিন্তু ফ্রান্সের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম ছিল। ফ্রান্স চার তিন তিন হিসাবে তাদের প্লেয়ার সাজিয়েছিল। ঠিক ঘড়ির কাটায় নয়টায় খেলা শুরু হওয়ার পরে আর্জেন্টিনা অনেক ভালো ফুটবল খেলা উপহার দিচ্ছিল। আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই একটু আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল যেটা আর্জেন্টিনা সাপোর্টারদের আরও কনফিডেন্স বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
আর্জেন্টিনা পরপর দুইবার অ্যাটাক করে কিন্তু গোল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা কিন্তু তৃতীয়বারে গিয়ে ঠিক গোল করতে পারে। ডি মারিয়া বল নিয়ে ডিবক্সের মাঝে ঢুকলেই ফ্রান্সের একজন প্লেয়ার ফাউল করে বসে আর রেফারি পেনাল্টি ধরে বসে। সাধারণত ফুটবল খেলায় ডিবক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি ধরা হয় আর সেই ফিনালটির উপর ভর করে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত এক প্লান্টি শটে আর্জেন্টিনা ২৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পায়। প্রথম গোল হওয়ার পরেই আর্জেন্টিনা দর্শকের মধ্যেও দারুন উন্মাদনা দেখা দেয় অর্থাৎ আর্জেন্টিনা যখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায় তখনই একটা সুখের আভাস পাই। সুখের আভাস পাওয়া তো স্বাভাবিক কারণ আমি নিজেও একজন আর্জেন্টিনা সাপোর্টার। গোল হওয়ার পরে আর ছবি তোলার কথাই ভুলে যাই কারণ সবার সাথে উল্লাস করতে সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে গেল। তবে আর্জেন্টিনা যে প্রথমে লিড পেয়েছিল এটাই বড় বিষয়। আর একটা মজার বিষয় হচ্ছে আর্জেন্টিনা এই বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচে প্রথমে পেনাল্টি কিক দিয়ে গোল করেছে।
যাইহোক প্রথম গোলের আনন্দ মুহূর্ত পার হওয়ার পরে আবার খেলা শুরু হয় যদিও আবারও আর্জেন্টিনা কয়েক বার অ্যাটাক করেছিল কিন্তু গোল করতে পারেনি। আমরা সবাই দারুন খেলা উপভোগ করছিলাম কারণ যে দলের সাপোর্ট করছি সে দল এত ভালো খেলছে এটা তো আমাদের খুশির মুহূর্ত ছিল। তবে আর্জেন্টিনা ডি মারিয়াকে দিয়ে প্রতিটি বল ফ্রান্সের দিকে অ্যাটাক করছিল আর এরই মাঝে হঠাৎ করে ৩৬ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার দারুন একটি গোলে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে তো অনেক মজা করছিলাম। ফাইনালের মতো একটি ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া মানে ম্যাচ প্রায় জিতে যাওয়া। এইভাবে আমরা বিজয় উল্লাস শুরু করে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম জিতে তো গিয়েছি একটু উল্লাস করেই নেই আর উল্লাস করার জন্য আর ছবি তোলার কথা মনে ছিল না। সবশেষে প্রথম হাপিনার এর আগে অর্থাৎ ৪৫ মিনিট খেলা হওয়ার পরে আবার ৭ মিনিট লাস টাইম দেয়া হয়। মজার বিষয় হচ্ছে লস টাইম এর শেষ সময়ের দিকে আর্জেন্টিনার স্টার মেসি আবার ফ্রান্সের গোলের দিকে এগিয়ে যায় কিন্তু রেফারির বাঁশির শব্দে তাকে থেমে যেতে হয়।
দ্বিতীয় অর্ধে এসে আর্জেন্টিনা বেশ ভালো খেলছিল। ভেবে নিয়েছিলাম ম্যাচ কনফার্ম জিতে যাব। ৬৯ মিনিটের মাথায় এসে ডি মারিয়াকে তুলে নেওয়া হয়। আর তখন থেকেই আর্জেন্টিনার দুঃসময় শুরু হয়। ৮০ মিনিটের মাথায় গিয়ে এমবাপ্পে প্রথম গোলের দেখা পায়। আর্জেন্টিনা ডিবক্স থেকে আর্জেন্টিনার এক প্লেয়ার এমবাপেকে ফাউল করে বসে আর সেই একইভাবে ডিবক্সের মধ্যেও ফাউল করার কারণে ফ্রান্স পেনাল্টি পায়। এমবাপ্পের দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ফ্রান্স প্রথম গোলের দেখা পায়। প্রথমগুলো রেস শেষ না হতেই আবার ৮১ মিনিটের মাথায় ফ্রান্স আবার দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়। এমবাপ্পে বল নিয়ে সোজা আর্জেন্টিনার জালে বল দিয়ে দ্বিতীয় গোল দিয়ে ২-২ সমতায় ফিরে আসে। গোল হওয়ার পরে আমাদের তো একদম কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুরোপুরি ৯০ মিনিট খেলা শেষে আবার ৭ মিনিট লস টাইম দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় শেষে ২-২ সমতায় থাকলে আবার বাড়তি ৩০ মিনিট খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেফারি। নির্ধারিত ১৫ মিনিট করে আধাঘন্টা খেলানো হবে আর প্রথম ১৫ মিনিটে কোন দল কোন লিড দিতে পারে না যদিও এক মিনিট বোনাস টাইম দেয়া হয়েছিল কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পরবর্তীতে এসে তিন মিনিটের মাথায় অর্থাৎ দ্বিতীয় ১৫ মিনিটের তিন মিনিট খেলা শুরু হওয়ার পরেই অর্থাৎ ১০৮মিনিটে আর্জেন্টিনার স্টার মেসি আবার গোল করে আর আর্জেন্টিনা আবার জোশ ফিরে পায়। আমরা তো অনেক খুশি হয়েছিলাম সবাইকে সবাই জড়িয়ে ধরে উল্লাস করছিলাম। তবে শেষ সময়ের দিকে অর্থাৎ ১১৮ মিনিটের সময় এমবাপে পেনাল্টি করে আবার তৃতীয় গোলের দেখা পায়। আবার ম্যাচটি ৩-৩ গোলে সমতায় ফিরে আসে।
১২০ মিনিট খেলা শেষ হওয়ার পরে যেহেতু আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স ৩-৩ সমতায় ছিল তাই রেফারি ট্রাইবিকার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়।ট্রাইবিকারে শুরুতে ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে গোল করে এবং আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি গোল করে। পরবর্তীতে যে দুটি শর্ট হয় সেখানে ফ্রান্স দুটি মিস করে আর আর্জেন্টিনা দুটি গোল দিয়ে এগিয়ে যায়। আর সবশেষে আর্জেন্টিনা এক শর্ট হাতে রেখেই ট্রাইবিকারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। আর্জেন্টিনার শর্ট ছিল ✅ ✅ ✅ ✅ আর অন্যদিকে ফ্রান্সের শর্ট ছিল ✅ ❎ ❎ ✅ । যেহেতু ফ্রান্স আগে শর্ট খেলেছিল এজন্যই আর্জেন্টিনাকে এক শর্ট থাকতেই বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। কারণ ফ্রান্স দুইটা মিস করেছিল কিন্তু অন্যদিকে আর্জেন্টিনা সবগুলো গোল দিতে সক্ষম হয়েছিল।আর আর্জেন্টিনা নতুন ফুটবল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জয়লাভ করে।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | ডিসেম্বর,২০২২ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1605225416159285248?s=20&t=G4xpdG01fLGcAs8l31hdTg
কাতার বিশ্বকাপ প্রতিটা খেলায় যেন অন্যরকম অনুভূতি ছিল। বিদায় ম্যাচটা ছিল আরো মনে রাখার মতো।ফাইনাল খেলা এত হাড্ডাহাড্ডি খুব কমই হয়। এই খেলাটি দেখে খুবই ভাল লেগেছে।
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ছিল সবচেয়ে সেরা ফাইনাল ম্যাচ।
এইতো সেদিনের কথা দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষার পর শুরু হলো বিশ্বকাপ ফুটবল। আর দেখতে দেখতেই কিছুদিন পর বিশ্ব পেয়ে গেল নতুন আরেকটা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আপনাদের মত আমরাও গ্রামে বড় পর্দা ব্যবস্থা করেছিলাম বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার জন্য। আসলে সকলে মিলে বিশ্বকাপ দেখার মজাই আলাদা।
একদম, আর্জেন্টিনা সাপোর্টারা এখন চ্যাম্পিয়ন।
কাতার বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচের কথা বিশ্ববাসি স্মরন রাখবে চিরজীবন। সে শ্বাসরুদ্রকর খেলা উপহার দিয়েছে মেসি আর তার দল, তা তো আর ভোলার নয়।
আসলেই এই ম্যাচটি ছিল সর্বকালের সেরা ফাইনাল।
ভাই আপনি তো লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে গিয়েছেন। এত কিছু কিভাবে মনে রেখে ছেন। আসলে আপনি একজন ফুটবল প্রেমিক বুঝতে পারলাম। একেবারে নিখুঁতভাবে 2022 কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের পুরো ইতিহাস খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে ছেন। এত সুন্দর করে অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হাহাহা, লিখতে লিখতে হয়রান হওয়ার কিছু নাই ভাইয়া। প্রিয় দল বিশ্বকাপ নিয়েছে তার জন্য একটু আবেগ প্রকাশ করলাম।
এইবার কাতারে ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ টি খুব ভালো লাগলো। আমরা সবাই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে বসে রইলাম। কারণ আমরা সবাই আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি আমাদের ফ্যামিলি র লোকগুলো। অন্যদিকে মেসির খেলা দেখার জন্য খুব অধিক আগ্রহে বসে রইলাম। আপনি সত্যি বলেছেন ডি মরিয়াকে দিয়ে খুব সুন্দর আক্রমণ করাতে লাগলো। প্রথম গোলটি যখন মেসি গোল করলেন তখন খুব ভালো লাগে। এরপর ৩৬ মিনিট টাইমে ডি মরিয়া আরেকটি গোল করলে আরো ভালো লাগে। আমার কাছে একটু খারাপ লাগলো তো যখন ডি মারিয়াকে উপরে নিয়ে আসলো। এরপর থেকে ফ্রান্সের খেলোয়াড় গুলো অনেক ভালো খেলতে লাগলো। এরপর তারা পরপর দুটি গোল করে ম্যাচটি সমতা নিয়ে এলেন ফ্রান্স। তবে সবচেয়ে বড় কথা আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত জিতল। এবং মেসির হাতে কাপটি দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে বিশ্বকাপ ফাইনালে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু সত্যি বলতে আমাদের দেশে কিন্তু আর্জেন্টিনা সাপোর্টার অনেক বেশি।