কুষ্টিয়া টু পাবনা ভ্রমণ কাহিনী।||১৩-০১-২০২২||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেমঃ@kazi-raihan।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
অনেকদিন তেমন ঘোরাঘুরি করা হয় না। সিদ্ধান্ত নিলাম পাবনায় ঘুরতে যাবো এবং পাবনা জেলার কিছু জায়গা ঘুরে দেখবো। ইউটিউবে পাবনা জেলার কিছু দর্শনীয় জায়গার রিভিউ দেখলাম। রাতে মামাতো ভাই আহাদ খানের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলাম সকাল ৮টায় বাসা থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হবো।আর আমাদের যাতায়াতের বাহন থাকবে একটি বাইক। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
যাত্রা শুরু
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
- সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম চারিদিকে কুয়াশায় অন্ধকার।তাই ভাবলাম আবার একটু শুয়ে গা গরম করতে থাকি। আবার একটু ঘুমিয়ে সাতটা বিশের দিকে আবার উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে গোসল খাওয়া দাওয়া শেষ করে সারে আটটার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। কুয়াশা থাকায় খুব ধীরে ধীরে বাইক চালাচ্ছিলাম। বাইক চালানোর ফলে বেশ ঠান্ডা অনুভব করছিলাম।
বৃষ্টির কারণে যাত্রা বিরতি
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/poppies.listens.clove
- সকালের আবহাওয়া বেশ ভাল ছিলনা। ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতেই হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। শীতের সময় বৃষ্টি মোটেও পছন্দ না যার কারণে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর ভাবলাম আশপাশের কিছু চিত্র ধারণ করি তাহলে সময় কাটবে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বটবৃক্ষের এক বিশাল দৃশ্যটাকে। আর বটবৃক্ষের নিচের ঘরটি হচ্ছে কালী মন্দির। কিছু সময় অপেক্ষার পর বৃষ্টি কমে যায় এবং আমরা আবার যাত্রা শুরু করি।
কাঠের দোতলা ঘর।
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
- যাত্রাপথে হঠাৎ দেখা মেলে রাস্তার পাশে একটি কাঠের তৈরি দোতলা ঘরের। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল পাবনা দ্রুত পৌঁছানো তাই জায়গাটা ঘুরে দেখা হয়নি, শুধু যাত্রাপথে বাইকের উপর থেকে একটা ছবি তুলেছিলাম আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তবে পরবর্তী সময়ে এই কাঠের তৈরি দোতলা ঘরটি ঘুরে দেখব এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
নদী পারাপার
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
- দীর্ঘ যাত্রা শেষে আমরা সাদিপুর ঘাটে পৌঁছাই। ঘাটের টিকিট সংগ্রহ করে খেয়া ঘাটের নৌকায় উঠলাম। শীতের সকালে আবহাওয়া একটু খারাপ হওয়ায় নৌকা ঘাট থেকে ছাড়তে একটু দেরি হয়।সময় পার করার জন্য আমরা বিভিন্ন দিক থেকে ছবি উঠতে থাকি। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর নৌকা ছেড়ে দেয়,আমি নৌকার সামনের দিকে বসে ছবি তুলেছিলাম।
পদ্মা নদী
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
- এখন পদ্মার জল অনেক টা শুকিয়ে গিয়েছে। নদীতে জল কম থাকায় মাঝ নদী থেকে দুই পাড়ের দৃশ্য কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। জেলেরা মাছ ধরার জন্য নৌকা নিয়ে আপন ঠিকানায় ছুটে চলেছে।খেয়া ঘাটের নৌকা পাড়াপাড়ের জন্য ছুটে চলেছে।এ যেন পদ্মা নদীর এক অপরূপ সৌন্দর্য।
পদ্মার পাড়
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/succumbs.negations.whinnies
- পদ্মার পাড়ে আসতেই খুব সুন্দর একটি নৌকা চোখে পড়ে। আমাদের খেয়ার নৌকা পাড়ে রাখতেই আমরা নৌকা থেকে নেমে যাত্রা শুরু করি। নদীর পাড়ে ছোট ছোট দুইটা দোকান লক্ষ্য করলাম। একটু পথ এগোনোর পরে সামনের চিকন রাস্তা হয়ে এগোতে থাকলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে একটু সামনে গিয়েই বাদাম চাষের জমি দেখতে পেলাম।জমি চাষ করে বাদামী চাষের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
যাত্রা শেষে
Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location : https://w3w.co/succumbs.negations.whinnies
- আমাদের ভ্রমনের বাহন ছিল এই বাইকটি, দীর্ঘ যাত্রা শেষে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য স্থলে পৌছালাম। পাবনা জেলা আমাদের স্বাগত জানালো।ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের একটি দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আর এখানেই আমাদের ভ্রমন শেষ করি।
এই ছিল আমার ভ্রমণকাহিনীর একটি অংশ। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে, ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার ভ্রমণ শুভ হক প্রিয় ভাই। অনেক সুন্দরভাবে এনজয় করুন ভ্রমণের প্রতিটি দিন। আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন এবং অনেক কিছু তুলে ধরেছেন যা আপনার আনন্দের মাঝে ছিলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা ভাইয়া।❤️❤️❤️
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব সুন্দর একটা স্থান ভ্রমণ করেছেন। হ্যাঁ আজকে বৃষ্টি হয়েছে। তবে শীতকালে বৃষ্টি আমিও পছন্দ করি না। আর ভ্রমণ করার সময় এমন পরিস্থিতি হলে খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সেতু থাকতে আপনারা কেন নৌকায় পার হলেন বুঝলাম না। যাই হোক বাইক নিয়ে ঘোরার মজাই আলাদা। মন চাইলেই যেখানে খুশি থামা যায়। যেখানে খুশি যাওয়া যায়। আমিও অনেক বছর যাবত বাইক নিয়ে ট্যুরে যাই না। আপনার পোস্ট দেখে এখনই যেতে ইচ্ছে করছে।
ট্রুর দিলে মন ভালো হয়ে যায়,এই জন্য মাঝে মাঝে ছুটি যাই বিভিন্ন জায়গায়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।