নদীর পাড়ে ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -১৬ই অগ্রহায়ণ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | হেমন্তকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



png_20221201_143036_0000-01.jpeg

Canva দিয়ে তৈরি



বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ আর এদেশে অনেকগুলো নদী আছে আর শাখা নদী তো অগণিত। সব অঞ্চলে নদীর দেখা পাওয়া যায় আর আমাদের অঞ্চলে ও পদ্মার শাখা নদী আছে। আর আজকে মূল পদ্মা নদী নিয়ে আপনাদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে পদ্মা নদীতে ভরপুর পানি ছিল আর ১৫ দিনের ব্যবধানে নদীর পানি শুকিয়ে শুধু বালি লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছিল তখন পদ্মা নদীর তীরে গিয়েছিলাম দেখলাম প্রচুর স্রোত বইছে। যাইহোক কাজের দৌলতে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম আর সেটা নিয়েই আজকের এই পোস্ট শেয়ার করব।



20221125_065209.jpg

20221125_065229.jpg



এখন মোটামুটি শীত শুরু হয়েছে আর শীতের সকালবেলায় সূর্যটা সবচেয়ে বেশি মিষ্টি লাগে। যেদিনে একটু কাজ বেশি থাকে সেদিনে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠা হয় তাছাড়া এখন ভোরবেলা একটু হাটাহাটি করি তাই রুটিন মাফিক প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠি। অন্যান্য দিনের মতো কালকেও ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে ৫০ মিনিট রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করলাম আর দিনের ব্যস্ততা থাকায় একটু আগেভাগেই বাড়িতে ফিরে আসলাম। আব্বু বলছিল দ্রুত নাস্তা করে নাও তোমাকে একটি কাজে পাঠাবো। তবে কাজটা খুব বেশি কঠিন না আমি শুধু কিছু টাকা নিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটা জায়গায় পৌঁছে দিব। ওই দিনে সাথে ছোট ভাইকে নিয়ে গেলাম ভাবলাম নদীর পাড়ে গিয়ে দুই ভাই কিছু সময় আড্ডা দেওয়া যাবে। সে বয়সে আমার থেকে অনেক ছোট কিন্তু আমি তার সাথে অনেক কমফোর্ট ফিল করি। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে ভালোবাসাটা অনেক বেশি এজন্যই বয়সের ব্যবধান অনেক থাকলেও ভালোবাসার ব্যবধানটা একটুও কম নয়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দেখলাম সূর্যটা পুরোপুরি উঠে গেছে আর তখনই সূর্যের ছবি তুলেছিলাম। সকালের মিষ্টি রোদে দুই ভাই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমাদের কাজের উদ্দেশ্যে।



20221125_082556.jpg

20221125_082704.jpg

20221125_082758.jpg

20221125_082804.jpg

20221125_084431.jpg



আমি শুধু গন্তব্যস্থলে পৌঁছে আমার কাজটা দুই মিনিটের মধ্যে কমপ্লিট করে নিলাম। আমি যে আঙ্কেলের কাছে গিয়েছিলাম তিনি আমাদের কিছু নাস্তা দিল আর নাস্তা করেই বেরিয়ে পড়লাম পদ্মা নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে। জায়গাটার নাম হাবাসপুর ঘাট। এই হাবাসপুর ঘাট থেকে সরাসরি রাজবাড়ী জেলা এবং পাবনা জেলার খেয়া পারাপার হয়। আমরা দুজন রাস্তার উপরে বাইক রেখে নদীর বুকে নেমে পড়লাম। আসলে এই সময়ে নদীতে পানি খুব একটা থাকে না তাছাড়া হাবাসপুর ঘাটের সামনে বেশ বড় একটা বালুচর পড়েছে যার কারণে পানি হালকা একটু কমলেই বালুচরে জেগে ওঠে। তবে বালুচর পার হলেই আবার পদ্মা নদীর সেই পানিতে ভরপুর আসল সৌন্দর্যের ভরা যৌবন দেখা যায়। ঘাটের পাশেই হালকা পানি জমে আছে আর সেখানে কয়েকটি নৌকা বাধা ছিল আমরা দুজন সেখানে গিয়ে কিছু ছবি উঠলাম। ছোট ভাই ছবি উঠতে চেয়েছিল তাই সে তার ইচ্ছামত স্টাইল করে ছবি উঠলো। ঘাটের পাশে যে বালুচর পড়েছে সেই বালুচর লোকজনকে পার করার জন্য ঘোড়ার গাড়ির ব্যবস্থা আছে। আর ঘোড়ার গাড়ি গিয়ে পরবর্তী ঘাটে নামিয়ে দেয় যেখান থেকে সরাসরি পাবনা সাতবাড়িয়া ঘাটে নৌকা পৌঁছে যায়।



20221125_082658.jpg

20221125_082722.jpg

20221125_082725.jpg

20221125_083252.jpg

20221125_083312.jpg

20221125_082846.jpg

20221125_082857.jpg

20221125_082900.jpg



সে বয়সে অনেক ছোট হওয়ায় তার ছেলে খেলা এখনো কমেনি তাই সে নৌকার উপরে উঠে লাফালাফি করছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম সে জায়গাটা সৌন্দর্য বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছে। ছোট ভাই জায়গাটা সৌন্দর্য উপভোগ করছিল আর আমি ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে জায়গাটার সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করছিলাম। ফোন ক্যামেরার একাংশে যতদূর চোখ যাচ্ছিল শুধু বালি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। সকাল বেলার সূর্য টায় চারিদিকে একদম আলোকিত হয়ে গিয়েছে আর সেই জন্যই ছবিগুলো বেশ পরিষ্কার আসছিল। ঘাটের পাশেই হালকা একটু পানি জমে ছিল আর বাতাসের ফলে সেই পানিটা ঢেউ আকারে পাড়ে এসে পড়ছিল সেটা দেখতে বেশ ভালোই লাগছিল। ম্যাক্রো লেন্সে নদীর সেই ছোট ছোট ঢেউ ক্যাপচার করেছিলাম। ম্যাক্রো লেন্সে ঢেউ ক্যাপচার করার সময় দেখলাম ছোট একটি ঘাস কোনায় জমে আছে সেটারও ছবি তুলেছিলাম। আর সবশেষে যখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হব সেই মুহূর্তে নদীর উপরে সূর্যের অবস্থান নিয়ে একটি ছবি তুলেছিলাম।

সেখান থেকে আবার উপরে উঠে আসলাম অর্থাৎ যেখানে বাইক রেখেছিলাম সেখানে ফিরে এলাম। নদীর পাড় দিয়েই রাস্তা আর সেখানে সিমেন্টের তৈরি ব্লক দিয়ে ঘাট তৈরি করা হয়েছে যাতে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি না হয়। কংক্রিটের তৈরি পাড়ের উপর কিছু সময় বসে চিপস খেলাম এবং পরবর্তীতে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আর এখানেই আমাদের যাত্রা শেষ হয়।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়ডিসেম্বর,২০২২



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG-20211015-WA0027.jpg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

🖤💞🖤

 2 years ago 

ঠিক বলছেন আপনি সকাল বেলার সূর্যটা অনেক সুন্দর দেখা যায়।আপনি যেহেতু সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলেন তখন বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক ছবিগুলো নিয়েছেন।পদ্মার পাড়েরর দৃশ্য দেখতে অসাধারণ লাগতেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু, প্রকৃতির সৌন্দর্য আসলেই অসাধারণ সুন্দর ছিল।

 2 years ago 

নদীর পাড়ে এভাবে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।আপনি যেহেতু আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলেন । আসলে বয়সের তফাৎ হলেও মনের তো তফাৎ হয় না। জাগাটার নাম কিন্তু অনেক সুন্দর খাবাসপুর।মাএ ১৫ দিনের ব্যবধানে নদীতে এভাবে পানি শুকিয়ে গেছে। আপনার ছোট ভাই দেখছি অনেক মজা করেছে। আর সকাল বেলার সূর্যটা আসলে অনেক মিষ্টি লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

শীতের সময় এমনিতেই সূর্যটা অনেক মিষ্টি হয়।

 2 years ago 

😍💞😍

 2 years ago 

কোন ব্যস্ত জীবনে প্রায় সকলেই ব্যস্ত থাকে কিন্তু আপনি দেখছি একটু বেশি ব্যস্ত সবসময় দূরের উপর থাকেন। যাই হোক হাবাসপুর ঘাটে গিয়ে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। বর্তমান সময় নদীর পানি প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে কিন্তু অনেক জায়গাতে অল্প অল্প পরিমাণ পানি রয়েছে সেই পানি গুলো অনেক বেশি স্বচ্ছ। বিকেলবেলা অথবা সকালবেলার কোন একটা মুহূর্তে সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে যেটা আপনি অতিবাহিত করেছেন। আপনার সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

হুম ছোট ভাইয়ের সাথে অনেক সুন্দর সময় পার করেছিলাম।

 2 years ago 

ভাইয়া বাংলাদেশের সব থেকে বেশি খরস্রোতা নদী হলো পদ্মা। আপনি ঠিকই বলেছেন মাত্র কয় দিনের ব্যবধানে পদ্মা শুকিয়ে বালি দেখা যাচ্ছে। আপনারা যে কাজের জন্য গিয়েছেন সেটা তারাতারি করতে পেরেছেন বিধায় পদ্মা নদীতে ঘুরার সময় পেয়েছেন। পদ্মনা নদীর পানি খুব পরিষ্কার,যেটা আপনার ছবিতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

হুম আর পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে এই জন্যই ভালো লাগে। নদীতে স্রোত থাকলে আরো ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68156.06
ETH 3517.56
USDT 1.00
SBD 2.81