সকাল বেলা কুষ্টিয়া যাত্রা||২৭-০২-২০২২||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব। শীত প্রায় শেষ, কিছুটা গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সকাল বেলায় হালকা শীত অনুভব করা যায় আর এই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় সকালবেলা বাইক নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। রাত্রে বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া টা একটু ঠাণ্ডা ছিল আর আকাশটাও একটু মেঘলা ছিল। সকালবেলা হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছিল তবে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় তেমন কোনো সমস্যা হয়েছিল না যার কারণে আমরা আমাদের যাত্রা কন্টিনিউ করি। চলুন তাহলে আমার গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
শীত শেষ হওয়ায় ভোর ছয়টার সময় চারদিকে পরিষ্কার হয়ে যায় আর সাড়ে ছয়টার মধ্যে আকাশে সূর্য লক্ষ্য করা যায়। যদিও আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি না, ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সাড়ে সাতটা থেকে আটটা বেজে যায়। রাত্রে জানতে পারলাম আব্বু ভোর বেলায় কুষ্টিয়া যাবে। আব্বুর ব্যবসাহিক কাজের জন্য একটু সকাল-সকাল যাবে। রাত্রে আমি আর তেমন কিছু বলতে পারিনি, একটু কনফিউশনে ছিলাম সকালে কি যাবো নাকি যাবো না। ঠিক সাড়ে ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে নিলাম। গোসল করে এসে দেখলাম আম্মু গরম ভাত রান্না করে রেখেছিল সেটা খেয়ে আব্বুর সাথে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। আব্বু বাইক চালাচ্ছিল আর আমি পিছনে বসে ছিলাম। বাইকের পেছনে বসে যাত্রাপথের ছবি তুলছিলাম। এই ছবিগুলো আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই তোলা হয়েছিল। গ্রামের চিকন পিচের রাস্তা আর নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তার কিছু দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
যাত্রা শুরু।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
নির্মাণাধীন ব্রিজ।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
বাইক নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর নির্মাণাধীন এই ব্রিজের কাছে পৌঁছলাম। যদিও বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যান্ত দুঃখের কারণ এই সামান্য ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে আজ প্রায় দুই বছর যাবত। কুমারখালী উপজেলায় এটি ঘরের মাঠের ব্রিজ বলে পরিচিত। বর্তমানে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য পাশ দিয়ে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করে দেয়া হয়েছে কিন্তু কোন ভারী যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে পার হতে পারে না যার জন্য এই এলাকার লোকের দুর্ভোগ যেন কমছেই না। আমারা বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম যার কারণে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু অন্যান্য যানবাহনগুলো চলতে ঠিকই সমস্যা হয়। যদিও ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে মোটামুটি এ বছরের মধ্যেই কাজটি শেষ হয়ে যাবে।
কুষ্টিয়া মীর মশাররফ হোসেন সেতু।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
কুমারখালী সদর উপজেলা থেকে মীর মশাররফ হোসেন সেতুর দূরত্ব খুব একটা বেশি না। হাইওয়েতে বাইক চালানোর মজাই আলাদা। সকালবেলায় রাস্তায় গাড়ি খুব কম ছিল তাই আব্বু বেশ ভালোই জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল। কিছুক্ষণ যাওয়ার পরেই দূর থেকে মীর মশাররফ হোসেন সেতুর সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছিল। আমিও সেতুটির সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য আগে থেকেই চিন্তা করছিলাম। অনেক দূর থেকেই ফোন দিয়ে ছবি তোলা শুরু করি এবং পর্যায়ক্রমে সেতুর কাছে চলে আসি। ছবি তোলার পরে দেখলাম সেতুর মাঝখানের এসে যে ছবিগুলো তুলেছি সেগুলো অনেক ভালো হয়েছে। সামনে এগুতেই সেতু পার হওয়ার জন্য ট্রোল দিতে হয়। সাধারণত মোটরসাইকেলের জন্য ১০ টাকা বরাদ্দ থাকে। আমি পকেট থেকে খুচরা দশ টাকার নোট বের করলাম এবং গিয়ে দেখলাম কয়েকটি গাড়ি পর্যায়ক্রমে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িগুলো পার হয়ে যাওয়ার পরে আমি ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট সংগ্রহ করি এবং যাত্রা পুনরায় শুরু করি।
গন্তব্য স্থলে পৌছালাম।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
ব্রিজ পার হয়ে আমরা আবার আমাদের যাত্রা শুরু করলাম। সকালবেলায় হাইওয়ে রাস্তা একদম ফাঁকা ছিল যার কারণে ভ্রমণটা খুব উপভোগ করছিলাম। তবে বাসা থেকে সকালে বের হওয়ার সময় শুধু একটা ফুলহাতা টি-শার্ট পরে বের হয়েছিলাম যার জন্য একটু শীত শীত লাগছিল। বাইকের পেছনে বসে ভাবলাম নিচের ছবি তুলি তাই, বাইকের পেছনে বসে সেলফি নিয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ যাত্রাপুর করার পর আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে গেলাম। লাহিনী বটতলা থেকে আব্বু আমাকে নামিয়ে দিল এবং তার নিজের কাজের জন্য আবার যাত্রা শুরু করল।আর আমি আমার কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।যারা এখনো আমার প্রানের শহর কুষ্টিয়াতে আসেননি তাদের আসার জন্য দাওয়াত রইল, আশা করি অনেক ভালোই লাগবে।
ধন্যবাদ,
@kazi-raihan
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1497769941004881924?s=20&t=uZLfSU6ofCiWbP-rwtVZ5w
অনেক ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো। আমার ও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। এতে মন অনেক ভালো থাকে। নিজে কে ফ্রেশ লাগে। সবশেষে আপনাকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই সকালবেলার যাত্রাপথের ফটোগ্রাফিক গুলো অসাধারন ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সেই সাথে আপনি আপনার বাবার সাথে কুষ্টিয়া যাওয়ার যে আনন্দঘন মুহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর ছিলো।মাঝে মাঝে ঘুড়তে ভালো লাগে।আর যদি হয় বাইক জার্নি তাহলে তো কোন কথাই নাই। আর ব্রিজ এর কথা, এ আর নতুন কি আমাদের দেশে।সব কাজেই তো এমন হয়।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু মনি 🥰
যাত্রা করতে অনেক ভালো লাগে কুষ্টিয়ার রাস্তা গুলো দেখতে সত্যিই অনেক চমৎকার। আমার মনে আছে আমি হাতে গোনা কয়েক বার কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম ওখানে গিয়ে অনেক উপভোগ করেছিলাম জায়গাটি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই স্পষ্ট ছিল তাছাড়া অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সুন্দর একটি ট্রাভেলিং পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সকাল সকাল প্রকৃতির আবহাওয়া পেয়ে গেছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে। আসলেই পরিবেশটা খুবই ভালো ছিল। সুন্দর প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এবং অনেক কারুকার্য তুলে ধরেছেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনি কুষ্টিয়া যাত্রায় খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অনেক দারুন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আসলে বাইক নিয়ে ভ্রমন আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দারুন ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বেশ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে। আপনার যাত্রার অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ফটোগ্রাফি গুলো পোস্ট গুলো দেখতে বেশি আকর্ষণ লাগে। নিত্যনতুন অনেক কিছু দেখা যায়, আপনার কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে রাস্তার দু'পাশের পরিবেশ সত্যি দারুন ছিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব দারুণ ভাবে ক্যাপচার করেছেন। এত ভালো লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।