আন্তঃনগর ট্রেন ভ্রমণ||০৮-০২-২০২২||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে ট্রেন জার্নি নিয়ে একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনাদের সাথে আগের পোস্টে শেয়ার করেছি যে আমি খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় ঘুরতে এসেছি।জীবননগর থেকে কুষ্টিয়া বাসায় ফেরার সময় আমি ট্রেনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।আর সেই ট্রেন ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। এদিকে ভাবী আমাদের সবার জন্য নাস্তা তৈরি করছে। আগের পোস্টে বলেছিলাম আমি বাসায় আসবো বলে ভাইয়া আর ভাবী ২ দিনের ছুটি নিয়েছে। তাদের ২ জনের ছুটি শেষ আর তাদের ও অফিস যেতে হবে। ভাইয়া জীবননগর থেকে মেহেরপুরে অফিস করে। তার জন্য আমি আর ভাইয়া সকাল সকাল নাস্তা করে বাসা থেকে বের হয়ে পড়লাম।বাসা থেকে সকাল ৮ টায় বের হলাম। ভাবীর কাছ থেকে বিদায় নিতে নিতে দেরি হয়ে গেল বলে বাস টা মিস করলাম।পরে মাহিন্দ্রা গাড়িতে উঠে ২০ মিনিটের পথ অতিক্রম করে দর্শনা পৌঁছালাম। দর্শনা নামার পর ভাইয়া আমাকে যাওয়ার খরচের জন্য ১০০০ টাকা দেয় আর সে মেহেরপুরের বাস ধরে।আমি দর্শনা বাস স্টপ থেকে ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে দর্শনা রেলওয়ে স্টেশনে আসলাম। এসে দেখলাম ট্রেন আসতে এখনও ১১ মিনিট বাকি আছে। সময় কাটানোর জন্য রেলওয়ে স্টেশনের কিছু ছবি তুলেছিলাম আর তার কিছু সময়ের মধ্যেই ট্রেন চলে আসলো।
দর্শনা রেলস্টেশন।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
ট্রেনের ভিতরে।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করার পর আমি ট্রেনে উঠে আমার আসন গ্ৰহণ করলাম। অল্প একটু খুজতেই C-87 আসন নম্বর পেয়ে গেলাম।ব্যাগ গুলো নির্দিষ্ট স্থানে রেখে সিটে বসে পড়লাম। আন্তঃনগর ট্রেনের ভিতরে অনেক সুন্দর পরিবেশ সেটা আর আপনাদের বলতে হবে না, নিশ্চয়ই ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন। এই ট্রেনটির নাম কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস।প্রতি স্টেশনে ২ মিনিট সময় দাড়িয়ে থাকে।আমি আসন খুঁজে বসতেই ট্রেন ঝকঝকাঝক চলতে শুরু করলো। নিরব পরিবেশের ট্রেন ভ্রমণ টা বেশ উপভোগ করছিলাম।বড় কথা হচ্ছে উন্নত দেশ গুলোর মতো আমাদের দেশেও ট্রেন গুলোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ট্রেনের মধ্যে ভি আই পি চেয়ার কোচ সিটের ব্যাবস্থা।
যাত্রা পথে কিছু ছবি তোলা।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
আলমডাঙ্গা উপজেলার লাল ব্রিজ অনেক পুরনো হওয়ায় এটি সবার কাছেই পরিচিত। আমিও অপেক্ষায় ছিলাম ট্রেনের জানালা দিয়ে লাল ব্রিজের ছবি তুলবো।সেই সুবাদে রেললাইনের পাশ দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। দুই দিকে ফাঁকা মাঠ আর তার মাঝ দিয়ে ট্রেন আপন গতিতে ছুটে চলেছে। লোহার লাল ব্রিজের উপর ট্রেন উঠতেই ঝকঝকাঝক শব্দ বেড়ে গেল আর আমি ও বুঝতে পারল যে ট্রেন লাল ব্রিজের উপর উঠে পড়েছে। জানার মধ্যে দিয়ে ফোন বের করে চলন্ত ট্রেন থেকে ছোট্ট শাখা নদীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম। সত্যি বলতে ছবি তুলতে তুলতে একটা নেশা হয়ে গিয়েছে।যে কোন দৃশ্য দেখলে ছবি তুলতে ইচ্ছে করে আর ইচ্ছা গুলো পূরণ করি সাথে আমার তোলা ছবি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
গন্তব্য স্থলে পৌছালাম।
what3words address.
https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
দৈর্ঘ্য ২ ঘন্ট যাত্রা শেষে আমার গন্তব্য স্থান পোড়াদাহ রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছালাম। পোড়াদহ জংশন হওয়ায় ট্রেন এখানে একটু দেরি করে।ট্রেন থেকে নেমে ওভার ব্রিজ পার হয়ে আসার পর ট্রেন হর্ণ দিল আর তখনি বুঝতে পারলাম ট্রেন এখন ছেড়ে দিবে। ফোন বের করে আবার ছবি তুললাম। একদম ঘরির কাঁটায় সকাল ১০ টার সময় পোড়াদহ জংশন থেকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন টি রাজশাহীর উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। একটা বিষয় ভালো লাগছে যে ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ে পোড়াদহ জংশন ছেড়ে যায়।
আর এরই মধ্যে দিয়ে আমার ট্রেন ভ্রমণ কাহিনী শেষ হয়।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।যারা কখনো ট্রেন জার্নি করেন নি তারা একবার ট্রেন জার্নি করে দেখবেন, আশা করি ভালই লাগবে।
ধন্যবাদ,
@kazi-raihan
ট্রেন ভ্রমণ সব সময় আনন্দদায়ক হয়ে থাকে আমার। ট্রেনে একটি জিনিস আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে এর চারপাশে দৃশ্য ফাঁকা মাঠের ভেতর দিয়ে সামনে এগিয়ে চলা এবং ট্রেনের শব্দ ঝকঝকা ঝক ট্রেন চলেছে ট্রেনের বাড়ি কই আপনার পোস্ট দেখে মনে পড়ে সেই কবিতা। ট্রেন ভ্রমণ এ আপনার অনুভূতি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আন্তঃনগর ট্রেন ভ্রমনের কাহিনী খুব ভালো লাগলো। আসলে জীবনে অনেক কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। যেটা আপনি প্রতিনিয়ত আপনার অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে চলেছেন। এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই ট্রেন ভ্রমণ অনেক মজা। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভ্রমণ করতে খুব ভাল লাগে সেটা যদি হয় ট্রেন ভ্রমণ তাহলে তো আর কোন কথাই নাই আপনি সুন্দর ভ্রমণ করেছেন দেখছি ভ্রমণের অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ট্রেন ভ্রমণে ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে যাওয়া সময়টা বেশ ভালোই কেটেছেন।দর্শনা টু পোড়াদহ খুব সুন্দর করে তুলে ধরছেন। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি গুলো অসাধারন ছিল।ভাই ভাবি দুজনেই মনে হয় চাকুরীজীবী। দুজনে আপনাকে অনেক ভালোবাসে যার কারনে দুই দিন ছুটি নিয়েছিল আপনাকে সময় দেওয়ার জন্য। আসার সময় আবারএক হাজার টাকা ও দিয়েছে ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক এ রকমই হওয়া দরকার । আপনার ট্রেন জার্নি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর মুহূর্তের তোলা ছবি গুলো বেশ ভালো ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু 💚