অবশেষে প্রশান্তি ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১০ই শ্রাবণ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
দীর্ঘদিন যাবত প্রচন্ড গরম আর তাপদাহের কারণে সবাই প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। প্রচন্ড গরমের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডিস্কোর্ডে আসলেই সবাই তাদের এলাকার আবহাওয়ার কথা বলছে আর যতটুকু বুঝতে পারি সব এলাকাতেই একই অবস্থা। তবে তিন দিন যাবত আকাশে মোটামুটি মেঘ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তবে গরম আবহাওয়া একটুও কমেনি। শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাইছিলাম একটু প্রশান্তির বৃষ্টি চাই আর আবহাওয়াটা একটু ঠান্ডা হলেই যেন স্বস্তি পাওয়া যায়। এমনিতেই প্রচন্ড গরম তারপর দেশে বিদ্যুতের সংকট হওয়ায় দিন এবং রাত মিলে মোটামুটি ভালোই লোডশেডিং হচ্ছে যার কারণে গরমের তীব্রতা আরো বেশি বোঝা যাচ্ছে। আজকে সকালেও আকাশের অবস্থা বেশ মেঘলা ছিল আর আবহাওয়াটা অনেকটাই ঠান্ডা ছিল। সকালের দিকে একটু বৃষ্টির আভাস পেলেও সেটা আমাদের এলাকায় হয়নি,অন্য এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
সকালের দিকে আকাশে মেঘ থাকলেও দুপুরবেলায় উজ্জ্বল রোদের হাসি লক্ষ্য করা গেল। গতরাতে মোটামুটি গরম আবহাওয়া ভালোই ছিল যার কারণে লোডশেডিং হলেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। রাতের বেলায় ঠিক মতো ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় সেটার প্রভাব পড়েছিল। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে একটু ঘুম চেপেছিল আর দুপুরবেলা বিদ্যুৎ না থাকায় গোসল না করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ভেবেছিলাম যখন বিদ্যুৎ আসবে তখন পানি তুলে গোসল করব। তখন আনুমানিক পৌনে ৩টা বাজে আম্মু ডেকে বলল বৃষ্টি নামবে জানালা গুলো আটকায় দাও। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম বেশ ভালোই মেঘ জমেছে আকাশে। ভাবলাম আবার আকাশে মেঘ জমেছে হয়তো বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে দ্রুত গিয়ে পানি তুলে নিলাম গোসল করার জন্য, গোসলের পানি তোলার পরই বৃষ্টি নেমে পড়লো। অনেক দিন পর মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে নিজের অনুভূতি আটকে রাখতে পারলাম না বৃষ্টিতে কিছু সময় গোসল করে রুমে আসলাম। বৃষ্টি অঝোরে ঝরছিল ভাবলাম বৃষ্টির কিছু ছবি তুললে আর মন্দ হয় না। ফোন নিয়ে ছাদের উপরে গিয়ে বৃষ্টি ভেজা কিছু ছবি তুললাম।
দীর্ঘ সময় ধরে বেশ ভালোমতোই বৃষ্টি হলো। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরে ভাবলাম একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি। বাইরে কাদা বৃষ্টি হওয়ার কারণে আর তেমন ভালো পোশাক পড়ে বাজারে যাওয়ার দরকার মনে করলাম না। বাজারে গিয়ে আমাদের যে মার্কেট আছে সেখানকার ছাদে উঠিয়ে দেখলাম ছাদে বৃষ্টির পানি জমে আছে আর সেই বৃষ্টির পানি কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। দীর্ঘ সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে আকাশের মেঘ অনেকটাই কেটে গিয়েছে কিছুটা পরিষ্কার ভাব দেখা যাচ্ছে। ছাদের উপর থেকে পরিষ্কার আকাশের দৃশ্যটা বেশ ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছিল। বাজারের মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় কাজ চলছে আর সেখানকার কাজগুলো দেখাশোনার পর ভাবলাম বন্ধুদের সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরে যাবো । কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার কারণে তেমন কেউ বাজারে আসে নাই। আমার যে কাজ ছিল সেই কাজগুলো কমপ্লিট করে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে এলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশটা একদম ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে যেন প্রশান্তি ফিরে এসেছে। অতিষ্ঠ গরমের হাত থেকে মনে হয় আমরা রক্ষা পেলাম।
বাড়ি ফিরে আসার পর আম্মুর সাথে দেখা করলাম তখন আম্মু বলল আজকের আবহাওয়াটা অনেক ঠান্ডা বৃষ্টি হওয়ার কারণে গরম অনেকটাই কেটে গিয়েছে। সন্ধার পরে আমরা তোমার দাদা বাড়িতে ঘুরতে যাবো। আমি আম্মুকে বললাম তাহলে তোমার কাজগুলো কমপ্লিট করে নাও সন্ধ্যার পরে যাওয়া যাবে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তার পাশ দিয়ে যে ঘাস জন্মেছে সেগুলোতে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো এখনো রয়ে গেছে। খুব কাছ থেকে দেখলে পরে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ঘাসের উপরে দেখা যায়। বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ঘাসের উপর রয়েছে আর এটা একদম ন্যাচারাল সৌন্দর্য যে কেউ এই সৌন্দর্যকে দেখে মুগ্ধ হবে। আর কালকে বিকেলের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে যার কারণে ঘাসের উপরে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো আরো পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছিল। যদি ছবিতে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন ঘাসের উপরে গোল বৃষ্টির ফোঁটা গুলো কতটা সুন্দর লাগছে। তবে আসল বিষয় হচ্ছে বৃষ্টির কারণে গরমের প্রভাবটা কমে গিয়েছে আর ঠান্ডা আবহাওয়া বইছে যার ফলে সাধারণ মানুষ একটা প্রশান্তি ফিরে পেয়েছে। সৃষ্টিকর্তাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমাদেরকে এমন তীব্র গরম থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। তবে যারা গ্রামে কৃষিকাজ করে তাদের আরও বৃষ্টির দরকার কারণ এখন তারা ধান চাষ করবে আর মাঠ এখনো শুকনো একটু বেশি বৃষ্টি হলে মাঠে পানি জমে গেলে কৃষকদের আপাতত চাষাবাদে সুবিধা হতো। আকাশে এখনো মেঘ আছে আশা করি সৃষ্টিকর্তা আরো বৃষ্টি দিবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জুলাই,২০২২ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি জীবন কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1551378774545301511?s=20&t=5sdw8ov2G9Qj5VR1hSsPXQ
💞💚💙🥰
আমাদের এখানে কাল বৃষ্টি হয়েছিলো তবে কম।তারপর প্রশান্তি।কারন কয়েকদিনের গরমে মানুষ বেশ অতিষ্ঠ, তার সাথে লোডশেডিং তো আছেই।সবার মুখে একই কথা ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
লোডশেডিংয়ের কারণে সমস্যা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মনি 🥰
গরমের তীব্রতায় জন জীবণ অতীষ্ট হয়ে গেছিলো। এই বৃষ্টি খুব দরকার ছিলো। আমাদের এই দিকেও টানা বৃষ্টি হচ্ছে এখন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হুম হওয়ার পর যেন পৃথিবীতে শান্তি নেমে এসেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্ষার মৌসুমে প্রচন্ড গরম কেউ আশা করেনা। এখন মেঘে আসন্ন থাকে পরিবেশ যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি নেমে পরিবেশ শীতল গড়ে তোলে ।যেটা অনেকদিন হলো অপেক্ষা করছিলাম সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো।
ভাই অনেক দিন বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম আর মোটামুটি বৃষ্টি হয়ে এখন পরিবেশ টা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। মন্তব্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৃষ্টির জন্য আসলে সকলেই মনে হয় সবাই অপেক্ষায় ছিল। কেননা প্রচণ্ড গরম পড়েছিল আপনি আজকে দারুন কিছু বৃষ্টি সময়ের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি সত্যি অসম্ভব প্রশান্তি। আমাদের এখানেও প্রায় ১৬ দিন পর বৃষ্টি হয়েছে। রোদের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। বৃষ্টির জন্য আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠে পর্যায়ক্রমে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। যাক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যাক বৃষ্টি হলেই তো শান্তি ফিরে আসে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দাদা 💚
ঠিকই বলেছেন অনেকদিন গরমে পর যখন বৃষ্টিটা হয় তখন স্বস্তি নিশ্বাস ফেলানো যায়। আপনি খুব ভালোভাবে দেখছি বৃষ্টির সময়টুকু করেছেন।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।