কবরস্থান (পর্ব-০১) ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২রা ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
মৃত্যুর পরে মানুষকে কবরস্থানে সময় তো করা হয়। সাধারণত রাতের বেলায় লোকজন কবরস্থানে যেতে ভয় পায়। আর আজকে এই কবরস্থান কে কেন্দ্র করে আমি একটি গল্প লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
ওমির নামের এক লোক ঢাকায় চাকরি করতো। তারা সবাই ঢাকায় স্বপরিবারে নিজের বাড়িতেই থাকতো। সে বড় চাকরি করতো তাই ব্যস্ততার কারণে গ্রামে আসতে পারত না। কিন্তু হঠাৎ দীর্ঘ সাত বছর পরে গ্রামে আসার জন্য মন উতলা হয়ে পড়ে। এই সাত বছরের মধ্যে সে একবারও গ্রামে আসেনি। সে ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নিল। দীর্ঘদিন গ্রামের লোকজনের সাথে দেখা হয় না এবং তার গ্রামের বাড়ির লোকজনের সাথে সময় কাটাতে গ্রামে আসার জন্য ঢাকা থেকে রওনা হয়। সে ঢাকা থেকে বাসে তার গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য রওনা হয় কিন্তু আসতে বাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক দেরি হয়ে যায়। রাত একটার দিকে সে তাদের গ্রামের অঞ্চলে পৌঁছায়। তাদের বাড়ি যেতে পাকা রাস্তা শেষ হয়ে একটু কাঁচা মাটির রাস্তা পার হতে হয়। একটু কাঁচা রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার পরেই বাম পাশে একটি কবরস্থান রয়েছে আর কবরস্থান পেরিয়ে কিছুদূর গেলেই তার বাড়ি। অনেক রাত হয়ে গিয়েছে আর গ্রামের মানুষ সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুটঘুটে অন্ধকার কবরস্থানের পাশ দিয়ে যেতে তার ভয় করছে। ভয়ে ভয়ে হাটতে হাঁটতে এগিয়ে যাচ্ছে ওমির। চারিদিকে অন্ধকার আর বাঁশ বাগান, আবহাওয়াটাও খুব বেশি ভালো না কেমন যেন আকাশে মেঘ করেছে যার জন্য একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাঁশ বাগানের কাছে এসে বাতাসের সা সা শব্দ শুনে ওমিরের ভয় আরো বেড়ে গেল। তারপরও গোরস্তরের পাশ দিয়ে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে চলেছে ওমির।
হঠাৎ ওমিরের চেনা তার বাড়ির পাশে একজন লোকের সাথে দেখা। তাকে দেখে ওমিরের ভয় একটু কমে গেল যেন সে আবার স্বস্তি ফিরে পেল। তাকে দেখার সাথে সাথেই ওমির বলে উঠলো আরে জসিম চাচা নাকি?? জসিম চাচা কেমন আছেন?? জসিম মিয়া তখন বলল ভালো আছি বাবা। এত রাতে তুমি কোথা থেকে আসছো বাবা?? ওমির তখন বিস্তারিত সবকিছু খুলে বলে। ওমির জসিমকে বলে চাচা তুমি আমাকে বাঁচালে। আমি তো কি ভয় না পাচ্ছিলাম। তারা দুজনে একথা সে কথা সহ বিভিন্ন গল্প করতে করতে ওমিরের বাড়ির সামনে চলে আসে। বাড়ির পাশে চলে আসার পরে ওমির তখন জসিম চাচাকে নিজের বাড়িতে ডাকে। ওমির ঢাকা থেকে মিষ্টি নিয়ে এসেছে তাছাড়া সে অনেকদিন পরে বাড়িতে এসেছে বলে তার জন্য তো কমবেশি কিছু খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ওমির তখন জসিম চাচাকে বলল এতদূর যখন আমার সাথে এলে এবার আমাদের বাড়িতে চলো একটু হালকা নাস্তা করে যাও। কিন্তু জসিম চাচা এত রাতে তাদের বাড়িতে যেতে মোটেও রাজি হলো না। জসিম চাচা বলল বাবা তুমি অনেক দূর থেকে এলে এখন বাড়িতে যাও আমি সকালে এসে তোমার সাথে দেখা করব, এই বলে জসিম চাচা সোজা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল। ওমির অনেক রাতে বাড়ি এসেছিল তাই এত কিছু কারো কাছে না বলে খাওয়া-দাওয়া করে শুয়ে পড়ল।
ওমির সকাল বেলা ঢাকা থেকে বেরিয়েছে আর পথে বাস নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ নানা সমস্যার কারণে বাড়ি আসতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ পথ জার্নি করে এসেছে এর জন্য সে অনেক ক্লান্ত। তাছাড়া রাত অনেক গভীর হয়ে গিয়েছে বলে তার অনেক ঘুম পাচ্ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আর বাড়তি কোন কথা না বলে সে সোজা গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
ওমির সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখতে পেলে তাদের বাড়িতে অনেক আয়োজন চলছে। প্রথমত দীর্ঘ ৭ বছর পর ওমির তাদের গ্রামের বাড়িতে এসেছে আর তার সাথে দেখা করার জন্য তার আত্মীয়-স্বজন সব তাদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। সকাল থেকেই বেশ আনন্দে ওমিরের সময় কাটছিল। আনন্দের সাথে সব লোকজনের সাথে সকালের খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করল। খাওয়া-দাওয়া শেষে গল্পে গল্পে সবার কাছে বলছিল কালকে রাত্রে বেলায় কিভাবে সে বাড়িতে আসলো। অনেক রাতে বাড়ি আসার সময় তার খুব ভয় করছিল আর জসিম চাচার সাথে কবরস্থানের পাশে থেকে দেখা হয়ে তার সব ভয় দূর হয়ে যায়। যখনই কবরস্থানের পাশে থেকে জসিম চাচার সাথে দেখা হওয়ার কথা বলে তখনই সবাই চমকে যায়।
নিশ্চয়ই সবাই চমকে যাওয়ার কারণ জানতে ইচ্ছে করছে তাই না। হ্যাঁ গল্পের পুরোপুরি অংশটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তবে আজকের এই প্রথম পর্বে এখানেই ইতি টানছি। আগামী পর্বে বাকিটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ততদিনে সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন সাবধানে থাকবেন।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1625677866448060416?s=20&t=pkZGIJBm6F2OeiU22Nhuew
গল্পটি দারুন লিখেছেন সত্যিই এরকম অনেক গল্প পড়েছি । শেষের দিকে গল্পটি জমে গিয়েছে হয়তো জসিম চাচা মারা গিয়েছে সে অন্যরূপ ধরে তার সাথে কথা বলতে বলতে তাকে এগিয়ে দিয়েছে ।অনেক ভালো লেগেছে পরবর্তী পর্বে আশায় রইলাম।
খুব শ্রীঘ্রই দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।
ভাই আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুণ একটি গল্প পোস্ট করেছেন। আপনার এই দারুণ গল্প আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ছোটবেলায় মায়ের মুখে এমন গল্প শোনার চেষ্টা করতাম, যেন গল্প শুনতে খুব ভালো লাগলো ওমি আর জসিম চাচার কথোপকথন আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যাইহোক দারুণ লিখেছেন গল্পটি সামনের পোস্ট পাওয়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
হ্যাঁ সামনের পোস্টে বিস্তারিত তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।
আসলেই এত রাতে যদি আমাকেও কবরস্থান দিয়ে হেঁটে যেতে বলে আমি তোর ওখানে ভয়ে বেহুশ হয়ে পড়ে যাব। ওমির তো আমি বলব খুবই সাহসী। ভয়ে ভয়ে হলেও হাটতেছে। আমি তো ভয়ে হাঁটতেই পারতাম না। যখন গল্পটি পড়া শুরু করলাম তখন ভাবতেছি তেমন ভয়ের কিছু হবে না। কিন্তু কবরস্থানে হাঁটার কথা শুনে খুব ভয় পেলাম। আপনার গল্পটি আসলেই খুবই সুন্দর ছিল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
থাক থাক রাতে কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাঁটতে হবে না হি হি।বেহুশ হলে আবার বিপদে পড়ে যাবো।
রাতের বেলায় যে কেউ কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে ভয় পায়। তাই কেউ রাতে এত বেশি বাইরে বের হয় না আর গ্রামের মানুষ তো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। ওমর অনেক রাতে ঢাকা থেকে এসেছিল কবরস্থানের পাশ দিয়ে আসতে তার অনেক ভয় লাগছিল তখনই তার একটি চাচা সেখানে আসে এবং তাকে বাড়ি পৌঁছায় দেয়। এই কথা বলাতেই পরিবারের সবাই চমকে গিয়েছিল কেন এটাই ভাবাচ্ছে। আমি যা ভাবছি তা কি সত্যি হবে। মনের মধ্যে অনেক রকমের প্রশ্ন জাগছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে।
হ্যাঁ আপু পরবর্তী পর্বে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
অনেক ভাল লিখেছেন। বেশ গা ছমছমে ছিল গল্পটি। তবে প্লটটি চেনাচেনা।সম্ভবত চমকে যাওয়ার কারন হচ্ছে জসিম চাচা মারা গেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপনি বিষয় টি ধরতে পেরেছেন।
এই ধরনের গল্প পড়তে অনেক ভয় লাগে।ওমি যখন কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন তারা যে চাচা তাকে এগিয়ে দিয়েছিল সে কি ওমির মনের কল্পনায় চাচা হিসেবে দেখতে পেয়েছে।বিষয়টি আমার মনে হয় এই রকম হতে পারে।যাইহোক আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আগে থেকেই কিছু না বলি, পরবর্তী পর্বের জন্য বাকি রাখলাম।
কবরস্থান গল্পের আজকের প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনার গল্পের উপস্থাপন বেশ দারুন হয়েছে। আসলে এমন গল্প গুলো সব সময় টান টান উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে থাকে। জসিম চাচা চরিত্র খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।