হালিম খাওয়া জন্য ছুটে চলা ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৭ই কার্তিক | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার | হেমন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত থাকে আর এই ব্যস্ততার মাঝেও তার শখ-আহ্লাদ পূরণ করার জন্য শত চেষ্টা করে। আমাদের এলাকায় অর্থাৎ আমাদের বাসা থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে মেলা হচ্ছে আর সেখানে সার্কাস প্রধান আকর্ষণ। বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার ছোট ভাই আব্বুর কাছে বলছে সে নাকি সার্কাস দেখতে যাবে। আর সব সময় ছোটদের আবদার সব বাবা-মাই রাখার চেষ্টা করে। বিকেল বেলায় আব্বু ছোট ভাইকে নিয়ে মেলায় গিয়েছিল আর যার কারণে আমার বড় ভাইয়ের পাশাপাশি আমাকেও দোকানে থাকতে হয়েছিল। আমি সবসময় নিজের স্বাধীনতায় চলতে পছন্দ করি তাই যখন সময় পাই ঘুরতে বের হই। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানের বেচাকেনা একটু বেশি থাকে যার কারণে সেই সময়ে আর কোথাও যাওয়া হয় না। মাগরিবের নামাজের আগে আমার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল দেখা কর আমরা ঘুরতে যাবো। আমি তাকে বললাম আমার ভাই মাগরিবের নামাজ আদায় করতে গিয়েছে, নামাজ শেষ করে ভাইয়া দোকানে আসলেই আমি আসতেছি। বাইক নিয়ে সেখানে যাওয়ার পরে সবাই মিলে প্লান করলাম বাজারের পেছনে ছোট একটি মেলা লেগেছিল সেখানে সবাই ঘুরতে যাবো। আর আধা ঘন্টার মধ্যেই সে জায়গা থেকে ঘুরে চলে আসবো। বাইক নিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না হয়তো সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিট সময় লাগে। যাইহোক আমরা সবাই মিলে তিনটা বাইক নিয়ে সেখানে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করলাম। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেখানে যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম মেলা আগের দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু বের হয়েছি সেহেতু কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাবোই। হঠাৎ একজন বড় ভাই বলল চলো আমরা সবাই মিলে কুমারখালী গিয়ে হালিম খেয়ে আসি। যিনি হালিম বিক্রি করে তার নাম্বার আমাদের কাছে আগে থেকেই ছিল তাই আমরা ফোন করে তাকে জানিয়ে দিলাম আমরা আসতেছি আর হালিমের দোকানদার আমাদের ফোন পেয়েই জানিয়ে দিল আপনাদের জন্য স্পেশাল ভাবে রেখে দিচ্ছি যেহেতু আপনারা একটু দূর থেকে আসবেন। সবাই এশার নামাজ পড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম আর আমার ভাই এশার নামাজ শেষ করে দোকানে আসার পরে অতি দ্রুত দোকান বন্ধ করে আমি তাকে বাসায় পৌঁছে দিলাম আর বাইক নিয়ে কুমারখালী হালিম খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদিও আমার বন্ধুরা সবাই বের হয়ে পড়েছিল আর আমি একটু পিছে পড়ে গিয়েছিলাম। আমি খুব দ্রুত বাইক চালিয়ে তাদের সাথে যুক্ত হই এবং আমাদের যাত্রা পুরোপুরি শুরু করি।
আমাদের নতুন যে বাইকটা কেনা হয়েছে সেটা নিয়ে আব্বু আর আমার ছোট ভাই বিকেল বেলায় মেলায় গিয়েছিল যার কারণে ওই বাইকটা নিয়ে আর বের হতে পেরেছিলাম না তাই বাধ্য হয়ে আমাদের পুরাতন বাইক নিয়েই বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের পুরাতন বাইকটার সমস্যা হচ্ছে হেডলাইটে আলোর পরিমাণ একটু কম যার কারণে রাত্রে বেলায় খুব একটা দ্রুত গতিতে বাইক চালানো যায় না। আমার বন্ধুরা আগে থেকে বের হয়ে পড়েছিল কারণ আমার একটু দেরি হয়েছিল যাই হোক তারপরেও আমার বন্ধু আমাকে বারবার ফোন দিচ্ছিল এবং জিজ্ঞাসা করছিল বের হয়েছি কী না?? বাইকের হেডলাইটে আলো একটু কম থাকার পরেও দ্রুত বাইক চালিয়ে তাদের সাথে যুক্ত হই আর ছবি তোলার সময় আমার পাশে যে ছোট ভাইটি ছিল তাকে আমার ফোন নিয়ে সামনের কিছু ছবি তুলতে বলেছিলাম। ছবি তোলার আগে বাইক তিনটি কিছুটা ক্লোজ আকারে নিয়েছিলাম যাতে ছবি গুলো দেখতে একটু সুন্দর হয়। যাইহোক রানিং বাইকের উপরে ছবি খুব একটা ভালো আসে না আর এই ছবিগুলো তো রাত্রে তুলেছিলাম যার কারণে আরো একটু নরমাল এসেছে।
আমরা ঠিক রাত ৮:২৮ মিনিটে হালিমের দোকানে সামনে গিয়ে পৌছালাম। বাইক থেকে নেমেই হাতে থাকা ঘড়িতে দেখলাম আটটা আঠাশ বাজে। হালিমের দোকানে এসে জিজ্ঞাসা করলাম মামা কেমন আছেন?? তিনি খুব হাসি খুশি মনেই উত্তর দিল হ্যাঁ মামা অনেক ভালো আছি আপনারা সবাই ভাল আছেন তো?? আমরা বললাম হ্যাঁ আমরা সবাই ভালো আছি। তিনি আমাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করে দিলেন সেখানে থাকা টুলগুলো আমাদেরকে দিলেন এবং বললেন আপনারা সবাই বসুন। আমরা বসার পরে তিনি গল্পে গল্পে আমাদের কে উদ্দেশ্য করে বলছে আপনাদের জন্য স্পেশাল ভাবে রেখে দিয়েছি। তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করল কয়প্লেট হালিম দিব মামা?? আমরা তিন বাইক নিয়ে ছয় জন লোক গিয়েছিলাম বললাম ছয় প্লেট দিলেই চলবে মামা। তিনি আমাদের জন্য হালিম তৈরি করছিল আর ততো সময়ে আমি আশপাশের কিছু ছবি তুলে নিলাম বিশেষ করে হল বাজার মোড়ে থাকা কৃত্রিম বকের ছবিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে। পরবর্তীতে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। আসলে একটা টুলের উপর বসে খেয়েছিলাম যার কারণে আর ছবি তোলা হয়নি। তবে হালিমের পাতিল টার ছবি তুলেছিলাম সেটা দেখেই সবাই শান্ত থাকবেন হা হা হা।
হালিম খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাদের এক বড় ভাই নিজে থেকেই সব বিল পেমেন্ট করে দিলো। হালিমের দোকানদার মামার সাথে কথা বলে আমরা সেখান থেকে বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম যদিও আমার এক বন্ধু চা খাওয়ার কথা বলেছিল আর আমার ইচ্ছা ছিল নদীর পাড়ে গিয়ে চা খাবো। কিন্তু, একটু রাত বেশি হওয়ার কারণে নদীর দিকে আর যাওয়া হয়নি। ভেবেছিলাম বাড়ি ফেরার পথেই রাস্তার পাশ থেকে কোন চায়ের দোকান থেকে চা খাওয়া যাবে। কিন্তু রানিং অবস্থায় সবাই চলে এসেছিলাম যার কারণে আর চায়ের দোকানে দাঁড়ানো হয়নি। আমার ভাইকে যে ছোট ভাই ছিল সে অবশ্য আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল ভাই চলেন আমাদের বাজারে এগিয়ে চা খাই কিন্তু বাসা থেকে আব্বু ফোন দিয়েছিল তাই আর বাইরে খুব বেশি দেরি করা হয়নি। আমাদের বাজারে এসে সবাই আলাদা আলাদা ভাবে যার যার বাসার দিকে রওনা হলো আর তার ফাঁকেই আমার বন্ধু যখন বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আমি তার ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফটোগ্রাফি শেষ করে সবাই যার যার বাসায় ফিরে এলাম আর আমাদের যাত্রা শেষ করলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | অক্টোবর,২০২২ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
❤️❤️❤️❤️
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1584178161222586368?s=20&t=dBhRosn8dHAgWKVBDrT_Rw
🖤🖤🖤🖤
ঠিকই বলেছেন ছোটদের আবদার সব সময় বাবা মা আগে পূরণ করার চেষ্টা করে। আর আপনিতো বড় আপনারতো কিছু একটু দায়িত্ব আছেই। দোকান সামলাতে হচ্ছে পরে আপনার ভাই আসলে আপনিও যেতে পারলেন। আর বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আগে থেকে হালিম খাওয়ার জন্য বুক করে রাখার কারণে তো স্পেশাল হালিম খেতেই পারার কথা। ৬ জন মিলে ছয় প্লেট হালিম খেয়ে আবার বকের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। শেষে আপনার বাবার ফোনের কারণে আর চা খেতে পারলেন না, না খেয়ে ভালোই করেছেন তাহলে তো আরো অনেক বেশি দেরি হয়ে যেত। ভালই লাগলো আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়াটা।
আসলে আপু রাতের বেলায় বাইরে থাকলে আব্বু রাগ করে তাই দ্রুত বাসায় ফিরে গিয়েছিলাম।
আপনাদের হালিম খাওয়ার কথা শুনে তো এখন আমারও হালিম খেতে ইচ্ছে করছে 😜। শান্ত হওয়ার জন্য যে হালিমের পাতিলের ছবিটি দিয়েছেন সেটা তো আমার জন্য কাজেই আসলো না🤭। কারণ হালিম আমার খুবই পছন্দ। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, বাবা মা আগে ছোটদের আবদার পূরণ করে। বন্ধুরা মিলে যেকোনো কিছু খাওয়ার মজাটাই আলাদা। কৃত্রিম বক গুলো খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।
আপনি একটা কাজ করতে পারেন, চোখ বন্ধ করে স্বপ্নে হালিম খেয়ে নিতে পারেন।
আরে ভাই হালিম খেতে কুমারখালী আমার শহরে। বেশ দারুণ। আশ্চর্যের কথা কী জানেন প্রায়ই দেখি এই লোকটাকে ঐ জায়গাই হালিম বিক্রি করতে। কিন্তু আমি এখন পযর্ন্ত খাইনি। কিন্তু এবার খাওয়া লাগবে দেখছি। এইরকম ফ্রেন্ড সার্কেল থাকলে খারাপ হয় না।।
হুম অবশ্যই খেয়ে দেখবেন কারণ ওনার হালিম অনেক মজা লাগে।
হালিম আমার অনেক পছন্দের। আগে খুব একটা হালিম খেতে ভালো লাগতো না ইদানিং অনেক ভালো লাগে। এইতো আগের থেকে অর্ডার দিয়ে রেখেছিলেন। আপনাদের জন্য স্পেশাল হালিম বানিয়েছে। আপনার মেলায় ঘোরাঘুরি ও হালিম খাওয়া দেখে আমারও মেলায় যেতে ও হালিম খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য ।
আমরা একটু দূর থেকে গিয়েছিলাম বলে আগেই অর্ডার করেছিলাম।