চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৫শে শ্রাবণ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
বেশ কয়েকদিন যাবত আমাদের এলাকায় প্রচন্ড রোদ হচ্ছে যার কারণে গরমের প্রভাবটা ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে তাছাড়া যদি মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয় তাহলে গরমের প্রভাব অনেকটাই কমে যায়। আর দেশে সব জায়গাতেই কম বেশি লোডশেডিং হচ্ছে এটা বর্তমানে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড গরমে লোডশেডিং হওয়ার কারণে গরমে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আমার কাছে গরমের চেয়ে শীতের মৌসুমটা অনেক ভালো লাগে কারণ শীতের মৌসুমে শীতের কাপড় পরলেই শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় কিন্তু গরমের সময় প্রচন্ড রোদ আর লোডশেডিং এর কারণে গরমের আসল প্রভাবটা বোঝা যায়। বিশেষ করে যখন গরমের সময় গা ঘেমে যায় তখন সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগে গা থেকে একটা দুর্গন্ধ বের হয়। শীতের সময়ে এই জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না তাই আমার কাছে শীতের মৌসুমটা বেশি ভালো লাগে। আজকে গতকাল রাতের চাঁদের সৌন্দর্য আর গরমে বিরক্ত হওয়ার সেই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সারাদিনেও খুব একটা বিদ্যুৎ থাকে না। দুই ঘন্টা লোডশেডিং এর পরে আধা ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সবকিছুই দেশে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে যার কারণে আমাদের ব্যবসায়িক কাজে একটু বেশি সময় দিতে হচ্ছে। সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম আর রাত্রে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন বিদ্যুৎ ছিল না আর গরমের প্রভাবটা ভালো মতো বুঝতে পারছিলাম যাইহোক কিছু সময় পরে বিদ্যুৎ আসলো। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম ভাবলাম রাত্রে বেলা হয়তো মোটামুটি বিদ্যুৎ থাকবে কারণ দিনে তো খুব একটা বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না সারাদিন প্রায় লোডশেডিং এর উপরেই চলে। খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘুমাতে যাব তখন লোডশেডিং হলো। ভাবলাম হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে তাই ভেবে কমিউনিটিতে গিয়ে কয়েকটি পোস্ট পড়লাম আর ডিসকোডে গিয়ে কিছু সময় কথা বললাম। ইচ্ছা ছিল ডিসকোডে একটা মিউজিক প্লে করে ঘুমিয়ে পড়বো কিন্তু গরমের কারণে সেটা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ফোন বন্ধ রেখে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু গরমের কারণে আর বিছানায় বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না। বিছানা থেকে উঠে জানালা দিয়ে তাকাতেই দেখতে পেলাম বাইরে চাঁদের আলো দারুণভাবে ফুটে উঠেছে মনে হচ্ছিল যেন এখন দিনের আলো পড়েছে।
তখন রাত বাজে ১২ টা, বাইরের পরিবেশটা একদম নিরিবিলি আর চাঁদের আলোয় নিরিবিলি পরিবেশটা ভালোই ফুটে উঠেছে শুধু আমার জানালার সামনে মেহগনি গাছের বাগানের নিচের প্রায় অন্ধকার তাছাড়া চারপাশে চাঁদের আলো প্রবেশ করেছে, সূর্যের আলো যেমন ছড়িয়ে পড়ে ঠিক একইভাবে চাঁদের আলো বাগানের মাঝে আলোকরশ্মি আকারে প্রবেশ করছিল। মেহগনি গাছের বাগান একদম রাস্তার পাশ দিয়ে হওয়ায় বাগান পেরিয়ে সামনের দিকে যেতেই একদম সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চাঁদের সাদা ধবধবে আলো পুকুরের উপর প্রতিফলিত হচ্ছিল সেটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। রাস্তার দু'ধারে পুকুর আর চাঁদের আলো পুকুরের উপরে প্রতিফলিত হচ্ছিল তাছাড়া রাস্তার দুই ধার ফাঁকা থাকায় সুন্দর বাতাস উপভোগ করছিলাম। চারিদিকে নিস্তব্ধ পরিবেশ ঠান্ডা বাতাস আর চাঁদের আলো সবমিলিয়ে দারুন ফিলিংস কাজ করছিল। নিস্তব্ধ পরিবেশে ডিস্কোডে গিয়ে মিউজিক প্লে করে চুপচাপ বসে গান শুনলাম কিছু সময়। কিন্তু মশার কামড়ে বেশি সময় টিকতে পারলাম না ভাবলাম ছাদের উপরে গিয়ে বসলে হয়তো মশা কামড়াবে না। বাসায় এসে রুম থেকে চেয়ার নিয়ে ছাদে গিয়ে বসলাম।
অনেক সময় বাসার ছাদে বসে চাঁদের আলো উপভোগ করছিলাম আর ডিস্কোডে মিউজিক প্লে করে গান শুনছিলাম। গরম আবহাওয়ার কারণে অপেক্ষা করছিলাম যখন বিদ্যুৎ আসবে তখন রুমে গিয়ে ফ্যান দিয়ে ঘুমাবো কিন্তু অনেক সময় লোডশেডিং হয়েছে বিদ্যুৎ আর আসছেই না। আবার বাসার ছাদ থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। রাত ১ টার সময় নিরব পরিবেশে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে একটু ভয় ভয় করছিল তারপরেও ঠান্ডা বাতাস বইছিল বলে বেশ মজা লাগছিল আর ফোনের সাউন্ড বাড়িয়ে দিয়ে গান শুনছিলাম যাতে ভয় কেটে যায়। দীর্ঘ তিন ঘন্টা পরে প্রায় রাত ২ টার সময় বিদ্যুৎ আসলেও আর তখন রুমে গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। তবে চাঁদের সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | আগষ্ট,২০২২ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি জীবন কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
চাঁদনী রাতে সৌন্দর্যে আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। সাথে আপনার চাঁদের ফটোগ্রাফি দারুন লাগছে।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গরমের এই প্রভাব আসলে শীতে হয় না সেজন্য শীতকালটা আপনার খুবই পছন্দের। তবে আমার বর্ষাকাল টা খুবই ভালো লাগে। আপনি চাঁদনী রাতের কিছু সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দারুণভাবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন খুবই সুন্দর হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সবারই মনে হয় অনেক ভালো লাগে । চাঁদনী রাতে যদি প্রিয় মানুষের হাত ধরে হাটা যায় তাহলে এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না ।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে ।।শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর ভাই প্রিয় মানুষের কথা আর বললেন না সিঙ্গেল মানুষের এসব কথা বলে মনে কষ্ট দিয়েন না 🥱
রাতে চাঁদ দেখার অনুভূতি বলে বোঝানোর মত না। চাঁদনী রাতে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি এবং অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই এই অনুভূতি কারো সাথে শেয়ার করে শেষ করা যায় না।
চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য আসলেই অনেক মনোরম আগে আমরা বেশিরভাগ রাতের বেলায় চাঁদের আলো দেখতে বের হতাম। এখনকার মানুষ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাই চাঁদের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে না। আপনি যদি ফটোগ্রাফিক এগুলো করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এটা আরো বেশি মজা লাগে যদি আবহাওয়াটা গরম থাকে আর হালকা ঠান্ডা বাতাস বয় তাহলে অনুভূতির পরিপূর্ণতা বোঝা যায়।
চাঁদনী রাতের সৌন্দর্যতা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরলেন সত্যিই এরকম দৃশ্য মাঝে মাঝে খুব সুন্দর লাগে দেখতে আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে।
প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাঁদনী রাতের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। এরকম চাঁদনী রাত বেশ দারুণ লাগে। ফটোগ্রাফী গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
চাঁদের সৌন্দর্য বেশ ভালো লেগেছিল তাই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
এই বিদ্যুতের কারণে যেন কোন কিছুই করা যাচ্ছে না আসলে ভাইয়া । প্রতিদিন কয়েকবার লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হচ্ছে । আর সবচেয়ে বেশি প্রবলেম হয় হচ্ছে রাতের বেলা । তবে রাতের বেলায় এরকম চাঁদ দেখলে তো মনটাই ভালো হয়ে যায় । যদি পরিবেশটা একটু শান্ত থাকে তাহলে তো কথাই নেই । আপনি সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে ।
আসলে ভাইয়া এই সমস্যার যে কী বলবো তার কোন ভাষা নেই।
❤️🥰💚
চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য দেখে অনেক ভালো লাগলো। চাদটি দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। যখনই আকাশে চাঁদ দেখা যায়। তখনই আমি ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ চাঁদ দেখি। আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি।
তাহলে আপনার সাথে আমারও বেশ মিল আছে দেখছি আপু।