ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচ ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১লা পৌষ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ওঠার পর থেকে ফুটবল খেলা দেখার প্রতি আগ্রহটা আরো বেড়ে গিয়েছে। প্রিয় দল যদি সেমিফাইনালে উঠে যায় তাহলে এমনিতেই মন চাঙ্গা হয়ে যায় সেটা সবার ক্ষেত্রেই। প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা আর ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হয়েছিল আর সেখানে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে জয়লাভ করেছিল। আবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্স আর মরক্কো মুখোমুখি হয়েছিল আর তাদের মধ্যে ফ্রান্স ২-০ গোলে জয়লাভ করেছিল। প্রতিটা ম্যাচ প্রজেক্টারে দেখেছিলাম আর বন্ধুদের সাথে সবাই একসাথে দেখেছিলাম বলে আরো মজা হয়েছিল। প্রথম যেদিন আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটি শুরু হবে সেদিন সন্ধ্যা থেকেই একটু ব্যস্ত ছিলাম। নিজের ব্যক্তিগত সব কাজ শেষ করে কমিউনিটিতে টুকটাক একটু কাজ বাকি ছিল সেগুলো কমপ্লিট করে সন্ধ্যা সাতটার পরেই খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল তারপরেও নয়টার আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কারণ রাত একটাই উঠে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি দেখব। আর্জেন্টিনা এক বিশ্বকাপ পরে আবার সেমিফাইনালে উঠেছে তার জন্য যারা আর্জেন্টিনা সাপোর্টার তাদের মনে অনেক ফুর্তি জমেছিল। আমি ঘুমানোর আগে পরপর তিনটি অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছিলাম যাতে খেলা দেখার আগে ঠিক পেয়ে যাই। ১২:২৯ মিনিট, ১২:৩০ মিনিট এবং ১২:৩১ মিনিটে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম যাতে কোন কারণে মিস না হয়। ঠিক যথাসময়ে এলার্ম বেজে উঠল আর আমি প্রথম এলার্ম এই ঠিক পেয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং দ্রুত শীতের কাপড় গুলো পড়ে বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। অন্যদিনের মতো ওই দিনেও দরজার লকের চাবির সাথে বাইকের চাবি রেখে দিয়েছিলাম যাতে রাত্রিবেলায় বের হওয়ার সময় কারো ঘুমের ডিস্টার্ব না হয়।
দরজা খুলে বাইক বের করে আবার দরজা লক করে দিলাম কেউ বুঝতেই পারল না। আমার ছোট ভাই আমার সাথে খেলা দেখতে যাওয়ার কথা কিন্তু আমি তাকে রুমে গিয়ে ডাকার আগেই দেখলাম সে চলে গিয়েছে। তাকে ফোন দেওয়ার পরই সে বলল ভাইয়া আমি চলে আসছি। আমি বাইক নিয়ে যখন বেরহবো তখন থেকে দেখলাম রাত্রিবেলা বেশ কুয়াশা পড়ছে। তাই খুব দ্রুত যেতে পারলাম না ধীরে ধীরে যাচ্ছিলাম। যেখানে ফাঁকা জায়গা গাছপালা খুব কম সেখানে এতো পরিমানে কুয়াশা পড়েছে যে সামনে কি রয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছে না আর বাইকের লাইট যেন সেখানেই থেমে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে যেখানে ফুটবল ম্যাচ দেখব সেখানে পৌছালাম। অন্যদিনের মতো আজকেও গিয়ে দেখলাম আমার বন্ধুরা আমার জন্য সিট রেখে দিয়েছে আর আমি সেখানে বসেই আর্জেন্টিনা আর ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচটি দেখার জন্য বসলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে যারা ব্রাজিলের সাপোর্টার ছিল তারা ওই দিনে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে নিয়েছিল কারণ অনেক আগে থেকেই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ব্রাজিলের বিপক্ষে থাকে আর ব্রাজিলের সাপোর্টাররা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে থাকে। খেলা শুরু হওয়ার প্রথমদিকে আর্জেন্টিনা খুব একটা ভালো খেলছিল না পুরোপুরি বলটা ক্রোয়েশিয়ার দিকেই ছিল তবে ৩৪ মিনিটের দিকে আর্জেন্টিনা একটি পেনাল্টি পায়। মেসির নিখুঁত পেনাল্টি শর্টে আর্জেন্টিনা প্রথম লিড পায়। আর তার কিছু সময় পরেই আবার ৩৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় আর তখন থেকেই জয়ের আভাস পাচ্ছিলাম। হাফ টাইম শেষ হওয়ার পরে আবার যখন আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়া মাঠে নামে তখন আবার আর্জেন্টিনার দিকে বল প্রচুর পরিমাণে চাপ ছিল বুঝতেছিলাম হয়তো এরকম চলতে থাকলে আর্জেন্টিনা খুব দ্রুতই গোল খেয়ে যাবে। তবে কিছু সময় পর খেলার চিত্রটা আবার পাল্টে গেল তখন আবার আর্জেন্টিনা অ্যাটাক করছিল। এরই মধ্যে দিয়ে ৬৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা তৃতীয় গোলের দেখা পায়। মেসির তৈরি করে দেয়া বলে আলভারেজ দারুন একটি গোল করে। আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। আর তখন থেকেই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ছিল যারা তাদের মনে জয়ের হাওয়া দোলা দিয়ে যাচ্ছিল।
৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পরে আবার পাঁচ মিনিট বোনাস টাইম দেয় এবং সবশেষে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে জয়লাভ করে। ম্যাচ জিতে যাওয়ার পরে যারা প্রকৃত আর্জেন্টিনার সাপোর্টার তাদের খুশি আর নাচ দেখে খুব মজা লাগছিল। ভোররাতে এমন মজা উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। যাই হোক খেলা শেষে ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ি ফিরছিলাম আর তখন দেখলাম কুয়াশার এতো পরিমানে প্রভাব বেড়ে গিয়েছে যার কারণে রাস্তার সামনে কি রয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছে না। আমি বাইক নিয়ে খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলাম কারণ এখন খেলা শেষ হয়েছে অনেকেই রাস্তায় বের হয়েছে যাতে কোন এক্সিডেন্ট না হয়। আসলে ভোররাত্রে যে এত পরিমাণে কুয়াশা পড়ে সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। যাইহোক অনেক কষ্টে বাসায় ফিরে আসলাম আর বাইক রেখে ঘুমোতে গেলাম। কিন্তু আবার ফোন নিয়ে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখলাম আর্জেন্টিনা সাপোর্টারদের বিজয় মিছিল চলছে। আসলে বিজয় মিছিলটি রাস্তায় না বিজয় মিছিল চলছিল ফেসবুকে কারণ সবাই মজার মজার স্ট্যাটাস লিখছিল।
আবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের সময় খেলা দেখার প্রতি আগ্রহ টাও ছিল কারণ সেমিফাইনাল ম্যাচ বলে কথা। যদিও সেদিন নিজস্ব কোন দলের খেলা ছিল না তবে ফ্রান্সের খেলা দেখার ইচ্ছা ছিল। আগে থেকেই একটা ধারণা ছিল যে ফ্রান্স আর মরক্কোর ম্যাচে হয়তো ফ্রান্স জিতে যাবে কারণ ফ্রান্স অনেক ভালো দল। ফ্রান্স আর আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠবে এটা অনেক আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম। যাই হোক আগের দিনও খেলা দেখেছি দিনের বেলায় ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনি যার কারণে চোখে প্রচুর পরিমাণে ঘুম ছিল তাই সন্ধ্যা সাতটার পরেই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম যে রাত একটায় উঠে যাতে খেলা দেখতে পারি। আগের দিনের মতো রাত্রিবেলায় অনেকগুলো এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম যাতে ঠিক পেয়ে যাই। একইভাবে পৌনে একটা সময় এলার্ম শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম এবং ফ্রেশ হয়ে শীতের কাপড় পড়ে বাইক নিয়ে খেলা দেখার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অর্থাৎ ফ্রান্স আর মরক্কোর ম্যাচে খুব বেশি দর্শক হয়েছিল না। আমি স্টেডিয়ামে দর্শক হওয়ার কথা বলিনি আমি বলছি আমরা যেখানে বড় পর্দায় খেলা দেখি সেখানে প্রতিদিন অনেক দর্শক হয় আর সবাই মিলে একসাথে খেলা দেখার মজাটা উপভোগ করি। আগের দিনে আর্জেন্টিনা আর ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচটি রাত জেগে দেখা হয়েছে যার কারণে আবার পরের দিন আর খুব বেশি লোক হয়নি। তারপরেও সেদিনে ফ্রান্স আর মরক্কোর খেলা ছিল যার কারণে দর্শক কম হয়েছে। সাধারণত আমাদের দেশে বেশিরভাগ লোক আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সাপোর্ট করে। ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ শুধু ফুটবল বলতে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল কেই বোঝে তাই আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের কোন ম্যাচ থাকলে সেদিনও দর্শক অনেক বেশি হয়। যাই হোক আমি গিয়ে দেখলাম সবে ম্যাচটি শুরু হতে যাচ্ছে আর আমার মূলত এমবাপ্পে এর খেলা দেখার প্রতি আগ্রহ টা বেশি ছিল। আমি চাইছিলাম মরক্কো ফাইনালে উঠুক কিন্তু শুরুতেই ৫ মিনিটের ব্যবধানে ফ্রান্স প্রথম গোল দিয়ে বসে। সেদিনের ফ্রান্স প্রথম গোল দেওয়ার পরে আর খুব বেশি উদযাপন হয়নি কারণ হাতে গোনা কয়েকজন ব্রাজিলের সাপোর্টার ছাড়া সবাই ছিল মরক্কোর পক্ষে। তবে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ফ্রান্স আর মোরগের মধ্যেও প্রথম অর্ধেক টাইমের সময় পর্যন্ত মরক্কোর খেলার মান অনেক ভালো ছিল কিন্তু তারা দুর্ভাগ্যবশত প্রথম পাঁচ মিনিটে গোল খেয়ে বসে ছিল আর সেটা শোধ করতে পারেনি। মরক্কোর খেলা দেখে আশা রাখছিলাম হয়তো যে কোন সময় মরক্কো গোল শোধ দিতে পারবে। ১-০ এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল টির অর্ধেক টাইম পার হয়। অর্থাৎ যখন হাফ টাইম হয় তখন ফ্রান্স ১-০ গোলে এগিয়েছিল।
হাফ টাইম শুরু হলে কিছু সময় বিরতি হয় আর সেই বিরতির সময়ে দোকানে গিয়ে হালকা নাস্তা করলাম। আমরা যেখানে বড় পর্দা খেলা দেখি তার পাশেই একটি ছোট্ট দোকান আছে সেখানে কমবেশি শুকনো খাবার পাওয়া যায়। আমরা তিন বন্ধু গেলাম তার মধ্যে আমি আর আমার বন্ধু রিপন দুই প্যাকেট বিস্কিট খেলাম। মুখ ঝাল করার জন্য এক প্যাকেট চানাচুর নিয়ে আসলাম। ওই দিনে দর্শকম ছিল যার কারণে আমরা বন্ধুদের মধ্যে সম্ভবত পাঁচজন ছিলাম আর এক প্যাকেট চানাচুর পাঁচজন মিলে ভাগ করে খেলাম। যাইহোক খাওয়া শেষেই আবার ম্যাচটি মাঠে গড়ালো। হাফ টাইম এরপর থেকে মরক্কো দারুন খেলছিল। তবে ফ্রান্সের দুর্ধর্ষ ডিফেন্স আর স্ট্রাইকারের কারণে মরক্কো কিছু করতে পারছিল না। ৬৯ মিনিটের মাথায় ফ্রান্স দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়। আর তখনই বুঝতে পারলাম হয়তো মরক্কো এখন বাড়ি ফেরার টিকিট কাটবে আর ফ্রান্স ফাইনালে টিকিট কেটে বিশ্বকাপ নেওয়ার হাতছানি দিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরে ফ্রান্স ২-০ গোলে জয়লাভ করে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্স জয় লাভ করে আর্জেন্টিনাকে হুশিয়ার করে দিচ্ছে যে তারাও বিশ্বকাপের দাবিদার। ম্যাচ শেষ করে বাড়ি এসে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
এখন ১৮ তারিখে আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দেখার পরে নিজের পরবর্তী অনুভূতিগুলো আবার তুলে ধরতে পারব। তবে ফাইনাল ম্যাচে অবশ্যই আমি একজন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার হিসেবে চাইবো আর্জেন্টিনা যেন জিতে যায় এবং মেসি অবসরের আগে যেন শিরোপার দেখা পায়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা মানেই পেনাল্টি। ডিবক্সের মধ্যে খেলোয়ার পড়লেই ব্যাস সেমিফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পেনাল্টি টার আগ পযর্ন্ত দারুণভাবে ম্যাচে ছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু অনাকাঙ্খিত পেনাল্টির পর তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল টা ছিল একেবারে চনমনে। মরক্কো হারলেও শেষ মিনিট পযর্ন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে যা সত্যি একেবারে অনবদ্য।।
আপনার কথার ভাবে মনে হচ্ছে আপনি ব্রাজিলের সাপোর্টার হা হা হা
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
🖤💞🖤
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1603631928145772544?s=20&t=QnPoP1Be6tvsLldRycX5kw
💙💖🖤
আপনিও দেখছি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। এটা ঠিক বলেছেন সাধারণত আমাদের দেশের সবাই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল সাপোর্ট করে। সেই জন্যই হয়তো সেদিন দর্শক কম ছিল। আপনার খেলা দেখার অনুভূতি বোর্ডের ভীষণ ভালো লাগলো। ভোর রাতে অনেক বেশি কুয়াশা পড়ে এখন। আসলে ভোররাতেই না শুধু সকালেও অনেক সময় পর্যন্ত কুয়াশা পড়ে। তবে ফাইনাল দেখার পর আপনার অভিজ্ঞতা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
অবশ্যই আপু ফাইনাল খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটাও শেয়ার করব।
যাইহোক এবারের সেমিফাইনাল ম্যাচ দুইটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ,কারণ এখানে আমার নিজের দলও ছিল। যদিও সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে মরক্কো হেরে গিয়েছে তারপরও আমি তাদের খেলা দেখে খুশি হয়েছি। আর আর্জেন্টিনা এবং ক্রোয়েশিয়ার খেলা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যেন আর্জেন্টিনা অনায়াসেই ক্রোয়েশিয়ার কাছে জিতে গেল।
ভাইয়া ৩-০ তে জিতে যাওয়া মানে অনায়াসে জিতে যাওয়ার মতই।