হঠাৎ আড্ডা || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৫শে বৈশাখ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | গ্রীষ্মকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আজকের দিনটা পুরোপুরি ব্যস্ততার সাথে পার হয়েছে। ব্যস্ততার পাশাপাশি নিজেও অনেক পরিশ্রম করেছি তবে ব্যস্ত থাকার কারণে কমিউনিটিতে সময় দিতে পারিনি। যাইহোক সপ্তাহের সাত দিনে তো একরকম কাজ করা যায় না তাই আজকে আর কমিটিতে ঠিকঠাক সময় দেওয়া হয়নি। পুরোপুরি সমস্ত কাজ কমপ্লিট করে গোসল করতে গিয়েছিলাম তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছিল। প্রতিদিনই বন্ধুদের সাথে বাজারে আড্ডায় মেতে ওঠা হয় তাই আজকে যেহেতু কাজের ব্যস্ততায় যাওয়া হয়নি তাই সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিটের এর দিকে আমার বন্ধু রিপনকে ফোন দিলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম তারা কোথায় আছে?? আমি যখন ফোন দিলাম তখন রিপন বলল আমরা সবাই বাহাদুরপুর নদীর ঘাটে এসেছি তুইও চলে আয়। আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম কত সময় গিয়েছিস তো আমার প্রশ্নের উত্তরে ও বলল সবেমাত্র এসেছি অনেক সময় থাকবো চলে আয়। আমি দ্রুত রেডি হয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আর যেতে খুব একটা সময় লাগেনি।
বাহাদুরপুর নদীর ঘাটে গিয়ে দেখলাম সবাই প্রথমত বসে বসে কোক খাচ্ছে আর আমার বন্ধুদের মাঝে থেকে একজন দোকান থেকে কয়েকটা চিপস নিয়ে আসলো সেটা সবাই ভাগনাভাগি করে খেলাম। ও জায়গার সম্পর্কে বলা হয়নি, পদ্মা নদীর তীরে ছোট্ট একটি কফি শপ আছে আর কফি শপে মাঝে মাঝে গিয়েই এই কফি খাওয়া হয় সেই সাথে চিপস সহ কোল্ড ড্রিঙ্কস ও পাওয়া যায়। দোকান থেকে পরবর্তীতে আবার কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার করলাম। কারণ আমি যেতে একটু লেট করেছি তাই নতুন করে আরো একটি অর্ডার করা হলো। সবাই নদীর পারে ঠান্ডা বাতাসে আড্ডা দিচ্ছিলাম মোটামুটি আড্ডা বেশ ভালোই জমে উঠেছিল। কথার ফাঁকে ফাঁকে নদীর পাড়ে অস্থায়ী ছোট্ট কফি শপের ছবি তুলেছিলাম। আসলে অস্থায়ী কফি সব বলছি এই কারণেই যে বর্ষার সময় যখন পদ্মা নদীতে পানি আসে তখন এই জায়গাটি পানির নিচে ডুবে যায় আর কফি শপটি তখন বন্ধ থাকে। কিছু সময় পরে একজন বড় ভাই বলল আজকে সবাই মজার মজার গল্প বলি। তো যার জীবনের যেমন স্মরণীয় মজার মজার কাহিনী আছে সেই ছোট ছোট বিষয়গুলো সবাই শেয়ার করছিল। তার মধ্যে অন্যতম একটি মজার কাহিনী শেয়ার করেছিল আমার বন্ধু রিপন। আমরা যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি তখন আমাদের যে শিক্ষক বাংলা দ্বিতীয় পত্র ক্লাস নিত তিনি আমাদেরকে ক্লাসে দরখাস্ত লিখতে বলেছিলেন। আসলে ওই বাংলা দ্বিতীয় শিক্ষককে দেখে আমরা সবাই অনেক ভয় পেতাম, বন্ধু রিপনকে স্যার যখন ডেকে নিয়ে বলল কি দরখাস্ত লিখেছ সেটা খাতা দেখে সবাইকে পড়ে শোনাও। বন্ধু রিপন তখন অনেকটা ঘাবড়ে গিয়েছিল তাই ভুল করে বলে ফেলেছিল বরবরা প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনার পরে আমরা সবাই অনেক হেসেছিলাম আর আজকেও এই ঘটনাটি মনে করার পরে অনেক হেসেছি।
আবার পরবর্তীতে আমাদের সাথে থাকা একটা ছোট ভাই মজার একটি গল্প শেয়ার করলো। সে তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়তো, সেই একই বাংলা দ্বিতীয় স্যার তাকে ডেকেছিল এবং চিঠি লেখার নিয়ম সবাইকে বলতে বলছিল। আমাদের ওই বাংলা দ্বিতীয় শিক্ষককে দেখে স্কুলের সব ছেলে মেয়েরা অনেক ভয় পেত তাই সেই ছোট ভাই ও ভয়ে ভয়ে প্রিয় বন্ধুর বিপরীতে মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড বলেছিল। তখন ওই স্যার তাকে নাম দিয়েছিল ইংলিশ বয় 😁 যদিও এই ভুল করার পরে তাকে একটু পিটানি দিয়েছিল। যাই হোক এরকম সবাই মজার মজার কয়েকটা গল্প শেয়ার করলো। গল্পের পর্ব শেষ হওয়ার পরে আমরা সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এশার আজান হওয়ার পরে কফি শপ বন্ধ হয়ে গেল তাই আমরা আর সেখানে বেশি দেরি করলাম না। বাইক নিয়ে সবাই আমাদের বাজারে চলে আসলাম। আমি আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে আজকের এই ছোট্ট আড্ডা নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করব তাই বাজারে আসার পরে বাজারের ছবিও তুলে রেখেছিলাম যাতে পোস্ট শেয়ার করার সময় আমি কাজে লাগাতে পারি।
বাজারে আসার পরে বড় ভাই বলল তার বাইকের পার্কিং লাইটে একটু সমস্যা হয়েছে তাই সেটা চেঞ্জ করবে। প্রথমেই আমরা বাইক নিয়ে সেখানে গেলাম এবং বড় ভাইয়ের গাড়ি ভিতরে দিয়ে আমরা পার্কিং লাইট টা চেঞ্জ করে নিলাম। তখন আমরা সবাই একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করলাম সেটা হচ্ছে মোটরসাইকেল গ্যারেজে সাইনবোর্ডে লিখে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল হাসপাতাল এই টপিক নিয়ে আমরা সবাই হাসাহাসি করছিলাম। আসলে নামটা মজা তাই না?? মানুষ যেমন অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তেমনি মোটরসাইকেলে কোন সমস্যা হলে সেটা মোটরসাইকেল গ্যারেজে নেয়া হয় আর সেই জন্যই হয়তো মোটরসাইকেল গ্যারেজের নাম দেয়া হয়েছে মোটরসাইকেল হাসপাতাল 😆
পরবর্তীতে আমাদের কাজ কমপ্লিট করে আমরা সবাই যার যার বাসায় ফিরে এলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে যদিও সারাদিনে ব্যস্ততার পরেও সন্ধ্যার পরে একটু আড্ডায় বসে ছিলাম বলে সেই মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | মে,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1655611443226738688?s=20
ভালো লাগলো এই আড্ডা র মধ্যে আমিও ছিলাম। বন্ধুদের সাথে এরকম আড্ডা দিতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধরনের গল্প গুজব হয়েছে স্কুল জীবনের। সত্যিই সেই দিনগুলো কতই না মধুর ছিল সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।