এদিক সেদিক সারাদিন।|| by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১০ই আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শরৎ-কাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আমি যদি আজকে সারাদিন আমাদের এলাকার বিবরণ দিতে চাই তাহলে খুব সহজেই সারাদিনের বিবরণ দেওয়া যাবে কারণ একটানা সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল আনুমানিক সকাল এগারোটার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তারপর একটানা বৃষ্টি একের পর এক হচ্ছেই মাঝেমধ্যে পাঁচ মিনিট থেকে ১০ মিনিট বৃষ্টি বিরতি হলেও আবার ভিডিওতে শেষে নতুন করে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আজকে সারাদিন বেশ ব্যস্ততার সাথে দিন পার করেছি পুরোটা দিন কুষ্টিয়া শহরে পার করে দিয়েছি। সকালবেলা আমি আমাদের ব্যবসায়ীক কাজের জন্য গিয়েছিলাম আর পুরোপুরি কাজ কমপ্লিট করতে প্রায় দুপুর 11:30 বেজেছিল। কাজ শেষ করে বন্ধু রাজুকে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম তারা কুষ্টিয়া এসেছে।
আমার নিজের কিছু কাজ ছিল যার কারণে শহরের মধ্যে সেই কাজগুলো কমপ্লিট করার জন্য রওনা হলাম। বন্ধু রাজুর সাথে দেখা হল সাথে আরো দুজন বড় ভাই ছিল মূলত সবার আলাদা আলাদা কাজ ছিল তাই সবাই একসাথে কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম। আমরা চারজনের তিনটা বাইক নিয়ে সারাদিন কুষ্টিয়া শহরের এদিক-সেদিক ঘুরেছি তারপর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সব মিলিয়ে দিনটা যে কিভাবে পার হয়ে গিয়েছে সেটা বুঝতে পারিনি সত্যি বলতে এদিক-সেদিক ঘুরতেই দিন শেষ এজন্য পোস্টের টাইটেলে দেখেছি এদিক সেদিক সারাদিন। যাইহোক প্রথমে বড় ভাই কিছু কেনাকাটার জন্য ইজি শোরুমে গিয়েছিল কিন্তু তার তেমন কিছু পছন্দ না হওয়ায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম। বেড়িয়ে আসার পর থেকে দেখলাম বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
যেহেতু বাইরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল তাই সম্ভব হচ্ছিল না আবার পরবর্তী কাজের জন্য অন্য জায়গায় যাওয়া কারণ আমাদের কারো কাছে রেইনকোট ছিল না। বৃষ্টি দেখে হঠাৎ ভাই বলল চলো পিয়াজি খাই। গরম গরম তেলেভাজা পিয়াজি বেশ ভালই লাগে কিন্তু যদি সেটা বৃষ্টির সময় হয় তাহলে আরো বেশি মজা লাগবে এটা স্বাভাবিক। ভাইয়ের কথায় না করতে পারলাম না গিয়ে দোকানের পাশে বসে পড়লাম আর বৃষ্টি দেখছি চারিপাশটা একদম বৃষ্টির শব্দে মাতোয়ারা হয়ে আছে। যখনই গরম পিয়াজি মুখে দিলাম কি একটা স্বাদ পেলাম সেই সাথে বৃষ্টি ভেজা ঠান্ডা আবহাওয়ার অনুভূতিটা যেন এখনো উপভোগ করছি। তবে বাইরের খাবার খুব একটা খাই না যার কারণে এক পিস খেয়েই শেষ করলাম।
যেহেতু অনেক সময় ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল তাই দোকানদারের দোকানে নতুন কোন কাস্টমার আসছিল না তাই আমরাই সেখানে বসে বসে গল্প করছিলাম দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমি আশপাশের ছবি তুলছি। সেখানে বসে বসে সবাই আলোচনা করছিলাম এর পরবর্তীতে কোথায় যাব কি কিনব এই বিষয় নিয়ে যেহেতু চারজন একসাথে আছি সেহেতু চারজনের কাজগুলো কমপ্লিট করতে গেলে অনেক সময় লাগবে আর কেনাকাটার ক্ষেত্রে কেউ একা যেতে যাচ্ছিল না কারণ সবাই মিলে কোন কিছু কিনতে গেলে ভালোভাবে দামাদামি করে পছন্দ করে নেওয়া যায়। অনেক সময় পর বৃষ্টি কিছুটা কমলো তখন আমরা টার্গেট নিয়েছিলাম বড় বাজারের দিকে এপেক্স এর যে মেইন শোরুম আছে সেখানে গিয়ে লোফার দেখবো। তবে লোফার দেখে পছন্দ হলো না তাই পরবর্তীতে আমরা আবার বড় বাজারের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম কিন্তু তখন থেকেই আবার নতুন করে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল।
বৃষ্টি দেখে অনেক সময় বসে রইলাম আর প্রহর গুনছিলাম কখন এই বৃষ্টি শেষ হবে আমরা বড় বাজারের দিকে যাব। প্রায় আধা ঘন্টা পরে বৃষ্টি কিছুটা কমলো তখন আমরা বাইক নিয়ে দ্রুত বড় বাজারের যে বড় ঘড়ির দোকান আছে সেখানে চলে গেলাম। প্রথমেই ঘড়ির দোকানে গিয়ে কয়েকটি ঘড়ি দেখলাম যার মধ্যে রাজু একটি ঘড়ি পছন্দ করলো। তবে দোকানদারের আচরণ একদম পছন্দ হলো না আমরা ঘড়িটা সবেমাত্র পছন্দ করলাম তারপরে দামদর করে যদি সে রকম হয় তাহলে নিব দোকানদার আমাদের পছন্দের কথা শুনেই দ্রুত মেমো করে নিজের মতো দাম ফিক্সড করে আমাদের হাতে মেমো ধরিয়ে দিল। আমি তখন বললাম আপনার ঘড়ি আমি সবে পছন্দ করেছি নিব এটা তো কখনো বলিনি এই বলে দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম। পরবর্তীতে পাশের একটি দোকানে গিয়ে বেশ কয়েকটি ঘড়ি দেখলাম তার মধ্যে থেকে একটি ঘড়ি পছন্দ করে নিলাম।
যাই হোক ঘড়ি কেনা শেষ হলো তারপরে আমরা পরবর্তী কাজের জন্য আবার রওনা হলাম। মোটামুটি এভাবেই শহরের মধ্যে চার চক্কর মারা শেষ। শুধু বাইক নিয়ে একবার এদিকে যাচ্ছে আবার ওদিকে যাচ্ছি। সবশেষে প্রায় বিকেল চারটা বেজে গেল তখন বাসার উদ্দেশ্যে তিনজন একসাথে রওনা হলাম। কিছু পথ আসার পরে হঠাৎ ভাই যে কাজের অর্ডার দিয়ে এসেছিল সেটা আনতে ভুলে গিয়েছিল যার কারণে আবার আমাদের দাঁড়াতে হলো তবে আমরা যখনই সেখানে দাঁড়ালাম তখনই আবার নতুন করে চুল বৃষ্টি শুরু হল প্রায় এক ঘন্টা সেখানে বসে থেকে আসরের আযানের পরে সেখান থেকে রওনা হলাম। বৃষ্টির কারণে কোনদিক যেতে পারিনি খাওয়া-দাওয়া হয়নি প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কুমারখালীর সততা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি খাব। আমাদের কুষ্টিয়ার মধ্যে এই সততা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি বেশ নামকরা। যাই হোক সেখানে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সন্ধ্যার সময় বৃষ্টিতে ভিজেই বাড়িতে এলাম এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |