মামার আয়োজন। || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১২ই ভাদ্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎ-কাল|


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000086834.png

Canva দিয়ে তৈরি



গত বৃহস্পতিবারে সায়েম মামা কিছু আয়োজন করেছিল আর আয়োজন করার আগের দিনে অর্থাৎ বুধবারে দুপুরে ফোন দিয়ে বলল বাসায় কিছু আয়োজন আছে আমার এলাকার কিছু ছেলেরা থাকবে সাথে তোমাকেও থাকতে হবে। যেহেতু বেশ কিছুদিন ধরেই মামা ফোন করে বলছিল আমি যেন তাদের বাসায় যাই তবে নিজের ব্যস্ততার কারণে যাওয়া হচ্ছিল না তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বৃহস্পতিবারে বিকালে মামা যেহেতু ইনভাইট করেছে সেহেতু তাদের বাসায় যাব তাছাড়া তার সাথে অনেকদিন ঘোরাঘুরি হয় না। তবে তার মাঝেও আরেকটা সমস্যা ছিল কারণ গত সপ্তাহের শেষের দিকে প্রতিদিন বিকেলে বৃষ্টি হতো আর বৃষ্টির মধ্যে যাওয়া একটি ঝামেলাই যেহেতু বাইক নিয়ে যাব তাই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া তো আর সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মামা আবারো ফোন দিল আর জিজ্ঞাসা করল আমি কখন তাদের বাসায় যাব। যেহেতু বৃহস্পতিবারে কমিউনিটিতে বাড়তি একটু কাজের প্রেসার থাকে তাই সকাল সকাল পোস্ট করা সহ কমেন্ট করে কাজগুলো কমপ্লিট করে নিলাম তাছাড়া রাতের বেলায় হ্যাংআউট থাকে সেক্ষেত্রে আরও একটু সময় দিতে হয়। বিকেল বেলা বাইকে ধীরে ধীরে কুমারখালী উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যাওয়ার সময় লক্ষ্য করলাম আকাশে বেশ ভালোই মেঘ জমেছে এমন মেঘলা আবহাওয়ায় বৃষ্টি হবে সেটা শিওর ছিলাম। হয়তোবা বৃষ্টি একটু দেরিতে নামবে আর ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও সেটাই চাইছিলাম বৃষ্টির আগে যেন কুমারখালী পৌঁছে যেতে পারি।



20240822_215159.jpg

20240822_225934.jpg

20240822_230002.jpg

20240822_230032.jpg

20240822_230039.jpg

20240822_230125.jpg

20240822_230202.jpg



বাসার মধ্যে ঢুকেই দেখলাম সায়েম মামা বারবিকিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় যে মসলাগুলো আছে সেগুলো তৈরি করছে তখন বুঝতে পারলাম আসলে রাতে বোধহয় বারবিকিউ পার্টি হবে। মামা বলছিল রুমে গিয়ে বসো আমি এই কাজটা কমপ্লিট করে আসছি। আমি রুমে কিছু সময় বসার পরেই মামা চলে আসলো আর বলল চলো বাইরে থেকে ঘুরে আসি রুমের মধ্যে বসে থেকে কি হবে আমিও সেটাই চাইছিলাম একটু বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। যেহেতু বাইক বাইরেই ছিল তাই বাইক নিয়েই সবজি বাজারের দিকে গেলাম রাতের জন্য কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন ছিল শসা লেবু সহ হালকা কিছু বাজার করার প্রয়োজন ছিল।



সেখানে যাওয়ার পর কাঁচা বাজারের যে আড়ৎ মালিক তার ছেলে সায়েম মামার বন্ধু সেটা জানতে পারলাম আর তাই সেখান থেকে সব ধরনের সবজি নিয়ে আসলাম একদম ফ্রি। ওই ছেলেটাও রাতে আমাদের সঙ্গে থাকবে তাই যত ধরনের কাঁচাবাজার প্রয়োজন সবকিছু তাদের দোকান থেকেই দিয়ে দিল। আর গ্রাম থেকে অরিজিনাল দেশি মুরগির ছোট ছোট ছয়টা বাচ্চা কেনা হয়েছে যেটা দিয়েই রাতের আয়োজন হবে। যখন মামা বলল দেশি মুরগি তখন বুঝলাম আসলে খাওয়াটা বেশ ভালোই জমবে বয়লার মুরগির টেস্ট তেমনটা ভালো লাগে না তবে দেশি মুরগির টেস্ট সব সময় সেরা। বাজার শেষ করে মামাদের গ্রামে কয়লা আনতে গেলাম সেখান থেকে কিছু কয়লা একটি বস্তার মধ্যে রেখে কয়লা আনার দায়িত্বটা আর একজনকে দেওয়া হল আর আমরা ঘুরতে ঘুরতে গড়াই নদীর পাশে এলাম। গড়াই নদীর পাশে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল আকারে বৃষ্টি দীর্ঘ এক ঘন্টা নিরিবিলি নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দিলাম।



20240822_231110.jpg

20240822_230907.jpg

20240822_230913.jpg

20240822_231236.jpg

20240822_232622.jpg



বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বাসায় চলে আসলাম আর মামাদের বাসার তৃতীয় তলায় যে ফাঁকা জায়গা ছিল সেখানে বারবিকিউ তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করে দিলাম। গ্রাম থেকে যার কয়লা আনার কথা ছিল তিনিও কয়লা নিয়ে চলে আসলেন আর কয়লার আগুন জ্বালাতে গিয়েই ঝামেলা শুরু হল। এক ঘন্টা ধরে কয়লায় আগুন ধরাতে পারলাম না কারণ কয়লা গুলো একটু ভেজা মত ছিল। আমি আবার বুদ্ধি করে বললাম মামা আপনাদের মিষ্টির কারখানা থেকে গরম কয়লা নিয়ে আসলে ভালো হয় তখন সবাই বলল হ্যাঁ এই আইডিয়াটা ঠিক আছে। বাইক নিয়ে স্টিলের একটি বড় গামলা নিয়ে পাশের মিষ্টির কারখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হল একজনকে সে গামলা ভর্তি কয়লা নিয়ে চলে আসলো আর সেটা একসাথে মিশিয়ে দিয়ে ফ্যান ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়লা গুলো জ্বলতে শুরু করল। তবে প্রথমে কয়লায় আগুন ধরাতে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে। বাসায় যে নেট রেডি করা ছিল সেই নেটটা সুন্দরভাবে দিয়ে তার উপরে মুরগির মাংসগুলো দিয়ে দেওয়া হল।



মুরগির মাংস গুলো যখন এক পাশ পুড়ে যাচ্ছিল তখন উল্টে দেয়া হচ্ছিল আর টমেটো সসের সাথে সরিষার তেল মিক্সড করে সেটা ব্রাশ দিয়ে মুরগির মাংসের উপরে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল যেন সেটা ভালোভাবে কয়লার তাপে ভাজি হয়ে যায়। সবাই গল্প করছিলাম আর সায়েম মামা সহ তার দুই বন্ধু মিলে বাকি কাজ কমপ্লিট করেছিল। এক পর্যায়ে পুরোটা রেডি হয়ে গেল যখন আলাদা পাত্রে তোলা হল তখন সবাই এক পিস করে টেস্ট করল আমি যখন খেয়েছিলাম তখন বেশ ভালোই মজা হয়েছিল তবে এর পুরো ক্রেডিট ছিল সায়েম মামার। রান্না শেষ করার পরে সবগুলো বারবিকিউ সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে সায়েম মামার রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি খাসির মাংসের সাথে খিচুড়ি ভাত আর এই মুরগির মাংসের বারবিকিউ। রাতের খাবারটা বেশ ভরপুর হলো, অনেকদিন পর এরকম সবাই মিলে একসাথে হয়ে আড্ডা দেওয়া হয়েছে সেই সাথে খাওয়াটাও বেশ ভালো হয়েছিল।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়আগষ্ট,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120723-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 74967.91
ETH 2823.87
USDT 1.00
SBD 2.51