হঠাৎ কুয়াশা ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২৫শে ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বসন্তকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



png_20230224_123155_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



শীত শেষে বসন্তের হাওয়া বইছে। চারিদিকে গাছপালার দিকে তাকালেই বোঝা যায়? এখন বসন্তকাল কারণ চারিদিকে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটেছে। সাধারণত শীতকালে সকালবেলায় চারদিকে কুয়াশায় পুরোপুরি অন্ধকার থাকে তবে এখন বসন্তকাল হওয়া সত্বেও সকালবেলায় চারিদিকে কুয়াশায় অন্ধকার ছিল তবে শীত ছিল না। শীত অনেক আগে থেকেই তো বিদায় নিয়েছে। এখন যেন বসন্তের হাওয়ায় শুধু ফুলের সুবাস ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে বসন্তের বিভিন্ন ফুলের ছবি নিয়ে দুইটি ফটোগ্রাফি পরব শেয়ার করেছি আগামী সপ্তাহ ইনশাল্লাহ আরো একটি ফটোগ্রাফি পর্ব শেয়ার করতে পারব। এগুলো সবই জানো বসন্তের বাতাসে সুবাস ছড়ানো প্রতিটা ফুল। বসন্তের শুরুতে শুধু গাছেই ফুল ফোটে না মানুষের মনেও ফুল ফোটে থাকে আর সেই ফুল দিয়ে মানুষ তার প্রিয় মানুষকে মনের কথাগুলো জানিয়ে দেয়। বসন্তের পহেলা ফাল্গুনে দিনটাকে তো ভালোবাসা দিবস হিসেবে নামকরণ করে দেওয়া হয়েছে। যাইহোক এবারে মূল প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলি। সকালবেলা একটু হাটাহাটি করার জন্য বাইরে বের হলাম যদিও আমি যখন ঘুম থেকে উঠেছিলাম তখন অনেক ভোর। ঘড়ির কাটায় ছয়টার একটু বেশি বাজে হয়তো। দেখলাম চারিদিকে কুয়াশায় একদম অন্ধকার। তারপরেও রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।



20230224_071948.jpg

20230224_071935.jpg

20230224_071803.jpg



একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যেখানে একটু ফাঁকা জায়গা সেখানে কুয়াশার প্রভাব টা একটু বেশি। কিছু সময় কুয়াশার মধ্যে হাঁটছিলাম বেশ ভালই লাগছিল কিন্তু আগের মতো এখন আর শীতের প্রকোপ নেই তাই অল্পতেই গরম ধরে যায়। বাইরে এমন কুয়াশা দেখে ভাবলাম হয়তো একটু শীত পড়বে তাই হুডি পড়ে বের হয়েছিলাম কিন্তু কিছু সময় হাটাহাটি করার পরে খুব গরম ধরছিল। যতই দূরে যাচ্ছিলাম যেন মনে হচ্ছিল কুয়াশা আরো ঘনিয়ে আসছে। শীতের সময় এমন কুয়াশা লক্ষ্য করা যায় তবে বসন্তকালে এমন কুয়াশা দেখা যায় না। সকালে মনে হচ্ছিল হয়তো এই পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে আজকে সূর্যের দেখা নাও পেতে পারি তাই মনে মনে প্ল্যান করে নিলাম বাসায় গিয়ে আবার ঘুমাবো। হেডফোনে গান শুনতে শুনতে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে এগিয়ে গেলাম। আমাদের বাড়ি থেকে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর একটা ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে গিয়ে এত পরিমানে কুয়াশা লক্ষ্য করলাম মানে আমার সামনে কি আছে সেটাও জানো দেখতে পাওয়া কষ্টকর। এত পরিমাণে কুয়াশা সেটা ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। তীব্র কুয়াশার ফলে গাছের পাতায় পানি জমে মাটিতে ফোটে ফোটে পড়ছে যেন মনে হচ্ছিল বৃষ্টি পড়ছে। ঘড়ির কাটায় তখন প্রায় সাড়ে ছয়টা বাজে। মাঠের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তা আছে আমি সেই রাস্তায় তখন পৌঁছে গিয়েছি।



20230221_062224.jpg

20230221_062252.jpg

20230221_062233.jpg

20230221_062305.jpg

20230221_062310.jpg

20230221_062301.jpg

20230224_072001.jpg

20230224_072608.jpg

20230224_072612.jpg



বললাম শীত নেই যার কারণে দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে আমার গা ঘেমে গিয়েছিল। কুয়াশার পরিমাণটা ধীরে ধীরে কমে আসছিল আর আমি শুধু একটা টি-শার্ট পরে হাঁটছিলাম। এবারে মাঠের দিকে গিয়ে দেখলাম প্রচুর পরিমাণে গম চাষ হচ্ছে। ছবিতে যে ফসল গুলো দেখতে পাচ্ছেন তার সবগুলোতেই গম চাষ হচ্ছে। আমি সেখান থেকে কিছু ছবি তুলে আবার বাসার দিকে রওনা হলাম কারণ হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে এসেছি। আর মাঠের মধ্যে নিরি বিলে এলাকা যে পরিমানে কুয়াশা পড়ছে তাতে গা ঝমঝমে অবস্থা যদিও দিনের বেলায় তারপরে ভয় ভয় লাগছিল। আমি সোজা আমাদের গ্রামের যে বড় বাজার আছে সেই বাজারের দিকে রওনা দিলাম আর সেখান থেকেই বাসায় যাব। যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে দেখলাম মাকড়সা জাল তৈরি করেছে আর শিশির ফোঁটা গুলো মাকড়সার জালের সাথে জড়িয়ে আছে। দৃশ্যটি বেশ ভালো লাগলো বলে ছবি তুলেছিলাম। পরবর্তীতে কিছু সময় হাঁটার পরেই আমি আমাদের গ্রামের যে বড় বাজার আছে সেখানে পৌঁছে গেলাম। তত সময়ে ঘড়ির কাটায় প্রায় সকাল সাতটা বাজে কিন্তু কুয়াশা তেমন কমেনি পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে যেন এখনো ভোররাত।



20230224_075447.jpg

20230224_072819.jpg

20230224_072709.jpg

20230224_072631.jpg



কিছু সময়ের মধ্যেই আমি বাজারে পৌঁছে গেলাম। বাজারে পৌঁছানোর কিছু সময় পরেই দেখলাম ধীরে ধীরে সূর্যি মামা উঁকি দিচ্ছে। হয়তো এখন বসন্তকাল বলে কুয়াশা পড়ার পরেও রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে আর যখনই সূর্যের দেখা মিলল তার কিছু সময় পড়েই কুয়াশা উধাও হতে শুরু করল। তবে মজার বিষয় হচ্ছে রাস্তার পাশে একটি শিমুল গাছ ছিল। শিমুল গাছের ডাল গুলো অনেকটাই রাস্তার উপরে চলে এসেছে। ডালগুলো রাস্তার উপরে চলে আসায় আমার ছবি তুলতে অনেকটাই সুবিধা হয়েছিল। তবে যদি কুয়াশা একটু কম থাকতো তাহলে বোধহয় ছবিগুলো বেশ ভালো হতো। তবে হালকা একটু কুয়াশা থাকায় শীতকালীন একটা ভাব আছে। যাই হোক সেখান থেকে ছবি তুলে নিয়ে সোজা চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেলাম। কিছু সময় পরেই দেখলাম সূর্যের উঠে পড়েছে আর প্রায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আশপাশের পরিবেশটা একদম বদলে গেল। নিমিষেই কুয়াশায় অন্ধকার হয়ে থাকা পরিবেশটা স্বচ্ছ আলোয় ভরে গেল।

সূর্যের আলো চারিদিকে দুরুত্ব ছড়িয়ে পড়ছিল আর আমিও বাসায় ফিরে আসলাম। যখন পরিবেশটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ সূর্যের আলোয় স্বচ্ছ একটি দিন সেখানে দেরি করার আর কি দরকার বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে নিজের কাজে বেরিয়ে পরে উত্তম। বাসায় এসে দেখলাম আম্মু নাস্তা তৈরি করেছে আর আমি নাস্তা করে কমিউনিটিতে একটি পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। যদিও পুরোপুরি লিখে কমপ্লিট করার আগেই অন্য একটি কাজে জড়িয়ে পড়েছিলাম তবে এখন সেটা কমপ্লিট করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়ফেব্রুয়ারী,২০২৩



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG-20211015-WA0027.jpg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  
 last year 

এখন সকালবেলায় হঠাৎ কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে চারিদিকে একটু আগে কি আছে সেটা দেখা যায় না।। শীতের শেষে এ যেন এক কুয়াশার অন্যরকম গল্প।। তবে শীত তেমন একটা না থাকলেও কুয়াশার কারণে মনে হয় সকালবেলা শীতটা যেন রয়েই গেছে।।
অনেক সুন্দরভাবে আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছেন খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।।

 last year 

হ্যাঁ ভাই শীতের প্রভাবটা আবার মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায়।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

কুয়াশায় আচ্ছন্ন দিন আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সকালে কুয়াশায় ঘেরা রাস্তায় হাঁটতে আমার কাছেও দারুন লাগে। আর আপনি কুয়াশায় ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন, যা দেখে মন ভরে গেল। যদিওবা আপনার কুয়াশার রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে শরীর ঘেমে গিয়েছিল তবুও আমার বিশ্বাস সেই মুহূর্তটুকু আপনি দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন। হঠাৎ কুয়াশা নিয়ে খুবই সুন্দর বর্ণনা করে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

সকাল বেলা এমন কুয়াশা দেখে অবাক হয়ে গেছি।বসন্ত এসে গেলেও কুয়াশা যাচ্ছে না।এগুলো সব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল।আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভাল লাগল।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফ আর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বোঝার কায়দা নেই আসলে এখন বসন্তকাল।

 last year 

এখন শীত নেই বললেই চলে মাঝে মাঝে তো ফ্যান ছাড়তে হচ্ছে,কিন্তু আবার হঠাৎ করেই কুয়াশার দেখা মিলছে। গত পরশুদিন আমাদের এখানেও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিলো সূর্যের কোনো দেখা পাওয়া যায় নি।এরকম আবহাওয়ার কারণে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে এই গরম,এই শীত বিশেষ করে বাচ্চারা।চারদিকে কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে।সুন্দর ফটোগ্রাফি ও পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।শুভকামনা রইলো।

 last year 

এই আবহাওয়াটা কেমন যেন মাঝে মাঝে শীত পরছে আবার মাঝে মাঝে গরম পরছে।

 last year 

শীতের পরে বসন্তে এসে গাছে গাছে কচি পাতা যোগায়।ঠিকই বলেছেন ফাঁকা জায়গায় কুয়াশার প্রভাব বেশি।আমাদের এখানে কোনো কোনো দিন খুবই কুয়াশা পড়ে আর প্রতিদিন রাতে শীত।সুন্দর লিখেছেন, ছবিগুলো ভালো ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 70427.25
ETH 3798.65
USDT 1.00
SBD 3.50