সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৩০শে পৌষ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আব্বু বাইক নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিল তবে আল্লাহর রহমতে খুব বড় কিছু হয়নি। আব্বা এখন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ। এক্সিডেন্ট করে বাড়ি আসার পরে আব্বু জানালো তার বুকে একটু ব্যথা হচ্ছে এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাই পরের দিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে হাতে যতটুকু কাজ ছিল সেটা কমপ্লিট করে সকালের নাস্তা সেরে আব্বুকে নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। রওনা হওয়ার আগে আমার ফুফাতো বোনকে ফোন দিলাম এবং জানতে পারলাম সে আজকে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে সারাদিন বাসায় থাকবে তাই প্রথমে আগে ফুফুর বাসায় গিয়ে ফুফাতো বোনকে দিয়ে আব্বুকে দেখাবো কারণ সে একজন ডাক্তার। বাসায় গিয়ে আব্বুকে রেষ্ট করার জন্য মাঝের রুমে শুয়িয়ে দেওয়া হলো। আপু তার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাবে তার কারণে ছুটি নিয়েছে আর আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন সে তার ব্যাগ গোছানো নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আব্বুকে দেখে সবাই দৌড়ে ছুটে আসলো আর সবকিছু জিজ্ঞাসা করছিল। বিস্তারিত সবকিছু জিজ্ঞাসা করা শেষ হলে কিছু উপদেশ দিয়ে তারপরে বড় আপু বলল আমি প্রেসক্রিপশন করে দিচ্ছি। যেহেতু শুধু বুকে ব্যথা এজন্য বুকের একটি এক্সরে দিলো। আমাদের নিজেদের কোন ব্যক্তিগত সমস্যা হলে সেটা যদি ডাক্তার দেখানো হয় তাহলে প্রেসক্রিপশনে ৪০% ডিসকাউন্ট উল্লেখ করে দেয়া হয়। আপু প্রেসক্রিপশনে ৪০% ডিসকাউন্ট করে দিল যার কারণে রিপোর্ট করতে খরচটা একটু কম হবে।
প্রেসক্রিপশনে এক্সরের পাশাপাশি আরো কিছু ওষুধ লিখে দিল কারন আব্বুর হাতে এবং পায়ে একটু কেটে গিয়েছে। আব্বু ডায়াবেটিস থাকার কারণে কাটাগুলো শুকাতে একটু সময় লাগবে তাই সাথে কিছু এন্টিবায়োটিক লিখে দিল যেন দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায়। কিছু সময় রেস্ট করে আমরা আবার হাসপাতালের দিকে রওনা হলাম। কারণ যত দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করিয়ে নিব তত তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছাতে পারবো। কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনেক পুরাতন আর নামকরা। সেখানে গিয়ে আব্বুর এক্সরে টেস্ট করালাম। ৬০০ টাকা দিয়ে এক্সরে টেস্ট করানোর পরে প্রেসক্রিপশনে ৪০% ডিসকাউন্ট থাকায় ২৪০ টাকা ডিস্কাউন্ট পেলাম। যাইহোক সেটা বড় ব্যাপার না, এক্সরে করানোর পরে রিপোর্ট ডেলিভারি রুমে গিয়ে রিসিভ স্লিপ দেখালে তারা জানালো দেড় ঘন্টা পরে যেন আমরা এসে রিপোর্ট নিয়ে যাই। তখন আবার আমার সেজ চাচা আমাদেরকে এসে নিয়ে গেল তার বাসায়। চাচার বাসায় গিয়েই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। আব্বু রেস্ট করতে থাকলো আর আমি আবার হাসপাতালে রিপোর্ট আনার জন্য বের হলাম। যখন বের হয়েছিলাম তখন সময় প্রায় ১:২৫ মিনিট। সেজ চাচা মসজিদে নামাজ পড়তে গেল আর আমি হাসপাতালে রিপোর্ট আনতে গেলাম। চাচা আমাকে বলে দিল রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমি যেন তাকে ফোন দেই কারণ সে এই রিপোর্ট অন্য এক ডাক্তার দিয়েও দেখাবে।
হাসপাতালে গিয়ে রিসিভ স্লিপ নিয়ে আমি সোজা রিপোর্ট ডেলিভারি রুমে গেলাম। রিসিভ স্লিপ দেখানোর পরে দায়িত্ব-রত লোকটি বলল এখন নামাজের সময় এর জন্য একটু দেরি হবে আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করুন নামাজের টাইম পার হলে আপনার রিপোর্ট সম্ভবত চলে আসবে। আসলে পৃথিবীতে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ হচ্ছে অপেক্ষা করা তারপরেও এখন রিপোর্ট নিতে হলে তো অপেক্ষা করতে হবে। সামনে থাকা যে ওয়েটিং রুম ছিল আমি সেখানে গিয়ে কিছু সময় বসে থাকলাম। বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক সেখানে ঠিকমতো ধরছিল না এই জন্য অপেক্ষা করতে আরও একটু কষ্ট হয়েছিল। কিছু সময় বসে থাকার পরে ভাবলাম বাইরে থেকে কোন শুকনা খাবার খেয়ে আসি। বাইরে যেতেই দেখলাম গেটের সামনে একজন লোক শুকনা ছোলা ভাজি বিক্রি করছে। সেখান থেকে দশ টাকার শুকনো ছোলা ভাজি কিনে আবার গেটের সামনে এসে হাঁটাহাঁটি করছিলাম আর খাচ্ছিলাম। কিছু সময় পরে চাচা ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমার তো নামাজ শেষ হয়ে গিয়েছে তুই কি রিপোর্ট পেয়েছিস?? আমি বললাম না এখনো রিপোর্ট পায়নি তবে উনি যেরকম বলল তাতে হয়তো কিছু সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাব। চাচা তখন আমাকে একটি এড্রেস দিয়ে বলল রিপোর্ট নিয়ে এই এড্রেসে চলে আয় আমি এখানে আছি। ছোলা খাওয়া শেষ হলে আমি আবার রিপোর্ট রিসিভ রুমে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম সবেমাত্র আমাদের রিপোর্টটা আসলো। আমি কাউন্টার থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে বাইরে চলে আসলাম।
রিপোর্ট নিয়ে সোজা যেখানে বাইক পার্কিং করেছিলাম সেখানে গেলাম আর জ্যাকেটের মধ্যে পুরো এক্স-রে রিপোর্টটা ঢুকিয়ে দিয়ে চেন বন্ধ করে দিলাম। এক্স রিপোর্ট সাধারণত কোন পকেটের মধ্যে জায়গায় ধরে না এর জন্য বুকের সামনে দিয়ে চেইন আটকে দিয়েছিলাম। চাচা যে এড্রেস দিয়েছিল সেখানে পৌঁছে গেলাম। কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে হার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মধ্যে ডাক্তার জামাল মোল্লা সবার চেয়ে সিনিয়র। চাচার সাথে ডাক্তার জামাল মোল্লার অনেক ভালো সম্পর্ক। নামাজ শেষ করে যেমন মোল্লার সাথেই তার চেম্বারে আসেন। আব্বুর বিষয় কি খুলে বলার পরে তিনি রিপোর্টগুলো দেখতে চায় আর তাই আমি রিপোর্ট নিয়ে সেখানে চলে আসি। রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই আমি ভয়ে ভয়ে প্রথমে রিপোর্ট বের করে দেখলাম যে কি লেখা আছে?? দেখলাম লেখা রয়েছে left side and right side both clear এটা দেখে একটু স্বস্তি পেলাম। যাই হোক এক্সরে রিপোর্টটা ডাক্তারকে দেখানো হলো এবং তিনি বললেন কোন সমস্যা নেই শুধু একটু আঘাত লেগেছে এর জন্যই একটু ব্যথা হয়েছে তবে একটু রেস্টে থাকলে সব ঠিক হয়ে যাবে। ডাক্তারের এই কথা শুনে আমার এত খুশি লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না কারণ আব্বু পুরোপুরি ঠিক আছে।
চাচা ডাক্তার জামাল মোল্লার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল। আমরা কিছু ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করলাম এবং পরবর্তীতে বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় এসে কাকির সাথে কথা বলে, ফুফির কাছে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম যে আব্বুর কোন সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আর প্রায় বিকেল নাগাদ বাসায় পৌছালাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জানুয়ারি,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1614078280281493506?s=20&t=bx9BEUN317gLLj55UwOJFQ
কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা সেবার মান উন্নত এবং উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনো টাওয়ারের ভূমিকা অপরিসীম।। যদিও এখানে সবকিছুর মূল্য অনেক চরা। জানতে পেরে ভালো লাগলো যে আপনার আব্বুর কোন সমস্যা হয়নি তিনি সুস্থ আছেন।।
তবে ভাইয়া মান উন্নত হলে তো একটু চড়া হবেই এটা স্বাভাবিক। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
যাক আপনার আব্বুর এক্সরে রিপোর্ট ভালো ছিল,শুনে ভালো লাগলো সবকিছু নর্মাল জাস্ট আঘাত লেগেছে। সনো টাওয়ার এর নাম অনেক শুনেছি।কুষ্টিয়ার একটি বিখ্যাত হসপিটাল এটি।এখানে সব উন্নত চিকিৎসা হয়ে থাকে।আমার কখনো এখানে যাওয়া হয়নি।কিন্তু চিকিৎসার মান ভালো এটা জানি কারণ আমার নানা বাড়ীর লোকেরা সব এখান থেকেই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, সনো টাওয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার আশপাশ কয়েক জেলার মধ্যে বেশ নামকরা।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার আব্বুর তেমন কোন সমস্যা হয়নি। আসলে বর্তমান সময়ে বাইক এক্সিডেন্টটা অনেক বেশি রাস্তায় সব থেকে বেশি বাইক চলাচল করে এবং সবথেকে বেশি এক্সিডেন্ট হয়। যাইহোক কুষ্টিয়া সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার সত্যিই অনেক নামকরা। আশা করি তারা খুব ভালো চিকিৎসা দিয়েছে আপনার আব্বুকে, আপনার আব্বু খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে এই আশা ব্যক্ত করি।
রিপোর্ট নেওয়ার আগে অনেক ভয়ে ছিলাম যে কোন খারাপ কিছু যেন না হয় যাই হোক আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সব ঠিক আছে।
ভাইয়া আপনার আব্বু বাইক এক্সিডেন্ট করেছিলো শুনে খুবই খারাপ লাগলো। দোয়া করি তিনি যেন তারাতারি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আত্বীয় স্বজন কেউ ডাক্তার থাকলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। যেমনটা আপনারা এক্সের ক্ষেত্রে পেয়েছেন। আর সনো হস্পিটালটা অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া। প্রথম শব্দটা এডিট করে নিলে ভাল হয়।
তবে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে বড় কিছু হয়নি হালকা একটু কেটে গিয়েছে শুধু।