📷🌼শখের ফটোগ্রাফি পর্ব- ২৯|| প্রকৃতির সৌন্দর্য ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য) by @kazi-raihan

আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেমঃ@kazi-raihan।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ফটোগ্রাফি পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে কালকের যে বিষয়টা সেটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি একবারে দুইটা ঝামেলায় পড়েছিলাম যার কারণে এই সপ্তাহের পোস্টগুলো একটু এলোমেলোভাবে শেয়ার করেছি। আমাদের পরিবারে একজন নতুন অতিথির আগমন হয়েছে আর যার কারণে বাড়ির ঝামেলা সহ আমাদের যে ব্যবসা আছে সে ঝামেলাও নিজেকে দেখতে হচ্ছে তাই কমিউনিটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারছিনা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজকেই সবাই বাড়িতে ফিরে আসবে আর আমিও অনেকটাই ফ্রি হয়ে যাব আর আমাদের এই পরিবারে আবার ঠিকমতো সময় দিতে পারব। প্রতি সপ্তাহে যেমন ধারাবাহিকভাবে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করি সেরকম এই সপ্তাহেও একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। সপ্তাহ জুড়ে যদি ভালো কাজ করতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে হবে। আর গত সপ্তাহের হ্যাংআউট এ সুমন ভাই একটি কথা বলেছিল যে ফটোগ্রাফি পোস্ট শুরু করার প্রথমে আমরা যে অনেকগুলো ছবি নিয়ে একটা ফটো শেয়ার করি সেক্ষেত্রে পরবর্তী ফটোগুলো দেখার প্রতি চাহিদা একটু কমে যায়। তাই আজকে আলাদাভাবে ফটোগ্রাফির বিষয় নিয়ে একটি পোস্টার তৈরি করে শেয়ার করেছি। প্রতি সপ্তাহে যে ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করি সেগুলো নিয়েই ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করি আর তাই এই সপ্তাহে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম সেগুলো নিয়ে আজকের পর্বটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।

চলুন তাহলে শুরু করি।

• ইদানিং ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠা শুরু করেছি। শীতের প্রভাব কিছুটা শুরু হয়েছে আর তাই সকালবেলায় বেশ কুয়াশার লক্ষ্য করা যায়। যদিও কিছুদিন পরে কুয়াশার প্রভাব আরো বেড়ে যাবে তবে এখন মোটামুটি ভালোই কুয়াশা পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা শুরু করেছি। আমি যখন হাঁটতে বের হই তখন চারিদিকে কিছুটা অন্ধকার থাকে আর হাঁটাহাঁটি শেষ করে বাড়িতে আসতে আসতে দেখা যায় হালকা রোদ উঠেছে। রাস্তার পাশ দিয়ে দুবলা ঘাস জন্মেছে। রাত্রি বেলায় কুয়াশা পড়ায় শিশির বিন্দুগুলো দুবলা ঘাসের উপরে পড়েছে আর তার বিপরীত পাশে সূর্যের আলোর অবস্থান বেশ ভালোই লাগছিল তাই ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

• শীতকালে সূর্য উঠছে একটু দেরি হয়। আর সকাল বেলা যখন সূর্য উঠে তখন শীতের সকালে যে একটা কুয়াশার প্রভাব দেখা যায় সেটা কমতে শুরু করে। ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন উপরে সূর্য দেখা যাচ্ছে আর নিচে কুয়াশার আস্তরণ গুলো ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ সূর্যের আলোর প্রভাবে কুয়াশার জলীয় বাষ্প গুলো কেটে উঠছে। সকালবেলা হাটাহাটি করার পাশাপাশি সূর্য আর কুয়াশা ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করার জন্যই বের হই। সকালবেলায় সূর্যের সৌন্দর্য কেমন লেগেছে মন্তব্য করে আমাকে জানাবেন।

• চারিদিকে নবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে। মূলত কৃষক পরিবারে ধান কাটার যে উৎসব শুরু হয় সেটাকেই নবান্ন উৎসব বলা হয় এক কথায় নতুন ধানের উৎসবই হচ্ছে নবান্ন উৎসব। মাঠ থেকে সোনালী রঙের পাকা ধান গুলো কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর আবাদি জমিতে খেসারি সহ গম এবং মসুর চাষের উপযোগী গড়ে তোলা হচ্ছে। কিছু কিছু ধানি জমির মাটি একটু নরম থাকায় সেখানে এখনো লাঙ্গল দিয়ে চাষ দেওয়া হয়নি আর তাই ধান কাটার পরে আবার পুনরায় সেখানে ধান গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি বের হচ্ছে। ধান গাছের কুঁড়ি এর উপরে কুয়াশা পড়েছে আর পাতার উপরে শিশির ফোঁটা গুলো জমে রয়েছে। খুব কাছ থেকে ছবি তোলার জন্য ম্যাক্রোলেন্স ব্যবহার করে এই সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছি।

• সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হই এই বিষয়টা আপনাদেরকে আগে থেকে জানিয়েছি। সেদিনে সকালবেলা হাঁটতে হাঁটতে প্রায় নদীর পাড়ে চলে গিয়েছিলাম আর শাখা নদী হওয়ায় সেখানে পানি আগে থেকেই শুকিয়ে যায়। নদী কেন্দ্রিক এলাকায় বিভিন্ন ফসল আনা নেওয়া করার জন্য সাধারণত ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়। ঘোড়া সাধারণত দাঁড়িয়ে ঘুমায় এর জন্য ঘোড়াকে আলাদাভাবে রাখার দরকার পড়ে না। ফাঁকা জমিতে ঘোড়াকে সন্ধ্যা বেলায় বেঁধে রাখা হয় আর সে রাতভর কমবেশি ঘাস খায় আর সেখানেই থাকে। আমি সকালবেলা গিয়ে দেখলাম ঘোড়াগুলো দাঁড়িয়ে আছে। সিরিয়ালে অনেকগুলো ঘোড়া ছিল আর আমি একটি ঘোড়ার পাশে গিয়ে বসতেই ঘোড়াটি আমার দিকে পিছন ফিরে তাকালো। আর সেই সুযোগে আমি ঘোরাটির ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

• উপরের ফটোগ্রাফিতে যে ঘোড়ার ছবি দেখছেন সেই ঘোড়ার ছবির ফটোগ্রাফি করার পরে যখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম তার কিছু সময় পরেই এই ঘাসের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। শাখা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল শুরু হয়েছে। যারা গ্রাম অঞ্চলে বাস করে তারা এই বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারবে, মানুষের যাতায়াতের ফলে যে পথের তৈরি হয় সে পথের পাশ দিয়ে এক ধরনের ঘাস জন্ম নেয়। চিকন পাতার এই ঘাস গুলোর উপরে শিশির ফোটা পড়েছে আর আমি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই শিশির ভেজা ঘাসের সৌন্দর্য তুলে ধরেছি।

• এই ছবিটাও আমার পুরনো অ্যালবাম থেকে সংগ্রহ করা। এর আগে আপনাদের কাছে বলেছিলাম যে আমরা বন্ধুরা মিলে শুক্রবারে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে একটি পর্ব অনেক আগে শেয়ার করেছি। নদীর পাড়ে যে পার্ক তৈরি করা হয়েছে সেখানকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই গাছ লাগানো হয়েছে। আসলে আমি গাছের নাম জানিনা তবে গাছের সৌন্দর্যটা চোখে পড়ার মতো। অনেক দূর থেকে এই গাছের সৌন্দর্য বেশ ভালোই লাগছিল তাই নদীর মধ্যে থেকে গাছের সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর সেটা পুরাতন অ্যালবামে রেখেছিলাম। ফটোগ্রাফিটা কেমন লেগেছে সেটা মন্তব্য করে আমাকে জানাবেন।

• এটি এক ধরনের উদ্ভিদ যেটা স্যাতসেতে পরিবেশে জন্মে। শাখা নদীর পানি শুকিয়ে গিয়েছে, যার ফলে নদী কেন্দ্রিক জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ জন্মেছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের সবুজ উদ্ভিদ জন্মায় ছিল যার মধ্যে এই উদ্ভিদটা সবগুলোর চেয়ে দেখতে একটু সুন্দর ছিল। তারপর সকাল বেলায় চারদিকে একটু কুয়াশার ভাবছিল যার ফলে কুয়াশার ফোঁটা গুলো এই উদ্ভিদের উপরে কিছুটা ছিল। সাধারণত ম্যাক্রো লেন্সে যদি ছোট ফুল বা উদ্ভিদের ছবিগুলো খুব কাছ থেকে ক্যাপচার করা যায় তাহলে সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। যদিও উদ্ভিদ টির নাম জানিনা তারপরও উদ্ভিদের সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার জন্য ম্যাক্রো লেন্সে ছবি তুলে শেয়ার করলাম।

আজ এই পর্যন্তই ছিল, চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে তবে কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে অন্য কোন ফটোগ্রাফি পর্বে বা নতুন কোন বিষয় নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।