শীতকালীন হাতে কাঁটা সেমাই পিঠা রেসিপি। (১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য।) by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ০১লা মাঘ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার |শীতকাল|
আমি কাজী রায়হান।আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আমি একজন ছাত্র। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
প্রতিদিনের মত আজকেও আমি আপনাদের সাথে আমার কাজ শেয়ার করার জন্য চলে এলাম।আজকে আমি একটি রেসিপি নিয়ে এলাম।
আজকে আমি আপনাদের হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করার ধাপগুলো দেখাবো। আমি পাবনা ঘুরতে এসেছি সেটা আপনাদের সাথে আগের পোস্টে শেয়ার করেছি। আমি ভাইয়ার বাসায় আসাতে ভাবী আমার জন্য শীতের পিঠা তৈরি করেছেন।ভাবী হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করেছেন আর আমি ধাপ গুলোর ছবি তুলেছি। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং আপনাদের দেখাবো।
হাতে কাঁটা সেমাই পিঠার রেসিপি তৈরি করার জন্য আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত প্রণালি আপনাদেরকে দেখিয়ে দিলাম।
উপকরণ পরিমাণ
আতপ চালের গুঁড়া ৭৫০ গ্ৰাম
দুধ ১.৫ কেজি
চিনি ২৫০ গ্ৰাম
ইলাজ ফল পরিমাণ মতো
তেল পরিমাণ মতো
গরম পানি পরিমাণ মতো
প্রথম ধাপ
একটি পাত্রে আতপ চালের গুঁড়া নিয়েছি।
আলাদা আলাদা পাত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তা চুলায় বসিয়ে তাপ দিতে হবে।
গরম পানির সাথে আতপ চালের গুঁড়া মিশিয়ে আটা তৈরি করতে হবে।যা দিয়ে হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করা যায়।
তৃতীয় ধাপ
আটা দিয়ে রুল তৈরি করতে হবে।
রুল গুলো ছোট ছোট করে কেটে হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
চুলায় কড়াই বসাতে হবে।
কড়াই বসিয়ে আস্তে আস্তে তাপ দিতে হবে আর কড়াইয়ে পরিমাণ মতো দুধ দিতে হবে। দুধের মধ্যে কিছু ইলাচের ফল ছেড়ে দিতে হবে।
চুলার তাপ বাড়িয়ে দিতে হবে আর দুধ উতলানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
দুধ উতলানো শুরু হলে চুলার তাপ একটু কমিয়ে দিতে হবে তা না হলে দুধ উতলে পড়ে যাবে।তাপ কমিয়ে দিয়ে হাতে কাঁটা সেমাই গুলো দুধের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
পুরোপুরি হাতে কাঁটা সেমাই গুলো দুধের মধ্যে দেওয়ার পর চুলার তাপ বাড়িয়ে দিতে হবে। চুলার তাপ বাড়িয়ে দিয়ে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন তাহলে সেমাই গুলো ভালো ভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।
সপ্তম ধাপ
রান্না শেষে হাতে কাঁটা সেমাই আলাদা আলাদা বাটিতে রাখতে হবে। অথবা আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।একটু ঠান্ডা হলে খাওয়া মজা বেশি পাওয়া যায়।
রান্না তো শেষ এখন খাওয়ার পালা তাই আর দেরি করতে চাচ্ছি না, চলুন তাহলে শুরু করি 😋
বিঃদ্রঃ বিশেষ একটি কারণ বশত হাতে কাঁটা সেমাই পিঠা রেসিপির সাথে নিজের ছবি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী পোস্টের সাথে আবার নিজের ছবি শেয়ার করব, ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী রেসিপি
ডিভাইস Samsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার @kazi-raihan
লোকেশন পাবনা
আশা করি আপনাদের সবার কাছেই আজকের এই হাতে কাঁটা সেমাই পিঠার রেসিপিটি ভালো লেগেছে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।আর ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম@kazi-raihan। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালো লাগে, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
🇧🇩
🇧🇩 কাজী রায়হান 🇧🇩
🇧🇩
তাহলে চলুন শুরু করি
আজকে আমি আপনাদের হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করার ধাপগুলো দেখাবো। আমি পাবনা ঘুরতে এসেছি সেটা আপনাদের সাথে আগের পোস্টে শেয়ার করেছি। আমি ভাইয়ার বাসায় আসাতে ভাবী আমার জন্য শীতের পিঠা তৈরি করেছেন।ভাবী হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করেছেন আর আমি ধাপ গুলোর ছবি তুলেছি। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং আপনাদের দেখাবো।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আতপ চালের গুঁড়া | ৭৫০ গ্ৰাম |
দুধ | ১.৫ কেজি |
চিনি | ২৫০ গ্ৰাম |
ইলাজ ফল | পরিমাণ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
গরম পানি | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
একটি পাত্রে আতপ চালের গুঁড়া নিয়েছি।
আলাদা আলাদা পাত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তা চুলায় বসিয়ে তাপ দিতে হবে।
গরম পানির সাথে আতপ চালের গুঁড়া মিশিয়ে আটা তৈরি করতে হবে।যা দিয়ে হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করা যায়।
তৃতীয় ধাপ
আটা দিয়ে রুল তৈরি করতে হবে।
রুল গুলো ছোট ছোট করে কেটে হাতে কাঁটা সেমাই তৈরি করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
চুলায় কড়াই বসাতে হবে।
কড়াই বসিয়ে আস্তে আস্তে তাপ দিতে হবে আর কড়াইয়ে পরিমাণ মতো দুধ দিতে হবে। দুধের মধ্যে কিছু ইলাচের ফল ছেড়ে দিতে হবে।
চুলার তাপ বাড়িয়ে দিতে হবে আর দুধ উতলানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
দুধ উতলানো শুরু হলে চুলার তাপ একটু কমিয়ে দিতে হবে তা না হলে দুধ উতলে পড়ে যাবে।তাপ কমিয়ে দিয়ে হাতে কাঁটা সেমাই গুলো দুধের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
পুরোপুরি হাতে কাঁটা সেমাই গুলো দুধের মধ্যে দেওয়ার পর চুলার তাপ বাড়িয়ে দিতে হবে। চুলার তাপ বাড়িয়ে দিয়ে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন তাহলে সেমাই গুলো ভালো ভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।
সপ্তম ধাপ
রান্না শেষে হাতে কাঁটা সেমাই আলাদা আলাদা বাটিতে রাখতে হবে। অথবা আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।একটু ঠান্ডা হলে খাওয়া মজা বেশি পাওয়া যায়।
রান্না তো শেষ এখন খাওয়ার পালা তাই আর দেরি করতে চাচ্ছি না, চলুন তাহলে শুরু করি 😋
বিঃদ্রঃ বিশেষ একটি কারণ বশত হাতে কাঁটা সেমাই পিঠা রেসিপির সাথে নিজের ছবি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী পোস্টের সাথে আবার নিজের ছবি শেয়ার করব, ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | পাবনা |
আশা করি আপনাদের সবার কাছেই আজকের এই হাতে কাঁটা সেমাই পিঠার রেসিপিটি ভালো লেগেছে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।আর ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম@kazi-raihan। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালো লাগে, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
কি দেখালেন ভাইয়া। এটা আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। হাতে বানানো সেমাই আসলেই অনেক মজার একটি খাবার। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি জানতে পেরে ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সেমাই পিঠা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু এবং টেস্টটি হয়েছে। দেখে তো প্রচুর লোভ হচ্ছে খাবার জন্য। আপনি ধাপে ধাপে সবাই পিঠা রেসিপি টা অনেক ভাল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেবার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই সেমাই পিঠা আমাদের বাসায় প্রত্যেক বছরে একবার করে বানানো হয়। আমার কাছে খেতে ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সেমাই পিঠা রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো ।কারন এটা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা ।প্রতিবার শীতে এই পিঠা আমি খেয়ে থাকি। এবার এখনো খাওয়া হয়নি। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব চমৎকারভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।