"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -০৪ ( আমার শেষ উৎসবের স্মৃতি) || "Amar Bangla Blog" Contest - 04 (My Last Festival Memories)
সবাইকে বন্ধুত্ব দিবসের শুভেচ্ছা
কিছুদিন আগে আমরা পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করেছি। সেই উৎসবকে ঘিরে রয়েছে সুখময় এবং বিষাদময় স্মৃতি। সেই স্মৃতি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে শেয়ার করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।
ঈদের সকালবেলা
ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে দ্রুত গোরস্থানে গেলাম কবর জিয়ারতের জন্য। তারপর কুরবানির পশুকে গোসল করালাম। দ্রুত পবিত্র হয়ে মিষ্টান্ন মুখে দিয়ে মসজিদে গেলাম ঈদের নামাজ পড়ার জন্য।
Device Name: Samsung Galaxy J7
ঈদের সকালে ফটোসেশন
Device Name: Samsung Galaxy J7
Device Name: Samsung Galaxy J7
**নামাজ পড়ে এসে দেখি ছোট ভাতিজা-ভাতিজারা দাঁড়িয়ে আছে ছবি তোলার জন্য। তাদের ছবি তুলে গরু কোরবানির জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
পশু কুরবানীর কিছু মুহূর্ত
আমি পশু জবাই করার সময় থাকিনা। এগুলো দেখলে আমার মায়া লাগে এবং ভয় লাগে। সেই কারণে আমি পিছিয়ে থাকি। জবাই শেষে সহযোগিতা করার জন্য যাই।
এবার কুরবানিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা
প্রতি বছর হাড় কাটাকাটি কিংবা মাংস কেটে থাকি। কিন্তু এবার হাতের পেশিতে ব্যথা অনুভব হওয়ায় সেগুলো থেকে বিরত ছিলাম। এবার প্রথম গরুর ভুড়ি পরিষ্কার করেছি। কিন্ত পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখলাম এগুলোতে অনেক ছোটছোট পোকা। আমি ভাবলাম হয়তো এই গরুটার কোন সমস্যা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম সব গরুর উজুড়িতে এই পোকা দেখা যাচ্ছে। তাই আমার ভুল ভাঙলো। অবশ্য এগুলো পরিষ্কার করতে আমার এবং আমার কাকাতো ভাইয়ের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছিল।
ঈদের দিন বিকেলবেলা
বিকেলবেলা মাংস পরিষ্কার করা,মাংস বন্টন এবং রান্নার কাজে আমার মাকে সহায়তা করলাম। তারপর বাজারে গিয়ে বড় ভাইদের সাথে কিছু সময় কাটালাম।
বিষাদময় স্মৃতি
৩-৪ঘন্টা বাঁকা হয়ে পানিতে নেমে কাজ করায় বিকেলবেলা থেকেই কোমরে ব্যথা এবং জ্বরজ্বর অনুভব করছিলাম। তারপর রাত থেকে শুরু হল প্রচন্ড জ্বর এবং সর্দি-কাশি। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ মনেকরে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। দিনেরবেলা ছেড়েছেড়ে জ্বর আসছিল। দুদিন পর থেকে আল্লাহর রহমতে সুস্থ অনুভব করলাম।
এই ছিল আমার শেষ উৎসবের অভিজ্ঞতা।
আমাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
উৎসবের স্মৃতি সম্পর্কে আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো।বাচ্চারা খুবই মিষ্টি দেখতে।ধন্যবাদ ভাইয়া ।