মনের সন্তুষ্টিই বড় সন্তুষ্টি || ১০% লাজুক খ্যাঁক এবং ৫% এবিবি-স্কুল
আমার বাংলা ব্লগকমিউনিটির সকল সদস্যগণ আসসালামু আলাইকুম!
আশা করি সকলে মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। সেইসাথে আপনারা আপনাদের পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে সন্তুষ্টি নিয়ে আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করব। আশা করি আমার লেখাগুলো আপনারা উপভোগ করবেন।
সন্তুষ্টি এমন একটি শব্দ যার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। কেউ অল্পতেই সন্তুষ্ট হয় আবার কেউ পাহাড়সম পেলেও সন্তুষ্টি পায় না। সন্তুষ্টি সম্পূর্ণ আমাদের মনের ব্যাপার। আমরা আমাদের মনকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তার উপরই অনেকটা সন্তুষ্ট নির্ভর করে। সন্তুষ্টি নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কারণ এটি ব্যক্তি পর্যায়ে নির্ভর করে। আমাদের একেকজনের চাহিদা একেক রকম। আর সেটার উপরই আমাদের সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টি বিদ্যমান।
কেউ বিশাল অট্টালিকায় কিংবা রাজপ্রসাদে ঘুমিয়েও সন্তুষ্টি পায়না। আবার কেউ ঘুমিয়ে আকাশের চাঁদ তারা দেখেও সন্তুষ্টি পায়। বলতে গেলে ভাঙ্গা ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে সন্তুষ্টি পায়। কেউ নামি দামি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে কিংবা দামী দামী খাবার খেয়েও সন্তুষ্টি পায় না। আবার কেউ রাস্তার পাশে ফুটপাত থেকে কুড়িয়ে পাওয়া খাদ্যে সন্তুষ্টি পায়। আবার কেউ বিলাসিতা করেও সন্তুষ্টি পায়না। আবার কেউ উদ্যাম শরীরে কোন একটা আবরণ পেলেই বিশাল সন্তুষ্ট হয়।
ছোটবেলা একটি সারাংশ পড়তাম। আশাকরি অনেকের হয়তো বিষয়টি জানা আছে। একজন ছেলের জুতো নেই বলে সে রাগ করে ঘর থেকে অভিমান নিয়ে বের হয়ে পড়ে। যখন হাঁটতে হাঁটতে সে একটি গাছ তলায় এসে দাঁড়ায় তখন দেখতে পেল একজন লোকের পা নেই। অথচ লোকটি অসন্তুষ্ট নয়। তখন ছেলেটি বুঝতে পারল আমার জুতো নেই তাই আমি অসন্তুষ্ট হইলাম কিন্তু লোকটির জুতা দূরের কথা লোকটি একটি পা নেই। এই চিন্তা করে ছেলেটি মনে মনে সন্তুষ্ট হয়ে' বাড়ি চলে এলো।
সত্যি বলতে সন্তুষ্টি হচ্ছে আমাদের সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। আমরা যদি অল্পে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সেটা ভালো। কারণ আমরা সকলেই জানি সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে আমাদের সুখ। অসন্তুষ্টি কখনো মানুষের জীবনে শান্তি বয়ে আনে না কেবল এটি দিন থেকে দিন অশান্তির দিকে নিয়ে যায়। আমাদের অল্পে সন্তুষ্ট আমার জন্য যদি আমরা আমাদের মনকে তৈরি করে নিতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারবো। অসম্ভব নয় যদি চেষ্টা করি সবকিছুই সম্ভব। সেজন্য অবশ্যই আমরা আমাদের মনকে সেভাবে সেটআপ করে নিতে হবে এবং অল্পে সন্তুষ্ট হতে হবে। আমরা যদি এটা মনের দিক দিয়ে মেনে নেই তাহলেই সম্ভব।
এই পৃথিবীতে আমরা যতদিন বেঁচে থাকি আমাদের চাহিদা অসীম। আজ এই অসীম চাহিদার পিছু ছুটতে ছুটতে আমরা আমাদের মনের সন্তুষ্টি ভুলেই গেছি। তাই আমরা যদি আমাদের চাহিদার লাগাম টেনে ধরতে পারি তাহলে অল্পে সন্তুষ্ট হতে পারব। আর যদি আমরা অল্পে সন্তুষ্ট হতে পারি তাহলে অল্পতেই আমরা সুখ খুঁজে পাবো।
সংক্ষেপে আমি
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক এবং ব্যক্তিগতভাবে এক সন্তানের বাবা। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
মানুষের স্বভাবই এটা ভাই যার যত আছে সে আরও বেশি চাই। সবাই চাই সম্পদের পাহাড় গড়তে। কিন্তু এতে করেও তারা কিন্তু প্রকৃত সুখের দেখা পাই না।। যে অল্পতেই খুশি হয় সেই কিন্তু প্রকৃত সুখি। অনেক সুন্দর একটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন ভাই। এবং গুছিয়ে লিখেছেন বেশ।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য এবং লেখাগুলো পড়ার জন্য।
লিখাগুলে বেশ ভালো লাগলো।অসাধারণ। ধন্যবাদ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই লেখাগুলো পড়ার জন্য।
আজ আমি আপনার পোস্ট দেখে কমেন্ট করতে আসি নাই। আজ আমি বলতে চাই আপনার পরিচয় বিষয়ে কথা। আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনি জন্মসূত্রে বাঙালি। বাঙালি আপনার পরিচয়। আর এই পরিচয় সকলের মাঝে তুলে ধরতে আপনি খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। সত্যি ভাইয়া অতুলনীয়। অতুলনীয় ভালবাসা বাংলা মায়ের প্রতি।
আমরা প্রত্যেকেই বাঙালি। বাঙালি হিসেবে নিজের দেশকে , নিজের ভাষাকে কিংবা নিজের সংস্কৃতিকে ভালোবাসা প্রতিটি বাঙালির দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।
আপনার কথাগুলোর সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত পোষণ করছি। সত্যিই আসলে মনের শান্তি টায় বড় শান্তি বা মনের সন্তুষ্টি টায় বড় সন্তুষ্টি। আপনি অনেক মূল্যবান কথা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আগামীর জন্য শুভকামনা রইল।
মনের সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড় সন্তুষ্টি। মনের সন্তুষ্টি বিহীন আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
খুবই সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ভাই। মনের সৌন্দর্য আসল ব্যাপার। যদি মন থেকে কোন কিছু ভাল না লাগে যতই সৌন্দর্য্যপূর্ণ স্থানে যায় তা আমাদের ভালো লাগবে না। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আমার মনে হয় আপনি কোথাও একটা ভুল করেছেন। আমার লেখার টপিকস সৌন্দর্য নিয়ে নয়। ধন্যবাদ
অল্পতে সন্তুষ্ট হওয়া অনেক বড় মনের অধিকারী হওয়ার একটি ব্যাপার। কারন এই কাজটি আমরা সকলে চাইলেই পারি না। দারুণ লিখেছেন, আর আমি একটি সাজেশন দিব তা হলো লেখার পরিমাণ একটু বাড়াবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সাজেশন দেয়ার জন্য। পারিবারিক কিছু কাজের জন্য একটু লেখালিখি কমিয়ে দিয়েছিলাম। চেষ্টা করছি নিয়মিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটা আজকে খুবই ভালো লাগছে ভাই। এরকম লেখা মাঝে মাঝে পড়লে আসলে খুব ভালো লাগে এবং অনেক কিছু অনেক কিছু বোঝা যায়। আসলেই সন্তুষ্ট অনেক বড় একটা জিনিস। আসলে যারা কমে সন্তুষ্ট হতে পারে তারাই কিন্তু সুখী। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই কমেন্ট এর মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।