আশা করি সকলে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন এবং সেইসাথে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও ভালো আছি। আমি ইতিমধ্যে লেভেল ৩ এর ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি এবং আমি লিখিত পরীক্ষা দেয়ার জন্য @alsarzilsiam ভাই আমাকে জানিয়েছেন।

লেভেল ৩ এর ক্লাস গুলো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটি প্রত্যেক লেখক এর জন্য খুবই জরুরী। বিশেষ করে যারা স্টিমিট এ কাজ করেন। কারণ এখানে কিভাবে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল এবং প্রত্যেকে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেই জন্য এবিবি স্কুল এবং এবিবি স্কুলের সকল প্রফেসরগণকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই। এখন আমি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

উত্তর ⇨ আমরা আমাদের পোস্টে লেখাগুলোর এবং ছবিগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু টেক্সট ফরম্যাট ব্যবহার করে থাকি। আর এই নির্দিষ্ট টেক্সট ফরম্যাট এর কোড গুলোকে মার্কডাউন বলে।

উত্তর ⇨ মানুষ মাত্রই সুন্দরের পূজারী। মানুষ স্বভাবতই সুন্দর কিছু খুঁজে বেড়ায়। তাই আমরা যদি এমন ভাবে পোস্ট করি যেন পাঠক তাতে আকৃষ্ট হয় তাহলেই আমাদের লেখা সার্থক। আর পাঠককে আকৃষ্ট করতে হলে অবশ্যই সেই পোষ্টের লেখা কিংবা ছবিগুলোতে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রয়োগ করতে হয়। আর নিজেদের সৃজনশীলতা প্রয়োগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পোস্টের মধ্যে মার্কডাউন কোড ব্যবহার করা। ফলে পোস্টগুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয় এবং তাতে পাঠক আকৃষ্ট হয়। ফলে ওই পোস্ট পড়তে কোন পাঠকের একঘেয়েমি কিংবা বিরক্তি ভাব আসে না। আর এই কারণে আমাদের পোষ্ট গুলোতে মার্কডাউন কোড ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উত্তর ⇨ পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে, কোডগুলোকে পোস্টের মধ্যে দেখানোর জন্য কোডগুলোর আগে চারটা স্পেস দিতে হবে । তাহলেই কোডগুলো দৃশ্যমান হবে।

প্রশ্নঃ নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন।

উত্তর ⇨ প্রথমে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে যে লেখা বা টেক্সকে বা ফটোকে লিংক আপ করাতে হবে সেটা সম্পর্কে লিখতে হবে, যেমন ছবির উৎস কিংবা ইমেজ সোর্স ইত্যাদি লিখতে হবে। তারপর প্রথম বন্ধনীর মধ্যে সেই নির্দিষ্ট লিংকটি লিখতে হবে। যেমন:

উত্তর ⇨ কোন টপিকস এর উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী। কোন টপিকস এর উপর আমরা ব্লগ লিখতে গেলে আমাদের খেয়াল করতে হবে পোস্টটি কতটা গুণগত ও মানসম্পন্ন হচ্ছে। আর গুণগত এবং মানসম্পন্ন পোষ্ট করার জন্য অবশ্যই আমাদের সেই টপিকস এর উপর জ্ঞান থাকতে হবে। না হলে পোস্ট মান সম্পন্ন হবে না। এতে ‌ কোন পাঠক আকৃষ্ট হবে না। তাছাড়া আমরা যদি আমাদের ব্লগিং যাত্রাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের গুণগত, মানসম্পন্ন এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট করতে হবে। আর এজন্যই আমরা যে বিষয়ে পোস্ট লিখব। সেই বিষয়ের ওপর অবশ্যই আমাদের জ্ঞান থাকতে হবে।

উত্তর ⇨ আমি যদি একটি পোস্টে $7 সমমূল্যের ভোট দেই তাহলে আমি $7 এর অর্ধেক $3.5 সমমূল্যের স্টিম পাওয়ার হিসেবে পাবো। কারণ কিউরেটরদের এখানে স্টিম পাওয়ার হিসেবে রিওয়ার্ড দেওয়া হয়।

তাহলে আমি কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবো :
$3.5÷$0.50= 7 SP
তাহলে আমি 7SP কিউরেশন রিওয়ার্ড পাব।

উত্তর ⇨ পোস্ট পাবলিশ হওয়ার প্রথম পাঁচ মিনিট এবং সপ্তম দিনের শেষ ১২ঘন্টার মধ্যে কিউরেশন থেকে বিরত থাকা এবং পোস্ট পাবলিশ হওয়ার পাঁচ মিনিট পর থেকে ৬দিন ১২ ঘন্টার মধ্যে কিউরেশন করা।

উত্তর ⇨ @Heroism কে ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে। আমরা কিউরেশন করলে সাধারণত কিউরেশন রিওয়ার্ড হিসেবে শুধুমাত্র এসপি পাব। কিন্তু @Heroism কে ডেলিগেশন করলে আমরা এসবিডি এবং এসপি ২টিই পাবো। হিরোইজম কে ডেলিগেশন করলে, বেশি এসপি পাবো। তাছাড়া আমাদের কোয়ালিটি পূর্ণ পোস্টে হিরোইজম আপভোট দেয়,ফলে এখান থেকেও এসবিডি এবং এসপি দুটোই পাওয়া যাবে। তাই বলা যায়, নিজে কিউরেশন করার থেকে @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে।

ধন্যবাদ সকলকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য

আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক এবং ব্যক্তিগতভাবে এক সন্তানের বাবা। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।